বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার সহজ উপায় বিস্তারিত জেনে নিন।

প্রিয় বন্ধুরা আমরা প্রতিদিনের জীবনযাপনে অধিকাংশ বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল থাকি। যার জন্য প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ। বিদ্যুতের ঘাটতি থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। আর সহজ কিছু বিষয় মেনে চললে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। আমাদেরকে বিনা প্রয়োজনে ইলেকট্রিক যন্ত্র চালিয়ে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। 
বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার সহজ উপায় বিস্তারিত জেনে নিন।
এর ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি মাস শেষে বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে। আর আজকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার কিছু উপায় যা থেকে আপনারা অবশ্যই উপকৃত হবেন।

ভূমিকা:

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে বিদ্যুৎ একটি অন্যতম আর এই বিদ্যুৎ সম্পর্কেই আজকের আর্টিকেল। আমি মনে করি বিদ্যুৎ সম্পর্কে আমাদের অনেকজনের ধারণা কম তাই কিভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায়। সেই ব্যাপারে সঠিক ধারণা দেওয়ার জন্যই আজকে আর্টিকেল। আর এখান থেকে ধারণা নিয়ে। 

আরো পড়ুন:

নিজের বাসা বাড়ি অথবা অফিস আদালতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে উদ্বুদ্ধ হবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

বিদ্যুৎ খরচ কম বা সাশ্রয় করতে যা করণীয়:

  • এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করলে তা ৭৫% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে।
  • আনপ্লাগ করে রাখা কিছু যন্ত্র আছে যেগুলো সুইচ বা রিমোট টিপে বন্ধ করার পরও বৈদ্যুতিক পাওয়ার চালু থাকে।
  • প্রয়োজন শেষে কম্পিউটার বন্ধ রাখা 
  • সঠিক নিয়মে আয়রন ব্যবহার করা 
  • অযথা এসির ব্যবহার না করা
  • ইলেকট্রিক যন্ত্র ফ্রিজ সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা
  • মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করা

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার:

আপনারা জেনে অবশ্যই খুশি হবেন। এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করলে তা ৭৫% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে। এগুলো সাধারণ বাল্বের তুলনায় ছয়গুণ বেশি চলে। বাড়ি বা অফিসের পুরানো বাল্ব বদলে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করুন। পুরনো বাল্ব হলে তা বিদ্যুৎ বেশি খরচ করে। তাহলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য অবশ্যই এনার্জি বাল্ব ব্যবহার করুন।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য লাইন থেকে প্লাগ সরিয়ে রাখা:

আপনারা কি জানেন? ইলেকট্রিক কিছু যন্ত্র আছে। যেগুলো সুইচ বা রিমোট টিপে বন্ধ করার পরও বৈদ্যুতিক পাওয়ার চালু থাকে। সেখানে কিন্তু বিদ্যুৎ সঞ্চালন হতেই থাকে যার ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। এবং মিটারে বিদ্যুৎ বিল বেশি হয়ে যায়। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই এ ধরনের ইলেকট্রিক যন্ত্রের প্লাগ সরিয়ে রাখবেন।

কম্পিউটার বন্ধ রাখা:

ইলেকট্রিক যন্ত্র একটি ফ্রিজ সারাদিন চালু থাকার পর যতটা বিদ্যুৎ খরচ হয়। একটি কম্পিউটার সারাদিন চালু থাকলে তার থেকে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই অপ্রয়োজনে কম্পিউটার চালু রাখবেন না। ব্যবহারের পরই বন্ধ করে রাখুন। সব সময় কম্পিউটার খুলে না রেখে যখন এর সামনে থাকবেন না। কিন্তু খোলা রাখা দরকার তখন স্লিপিং মুডে রাখুন। এতে ৪০% বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।

ইলেকট্রিক আয়রন ব্যবহার অযথা ব্যবহার না করা:

আমরা জানি কাপড় ভাঁজ ভাঙ্গার জন্য বা কাপড় সোজা করার জন্য আমরা আয়রন ব্যবহার করে থাকি। প্রায় সব বাড়িতেই রয়েছে আয়রন মেশিন। এই মেশিন বিদ্যুৎ টানে অনেকটাই। তাই কাপড় আয়রন করার ঠিক আগে আয়রন গরম করে নিন। অধিক সময় হিট দিয়ে রাখবেন না। এতে করে অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

অনার্থভাবে এসির ব্যবহার না করা:

আমরা কারণে-অকারণে শহরের বেশিরভাগ বাসা ও অফিসে এসি ব্যবহার করে থাকি। যার জন্য বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে করণীয় এসি দীর্ঘ সময় চালু না রেখে রুম ঠান্ডা করে। এসি বন্ধ করে দিলে বিদ্যুৎ খরচ কমবে অনেকটাই। সেই দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলেই বিদ্যুৎ খরচ অনেক অনেক কমে যাবে।

ইলেকট্রিক যন্ত্র ফ্রিজ ব্যবহার:

আমাদের প্রায় মানুষের বাড়িতে ফ্রিজ আছে নিশ্চয়ই? আর ফ্রিজ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস তাই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য ফ্রিজ ব্যবহারের সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা অবশ্যই দরকার। যেমন রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে এবং ফ্রিজারের তাপমাত্রা -১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখুন। আশা করা যায় বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কম হবে। 

প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা:

আমার তো অনেক সময় বিদ্যুৎ সংযোগ যদি কোনো কারণে ত্রুটিপূর্ণ হয়। তাহলে বিদ্যুৎ খরচ অবশ্যই বেশি হতে পারে। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে। আর আপনি নিজেই পরীক্ষা করতে যাবেন না। তবে বিদ্যুৎ সম্পর্কে কোন ধারণা থাকলে সমস্যা নাই। যদি বিদ্যুৎ সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে আপনি নিজেই আপনার বিদ্যুৎ সংযোগটি পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। 

আর যদি ধারণা না থাকে বিদ্যুৎ সম্পর্কে তাহলে কোন বিদ্যুৎ এক্সপার্ট এর সাহায্য নিন। তাহলে বিদ্যুৎ পরীক্ষিত ধারণা পাবেন। ফলে অনেকটা বিদ্যুৎ খরচ কমে যাবে। 

শেষ কথা:

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের বিষয়টি ছিল বিদ্যুৎ কম খরচ কিভাবে হবে সে বিষয় নিয়ে এবং সেই কথাগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি এখান থেকে অনেক উপকৃত হবেন। তাই অনুরোধ করব প্রেসটি সম্পূর্ণরূপে পড়ুন বিদ্যুৎ সাশ্রয় করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন