মন খারাপ কিছু টিপস বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা আমরা জানি মানুষের সবকিছুর মূল হচ্ছে মন। মন ভালো তো শরীর ভালো শরীর ভালো তো সব ভালো তাই সবসময় আমাদের চেষ্টা করা উচিত মন যেন সার্বক্ষণিক ভালো থাকে। আর কোনভাবেই মন খারাপ করে থাকা যাবে না। কারণ মন ভালো থাকলে সব কাজেই ভালো লাগবে প্রতিটি কাজের উৎসাহ বাড়বে কিন্তু মন খারাপ থাকলে কোনটাই হবে না।
তবে মন ভালো রাখার কিছু মাধ্যম রয়েছে। যেগুলোর কারণে মন সব সময় ভালো থাকে সেইগুলো কার হারানো সেই করতে হবে হলে মানসিকভাবে স্বস্তি পাওয়া যাবে। তাই মন ভালো রাখার কিছু মাধ্যম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ভূমিকা:
প্রিয় বন্ধুরা জীবন চলার মাঝে অনেক সময় মানুষ টেনশনের কারণে খারাপ হয়ে যাই। তখন নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এই সমস্ত টেনশন দূর করতে অনেক কিছু করতে হয়। তাই আজকের আর্টিকেলে তেমনি কিছু কথা এই আর্টিকেলে তুলে ধরব যাতে করে। আপনাদের অনেকটি কাজে আসবে। কারণ মানুষের মন থাকলে মন খারাপও থাকবে।
কারণ সবদিন সমানভাবে মন ভালো থাকে না। কোনো কোনো দিন মন ফুরফুরে থাকে সেদিন সবকিছুই ভালোলাগে। আবার কোনো কোনো দিন জমা হয়। মন খারাপের মেঘ। সেদিন আর কোনোকিছুই ভালোলাগে না যেন। মন খারাপ হয়। যেমন স্বাভাবিক বিষয় সেই মন খারাপকে বাড়তে দেওয়া তেমনই অস্বাভাবিক। এটি নতুন কিছু না।
তাই চলুন আজ মন ভালো করার কিছু টিপসগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার যাক। এবং সেই মন ভালো করার টিপসগুলো আজকের আর্টিকেলের মধ্যেই তুলে ধরছি।
কেন মন খারাপ হয়?
জীবনে চলার পথে প্রতিদিন নানান পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় মানুষ। কিছু আমাদের আনন্দ দেয়, কিছু ঘটনায় আমাদের মন খারাপ হয়। ভালো মন্দ সকল ঘটনার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলার পথে সামনে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের মুল লক্ষ্য হওয়া উচিত। জীবনে না পাওয়ার কষ্টগুলো যে পুষিয়ে যাবে তা সবসময় নাও হতে পারে।
কিছু আকাঙ্ক্ষা অতৃপ্তই রয়ে যেতে পারে। এই অতৃপ্তিগুলোই তৃপ্তির স্বাদ বাড়ায়। তবে সেই মন খারাপ কিংবা অতৃপ্তিগুলো যদি বিষন্নতায় পরিণত হয়। তবে বাঁধবে বিপত্তি। মন খারাপ থাকলে। তাহলে অবশ্যই আমাদের মন ভালো রাখা অপরিহার্য। মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানান হল সাধারণ মন খারাপ ও বিষন্নতার তফাৎ সম্পর্কে।
- সকল প্রকারের মানসিক যুক্তিগুলো অভ্যাস করুন।
- সহজ উপায়ে এবং আন্তরিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করুন।
- যতটুকু সম্ভব ততটুকু করার চেষ্টা করুন। সব সময় মনে রাখবেন আপনি আপনার চারপাশের অবস্থাকে কখনই অতিক্রম করতে পারবেন না।
- নিজের প্রতি সচেতন থাকুন কিন্তু সতর্ক নয়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায় হলো নিজের প্রতি খেয়াল রাখা।
- নিজেকে প্রশ্ন করুন। দেখুন আপনার মনোবল এবং শক্তি আপনাকে কী উত্তর দিচ্ছে। এবং সেটি সঠিক কিনা।
- দুশ্চিন্তা পরিহার করুন। কারণ দুশ্চিন্তা মন খারাপের মাধ্যম।
- নিজেকে সময় দিন। উদ্দেশ্যহীন ভাবে কাজ এবং চিন্তা করবেন না।
- ভুল হলে সাময়িক মন খারাপ করুন। কিন্তু অপরাধবোধ ও লজ্জাবোধে ভুগবেন না।
- মানসিক যন্ত্রণাকে কাজে পরিণত করার চেষ্টা করুন।
- ভালোলাগার বিষয়গুলোর কথা ভাবুন। এটি আপনাকে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
তাই জলদি মন ভালো করার কিছু টিপস বা উপায় নিম্নে আলোচিত:
মন খারাপ হলে যদি সম্ভব হয়। ফলের রস খান, বিশেষ করে কমলায় থাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস। এতে আরও আছে ক্যারটিনয়েড ও ফ্ল্যাভোনয়েড। আমাদের শরীর এসব উপাদান খুব সহজে গ্রহণ করতে পারে। এগুলো মন ভালো করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই মন খারাপ লাগলে একগ্লাস কমলার রস খেয়ে নিন।
চিনি কিংবা পানি কোনোটাই মেশাবেন না। শুধু কমলার রসটুকু খাবেন। এতে মন ভালো হবে অনেক দ্রুত। যদি ফল খাওয়ার সম্ভব হয়। তাহলে অবশ্যই খাবেন।
মন খারাপ হলে কোরআন তেলাওয়াত করা:
মোসলিম ব্যক্তির খারাপ হলে সে জেনও অবশ্যই কোরআন তেলাওয়াত করে দেখবেন আল্লাহর রহমতে মন ভালো হয়ে যাবে। মনে শান্তি আসবে স্বস্তি আসবে। শরীরে বল মনে অনুপ্রেরণা শান্তির অনুভূতি মনে জেগে উঠবে। তাহলে মন খারাপ হলে কোরআন তেলাওয়াত করা অতীব জরুরী।
খারাপ হলে ডার্ক চকোলেট খাবেন:
নিশ্চয়ই এতদিনে জেনে গেছেন। যে চকোলেট মন ভালো রাখতে কাজ করে। এই চকোলেট হতে হবে ডার্ক চকোলেট। এটি জলদি আপনার মন ভালো করে দেবে। এটি শুধুমাত্র ধারণা নয়, এর পেছনে আছে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যাও। সবচেয়ে ভালো হয় ড্রাই ফ্রুটস মেশানো ডার্ক চকোলেট খেতে পারলে। এই চকোলেট খেলে এন্ডোমরফিন হরমোন নিঃসরণ হয়। এটি মন ভালো করতে সহায়ক।
বসে বসে চা খাওয়া তবে হার্বাল চা:
চা খেতে খেতে আড্ডা দেওয়ার পর দেখা গেল আপনার মন অনেকটাই ফুরফুরে হয়ে গেছে । বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা যেমন আপনার মন ভালো করতে পারে। তেমনই এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে হার্বাল টি। খেতে খুব বেশি সুস্বাদু মনে না হলেও এটি কিন্তু আপনার মনকে অনেকটাই ভারমুক্ত করে দেবে।
মন খারাপ লাগলেই এককাপ ক্যামোমাইল বা জিঞ্জার টি বানিয়ে খেয়ে নেবেন। এতে কমবে আপনার মানসিক চাপ, সেইসঙ্গে মনও ভালো থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে আড্ডাটা হতে হবে ইসলামিক বিষয় নিয়ে সেই দিকে খিয়াল রাখতে হবে।
ইসলামিক মিউজিক শোনা:
পছন্দের কোনো ইসলামিক মিউজিকের তালে মনটা নেচে ওঠে মুহূর্তেই। সে কারণে অনেক মনোবিদ আমাদের মন ভালো করার জন্য ইসলামিক মিউজিক থেরাপির সাহায্য নিতে বলেন। মন খারাপ লাগলে পছন্দের কোনো ইসলামিক গান শুনতে পারেন। তাতে মন মুহূর্তেই আনন্দে হেসে উঠবে। কেটে যাবে সমস্ত মন খারাপ।
বেশী বেশী হাঁটুন:
মনে করুন সারাদিন অনেক কাজ করে ক্লান্ত। এদিকে ভালো নেই মনও। এই অবস্থায় আপনাকে হাঁটতে বললে কি রাগ করবেন? বিশ্বাস করুন, এখন আপনার মন ভালো করার জন্য একটুখানি হেঁটে আসা জরুরি। বাড়ি থেকে বের হয়ে কাছে কোথাও ঘুরে আসুন। পার্ক থাকলে একটু হাঁটাহাঁটি করে আসুন। দেখবেন। কত তাড়াতাড়ি মন ভালো হয়ে গেছে।
বন্ধুর সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করা:
আপনার পাশে যদি অন্তত একজনও বন্ধু থাকে, তাহলে আর মন খারাপ করে থাকতে হবে না। তার সঙ্গে কথা বলুন। কী নিয়ে মন খারাপ তার পুরোটাই তার সঙ্গে ভাগাভাগি করুন। এতে মনের ভার অনেকটাই কমবে। বন্ধু যদি কাছে না-ও থাকে, ফোন করে তার সঙ্গে কথা বলুন। এতে মন অনেকটাই ভালো হয়ে যাবে।
শেষ কথা:
আজকের আর্টিকেলে মন খারাপ এর বিষয় নিয়ে আলোচনা নিয়ে আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। এবং উপকারে আসবে আর এই প্রত্যাশা রেখে এবং আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত আর্টিকেল লেখা এখানে শেষ করছি।