মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করার সুবিধা বিস্তারিত জেনে নিন
ইলেকট্রিক পণ্যের বিবরণপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি নিত্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস এর মধ্যে অন্যতম ইলেকট্রিক ডিভাইস সেটি হচ্ছে। মাইক্রোওভেন আর এই আর্টিকেলের মধ্যে মাইক্রোওভেন সম্পর্কে কিছু ধারনা দেওয়া হবে। যা আপনাদের ব্যবহার ক্ষেত্রে অনেক উপকারে আসবে।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা সংক্ষেপে মাইক্রোওয়েভ। (ইংরেজি: Microwave Oven) কখনো কখনো শুধু ওভেন রান্নাবান্নার কাজে সহায়তাকারী একটি বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্র। এই যন্ত্রে মাইক্রোওয়েভ বা অতি ক্ষুদ্র কম্পাঙ্কের তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে খাদ্যবস্তু কে উত্তপ্ত করা হয়।
ভূমিকাঃ
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। চলে আসলাম আজকে নতুন একটি টপিক নিয়ে আর্টিকেলটি হচ্ছে মাইক্রোওয়েভ ওভেন।
নিয়ে কিছু ধারণা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য যেখানে আপনারা পাবেন। মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহারের ব্যবহার করার সুবিধা দাম ওয়ার্ড ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর বিলম্ব না করে আমরা মূল টপিকে ফিরে যাই।
আমরা জানি অফিসের কাজ শেষ অথবা দিন হাজিরা কাজের শেষে করে বাসায় ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হয়ে যায়। আর বাসায় ফিরে ঠান্ডা খাবার খাওয়ার চিন্তা যখন মাথায় আসে তখন খুব অস্বস্তি কর মনে হয়। আর এই দুশ্চিন্তার অবসান নিরসন করে যদি বাসায় মাইক্রোওয়েভ ওভেন থাকে। শুধুই কি খাবার গরম! নানা রকম মজাদার খাবার তৈরিতেও ওভেনের জুড়ি নেই।
জীবনকে আরও সহজ করতে বাসায় থাকার মাইক্রোওয়েভ ওভেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ সম্পর্কে বাটারফ্লাইয়ের সেলস ডিরেক্টর মকবুল্লে হুদা চৌধুরী বলেন। মানব জীবনে ঘড়ির কাটার সঙ্গে দৌড়াতে হয় প্রতিনিয়ত। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারেন না অনেকেই। ঘরের কাজ ও জীবন সহজ করে। এমন গৃহস্থালি সহায়ক পণ্যের কথা বলতে গেলে ওভেন আসে প্রথমেই।
রকমারি ওভেন
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওভেন পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মাইক্রোওয়েভ ওভেন। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের মূল ম্যাজিকটা হলো আপনি যখন প্লেটে করে খাবার গরম করতে দেবেন। তখন প্লেট বা পাত্র গরম না হয়ে শুধু খাবারটাই গরম হবে। এ ছাড়া বাজারে ইলেকট্রিক ওভেন ও গ্যাস ওভেন পাওয়া যায়।
রান্নাঘরে অনেকদিন ধরেই মাইক্রোওয়েভ ওভেন আমাদের অন্যতম সঙ্গী হয়ে উঠেছে। আগের বেলার খাবারটা একটু গরম করে নেওয়া ঘরেই পিজ্জা-পাস্তা বানানোসহ আরও নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হেঁশেল গমগম করে বাহারি সুবাসে। কিন্তু অতি উৎসাহী হয়ে সবকিছুই ওভেনে দিয়ে দেওয়া যাবে না। বিশেষ কিছু জিনিস তো একেবারেই না।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন প্লাস্টিকের পাত্র
হাজারো ব্যস্ততার মাঝে আমাদের তাড়াহুড়োর জীবনে পরিবেশের ভালো-মন্দ খুব একটা পাত্তা না দিয়ে যে পাত্র বোধহয় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি তা হচ্ছে প্লাস্টিক। ঘরে বাইরে প্লাস্টিকের বাটি, কাপ, গ্লাস, প্লেট, টিফিন বাক্স বহু ধরনের তৈজসই ব্যবহৃত হয়। তবে কোনোভাবেই প্লাস্টিকের পাত্রে থাকা খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করতে দেওয়া যাবে না।
আরো জানতে ক্লিক করুনঃ স্ট্যাবিলাইজার সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিন।
প্লাস্টিকের পাত্র থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মাইক্রোওয়েভে উত্তপ্ত হয়ে খাবারে ছড়িয়ে যেতে পারে। প্লাস্টিক গলে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। স্বাস্থ্যঝুকি হোক বা রান্নাঘরের বাড়তি ঝুকি প্লাস্টিক মোটেও সহায়ক নয়। তাই খাবার প্লাস্টিকের পাত্রে সংরক্ষণ করা হলেও ওভেনে গরম করে নেওয়ার জন্য কাঁচের বা সিরামিকের পাত্রে নেওয়া ভালো হবে।
প্লাস্টিকের মতো এসব পাত্রে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে না। যা মাইক্রোওয়েভ এর ভিতরে রাখলে শরীরের ক্ষতি করো সমস্যা গুলো সঞ্চিত হতে পারে সেদিকে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রাখব ইনশাল্লাহ।
আঙ্গুরজাতীয় ফল
গল্পে পড়া সেই শেয়ালের মতোই মাইক্রোওয়েভের কাছেও আঙ্গুর ফল ভীষণ টক কারণ এই ছোট ছোট ফলগুলোই রান্নাঘরে বাঁধিয়ে দিতে পারে এক তুলকালাম কাণ্ড। অর্ধেক করে কেটে রাখা আঙ্গুরজাতীয় যেকোনো ফলই যদি ওভেনে দেওয়া হয়। তাহলে একটা সময় এর মধ্যকার পানি আর লবণ উপাদান মিলিত হয়ে এক ধরনের প্লাজমা তৈরি করে।
এই প্লাজমা আবার বেশ ভালোরকম বিদ্যুৎ পরিবাহী, তাই এ থেকে ইস্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি এবং আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাহলে সেই ব্যাপারে আমাদেরকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। না হলে এরকম আগুন লাগার মত মারাত্মক দুর্ঘটনার ঘটার আশঙ্কা হতে পারে।
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল
এটি ভুল ধারণা যে টেক-অ্যাওয়ে খাবার-দাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে থাকা অবস্থাতেই ওভেনে দিয়ে গরম করে ফেলা যায়।মাইক্রোওয়েভ যখন ধাতব পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তখন স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয় এবং তা থেকে আগুন লাগার আশঙ্কা আছে। এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণ হচ্ছে, ধাতব পদার্থে মাইক্রোওয়েভ প্রতিফলিত হয়।
এবং এতে করে তীব্র বিদ্যুৎ প্রবাহ উৎপন্ন হয়। এইক্ষেত্রে উৎপন্ন বিদ্যুৎ প্রবাহ অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাবে, যা থেকে এক পর্যায়ে আগুন লেগে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।
খুব কম সময়ের জন্য ক্ষুদ্র পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম চাইলে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে দেওয়া যেতে পারে। তবে সাবধানের মার নেই। তাই এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেকোনো টেক-অ্যাওয়ে খাবার থেকে আবরণটা ছাড়িয়ে নিয়ে তবেই ওভেনে দেওয়া ভালো।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন ধাতব পাত্র
আমাদের রান্নাঘরে ধাতব পাত্রের উপস্থিতি বেশ চোখে পড়ার মতো। কিন্তু কোনোভাবেই এসব পাত্রকে সরাসরি মাইক্রোওয়েভের ভেতর দেওয়া যাবে না। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের মতোই এসব পাত্র মাইক্রোওয়েভের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখায়, এক্ষেত্রে প্রভাবটা বরং আরও তীব্র ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
আগুন লাগার আশঙ্কার পাশাপাশি ওভেনে থেকে এসব পাত্র অতিরিক্ত উত্তপ্ত হবার কারণে হাত পুড়ে যাবার মতো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। যদি ধাতব পাত্র ব্যবহারের কারণে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। তবে মাইক্রোওয়েভ বন্ধ করে দিতে হবে। এবং ভারি দস্তানার সাহায্যে খুব সাবধানে পাত্র বের করে আনতে হবে।
স্টাইরোফোম
আজকাল অনেক রেস্তোরাঁ, ক্যাটারিং সার্ভিস বা ঘরোয়া পরিসরের অনুষ্ঠানেও স্টাইরোফোমের পাত্র বেশ জনপ্রিয়। এটিও এক ধরনের প্লাস্টিক তবে আমাদের পরিচিত প্লাস্টিক থেকে একটু আলাদা। বিরিয়ানি, কাচ্চি, খিচুড়ি ইত্যাদি খাবার ঠিকঠাক পরিমাণে ও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে পরিবেশন বা বহন করতে অনেকেই স্টাইরোফোমের পাত্র বেছে নেন।
কিন্তু ব্যবহারের দিক দিয়ে অত্যন্ত সুবিধাজনক হলেও ওভেনের জন্য একেবারেই সুবিধার নয়। এই পাত্রটি ওভেনে গরম করতে দিলে স্টাইরোফোম খুব সহজে গলে যায়। এবং রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি খাবারে মিশে যায়। যা থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো মুশকিল।
এ ছাড়া অতিরিক্ত পুড়ে গিয়ে স্টাইরোফোমের বিভিন্ন অংশ লেগে গিয়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এসব সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি এড়াতে একটু কষ্ট করে নিরাপদ পাত্রে খাবার সরিয়ে নেওয়াই জ্ঞানী ব্যক্তিত্বের কাজ হবে।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ব্যবহার
রান্নার কাজটি সহজ করার জন্য যেসব ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে মাইক্রোওয়েভ ওভেন অন্যতম। দ্রুত খাবার গরম করার পাশাপাশি কিছু মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার রান্না করারও অপশন রয়েছে। কেক, ডেজার্ট, চিকেন তন্দুরিসহ মজাদার নানা উপকরণ মাইক্রোওয়েভ ওভেনে সহজেই রান্না করা যায়।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে এখন অনেক অপশন আছে, যা জীবনকে করে আরও সহজ। একটি ওভেন কেনার আগে কিছু অপশন বিবেচনা করতে পারেন। যেমন অটোমেটিক ডিফ্রস্ট প্রিহিট বা বিশেষ প্রিপ্রোগ্রাম ‘অটো কুক’ ইত্যাদি। ব্যস্ত জীবনে অটো কুক খুবই ভালো একটি অপশন, অটো কুক মেনু থেকে কেবল একটি ডিশ নির্বাচন করুন।
এবং স্টার্ট চাপুন, এতেই হয়ে যাবে রান্না। কিছু মাইক্রোওয়েভ ওভেনে চাইল্ড লক অপশনও রয়েছে। যেটি টেনশনমুক্ত রান্না ও সুরক্ষার জন্য সেট করতে পারেন। দুশ্চিন্তা টেনশন দূর করুন।
যেভাবে পরিষ্কার করবেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের দাগ দূর করতে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য বেকিং সোডায় পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ওভেনের দাগের ওপর লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট পর স্পঞ্জ দিয়ে দাগ ঘষে ওভেনের দাগ তুলে নিতে পারেন। মাইক্রোওয়েভ ওভেন পরিষ্কার করতে লেবুর রস বা সাদা ভিনেগারও ব্যবহার করতে পারেন। ওভেন পরিষ্কার করতে একটি কাপড়।
বা কাগজও ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কাগজ বা কাপড় রোল করে মাইক্রোওয়েভে রেখে এক থেকে দুই মিনিটের জন্য মাইক্রোওয়েভ চালু করুন। এরপর একই কাগজ বা কাপড় দিয়ে ওভেন মুছে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। মাইক্রোওয়েভ ওভেন পরিষ্কারের সময় প্লাগ খুলে ফেলতে ভুলবেন না। অনেকেই তাড়াহুড়ো করে প্লাগটি সরাতে ভুলে যান।
এতে বিদ্যুৎ শখ খাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে মাইক্রোওয়েভ ওভেন পরিষ্কার এর আগেই প্লাক খুলে রাখা হয়। তাহলে বিদ্যুৎ শখ খাওয়া আশঙ্কা আর থাকবে না।
ওভেনের যত্ন
মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করার জন্য ওভেন প্রুফ বাটি ব্যবহার করতে হবে। ওভেনের পেছনের দিকে যেন কোনো ময়লা না জমে বা পোকামাকড় না ঢোকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওভেন পরিষ্কার করার আগে প্লাগটি বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে খুলে নিন। গরম থাকা অবস্থায় ওভেনের দরজাটি বন্ধ না করাই ভালো।
ওভেনে খাবার গরম করার সময় এবং রান্না করার সময় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। তাহলে খাবারটা ভালো থাকে সেই ব্যাপারে অবশ্যই লক্ষ্য রাখা জরুরী। আমরা যখন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার রাখব এবং খাবারটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো।
বাংলাদেশের সেরা মাইক্রোওয়েভ ওভেন এর মূল্য তালিকা ২০২৪
- Whirlpool Magicook Pro 20SE 20L Solo Microwave-৳ ১২,৫০০
- Whirlpool Magicook Pro 25GE Microwave Grill Oven 25L -৳ ১৬,০০০
- Panasonic NN-SM33HM 25L 4 Cooking Mode Microwave Oven- ৳ ১১,০০০
- 2-In-1 Copper Oven Air Fryer-৳ ১,১৯৯
আইটেম সকল মাইক্রোওয়েভ ওভেন
- ব্রান্ড
- শার্প
- ভিশন
- স্যামসাং
- ওয়ারপুল
- প্যানাসনিক
- অন্যান্য
মূল্য পরিসীমা
৳ ১-১০০০০
৳ ১০০০১-২০০০০
৳ ২০০০১-৩০০০০
৳ ৩০০০১-৪০০০০
ওভেন টাইপ
- গ্রিল ওভেন
- মাইক্রোওয়েভ
- কনভেকশন ওভেন
- ওভেন ক্যাপাসিটি
- ১-২০ লিটার
- ২১-৩০ লিটার
- ৩১-৪০ লিটার
- ৪১-৫০ লিটার
- ৫১ লিটার+
মাইক্রোওয়েভ আউটপুট পাওয়ার
- ৭০০ ওয়াট
- ৮০০ ওয়াট
- ৯০০ ওয়াট
- ১১০০ ওয়াট
- ১২০০ ওয়াট
- ১৩০০ ওয়াট
ওভেন ও মাইক্রোওয়েভ এর পার্থক্য কি?
একটি মাইক্রোওয়েভ খাদ্য গরম করার জন্য ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ ব্যবহার করে যেখানে একটি ওভেন একটি বৈদ্যুতিক গরম করার উপাদান এবং একটি পাখার সমন্বয় ব্যবহার করে বগিতে তাপ সঞ্চালন করতে, সমানভাবে খাবার রান্না করতে। অতএব, দুটি যন্ত্রপাতি খুব ভিন্ন কাজের জন্য তৈরি করা হয়।
ওভেন কত প্রকার?
- ফ্রিস্ট্যান্ডিং বা স্লাইড-ইন রেঞ্জ, ওয়াল ওভেন,
- কম্বিনেশন ওয়াল ওভেন, কাউন্টারটপ ওভেন
এবং বাণিজ্যিক-স্টাইল রেঞ্জ সহ আপনার রান্নাঘরের জন্য বিভিন্ন ধরণের ওভেন উপলব্ধ রয়েছে। প্রতিটি প্রকার আপনার স্থান এবং আপনার রান্নার শৈলীর সাথে মেলে বিভিন্ন ক্ষমতা, বৈশিষ্ট্য এবং ইনস্টলেশন অফার করে।
কোন ধরনের ওভেন ভালো?
চুলার ধরন নির্ধারণ করুন: পরিচলন ওভেনগুলি বহুমুখী এবং বেকিং এবং গ্রিলিংয়ের জন্য উপযুক্ত, যখন গ্রিল ওভেনগুলি মাংস এবং শাকসবজি গ্রিল করার জন্য আদর্শ । সোলো ওভেনগুলি সাধারণ গরম এবং ডিফ্রস্টিংয়ের জন্য সেরা মৌলিক মডেল।
পেশাদার বেকাররা কি ধরনের ওভেন ব্যবহার করে?
কনভেকশন ওভেন হল বাণিজ্যিক বেকারি সরঞ্জামগুলির অন্যতম সাধারণ অংশ। তারা রুটি রুটি থেকে কুকিজ থেকে কেক, পাই এবং ব্রাউনিজ থেকে বিভিন্ন পণ্য দ্রুত এবং সমানভাবে বেক করার একটি দুর্দান্ত কাজ করে। বায়ু সঞ্চালনের জন্য তাদের অভ্যন্তরীণ পাখার ব্যবহার এমনকি বাদামী এবং পুনরাবৃত্তিযোগ্য ফলাফল তৈরি করে
কনভেকশন ওভেনে রোস্ট রান্না করতে কত সময় লাগে?
একটি 375° নিয়মিত বা 350° পরিচলন চুলায় ভাজুন যতক্ষণ না ঘন অংশের কেন্দ্রে একটি মাংসের থার্মোমিটার ঢোকানো 120° থেকে 125°, 1 1/2 থেকে 2 ঘন্টা না পৌঁছায়। চুলা থেকে সরান এবং অন্তত 20 মিনিট একটি উষ্ণ জায়গায় দাঁড়ানো যাক।
ওভেন ফ্যান কখন চালু হয়
থার্মোস্ট্যাট রান্নার চক্রের সময় ওভেনের উপাদানটিকে চালু এবং বন্ধ করবে কারণ তাপমাত্রা গরম বা খুব ঠান্ডা হয়ে যায়। থার্মোস্ট্যাট নব বন্ধ ছাড়া অন্য কিছুতে সেট করার সময় ফ্যান সবসময় চালু থাকা উচিত। একটি চুলায় সাধারণত দুটি পাখা থাকে; পাখা যা রান্নায় সাহায্য করার জন্য গরম বাতাস বিতরণ করে এবং একটি শীতল পাখা।
মাইক্রোওয়েভের প্রকারভেদ:
- টেরেস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ
- স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ
টেরেস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ
এই ধরনের প্রযুক্তিতে ভূপৃষ্টেই ট্রান্সমিটার ও রিসিভার বসানো হয়। ট্রান্সমিটার ও রিসিভার দৃষ্টি রেখায় যোগাযোগ করে। কোনো বাধা না থাকলে ১ থেকে ৫০ মাইল পযর্ন্ত ডেটা চলাচল করতে পারে।
স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ
এক্ষেত্রে সিগন্যাল পাঠানোর জন্য ভূ-পৃষ্ঠে থাকে স্যাটেলাইট অ্যান্টেনা এবং মহাশুণ্যে তাকে স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইট অ্যান্টেনা বা ট্রান্সমিটারগুলো স্যাটেলাইটকে মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল প্রেরণ করে। স্যাটেলাইটে পাঠানোর পর এই সংকেত অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে পড়ে। স্যাটেলাইটে অনেকগুলো ট্রান্সপন্ডার থাকে যা ক্ষীণ সংকেতকে অ্যামপ্লিফাই করে পৃথিবীর গ্রাহক যন্ত্রে পাঠায়।
মাইক্রোওয়েভের সুবিধা:
- ব্যান্ডউইথ অনেক বেশি তাই এটি ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ তথ্য একসাথে ট্রান্সমিট করা যায়।
- পাহাড়ি ও দূরবর্তী অঞ্চলে যোগাযোগের জন্য এটি সুবিধাজনক।
- কোনো প্রকার ক্যাবল ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
লেখকের কথাঃ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আজকের আর্টিকেলটি ছিল মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করার সুবিধা সম্পর্কে আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি সম্পন্ন রূপে পুরো উপলব্ধি করেছেন। এবং সে অনুযায়ী মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করবেন।
এবং আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি আর এ প্রত্যাশা রেখেই এবং আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত আর্টিকেল এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ