বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থা।

বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নত হওয়ার চেষ্টাই বহু দেশ চেষ্টা করছে। তবে সুবিধাজনক স্থানে এমন বহু দেশ আছে যারা এখনো বুঝতে পারেনি তার পরেও বিশ্বের এমন কিছু ব্যতিক্রম দেশ আছে। যে দেশ উন্নত দিক থেকে অগ্রসর হয়ে প্রতি নিয়ত।বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থা জানুন
যেমন, প্রতি বছর বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনৈতিক জায়গা দখল করে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স তবে এই স্থান এক ভারতের দখলে যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

পোস্ট সূচীপত্রঃ বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থা।

  • যুক্তরাষ্ট্র 
  • চীন 
  • জাপান 
  • জার্মানি
  •  ভারত

ভূমিকাঃ

বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থানে সমরিদ্ধ দেশগুলো পাঁচটি হলো যুক্তরাষ্ট্র চীন জাপান জার্মানি ভারত পাঁচটির মধ্যে অর্থনৈতিক জায়গা দখল করে যুক্তরাজ্য বা ফ্রান্স তবে এই স্থান এক ভারতের দখলে যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এক গবেষণায় পাওয়া যায় ২০১৯ সালে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করে তথ্য দিয়েছে দেখা যাচ্ছে।

বিশ্ব অর্থনীতির মোট দেশজ উৎপাদনের জিটিপি আকার ৯১.৯৮ ট্রিলিয়ন ডলার বিশ্বের অর্থনীতিতে আরেকটি নতুন তথ্য যোগ হয়েছে যা হচ্ছে ১৬ টি দেশের অর্থনীতির আকার ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে মনে রাখতে হবে এক হাজার বিলিয়নে এক ট্রিলিয়ন।

যুক্তরাষ্ট্র 

৬৩ বছর ধরে বিশে এ ক নম্বর অর্থনীতিবিদ দেশ হিসেবে স্থান দখল করে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির অর্থনৈতিক আকার ২১.৪৪ ট্রিলিয়ন ডলার তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে আই এম এফ হিসাব অনুসারে তার পরিমাণ ২২.২০ ট্রিলিয়ন ডলার সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক সম্পদ সঞ্চিত আছে এমন দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।প্রাকৃতিক সম্পদের দেশ অনুসারে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে।যার পরিমাণ ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার এইতো ছিল অতীতের কথা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির আকার ২৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার জিডিপির আকার কে মাথাপিছু আয় হিসেবে প্রকাশ করলে তার পরিমাণ ৮৫ হাজার ৩০ ডলার। যা প্রতি বছরেই ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ১.৬ শতাংশ হারে পরিবেশ ব্যবসার জন্য অনুকূল হওয়ায় প্রতিবছর এদেশের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তার হাড় বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনৈতিক ত উন্নয়ন বলতে অর্থনীতির সামগ্রিক পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের মাথাপিছু আয় এর ক্রমাগত বৃদ্ধিকে বুঝায় যার প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর দিয়ে যাচ্ছে।

চীন

চীনের অর্থনীতিক আকার ১৪ দশমিক ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার দেশটিতে প্রাকৃতিক সম্পদ বিদ্যমান আছে ২৩ ট্রিলিয়ন ডলার ১৯৮৯ সালে থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চীনের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৯.৫২ শতাংশ যার মধ্যে ২০১৯ সালে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ৬. ১ শতাংশ হার গত ২৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধের পরে চীনের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এখন দেখার বিষয় এই যুদ্ধে কি প্রভাব ফেলে অর্থনীতিতে।

 জাপান

বৃষ্টির অর্থনৈতিক আকার ৫ দশমিক ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার দেশটির শিল্প খাতে বিপ্লব এনেছে ইলেকট্রনিক পণ্য অর্থনীতিতে বিশ্বের তৃতীয় বড় অর্থনীতির দেশ জাপান তবে দেশটির এই উন্নতিতে জনশক্তির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

 জার্মানি 

বিশ্বের চতুর্থ অর্থনৈতিক দেশ জার্মানি। দেশটির অর্থনীতিতে গাড়ি ভারি যন্ত্রপাতি গৃহ সামগ্রী ও রাসায়নিক পণ্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।যার ফলে দেশটির অর্থনীতির আকার ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড় করিয়েছে জার্মানি অর্থনীতির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে।

 ভারত

ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বড় অর্থনীতি দেশটির অর্থনীতির আকার ২.৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার ভারত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে হয়তো জার্মানিকে ছাড়িয়ে যাবে ভারতের সেবা খাত এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অগ্রসরমান খাত অর্থনীতিতে সেবা খাতের অবদান ৬০ শতাংশ এবং মোট কর্মসংস্থান এই খাতের ২৮ শতাংশ।

শেষ কথাঃ



বিশ্বের সকল দেশে প্রতিদিন চেষ্টা করছে নিজ দেশকে অর্থনীতির শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম নয় বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে একানব্বইতম অবস্থানে আছে তবে আশা করা যায় আমাদের দেশ ও একদিন অর্থনীতিতে উন্নতির শীর্ষ ১০এ যাবে ।

তথ্যটি এবং পোস্টটি যদি আপনাদের পড়ে একটু ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুর মাঝে শেয়ার করে দিবেন এবং আমার সাইট থেকে ফলো দিয়ে রাখবেন যাতে করে সুন্দর সুন্দর তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি পরিশেষে আল্লাহপাকের কাছে আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই ইতি করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন