দুশ্চিন্তা মানুষ দেহের কতটুকু ক্ষতি ডেকে আনে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক মানুষের জীবনের বড় ধরনের সমস্যার কারণ হচ্ছে দুশ্চিন্তা আর এই দুশ্চিন্তা মানবদেহে নানান ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেটি আমরা অনেকেই উপলব্ধি করতে পারি না। আর উপলব্ধি করতে না পারার কারণে মানবদেহে নানান ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। এবং সেই রোগ থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়।
দুশ্চিন্তা মানুষ দেহের কতটুকু ক্ষতি ডেকে আনে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
এবং অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়ে পড়ে আর সেটি পোশাকে সংসারের আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়। তাই আজকের আর্টিকেলটি দুশ্চিন্তা থেকে কিভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। সেই ব্যাপারে কিছু আলোচনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক কাজে আসবে।

ভূমিকাঃ

প্রিয় পাঠক আমাদের অজান্তেই মনের মধ্যে নানান ধরনের দুশ্চিন্তা এসে যায়। যেটা আমাদের অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে আর এটি থেকে বাঁচার কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাহলে বুঝতে পারছেন। যে আজকের আর্টিকেলটি দুশ্চিন্তা মানুষ দেহের কতটুকু ক্ষতি ডেকে আনে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।

আশা করি আপনারা মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি করলে দুশ্চিন্তা থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। তাহলে চলুন তার দেরি না করে মূল আলোচনায় আমরা চলে যাই।

দুশ্চিন্তা কি?

অতিরিক্ত বা মাত্রাতিরিক্ত চিন্তাকেই দুশ্চিন্তা বলা হয়। যেমন মনে করেন কী হওয়ার ছিল কী হলো আর হলে মনে হয়। ভালো বা খারাপ হতো সেই ভাবনায় বিভোর থাকা। এই চিন্তা-ভাবনা কিন্তু বেশিরভাগ সময়ে হয়। অতীত না হয় ভবিষ্যত কেন্দ্রিক অতিরিক্ত ভাবনাকেই দুশ্চিন্তা বলে।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী

খুব সহজ উপায় হলো কিছু ক্ষেত্রে লাগাম ছেড়ে দেওয়া। এর মানে হচ্ছে আপনাকে ভালো করতে হবে। এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা অতীব জরুরী। আপনি চেষ্টা করুন চলার পথে বিভিন্ন বিষয় শেখার। সে অনুযায়ী কাজ করুন। ভালো ও মন্দ নিয়েই আমাদের জীবন। পারিবারিক ভাবে অনেকেই সমস্যাটি পেয়ে থাকেন।

তাই নিজের সমস্যাকে চিহ্নিত করে নিন আগে। বুঝতে শিখুন, আপনার পরিবারের সদস্যটির এই আচরণ সঠিক নয়। নিজের জীবনে এই বিষয়গুলোই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সবকিছু হালকাভাবে নিতে শিখুন। কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন নিজের জন্য। অতীতের ভালো কাজগুলো করুন। যেগুলো অনেক দিন ধরে করেন নাই। এখনই আবার শুরু করুন।

অবসরে প্রিয় মানুষ, পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে ধীরে ধীরে।অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার অন্যতম একটি সমস্যা হলো। কোনো ব্যক্তির ওপর সব রাগ বা দোষারোপ করা। এতে কিন্তু দূরত্বের সৃষ্টি হবে। তাই এ ধরনের আচরণ থেকে নিজেকে করে আনুন। অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেকেই কিছুটা সময় দিন।

নিজের সমস্যা চিহ্নিত করুন। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আপনাকেই। কথায় আছে চিন্তাবিহীন কার্যক্রম নাকি বিপদ ডেকে আনে। তাই সূক্ষ্ম চিন্তার ভাবনা গুরুত্ব আমরা সবাই বুঝি। কিন্তু এই চিন্তা যদি হয়। বাড়াবাড়ি ধরনের অর্থাৎ প্রয়োজন ছাড়াই চিন্তা তাহলে এই অতিরিক্ত চিন্তায় অনেকে মানসিক সমস্যায় পড়েন।

বেশি চিন্তা মন আর শরীরের মধ্যে তৈরি করে ভারসাম্যহীনতা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অহেতুক দুশ্চিন্তা অনেকটা চক্রের মতো। যত দূর করতে চাইবেন। তত আপনাকে চেপে ধরবে। কথায় আছে না অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা মস্তিষ্ক যত অলস হয়ে বসে থাকে তত মাথায় জমা হয়। অহেতুক চিন্তা হচ্ছে হাজারো দুশ্চিন্তা কারণ।

অহেতুক দুশ্চিন্তায় কী হয়

অহেতুক দুশ্চিন্তার সূচনা হতে পারে যেকোনো জায়গা থেকেই। আর তার প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবনে। কাজের পরিমাণ কমে যায়। অহেতুক দুশ্চিন্তা সবার আগে প্রভাব ফেলে তার দৈনন্দিন কাজের ওপরে। প্রথমে ফাঁকা সময়ে দুশ্চিন্তার উদ্রেক হলেও আস্তে আস্তে ব্যস্ত সময়েও প্রভাব ফেলা শুরু করে।
অহেতুক দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে ঘুমের আর ঘুম কমে যাওয়া অহেতুক দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বেড়ে যাওয়ার কারণে। ঘুমানোর জন্য প্রয়োজন হয়। একটি শান্ত মন মানসিকতা। আর সে সময়ে যদি দুশ্চিন্তা হানা দেয়। তবে কি আর ঘুম আসে রাতের ঘুমে বড় প্রভাব ফেলে অহেতুক দুশ্চিন্তা। তাহলে দুশ্চিন্তা থেকে বেঁচে থাকা অতীব জরুরি।

অলসতা: দুশ্চিন্তা একবার শুরু হলে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে যায়। আর সে চিন্তা শেষ না করে কোনো কাজে মন দেওয়াও সম্ভব হয় না। ফলে হয়তো ভেবে রেখেছেন এক ঘণ্টা পর কোনো কাজে বসবেন অহেতুক দুশ্চিন্তা সে কাজকে পিছিয়ে দেবে আরও কয়েক গুণ।

আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন: অনেক সময়ই অহেতুক দুশ্চিন্তা মানসিক চাপের সৃষ্টি করে। যা থেকে খিটখিটে মেজাজ কিংবা রেগে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। তখন সে রাগ গিয়ে পড়তে পারে নিরীহ কারও ওপর। সে কারণে এ সময়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। নইলে সামান্য রাগ হতে পারে আপনার অন্য কোনো সময়ের দুশ্চিন্তার কারণ।

কথা বলুন: বেশির ভাগ সময় মনে জমিয়ে থাকা কথাই সৃষ্টি করে দুশ্চিন্তার। তাই যখনই মনে হবে মনের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধছে তখনই নিজের প্রিয় বন্ধু কিংবা কাছের মানুষ কাউকে সব খুলে বলুন। দেখবেন নিজেকে যথেষ্ট দুশ্চিন্তা মুক্ত মনে হবে। কথা বললে ভালো কথা গোলই বলা উচিত বলে আমি মনে করি।

অতীতকে অতীতের জায়গায় থাকতে দিন: যখনই মনে হবে অহেতুক চিন্তা নিজের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে ভাবুন যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে। অতীতকে চাইলেও পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ফলে ওসব নিয়ে ভেবেও লাভ নেই। অতীতকে অতীতের জায়গায় থাকতে দিলেই বরং সবার জন্য ভালো। এই চিন্তা নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করুন। তবেই এই দুশ্চিন্তা থেকে বের হওয়া যাবে।

মনে রাখবেন। দুশ্চিন্তা মানুষের স্বাভাবিক চিন্তাধারারই বহিঃপ্রকাশ। দুশ্চিন্তা করাও দোষের কিছু নয়। কিন্তু এই দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব আপনারই। খেয়াল রাখবেন দুশ্চিন্তাকে যেন আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। আর দুশ্চিন্তা যেন আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ না করে।

বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তা আপনার জীবনে কতটুকু ক্ষতি করতে পারে। একজন নারীর বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তা হচ্ছে কপালে হালকা ভাঁজ কখনো বা গালে হাত কিংবা উদাস মনে একদিকে তাকিয়ে থাকা একরকম মূহুর্ত আমাদের প্রত্যেকের জীবনে খুব কমন তাই না কেমন যেন চিন্তার জগতে প্রবেশ করে হারিয়ে যাই।

এই সাধারণ চিন্তা ভাবনা থেকে মানুষ কখন যে বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তার অতলে ডুবে যায়। সেটা সে টেরই পায় না। আর সূত্রপাত ঘটে বিভিন্ন মানসিক সমস্যার। অবাক হলেন নাকি অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমরা সাধারণ মানুষ শারীরিক সুস্থতাকে যতটা গুরুত্ব দেই ততটাই অগ্রাহ্য করি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার বিষয়টি।

বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তা আপনার জীবনে কতটুকু ক্ষতি করতে পারে সেটা জানেন কি? এর থেকে বাঁচার উপায় কী সেটাও কিন্তু আমাদের জেনে নিতে হবে। বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তা কেন নীরব ঘাতক বিষন্নতা বা উদাসীনতা আর দুশ্চিন্তা দুইটি শব্দ সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছোট্ট একটু উদাহরণ দেই যখন আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করে যাই।

স্বাভাবিকভাবেই বলে বসি Bored হয়ে গেলাম তাই না যখন কাজে মন বসে না তারপরও কাজটি চালিয়ে যেতে হয় আমরা হয়ে যাই বিষন্ন। এখন এই কাজটি যদি প্রতিদিনই ঘটে আপনার সাথে তখন মনের যে স্বাভাবিক অবস্থা সেটাতে কিন্তু বিঘ্ন ঘটবে। যেকোনো কাজ করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। সেই সাথে শরীরের উপরও পড়বে বিরুপ প্রতিক্রিয়া।

কখনো কখনো এটি আপনাকে ডিপ্রেশনের দিকেও নিয়ে যেতে পারে। কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় টেনশন করা হচ্ছে দুশ্চিন্তা। গবেষণায় দেখা দিয়েছে এই ধরনের মেন্টাল কন্ডিশন আপনার লাইফ বা আইয়ু কাল কমিয়ে দেয়। বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরেছে যেসব কারণে সচরাচর আমরা বিষন্নতায় ভুগি সেগুলো নিম্নে বর্ণিত হল।
  • দীর্ঘদিন ধরে একই ধরণের কাজ করা কাজে নতুনত্ব না থাকা
  • দিনের পর দিন অলসভাবে সময় কাটানো
  • পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা
  • ফিউচার প্ল্যান না থাকা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম না নেওয়া এবং পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া
  • সময়কে ঠিকমত কাজে না লাগানো ইত্যাদি।
সবকিছুতেই কনফিউসড থাকা আপনার জীবনে এটা কীভাবে ক্ষতি করছে মাঝে মধ্যে কোনো কারণে বিষন্নভাব আসাটা স্বাভাবিক কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় এবং দীর্ঘদিনের বিষন্নতা মানবদেহে ট্রিগার পয়েন্ট হিসাবে কাজ করে এবং বিভিন্ন সমস্যার সূত্রপাত হয়। সেগুলো নিম্নে লিপিবদ্ধ করা হলোঃ

অতিরিক্ত বিষণ্ণতা মানুষকে বিপথেও নিয়ে যেতে পারে। যেমন সিগারেট ও অ্যালকোহলে আসক্তি। এই কাজটি উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের মাঝে বেশি লক্ষ্য করা যায়। এতে করে একজন সুস্থ সবল মানুষও শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পরে। তখন দেখা যায়। যে নিজের প্রতি আর কন্ট্রোল থাকছে না। একটুতেই ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছেন অথবা হুট করেই রেগে যাচ্ছে।

‘Substance Abuse’ শব্দটি কি নতুন শুনলেন এটি একটি মেডিকেল টার্ম, যেটা বিভিন্ন ড্রাগ বা যেগুলো শরীরের ক্ষতিসাধন করে সেগুলোর প্রতি আসক্ত হওয়াকে বুঝায়। Boredom এবং Substance Abuse এই দুইটি বিষয় বিভিন্নভাবে সম্পর্কিত। মানুষ আনন্দ পেতে বা এক্সপেরিয়েন্সের জন্য প্রথমবারের মত অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ড্রাগ বা নিষিদ্ধ জিনিস ট্রাই করে।

তাদের মধ্যে এই abuse এর প্রবণতা দেখা যায়। পরে মানুষ যখন উদাসীনতায় ভোগে তখন তার মধ্যে ঐ জিনিসের প্রতি নির্ভরতা বা আসক্তি কাজ করে। এভাবেই একজন ব্যক্তি ড্রাগ অ্যাডিক্টেড হয়ে যেতে পারে।

কখনো এমনটা লক্ষ্য করেছেন। কেউ উদাসীনভাবে খেয়েই যাচ্ছে। সে নিজেও জানে না কখন সে প্রয়োজনের অধিক খেয়ে ফেলছে একটি ডিসঅর্ডার যেটাকে বলা হয়। Binge Eating Disorder অতিরিক্ত উদাসীনতায় কিছু মানুষ এমন করে। বিশ্বে প্রায় ২% মানুষের সাথে এমনটি ঘটে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আর বিষন্নতা মানুষকে এই ডিসঅর্ডার এর দিকে অগ্রসর করে।

কীভাবে বিষন্নতাকে দূরভিত করবেনঃ

সকালে উঠেই চেষ্টা করবেন বাইরে মুক্ত আলো বাতাসে হাটাহাটি করার। এতে সারাদিন ফ্রেশ ফিল করবেন। দেখবেন বিষন্নতা আপনাকে তেমন কাবু করতে পারবে না। এর পাশাপাশি মেডিটেশন বা ইয়োগা করতে পারেন। স্ট্রেস রিলিফের জন্য ইয়োগা বেশ কার্যকরী। বিষন্নতা কমাতে ইয়োগা করছেন।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কাজের রুটিনে পরিবর্তন আনা। ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় বের করুন নিজের ও পরিবারের জন্য। ছুটির দিনে পরিবার বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। নিজের কথাগুলো শেয়ার করুন অনেকটা ভালো লাগবে। আর যারা বাসায় অলসভাবে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের উচিত আগে নিজেকে স্টাডি করা কোন কাজটি পছন্দ সেটা বুঝতে চেষ্টা করুন।

গার্ডেনিং করতে পারেন টুকিটাকি ক্রাফটস এর কাজও কিন্তু মন্দ না। অথবা ট্রাই করতে পারেন নিত্যনতুন রেসিপি। সময়ের মূল্য দিতে শিখুন নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন ফিউচার প্ল্যান সেট করে সেদিকে এগিয়ে যান। আর দিনের প্রত্যেকটি ভাগকে যথাযথভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। সময়মত বিশ্রাম নিন। হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চলুন।

চিন্তা আর দুশ্চিন্তা, এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায় জীবনের বিভিন্ন সিচুয়েশনের প্রতি ভয় বা চিন্তার যে প্রতিফলন সেটা হলো Anxiety বা দুশ্চিন্তা। এটা আমাদের জীবনের একটি অংশ। চিন্তা হওয়াটা খুবই নরমাল আমাদের সবারই হয়। ছোটখাটো বিভিন্ন চিন্তা যখন বড় আকার ধারণ করে। সেটা মানসিকভাবে আপনাকে অশান্তিতে রাখে।

আর তখনই আপনি চলে যান ডিপ্রেশনে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মানুষ হাইপার টেনশন মেমোরি লস মাথা ব্যথা এমন অনেক সমস্যায় ভোগেন। কীভাবে বুঝবেন আপনি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হাতে প্রশ্নবোধক মার্কযুক্ত প্লাকার্ড হাতে একজন নারী
  • যেকোনো কিছুতে নার্ভাস ফিল করা
  • আত্মবিশ্বাসের অভাব অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া
  • কাজে মনোযোগের অভাব বেড়ে যাওয়া
  • হুটহাট ঘাবড়ে যাওয়া এবং হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, বুকে ব্যথা করা
  • শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া
  • অপর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, রাতে ঘুম না আসা
  • কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি
মানসিকভাবে অস্বস্তিতে থাকা বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তা কীভাবে ক্ষতি করছে আপনি যখন অতিরিক্ত চিন্তা করেন। তখন আপনার ব্রেইন সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পেরে বিভিন্ন ধরনের ফ্রি রেডিক্যাল আর স্ট্রেস হরমোন রিলিজ করে। অনেক সময় দেখা যায়। আপনি বাইরে থেকে স্বভাবে খুবই শান্ত কিন্তু ভেতরে ভেতরে প্রচুর চিন্তা করেন।

যেটি অত্যন্ত ক্ষতিকর আপনার শরীরের জন্যও। যত স্ট্রেস হরমোন রিলিজ হবে ততটাই আপনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন। চাকুরী চলে গেছে কিংবা ভালো চাকরি পাচ্ছেন না। শুরু করলেন চিন্তা। একদিন দুইদিন এমন করে প্রতিদিন কয়দিন পরে দেখলেন রাতে ঘুম আসছে না। এবার হলো ইনসমনিয়া।

তারপর লক্ষ্য করলেন বুকে হালকা ব্যথা, ধরা পরলো হাই প্রেশার এরপর নিজের প্রতি অবহেলা শুরু হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবন। সেখান থেকে ডায়াবেটিস আর মানসিক অশান্তি তো আছেই। উদাহরণ হলেও এখনকার সময়ে এটা অনেকেই ফেইস করছেন। দুশ্চিন্তা আপনাকে এভাবেই শেষ করে দিচ্ছে দিনের পর দিন তাহলে বুঝলেন তো

বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তা আপনার জীবনে কতটুকু ক্ষতি করতে পারে। তাহলে কী করা উচিত আমাদের আঙ্গুল দিয়ে ভালোবাসার প্রতীক দেখাচ্ছেন একজন নারী মন খুলে হাসুন নিজেকে ভালোবাসুন। সেই কাজটি করুন যেটা আপনাকে আনন্দ দেয়। বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তা সেই মানুষকে কম অ্যাটাক করে যে নিজেকে ভালোবাসে।

শেয়ারিং এটা খুবই কমন একটি টার্ম হলে অনেকেই সেটা করতে নারাজ। মন খুলে কথা বলুন নিজেরই হালকা লাগবে। কে কী বলবে এটা মূখ্য না আসল বিষয় হচ্ছে আপনার ভালো থাকা। সামাজিক জীব হিসাবে কিছু দায়বদ্ধতা তো আমাদের আছেই। নিয়মের মধ্যে থেকে নিজের জীবনে পজেটিভ চেঞ্জ আনুন।

ঘুমের রুটিনে অবহেলা করবেন না। দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমাতে চেষ্টা করুন। কেননা আপনি যখন ঘুমাবেন, ব্রেইনও রেস্ট পাবে। এতে আপনার কর্মউদ্দীপনা বাড়বে এবং মানসিক অশান্তি কিছুটা হলেও কমবে। প্রতিদিন শরীরচর্চার পাশাপাশি ধর্মীয় কাজগুলোও মেনে চলুন। এতে দুশ্চিন্তা গ্রাস করবে না। মানসিকভাবে সবল থাকবেন।

আর মানসিক অস্থিরতা থেকে যদি ডিপ্রেশনে চলে যান। তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করুন। কাউন্সেলিংয়েও অনেক সমস্যার সমাধান হয়। ছোট্ট একটি ঘরোয়া টিপস শেয়ার করছি। বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তা কমাতে ট্রাই করতে পারেন। হালকা কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। সাথে সফট মিউজিক বা আপনার পছন্দের ইসলামিক গান প্লে করতে পারেন।

এবং চোখ বন্ধ করে পুরানো ভালো স্মৃতি ও মৃত্যুর কথা মনে করুন। দেখবেন সাথে সাথেই রিলাক্স ফিল করছেন। হাতে স্মাইলি ইমোজির বালিশ নিয়ে মুখ বরাবর রেখেছেন একজন পুরুষ বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তা কমাতে কী কী করা যেতে পারে। সেগুলো আজ আমরা জানলাম। আপনি যখন মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।

তখন আপনার শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত হবে। আর প্রফুল্ল মন আপনার কাজের অগ্রগতি বাড়ায়। তবে এটা ঠিক যে বিষন্নতা আর দুশ্চিন্তাও জীবনের অংশ! জীবন তো একটাই তাহলে কেন নিজের প্রতি অবহেলা করবেন। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। তাই চিন্তা করুন পরিমিতভাবে অতিরিক্ত নয়। আজ এই পর্যন্তই, সবাই ভালো থাকবেন।

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আর্টিকেলটি ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আশা করি সম্পন্ন পড়ে উপলব্ধি করতে পারলে আপনার জীবন দশায় অনেক উপকারে আসবে তাই আশা করব আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়বেন এই প্রত্যাশা রেখে আজকের মত আর্টিকেল এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন