বিপি মেশিন কি বিপি মেশিনের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন
কে বন্ধুরা আমরা জানি রোগীর চাইতে ডাক্তার বেশি উদাহরণস্বরূপ কোন ব্যক্তির যদি
সর্দি হয়। অপর কোন ব্যক্তি তা দেখে সহজে বলতে পারেন। হিস্টাসীন খান সর্দি ভালো
হয়ে যাবে। এ থেকে ধরে নেওয়া যায় রোগীর চেয়ে ডাক্তার বেশি। কারণ সহজেই বিনা
পয়সায় চিকিৎসা দিয়ে দিচ্ছে। এই জন্যই বললাম রোগীর চেয়ে ডাক্তার অনেক বেশী।
শুধু তাই নয় আমরা সাধারন মানুষ বাসা বাড়িতে কোন অসুস্থ ব্যক্তি দেখলে প্রাথমিক
চিকিৎসা দিতে পারি এমনকি জ্বর মাপা যায়। শরীরের পেশার মাপা যায়। এরকম
ধরনের অনেক কিছুই নিজে থেকেই করা যায়।
ভূমিকা:
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কিছু যন্ত্রের
ব্যবহার সম্পর্কে যে সমস্ত যন্ত্র অল্প সামান্য ধারণা থাকলে তা ব্যবহার করা যায়।
যেমন বিপি মেশিন স্টুথেস্ক থার্মোমিটার ইত্যাদি। আর এই সমস্ত যন্ত্রের ধারণা
আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরা হচ্ছে। আশা করি এই আর্টিকেল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা
সম্পর্কে অল্প ধারণা হলেও পাওয়া যাবে।
তাহলে চলুন দেরি না করে আজকের প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু ধারণা নেওয়া যাক।
প্রাথমিক চিকিৎসার যন্ত্রাংশ:
- বিপি মেশিন
- স্টেথোস্কোপ
- থার্মোমিটার
ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ মাপার জন্য আজকাল অনেকেই বাসা বাড়িতে ব্লাড প্রেসার বা
রক্তচাপ মাপার যন্ত্র রাখেন। আর সেটি নিয়মিত রক্তচাপ মাপার জন্য আজকাল অনেকেই
বাড়িতে রক্তচাপ মাপার যন্ত্র রাখেন। প্রথম হলো স্ফিগমোম্যানোমিটার। চিকিৎসা
পরিভাষায় বলা হয়। বিপি (ব্লাড প্রেশার) মেশিন। যা রোগীর বা সাধারন মানুষের কাছে
পরিচয় প্রেশার মাপার যন্ত্র।
আর এই ব্লাড প্রেসার মাপা মেশিন সাধারণত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও চিকিৎসকের চেম্বারে
এ যন্ত্র দিয়ে রক্তচাপ পরিমাপ করা হয়। এমন কি অনেকে এটি বাড়িতেও রাখেন। নামকরণ ও
কর্মপদ্ধতি গ্রিক শব্দ Sphygmic(স্পন্দন) এবং এটি বৈজ্ঞানিক চিকিৎসকের পরিভাষায়
Manometer-এর (চাপমানযন্ত্র) সমন্বয়ে ‘স্ফিগমোম্যানোমিটার’ শব্দটির
উৎপত্তি।
নাম থেকে সহজেই যন্ত্রটির কাজ বোঝা যায়। এই যন্ত্রে একটি ম্যানোমিটার এবং
কাপড়ের টিউবে মোড়ানো একটি প্রসারণক্ষম কাফ তথা হস্তবন্ধনী থাকে। কম্পন ধোনির
রক্তপ্রবাহে চাপ সৃষ্টি করে। ম্যানোমিটার এই রক্তচাপ পরিমাপ করে। রক্তপ্রবাহ শুরু
হয়। যে চাপে তাকে বলে সিস্টোলিক চাপ। যে চাপে রক্তপ্রবাহ পরিপূর্ণভাবে বাধামুক্ত
হয়। তাকে বলে ডায়াস্টোলিক চাপ।
এই সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের মধ্যবর্তী সময়ে এক ধরনের শব্দ হয়। যাকে বলে করোটকফ
সাউন্ড। আর নির্ভুল মান বা মাপ পেতে এই শব্দ নিখুঁতভাবে শোনা অতীব জরুরি। এ
জন্য স্ফিগমোম্যানো মিটারের সঙ্গে স্টেথোসকোপ ব্যবহার করা হয়। আবিষ্কার
স্ফিগমোম্যানোমিটার প্রথম আবিষ্কৃত হয়। ১৮৮১ সালে। আর এটি আবিষ্কার করেন।
অস্ট্রিয়ান চিকিৎসক স্যামুয়েল সিগফ্রিড কার্ল রিটার ভন বাস্ক। এরপর একাধিকজনের
হাত ধরে বর্তমান রূপে এসে পৌঁছেছে যন্ত্রটি। ১৮৯৬ সালে ইতালিয়ান শিশুচিকিৎসক
স্কিপিয়ন রিভা-রকি এটিকে আরও সহজে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলেন। ১৯০১ সালে,
নিউরোসার্জন হার্ভে কুশিং এর আধুনিকতর রূপ উপহার দেন।
এবং তখন থেকেই চিকিৎসা জগতে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যন্ত্রটি।
স্ফিগমোম্যানোমিটারের রকমফের মূলত দুই ধরনের স্ফিগমোম্যানোমিটার বা বিপি মেশিন
রয়েছে। প্রথমত হচ্ছে। ম্যানুয়াল স্ফিগমোম্যানোমিটার:এতে স্পন্দনের শব্দ
শোনার জন্য টেলিস্কোপের দরকার হয়। এর আবার দুটি ধরন আছে।
মার্কারি স্ফিগমোম্যানোমিটার: পারদস্তম্ভের উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে
রক্তচাপ পরিমাপ করার যন্ত্রকে বলে মার্কারি স্ফিগমোম্যানোমিটার। বেশির ভাগ
চিকিৎসক এখনো ম্যানুয়াল যন্ত্রে রক্তচাপ মাপতে পছন্দ করেন। বেশির ভাগ চিকিৎসক
এখনো ম্যানুয়াল যন্ত্রে রক্তচাপ মাপতে পছন্দ করেন এই যন্ত্র।
অ্যানেরয়েড স্ফিগমোম্যানোমিটার:এটি মার্কারি স্ফিগমোম্যানোমিটারের তুলনায়
অধিকতর নিরাপদ। ডিজিটাল স্ফিগমোম্যানোমিটার: প্রেশার সেন্সর ও মাইক্রোপ্রসেসরের
সমন্বয়ে এটি একধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস। কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই এটি ব্যবহার করা
যায়। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় না।
স্টেথোস্কোপ সম্পর্কে:
এবার আমরা জানবো স্টেথোস্কোপ সম্পর্ক স্টেথোস্কোপ (ইংরেজি Stethoscope) হলো
মানুষ অথবা প্রাণী দেহের হৃৎস্পন্দন কিংবা অন্যান্য অভ্যন্তরীণ শব্দ শোনার জন্য
আধুনিক একটি ডাক্তারি যন্ত্র। এটি প্রধানত হৃৎস্পন্দন এবং নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস এর
শব্দ শুনতে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি অন্ত্র, ধমনী এবং শিরাতে রক্ত বয়ে চলার
শব্দ শোনার জন্যেও ব্যবহার করা হয়।
একটি ছেলে মেয়ে উভয়ে স্টেথোস্কোপ দ্বারা মানুষের হৃৎস্পন্দন পরিমাপ করতে পারে
সহজে । আর এই যন্ত্র স্টেথোস্কোপ কে ডাক্তারি পেশার প্রতীকি হিসাবেও দেখা হয়।
স্টেথোস্কোপের ইতিহাস:
এই প্রাথমিক স্টেথোস্কোপটি লিন্নেক এর ছিল . (বিজ্ঞান জাদুঘর , লন্ডন ) প্রথম
দিককার স্টেথোস্কোপ A Traube-ধরনের স্টেথোস্কোপ আইভরিতে ১৮৫১ সালে। আইরিশ
চিকিৎসক আর্থার লেয়ার্ড একটি বাইনোরাল স্টেথোস্কোপ আবিষ্কার করেছিলেন। এবং
১৮৫২ সালে জর্জ ফিলিপ ক্যামম্যান বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য স্টেথোস্কোপ যন্ত্রের
যা উভয় কানে ব্যবহার করেছিলেন।
নকশা তৈরি করেছিলেন। ক্যামম্যান অ্যাসক্লুটেশন দ্বারা নির্ণয়ের উপর একটি বড়
গ্রন্থও রচনা করেছিলেন। যা পরিশোধিত বাইনারাল স্টেথোস্কোপ সম্ভব করেছিল। ১৮৭৩
সালের মধ্যে একটি ডিফারেনশিয়াল স্টেথোস্কোপের বর্ণনা ছিল। যা সামান্য স্টেরিও
প্রভাব তৈরি করতে কিছুটা পৃথক অবস্থানের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে।
যদিও এটি ক্লিনিকাল অনুশীলনে কোনও আদর্শ সরঞ্জাম হয়ে ওঠেনি। এ ছিল স্টেথোস্কোপ
এর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা তাহলে আশা করা যায়। অবশ্যই এখান থেকে কিছু জ্ঞান
সঞ্চয় করা গেল।
থার্মোমিটার ব্যবহারের ও জ্বর মাপার নিয়ম:
আমরা জানি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে আমরা ‘জ্বর’ বলি।
আর কখনোই জ্বর হয়নি। এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে মনে রাখতে হবে।
জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। জ্বরের কারণ সময়মতো শনাক্ত করে চিকিৎসা না
নিলে তা কখনো কখনো প্রাণঘাতীও হতে পারে।
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রি
সেলসিয়াস আর এর চেয়ে বেশি হলেই আমরা জ্বরে আক্রান্ত বলে থাকি। শরীরের
তাপমাত্রা মাপার জন্যে যে থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়। সেটা ক্লিনিক্যাল
থার্মোমিটার। ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটারও অনেক ধরনের হয়। এর মধ্যে পারদ
থার্মোমিটার হচ্ছে সবচেয়ে পুরোনো এবং জনপ্রিয়।
এই থার্মোমিটার সহজেই পাওয়া যায়। এবংএটি দামেও সস্তা বলে জানি। এছাড়া
বর্তমানে ডিজিটাল থার্মোমিটারও বেশ জনপ্রিয় কারণ এগুলো দিয়ে সহজেই শরীরের
তাপমাত্রা নির্ণয় বা পরিমাপ করা যায়। আমরা অনেকেই থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর
মাপার সঠিক নিয়ম জানি না। এতে করে সময়মতো জ্বর নির্ণয় করা সম্ভব হয় না।
তাছাড়া তাপমাত্রা নির্ণয়েও ভুল হবার সম্ভবনা থাকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো
কীভাবে থার্মোমিটার ব্যবহার করতে হয়। এবং সঠিক তাপমাত্রা মাপার জন্য কী কী
নিয়মনীতি মানতে হবে।
কীভাবে একটি অ্যানালগ থার্মোমিটার ব্যবহার করবেন?
আমরা অ্যানালগ থার্মোমিটার বলতে সাধারণত পারদ থার্মোমিটারকে বোঝানো হয়। এই
থার্মোমিটারের ভেতর রূপালি রঙের সাদা পারদ তরল থাকে। পারদ হলো প্রাকৃতিকভাবে
প্রাপ্ত ৯২টি উপাদানের মধ্যে একটি যা ঘরের তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে। এবং
তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এর আয়তন বৃদ্ধি পায়। আমরা বাজার থেকে যে থার্মোমিটার ক্রয়
করে।
সেগুলোতে ৯৪-১০৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট দাগ কাটা থাকে। ফলে পারদের প্রসারণ বিবেচনা
করে আমরা জ্বর নির্ণয় বা পরিমাপ করতে পারি। এখানে কিছু নির্দেশিকা রয়েছে। যা
দেখে সঠিক উপায়ে অ্যানালগ থার্মোমিটার ব্যবহার করতে পারবেন।
মুখের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে তাপমাত্রা নির্ণয়ঃ
আমরা জানি সাধারণতঃ পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের মুখের ভেতরে থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর
মাপা হয়। ডাক্তাররা সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এভাবে
তাপমাত্রা মাপার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেন। অনেক সময় কাচের থার্মোমিটারে শিশু
না বুঝে কামড় দিলে ভেঙে যেতে পারে এবং এর থেকে শিশু আহতও হতে পারে।
সম্ভব হলে সাবান ঠান্ডা পানি দিয়ে থার্মোমিটার ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন।.৩৬
ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৬.৮ ফারেনহাইট)- এর নিচে তাপমাত্রা না নামা পর্যন্ত
থার্মোমিটারটি ঝাঁকাতে থাকুন। জিহ্বার নিচে
- থার্মোমিটারের টিপটি মুখে্র ভিতরে যত্ন সহকারে রাখুন।
- মুখ বন্ধ করে ২ থেকে ৩ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- থার্মোমিটারটি সরিয়ে ফেলে তাপমাত্রা দেখুন।
- থার্মোমিটারটি ব্যবহার শেষ হলে পরিষ্কার করে রাখুন।
পায়ুপথ প্রবেশ করিয়ে জ্বরের তাপমাত্রাঃ
পায়ুপথে ব্যবহৃত গ্লাস থার্মোমিটারের বাল্বটি মুখে ব্যবহৃত থার্মোমিটারের চেয়ে
বড় হতে হবে। সাধারণত এই পদ্ধতিতে পাঁচ বছরের ছোট বাচ্চাদের এবং মুখে
থার্মোমিটার ব্যবহারে অক্ষম ব্যক্তিদের জ্বর মাপা হয়। এই পদ্ধতিতে সবচেয়ে সঠিক
তাপমাত্রার মাপ পাওয়া যায়।
ঠান্ডা সাবান পানি দিয়ে থার্মোমিটার ধুয়ে নিন। এর পর থার্মোমিটারের ভেতরের
তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৬.৮ ফারেনহাইট)- এর নিচে না আসা পর্যন্ত
ভালোভাবে ঝাঁকাতে থাকুন। থার্মোমিটারের টিপ-এ (মুখে) পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান
(যেমন ভ্যাসলিন)। আপনার শিশুকে তার হাঁটু বাঁকিয়ে পিঠের উপর রাখুন।
থার্মোমিটারটি পায়ুপথে প্রায় ২.৫ সেমি (১ ইঞ্চি) ভেতরে প্রবেশ করিয়ে আপনার
আঙ্গুল দিয়ে ভালোভাবে থার্মোমিটার ধরে রাখুন। ২মিনিট এভাবে থার্মোমিটার
পায়ুপথে রাখার পর বের করে নিয়ে তাপমাত্রা দেখুন। থার্মোমিটারটি ব্যবহার শেষ
হলে পরিষ্কার করে রাখুন।
বগল অথবা বাহুর ভেতরে দিয়ে জ্বর নির্ণয়ঃ
এই পদ্ধতিটি সাধারণত নবজাতক এবং ছোট শিশুদের জ্বর মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে
সাধারণত আমরা এই পদ্ধতিতেই জ্বর মেপে থাকি, কারণ অনেকেই মনে করেন, অন্য দুই
পদ্ধতিতে একজন থেকে অন্যজনের ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। যদিও
থার্মোমিটার সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত না করলে সব পদ্ধতিতে সমান ঝুঁকি থাকে।
শরীরের তাপমাত্রা নিতে একটি রেকটাল বা ওরাল থার্মোমিটার ব্যবহার করুন। ঠান্ডা
সাবান পানি দিয়ে থার্মোমিটার ধুয়ে নিন। ভেতরের পারদ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
(৯৬.৮ ফারেনহাইট) এর নিচে না আসা পর্যন্ত থার্মোমিটারটি ঝাঁকাতে থাকুন। বগলের
মাঝখানে থার্মোমিটারের টিপ রাখুন। আপনার সন্তানের হাত তার শরীরের সাথে শক্তভাবে
আটকে আছে কিনা দেখে নিন।
২ থেকে ৩ মিনিট পর থার্মোমিটারটি সরিয়ে তাপমাত্রা দেখুন। থার্মোমিটারটি
ব্যবহার শেষে পরিষ্কার করে রাখুন৷ সঠিকভাবে আপনার সন্তানের তাপমাত্রা পরিমাপ
করতে নিশ্চিত হোন সবকিছু সঠিকভাবে করা হয়েছে কি না।
কীভাবে একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করবেন। তাপমাত্রা পরিমাপের সবচেয়ে
সঠিক এবং সময়-দক্ষ পরিমাপক যন্ত্র ডিজিটাল থার্মোমিটার । যেকোনো ঔষধের দোকান
এবং ফার্মেসিতে এই থার্মোমিটার পাওয়া যায়। ঠাণ্ডা জ্বর, টাইফয়েড জ্বর বা
ডেঙ্গু জ্বর মাপতে ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করা সহজ।
আর থার্মোমিটার এটা ব্যবহার করার আগে প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশাবলী পড়ে নিন।
ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন।
ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাথা পরিষ্কার করতে ঠান্ডা পানি এবং একটি ক্লিনিং সলিউশন
ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। এরপর থার্মোমিটারটি চালু করুন। যদি আপনি
এটি মুখে ব্যবহার করেন তাহলে মুখের ভিতরে জিহ্বার নীচে থার্মোমিটারের টিপ বা
ডগাটি রাখুন। ঠোঁট বন্ধ করে রাখুন এবং বীপ বা ফ্ল্যাশ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা
করুন।
এরপর তাপমাত্রা দেখার জন্য ডিসপ্লে পরীক্ষা করুন। কীভাবে একজন শিশুর তাপমাত্রা
নিতে হবে। প্রতিটি শিশুর দেহের তাপমাত্রার দ্রুত এবং নির্ভুল পরিমাপ পেতে
ডিজিটাল থার্মোমিটারই ব্যবহার করা উচিত। এই থার্মোমিটার যেকোনো ফার্মেসি,
সুপারমার্কেট এবং অনলাইনেও পাওয়া যায়। সন্তানের তাপমাত্রা নিতে আপনাকে নিম্ন
উল্লেখিত জিনিসগুলো করতে হবে।
পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের বগলে থার্মোমিটার ব্যবহার করতে পারেন।
নির্দেশিকায় উল্লিখিত সময়ের জন্য আস্তে করে। শিশুর হাত ধরে রাখুন। খেয়াল রাখবেন
যেন হাত নাড়াচাড়া না করে। আর নড়াচড়া করলে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে।
থার্মোমিটারে বিপ শব্দ হলে ডিসপ্লেতে তাপমাত্রা দেখা যাবে। তবে এ সকল তথ্য
ডাক্তারের চিকিৎসা বা পরামর্শের বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি। ডাক্তার আপনার রোগ
এবং পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ভিন্ন চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন। যদি আপনার
শিশুর পায়ুপথ বা কপালের তাপমাত্রা ১০০.৪ ফারেনহাইট (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা এর
বেশি হয়।
তবে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আপনি নিজের ঘরে বসেই এখন যেকোনো সময়
ডকটাইমে এই পরামর্শ নিতে পারেন। আপনারা কি জানেন কোন তাপমাত্রাকে জ্বর বলে মনে
করা হয়।
একজন মানুষের স্বাভাবিক শরীরের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস
(৯৮.৬ ফারেনহাইট।
শরীরের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি হলে সেটাকে জ্বর বলে ধরা হয়।
একেকজনের ক্ষেত্রে মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা একেক রকম হতে পারে এবং
দিনের বিভিন্ন সময়ে তা বদলাতে পারে।
আপনি কী ধরনের থার্মোমিটার ব্যবহার করবেন?
তাপমাত্রা পরিমাপের সবচেয়ে সঠিক এবং সময়-দক্ষ পরিমাপক যন্ত্র ডিজিটাল
থার্মোমিটার । অ্যানালগ থার্মোমিটারের চেয়ে এটি বেশ কার্যকরী বলে চিকিৎসা করা
অভিমত দিয়ে থাকেন। আর আপনি প্রশ্ন করতে পারেন। যে পুরানো পারদ গ্লাস
থার্মোমিটার কি ব্যবহার করা উচিত হ্যাঁ তবে কাচের পারদ থার্মোমিটার ভেঙে যাওয়ার
আশঙ্কা থাকে যা শিশুদের জন্য বিপজ্জনক।
এছাড়া পারদ থার্মোমিটারের পরিমাপের সময়টি বেশ দীর্ঘ এবং অনেক শিশুরা এতে জ্বর
পরিমাপের সময় সহযোগিতা করে না বলে ব্যবহার কঠিন হয়ে পড়ে।
আর কখন ডাক্তারকে দেখাবেন। যখন তাপমাত্রা যদি ১০৪ ফারেনহাইট (৩৮ ডিগ্রি
সেলসিয়াস) বা এর বেশি হয়। তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন
বলে আমি মনে করি।
শেষ কথাঃ
তুমি বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আশা করি পূর্ণাঙ্গ
আর্টিকেলটি পড়বেন। এবং বুঝে ব্যবহার করবেন। এবং আমি আরো আশা করব যে অবশ্যই
এখান থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। এই প্রত্যাশা রেখে আজকের আর্টিকেল এখানে শেষ
করছি।