শীত আসছে, ত্বক শুষ্ক করণীয় কী ?

সম্মানিত পাঠক আমি আমরা সবাই জানি শীতকালে মানুষের শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। এ সময় ত্বকে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। বয়স্ক বৃদ্ধ মানুষের শুষ্ক ত্বকের ঝুঁকি বেশি বেড়ে যায়। কারণ, বয়স্ক বৃদ্ধদের ত্বকে প্রাকৃতিক ত্বকের তেল ও লুব্রিকেন্টের পরিমাণ কম থাকে। শুষ্ক ত্বক রুক্ষ হয়ে চুলকানি হয়। যার জন্য বারবার চুলকানিতে ত্বক মোটা ও খসখসে হয়ে পড়ে।
শীত আসছে, ত্বক শুষ্ক করণীয় কী ?
এমনকি রোগের সংক্রমণও বেড়ে যায়। এমনকি এই আবহাওয়ায় কারও কারও ত্বকে ফোসকা, ফুসকুড়ি, লালচে ভাবও দেখা দেয়। অনেকের একজিমা হয়। শীতকালে পানি পান কম ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। ও ধুলাবালি পরিষ্কার করার জন্য ঘন ঘন সাবান ব্যবহারে ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

সাবানে ইমালসিফায়ার উপাদান থাকে, যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর করে ফেলে। ত্বকে স্ক্রাব ব্যবহার করলে তেল আরও কমে যায়। এবং সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুলে ত্বকে শুষ্ক ভাব দেখা দেয়। যা ত্বকের উপযোগী নয়। এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। এবং শীতের পোশাকে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বক শুষ্ক করতে ভূমিকা রাখে।

শীতের উলেন বা সিনথেটিক ফাইবারের পোশাক কারও কারও ত্বকে জ্বালা ও শুষ্ক করে। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অ্যালার্জি এবং ব্রণের কিছু ওষুধ সেবনকারীদের ত্বকও শুষ্ক হতে পারে। এ ছাড়া একজিমা, সোরিয়াসিস, ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম ও অপুষ্টি ভিটামিন ‘এ’ ভিটামিন ‘ডি’এর অভাব শুষ্ক ত্বকের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে।

হরমোনাল পরিবর্তনের কারণেও ত্বক শুষ্ক হতে পারে। যেমন মেনোপজ হলে নারীদের ত্বক শীতের সময় আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়।

ভূমিকা

সম্মানিত পাঠকগণ আজকে আর্টিকেল শীত আসছে ত্বক শুষ্ক করণীয় কি? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পানি বেশি খেতে হবে শীতের পোশাক পরিধান করতে হবে এবং ভিটামিন ডি এর জন্য সূর্যের তাপ আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এবং আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে সম্মানিত পাঠকদের অনেক উপকারে আসবে চলুন শুরু করি।

ত্বক শুষ্ক করণীয় কি?

  • ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানির উপদ্রব হলে খুব বেশি শীতে বা ঠান্ডা বাতাসে বাইরে না যাওয়া ভালো।
  • বাইরে বের হলে সোয়েটার, চাদর, গ্লাভস, স্কার্ফ বা টুপি ও মোজা পরিধান করুন।
  • হাত ধোয়ার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এবং শীতের সময়ে দিনে কয়েকবার ময়েশ্চারাইজার দিন। 
  • একজিমা রোগের জন্য ময়েশ্চারাইজিং স্কিনকেয়ার গুরুত্বপূর্ণ। শীতের সময় শিয়া বাটারের মতো ভারী ময়েশ্চারাইজার বা কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করা যায়।
  • ত্বক পরিষ্কারে মাইল্ড ক্লিনজার বা ক্ষারবিহীন সাবান সবচেয়ে বেশি ভালো। অনেক সুগন্ধযুক্ত, ডিওডোরেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান শীতের সময় উপযোগী নয়।
  • এ শীতের সময়ে হারবাল পণ্য বেছে নিতে পারেন। সুগন্ধিবিহীন ময়েশ্চারাইজার শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো। এবং গোসলের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ময়েশ্চারাইজার দেওয়া উচিত।
  • সূর্যের আলোতে থাকলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে পারে। শীতে সূর্যের আলো কম থাকে বলে ‘ডি’–এর অভাবে ত্বকের সমস্যা বাড়ে যায়। শুষ্কতা কমাতে ইনডোর রুম হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যায়।
  • একজিমা, সোরিয়াসিসজাতীয় চর্মরোগ থাকলে শীতের শুরুতেই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 
  • চুলকানি কমাতে স্টেরয়েড ক্রিম, টপিকাল ক্যালসিনুরিন ইনহিবিটর, প্রদাহ কমাতে ফটোথেরাপি সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।
  • এ ছাড়া ওরাল অ্যান্টিহিস্টামিন যেমন ডাইফেনহাইড্রামিন, হাইড্রোক্সিজিন অথবা সিটিরিজিন রাতে খেলে শুষ্ক ত্বকে চুলকানি কমে যায় ইনশাল্লাহ। যেসব খাবারে অ্যালার্জি বা একজিমা বেড়ে যায়। শীতের সময় সেসব খাবার বাদ দিতে হবে। 

লেখক এর কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমি অত্যন্ত আশাবাদী আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমি মনে করি। এবং আরো মনে করি আর্টিকেলটি পড়ে অবশ্যই আপনাদের অনেক উপকারে আসবেন। আর একটু যদি উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের কাছে শেয়ার করুন। যাতে করে আমি আর্টিকেল লিখতে অনুপ প্রেরিত হয়। 

পরিশেষে আল্লাহ পাকের কাছে আপনাদের সুস্থতা কামনা করে এখানে ইতি করছি।
(আল্লাহ হাফেজ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন