কিভাবে আপনার দীর্ঘদিন ফ্রিজ ভালো রাখার সহজ কিছু উপায়
আমরা জানি আধুনিক জীবনে ফ্রিজ আমাদের সবার নিত্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। আমার বা আপনাদের ছোটখাটো কিছু ভুলের ত্রুটির জন্যই ফ্রিজকে বৈদ্যুতিক লোড বা বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। এতে করে ফ্রিজ নষ্ট হয়ে যায়। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কাজগুলো করলে
রেফ্রিজেরেটরের কম বৈদ্যুতিক শক্তি খরচ হবে মানে রেফ্রিজারেটরের কার্যকরিতা বৃদ্ধি পাবে। ইনশাআল্লাহ
ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুরা আমরা যে ট্রাফিক সে সম্পর্কে জানব সেটি হচ্ছে দীর্ঘদিন ফ্রিজ ভালো রাখার কিছু উপায় আমাদের অজান্তেই আমাদের ইলেকট্রিক জিনিসগুলো সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। যেটা আমরা জানিই না তাই আসুন কিভাবে ফ্রিজটি ভালো থাকে সে বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা পাব এই আর্টিকেল থেকে ইনশাআল্লাহ।
- অকারণে ফ্রিজের দরজা খোলা থেকে বিরত থাকুন। ফ্রিজের দরজা যত কম খুলবেন। ততই ফ্রিজের ভেতরকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালো থাকবে। কিছু রাখার জন্য বার বার ফ্রিজ না খুলে একসাথে গুছিয়ে সব একসাথে রাখুন বা বের করুন।
- পিছনের দেওয়ালে জিনিসপত্র ঠেসে দিবেন না। রেফ্রিজেরেটরের পেছনের দেয়ালে কোন কিছু ঠেসে রাখা থেকে বিরত থাকুন। এটি ফ্রিজের শীতল চক্রের ক্ষতি করে ফলে ফ্রিজকে বেশি বৈদ্যুতিক শক্তি খরচ করতে হয়। তাছাড়া আপনার রাখা সবজি বা মাছ মাংস ইত্যাদির জন্যই এটি ভালো নয়।
- সরাসরি গরম খাবার ফ্রিজে রাখবেন না। সরাসরি গরম খাবার ফ্রিজে রাখা মোটেও উচিত নয়। কারণ, সে খাবার ঠান্ডা করতে ফ্রিজকে খুব বেশি বৈদ্যুতিক শক্তি অপচয় হয়। এছাড়াও সরাসরি গরম খাবার থেকে আপনার ফ্রিজে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে পারে।
এখন আমরা ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে একটু জানি ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে।
- সরল এককোশী আদি নিউক্লিয়াস যুক্ত, উদ্ভিদ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ক্ষুদ্রতম আণুবীক্ষণিক জীব, যারা সর্বত্র বিরাজমান তাদের ব্যাকটেরিয়া বলে।
- মাইক্রোব নামে পরিচিত সর্বত্র বিরাজমান সরলতম এককোশী আণুবীক্ষণিক কোশপ্রাচীর যুক্ত জীবকে ব্যাকটেরিয়া বলা হয়।
- খাবার ঠান্ডা হতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিন। খুব বেশী তাড়াতাড়ি খাবার বা মাছ, মাংস ঠান্ডা করার জন্য যদি আপনি ফ্রিজের ঠান্ডা হবার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন, তবে বোকামি করবেন। এতে ফ্রিজের খুব বেশি বৈদ্যুতিক খরচ করতে হয়। যা থেকে আপনার ফ্রিজ নষ্টও হয়ে যেতে পারে। এর চেয়ে বরং জিনিস ঠান্ডা করার জন্য ফ্রিজকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিন। তাহলে আমার আপনার ফ্রি ভালো থাকবে এবং বৈদ্যুতিক খরচটাও কম হবে।
- কুলিং কয়েল পরিষ্কার রাখুন। ফ্রিজের পেছন দিকে যে কুলিং কয়েল থাকে সেখান থেকেই ফ্রিজে বৈদ্যুতিক শক্তি পৌঁছায়। সেই কুলিং কয়েলে প্রচুর ধুলো বালি জমলে শক্তির প্রবাহ কমে যায়। আর তখন ফ্রিজের বৈদ্যুতিক শক্তি বেশি ব্যয় হয়। তাই এই কুলিং কয়েল পরিষ্কার রাখার চেষ্টাকরুন। তবে একটু সাবধানে পরিষ্কার করবেন। যেন কুলিং কয়েলের আঁকাবাঁকা রেখাগুলো কোন ক্ষতি না হয়। তাহলে সেগুলো কর্মক্ষমতা কমে যাবে। সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- জমে থাকা অতিরিক্ত বরফ অপসারণ বা পরিষ্কার করুন। অনেকে ভাবেন, ফ্রিজে যত বরফ থাকবে ততই ভালো। এই ধারণা কিন্তু একদম ভুল। অতিরিক্ত বরফ জমা হলে রেফ্রিজেরেটরের ঠান্ডা করার কর্মক্ষমতা কমে যায়। তাই ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমা হলে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো অপসারণ বা পরিষ্কার করুন।
- ফ্রিজে একটি এনার্জি বাল্ব সংযুক্ত করুন। এটি ফ্রিজে থাকা বাল্ব থেকে বেশি তাপ উৎপান্ন করবে যার ফলে আপনার রেফ্রিজেরেটরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে লেড লাইট বেশ ভালো কাজ করে।
- দেয়াল থেকে দূরে রেফ্রিজেরেটর রাখুন। দেয়ালের সাথে ফ্রিজকে ঠেসে না রেখে দেয়াল থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করুন। অন্তত কিছুটা দূরে। এতে ফ্রিজ কম শক্তিতে বেশি ঠান্ডা করতে পারে।
- চুলা বা ওয়াটার হিটার থেকে ফ্রিজ দূরে রাখুন। ফ্রিজকে অবশ্যই এমন কিছু থেকে দূরে রাখুন যা তাপ উৎপন্ন করে। বিশেষ করে চুলা, স্টোভ, ওয়াটার হিটার এসব থেকে দূরে রাখুন।
- ফ্রিজকে বাতাসের সংস্পর্শে রাখুন। বন্ধ ঘরে ফ্রিজ না রেখে যেখানে বাতাসের ঠিকমত প্রবাহ হয় তেমন জায়গায় ফ্রিজ রাখুন। ফ্রিজের পেছন দিক দিয়ে যে গরম বাতাস বের হয় তা সাধারণ বাতাসের সাথে মিশে বাতাস অদল বদল করে। আপনি যদি, এমন জায়গায় ফ্রিজ রাখেন যেখানে ফ্রিজের আশেপাশে ঠিকমত বাতাস পৌঁছোও না, তবে ফ্রিজকে খুব বেশি শক্তি অপচয় করতে হবে আর খুব দ্রুতই আপনার রেফ্রিজেরেটর নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
লেখকের কথা
তাহলে আমরা বুঝলাম যে আমাদের ফ্রিজ ইলেকট্রিক বৈদ্যুতিক জিনিস সেটাকে ভালো রাখার জন্য উপরের বিষয়গুলো আমাদেরকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তাহলে আমাদের কষ্টের সেই ইলেকট্রিক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলো ভালো থাকবে তাই আশা করব আপনারা এই আর্টিকেল পড়ে আপনাদের
পণ্যগুলো সঠিক ভাবে সঠিক নিয়মে ব্যবহার করবেন। আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আর আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আর্টিকেলটি এখানে শেষ করতে পড়ে যদি আপনাদের একটু উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আমার পেজটিকে ফলো দিবেন আল্লাহ হাফেজ।