নিউমোনিয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচার জন্য যা করবেন।
আমরা জানি শীতের সময় তাপমাত্রার অধিকাংশ উঠানামা অনেক বেশি করে। আবার কোন কোন দিন সারাদিন বৃষ্টি থাকে। এই রকম আবহাওয়ায় সুস্থ থাকাটা অনেক কঠিন ব্যাপার। শীতে অন্য রোগের থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকির পরিমাণ অনেকটা বেশি থাকে। এই আবহাওয়ায় দেখা যায়। বাচ্চাদের নিউমোনিয়া বেশি হয়ে থাকে।
এ সময় সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব সর্তক থাকার চেষ্টা করতে হবে। নিউমোনিয়া ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এ রোগ ফুসফুসে পানি জমেও যেতে পারে। শুরুতে গুরুত্ব না। দিলে পরর্বতীতে বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। আর কয়েকটি নিয়ম কানুন মেনে চললে নিউমোনিয়া থেকে নিজেদেরকে সেভ রাখা যায়।
ভূমিকাঃ
সম্মানিত পাঠক আজকের আর্টিকেলটি নিউমোনিয়া থেকে বাঁচার বা সেভ রাখা জন্য যা করতে হবে। সেই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়লে অনেকটি বিষয় জানতে পারবেন। এবং নিজেকে নিউমোনিয়া ঝুঁকি থেকে সতর্ক হতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে মূল বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করি।
নিউমোনিয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচার জন্য করণীয়।
বার বার হাত ধোঁয়া যতটা সম্ভব চেষ্টা করতে হবে হাত পরিষ্কার রাখা। বার বার হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করুন। হাত ধুতে না পারলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। এছাড়াও, হাত না ধুয়ে কোন কিছু না খাওয়া। খেতে বসার আগে সাবান দিয়ে ভালো ভাবে হাত ধুয়ে নিন।
গরম পোশাক পরিধান করা।
যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে। তারা শীতে সবসময় গরম পোশাক পরে থাকা অবশ্যক। বিশেষ করে শিশুরা অনেক সময় শরীরে গরম কাপড় বেশি সময় ধরে পড়ে থাকতে চাই না। তাই তাদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে নিউমোনিয়া থেকে নিজেকে এবং বাচ্চাদেরকে সেভ রাখা যাবে।রাতে বাইরে বের হলেও মাথা ও কান মাফলারে মুড়িয়ে রাখতে চেষ্টা করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
বাজারে শীতকালের অনেক ধরনের শাকসবজি পাওয়া যায়। যেসবের মধ্যে ফাইবার, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ থাকে। সেই খাবার শীতকালের অন্য রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা জোগায়। এছাড়াও, ভিটামিন সি আছে। এমন খাবার যেমন জলপাই, কমলা, লেবু ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এগুলো একপ্রকার রোগ প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে।
আমরা জানি শীতকালে অর্থাৎ ডিসেম্বরের আচমকা বৃষ্টি নামে। এবং হালকা বৃষ্টির সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাসের আভাস মিলে। আর এই সময় অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়। এই অসুস্থতা থেকে বাঁচার জন্য কি করা যেতে পারে। সামান্য কিছু বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হলো।
বাইরে গিয়ে ভিজে গেলে করণীয়
বাইরে গিয়ে যদি বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাসায় ফিরে দ্রুত গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলুন। বেশিক্ষণ ভেজা কাপড়ে একদমই থাকবেন না। থাকলে জ্বর-সর্দি-কাশি হতে পারে।
ত্বকের যত্নে করণী
হঠাৎ করে বৃষ্টির পানিতে ভিজলে ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। যার কারণে অনেক সময় চুলকানিও হতে পারে। এজন্য চেষ্টা করুন অলিভওয়েল কিংবা ভালো ব্র্যান্ডের বডি লোশন ব্যবহার করা।
উপযুক্ত শীতের পোশাক
শীতে গরম জামা-কাপড় পরে অবশ্যই বাইরে বের হবেন। প্রয়োজ ল বঙ্গ লবণনে মানকি টুপি-মাফলার ব্যবহার করবেন। যদিও আপনার কাছে বিরক্তিকর মনে হবে। খুব বেশি জরুরি কাজ না থাকলে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের না হওয়া টায় ভালো। আর যদিও বের হতে হয়। তাহলে অবশ্যই ছাতা নিয়ে বের হবেন। কোনো ভাবেই বৃষ্টির পানিতে ভেজা যাবে না।
ভিজে গেলে গন্তব্যে গিয়েই নিজেকে শুকানোর চেষ্টা করবেন। বৃষ্টির দিন ব্যাগে অতিরিক্ত শুকনো গরম জামা-কাপড় বহন করবেন। ভিজে গেলে পরিবর্তন করে নিবেন। অনেক সময় বৃষ্টির পানিতে বের হয়ে আপনি না ভিজলেও আপনার পা পানিতে ভিজে যায়। সেক্ষেত্রে গন্তব্যে পৌঁছেই ভালো করে পা ধুয়ে নিন। দরকার হলে অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করুন।
তবে একটি জিনিস লক্ষণীয় সেটি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি ঝরার সময় বাসায় বৃষ্টির পানির রিমঝিম শব্দে মন ভরে যায়। শুধু তাই নয়। বাসায় বসে বসে গরম গরম খিচুড়ির তুলনা হয় না। এবং আমি মনে করি খিচুড়ি এই অনেকটা লোভনীয় খাবার। চলুন কয়েক প্রকারের খিচুড়ি নিয়ে কিছু কথা বলি। প্রথমেই ডাল খিচুড়ি নিয়ে কিছু আলোচনা।
ডাল খিচুড়ি উপকরণ সমূহ।
উপকরণ মিশ্রণ প্রক্রিয়া লক্ষণীয়
প্রথমে মুগডাল হালকা ভেজে নিতে হবে। এবার সব ডাল ও চাল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ভালো মত ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। চুলায় পাতিল দিয়ে গরম করে তেল দিতে হবে। তারপর পিঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে। এবার গরম মসলা গুলো দিয়ে নেড়ে চেড়ে তাতে সব মসলা দিয়ে ভাজতে হবে।
এবার টমেটো, গাজর, মটরশুঁটি, ডাল ও চাল দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। এবার পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। চাল ডাল ফুটে উঠলে ও সিদ্ধ হয়ে চাল একটু ভাতের চেয়ে নরম হলে বা কতটুকু পাতলা হবে তার ঘনত্ব রেখে কাঁচা মরিচ ও ঘি ও বেরেস্তা দিয়ে নামাতে হবে।
মাংস দিয়ে পাতলা খিচুড়ির উপকরণ সমূহ
উপকরণ মিশ্রণ প্রক্রিয়া লক্ষণীয়
আমরা জানি খিচুড়িতে মোটা চাল হলে ভালো হয়। তবে পোলাও বা আতপ চাল দিয়েও খিচুড়ি অনেক সুগন্ধি ও মজার হয়। যাই হোক আলোচনায় যাই। প্রথমে কড়াই গরম করে মুগ ডাল সামান্য ভেজে নিতে হবে। এবার চাল ও ডাল ভালো করে ধুয়ে রাখতে হবে। এবার তেল বাদে বাকি সব উপকরণ মাংসের সঙ্গে মেখে রাখতে হবে ৫/৬ মিনিট। এবার কড়াইয়ে তেল দিতে হবে।
গরম হলে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে ভালোমতো কষাতে হবে। মাংস থেকে যে পানি বের হবে তাতেই মাংস সিদ্ধ হয়ে যাবে অতিরিক্তভাবে কোন পানি দিতে হবে না। কষানোর পর মাংস থেকে তেল ভেসে উঠলে সামান্য পানি অর্থাৎ ১ কাপ বড় পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাংস সিদ্ধ হলে নেড়ে চেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে রাখতে হবে।
পাতিলে তেল দিয়ে গরম করতে হবে। তেলে পেয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলে নিতে হবে। এবার এ তেলে ভিজিয়ে রাখা ডাল ও চাল দিয়ে ভাজতে হবে। গরম মসলা গুড়া, ও লবণ দিতে হবে। একটু ভেজে রান্না মাংস ও পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে। (খিচুড়ি রান্নায় ১ কাপ চালের পরিবর্তে ৩ কাপ পানি দিতে হয়। কারণ খিচুরি ভাতের চেয়ে একটু বেশী নরম করতে হয়।
শেষ কথাঃ
এভাবেই খিচুড়ি রান্না শেষ। করে পরিবেশন করতে হবে। আশা করি আর্টিকেলের রেসিপি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। এবং যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই সাইটটিকে ফলো দিয়ে রাখবেন। যাতে করে পরবর্তীতে অন্য কোন টিপস অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে পারি এই প্রত্যাশা রেখে এবং আপনাদের সুস্থ স্বাস্থ্য কামনা করে শেষ করছি।