ডাল খিচুড়ি উপকরণ সমূহ সহজেই জেনে নিন।

আষাঢ় মাসের বৃষ্টির সময় অথবা যেকোনো সময় রিমঝিম করে বৃষ্টি ঝরলে সে সময় বাসাতে যদি খিচুড়ি রান্না করা হয়। কতই না মজা লাগে আপ্যায়ন করতে আপনাদের কি মনে হয়। জানিনা তবে আমার মনে হয়। প্রিয় কিশোরী ভক্ত বন্ধুদের জন্য নিয়ে আসলাম আজকে খিচুড়ি রান্না এবং পরিবেশন নিয়ে কিছু আলোচনা। 
ডাল খিচুড়ি উপকরণ সমূহ সহজেই জেনে নিন।
তবে একটি জিনিস লক্ষণীয় সেটি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি ঝরার সময় বাসায় বৃষ্টির পানির রিমঝিম শব্দে মন ভরে যায়। শুধু তাই নয়। বাসায় বসে বসে গরম গরম খিচুড়ির তুলনা হয় না। এবং আমি মনে করি খিচুড়ি এই অনেকটা লোভনীয় খাবার। চলুন কয়েক প্রকারের খিচুড়ি নিয়ে কিছু কথা বলি। প্রথমেই ডাল খিচুড়ি নিয়ে কিছু আলোচনা।

ভূমিকাঃ
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমরা জানি ডাল খিচুড়ি যদি খুব ভালো হয়। তাহলে সকলের জন্যই ক্ষতিকর খাবার হিসেবে গণ্য হয়। ব্যাপারটি শুধু আপনাদের জন্য নয়। এটি আমার ক্ষেত্রেও যাই হোক আমি যদি বোঝা যাচ্ছি। সেটি হচ্ছে খিচুড়ির কথা বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি ডাল খিচুড়ি সম্পর্কে আশা করি বন্ধুদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

চলুন আর দেরি না করে। আমরা কিভাবে ডাল খিচুড়ি এবং মাংস খিচুড়ি রান্না করে পরিবেশন করা যায়। সেই ব্যাপারে আজকের আর্টিকেলটি তাহলে আর বেশি কথা না বলে। মূল কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। এবং আমি আশাবাদী এই আর্টিকেল থেকে আপনারা ডাল খিচুড়ি ও মাংস খিচুড়ি কিভাবে রান্না করা যায়। কিভাবে পরিবেশন করা যায়। এটি জানতে পারবেন।

ডাল খিচুড়ি উপকরণ সমূহ। 

ক্রমিক নং

উপকরণ

কাপ/টা

  টেবিল চামচ 

পরিমাণ

১/

পোলাও চাল

২ কাপ



২/

মুগ ডাল

হাফ কাপ



৩/

মসুর ডাল

হাফ কাপ



৪/

বুটের ডাল

হাফ কাপ



৫/

মাসকালাই ডাল

হাফ কাপ



৬/

  পিয়াজ কুচি  

হাফ কাপ



৭/

রসুন বাটা


১ টেবিল চামচ


৮/

আদা বাটা


১ টেবিল চামচ


৯/

জিরা বাটা


১ টেবিল চামচ


১০/

ধনে গুড়া


১ টেবিল চামচ


১১/

শুকনো  গুড়া মরিচ


১ চা চামচ


১২/

তেজপাতা



২/৩ টা পরিমান

১৩/

এলাচ



৩/৪ টা পরিমান

১৪/

দারচিনি



২/৩ টা পরিমান

১৫/

লবঙ্গ



৩/৪ টা পরিমান

১৬/

লবণ


২চা চামচ


১৭/

হলুদ 


দেড় চা চামচ


১৮/

  তেল


হাফ কাপ


১৯/

মোটর শুঁটি


হাফ কাপ


২০/

টমেটো


কুচি হাফ কাপ


২১/

গাজর


কুচি হাফ কাপ


২২/

ঘি


২ টেবিল চামচ


২৩/

পানি



৫-কাপ পরিমান

উপকরণ মিশ্রণ প্রক্রিয়া লক্ষণীয়

প্রথমে মুগডাল হালকা ভেজে নিতে হবে। এবার সব ডাল ও চাল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ভালো মত ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। চুলায় পাতিল দিয়ে গরম করে তেল দিতে হবে। তারপর পিঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে। এবার গরম মসলা গুলো দিয়ে নেড়ে চেড়ে তাতে সব মসলা দিয়ে ভাজতে হবে। 

এবার টমেটো, গাজর, মটরশুঁটি, ডাল ও চাল দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। এবার পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। চাল ডাল ফুটে উঠলে ও সিদ্ধ হয়ে চাল একটু ভাতের চেয়ে নরম হলে বা কতটুকু পাতলা হবে তার ঘনত্ব রেখে কাঁচা মরিচ ও ঘি ও বেরেস্তা দিয়ে নামাতে হবে।

মাংস দিয়ে পাতলা খিচুড়ির উপকরণ সমূহ

ক্রমিক নং 

উপকরণ

কাপ/টা

কেজি 

টেবিল চামচ 

পরিমাণ

১/

মাংস


হাফ কেজি



২/

পিয়াজ কুচি


৪ টাবড় সাইজ



৩/

আদা বাটা



১ টেবিল চামচ


৪/

রসুন বাটা



১ টেবিল চামচ


৫/

জিরা গুঁড়া



১ টেবিল চামচ


৬/

ধনে গুঁড়া 



১ টেবিল চামচ


৭/

শুকনো মরিচ গুঁড়া



১ চা চামচ


৮/

তেজপাতা




২/৩ পরিমান

৯/

এলাচ




৩/৪ পরিমান

১০/

দারচিনি




২/৩ পরিমান

১১/

লবঙ্গ




৪/৫ পরিমান

১২/

লবণ



২ চা চামচ


১৩/

হলুদ



দেড় চা চামচ


১৪/

গরম মসলার গুঁড়া



১ চা চামচ


১৫/

মোটা চাল



২ কাপ


১৬/

মুগ ডাল



১ কাপ


১৭/

কাঁচামরিচ




২/৩ পরিমান

১৮/

ঘি



২ টেবিল  চামচ


১৯/

তেল



হাফ কাপ


২০/

  বেরেশতা



দেড় টেবিল চামচ


উপকরণ মিশ্রণ প্রক্রিয়া লক্ষণীয়

আমরা জানি খিচুড়িতে মোটা চাল হলে ভালো হয়। তবে পোলাও বা আতপ চাল দিয়েও খিচুড়ি অনেক সুগন্ধি ও মজার হয়। যাই হোক আলোচনায় যাই। প্রথমে কড়াই গরম করে মুগ ডাল সামান্য ভেজে নিতে হবে। এবার চাল ও ডাল ভালো করে ধুয়ে রাখতে হবে। এবার তেল বাদে বাকি সব উপকরণ মাংসের সঙ্গে মেখে রাখতে হবে ৫/৬ মিনিট। এবার কড়াইয়ে তেল দিতে হবে। 

গরম হলে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে ভালোমতো কষাতে হবে। মাংস থেকে যে পানি বের হবে তাতেই মাংস সিদ্ধ হয়ে যাবে অতিরিক্তভাবে কোন পানি দিতে হবে না। কষানোর পর মাংস থেকে তেল ভেসে উঠলে সামান্য পানি অর্থাৎ ১ কাপ বড় পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাংস সিদ্ধ হলে নেড়ে চেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে রাখতে হবে। 

পাতিলে তেল দিয়ে গরম করতে হবে। তেলে পেয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলে নিতে হবে। এবার এ তেলে ভিজিয়ে রাখা ডাল ও চাল দিয়ে ভাজতে হবে। গরম মসলা গুড়া, ও লবণ দিতে হবে। একটু ভেজে রান্না মাংস ও পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে। (খিচুড়ি রান্নায় ১ কাপ চালের পরিবর্তে ৩ কাপ পানি দিতে হয়। কারণ খিচুরি ভাতের চেয়ে একটু বেশী নরম করতে হয়।

শেষ কথাঃ 

এভাবেই খিচুড়ি রান্না শেষ। করে পরিবেশন করতে হবে। আশা করি আর্টিকেলের রেসিপি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। এবং যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই সাইটটিকে ফলো দিয়ে রাখবেন। যাতে করে পরবর্তীতে অন্য কোন টিপস অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে পারি এই প্রত্যাশা রেখে এবং আপনাদের সুস্থ স্বাস্থ্য কামনা করে শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন