হযরত ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্পূর্ণ জীবন কাহিনী।
আল্লাহ এমন এক সত্তা যার কুদরত অসীমাহীন যার কোন সীমা নেই। তিনি যখন যা ইচ্ছা করেন। তাই করেন তিনি যদি বলেন হও সঙ্গে সঙ্গে সেটি হতে বাধ্য আর এটা থেকে বুঝা যায় যে আল্লাহ অনেক ক্ষমতাবান তার ক্ষমতা মাপার মত মানব এবং দানবের জ্ঞান অতি অল্প যার উদাহরণ নিচে বর্ণনা করা হলো তিনি।
ও বিবি মরিয়ম কাহিনী বর্ণনা করে সারা পৃথিবীর দানব এবং মানবকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানুতায়ালার ক্ষমতা সম্পর্কে তিনি কতটা ক্ষমতাশীল।
হযরত ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্পূর্ণ জীবন কাহিনী।
ভূমিকাঃ
আল্লাহ পাকের নামে শুরু করলাম। হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম এবং হযরত মারিয়াম এর জীবন কাহিনী এই পোস্টের মাধ্যমে সু স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হলো আমি আশা করি। পাঠক এই পোস্টটির মাধ্যমে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবে, অজানা বিষয়টি হচ্ছে। আমরা জানি গর্ভবতী মা বেশি তেতুলের প্রতি আসক্ত থাকেন।
কিন্তু আল্লাহ পাকের এই নিদর্শন অনুযায়ী বোঝা যায়। গর্ভবতী মাকে বেশি বেশি খেজুর খেতে দেওয়া উত্তম যাতে করে সন্তানের মেধাবিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে তাহলে বোঝা যা। বেশি বেশি আমরা গর্ভবতী মাকে খেজুর খেতে দিব। এবং সে অনুযায়ী আমল করলে অনেক উপকৃত হব ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা কেয়ামতের দিন হযরত ঈসা আঃ কে ডাক দিয়ে বলবেন হে মারিয়াম এর ছেলে ঈসা আপনি স্মরণ করুন আপনার এবং আপনার আম্মা হযরত মারিয়াম আলাইহিস সালামের নেয়ামতের কথা যেটি আমি সারা বিশ্বের জন্য নিদর্শন স্বরূপ রেখে দিয়েছি। কি নেয়ামত মারিয়াম আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামত হল এভাবে মরিয়মের মা যিনি ছিলেন।
তিনার নাম হচ্ছে হান্না মারিয়মের আব্বার নাম হচ্ছে ইমরান আর এই ইমরান হচ্ছে বায়তুল মুকাদ্দাস এর ইমাম। ইমরানের স্ত্রীর নাম হান্না তিনি যখন গর্ভবতী হলেন। অর্থাৎ মারিয়ামের আম্মা তিনি মানত করলেন যে আল্লাহ আমার গর্ভে যে সন্তান আছে সেটি দুনিয়ার সকল কাজকর্ম থেকে আলাদা করে একমাত্র আপনার নামে উৎসর্গ করে দিলাম।
সন্তান এখনো পৃথিবীতে আসেই নাই পেটে থাকতেই তিনি এই মানত করেন। মারিয়ামের মা হান্না সন্তান যখন প্রসব করলেন। সন্তান প্রসব করার পরে তিনি দেখলেন। তার সন্তান একটি মেয়ে তখন হান্না আল্লাহপাক কে বললেন। আল্লাহ আমি না মানত করেছিল। আমার গর্ভে যে সন্তান পৃথিবীতে আসবে এটাকে আমি আপনার নামে স্বর্গ করে দিয়েছি।
কিন্তু আপনি তো আমাকে মেয়ে বাচ্চা প্রসব করালেন। কিন্তু মারিয়ামের মা তিনি যে বাচ্চা প্রসব করেছেন। এটি তো আল্লাহ পাক সবচাইতে ভালো জানতেন। আল্লাহ বলেন আরে কিছু নারী আছে যার কাছে পুরুষ কিছুই না। এটাতো সাধারণ কোন মেয়ে না। পৃথিবীতে অনেক পুরুষ আছে। যাদের মধ্য থেকে তোমার মেয়ে অনেক বরকতপূর্ণ ।
এবং হাজারো পুরুষ থেকে তোমার মেয়ে হবে অনেক দামি। সব পুরুষ তোমার এই মেয়ের মত না। তোমার এই মেয়ে সম্পূর্ণটাই আলাদা। অনেক নারী যারা এবাদত করতে করতে একটা পর্যায়ে পৌঁছে যায়। যা একটি পুরুষ ইবাদত করে তা ওই পর্যায়ে পৌঁছতে পারে না। আল্লাহ বলেন আমি তো তোমাকে এমন একটি মেয়ে দান করেছি। যা হাজার নারী-পুরুষের চাইতেও উত্তম।
এবং দামি। আল্লাহ আরো বলেন আমি তো এমন একটি মেয়ে তোমাকে দান করেছি সেটি আবেদা হবে, জাহেদা হবে, তাহেরা হবে। এবং এমন দামি হবে। শুধু তাই নয় তোমার মেয়ে ওই জামানার সকল নারীদের চাইতে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন হযরত ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এই কথাগুলোই বলবে।
তোমার মা প্রতি আমার নিয়ামত ছিল। এবং তোমার প্রতিও, তোমার আম্মারে আমি দুনিয়াতে আনছি। তোমার নানু চেয়েছিল। একটি ছেলে হোক কিন্তু তোমার নানিরে দিয়েছি। একটা মেয়ে মানে মারিয়ামের আম্মা হান্নাকে, এটি আল্লাহ পাকের নেয়ামত কারণ তোমার আম্মারে গোটা জগতের উপর নেয়ামত স্বরূপ। আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন ঈসা আঃ এর উপর যে নিয়ামত দান করেছেন।
সেটা কি? অনেকগুলো নেয়ামত ঈসা নবীর প্রতি দান করেছেন। এর মধ্যে একটা হল ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আল্লাহ বাবা ছাড়া কুদরতি ভাবে কুন ফায়াকুন হও হয়ে গেছে। এ কালিমা এর মাধ্যমে ঈসা নবীকে পুরা জগতের জন্য নিদর্শন স্বরূপ প্রকাশ করেছেন। মনে রাখবেন পৃথিবীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষ সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে চারটি পদ্ধতি পাওয়া যায়।
চারটি মাধ্যমে আল্লাহ পাক মানুষ সৃষ্টি করেছেন।
- কোন নারী পুরুষ এর সংমিশ্রণ ছাড়াই হযরতে আদম আলাই সাল্লাম কে সৃষ্টি করেছেন। কোন নারী পুরুষ ছাড়াই প্রথম আল্লাহ আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কুদরতি ভাবে বানিয়েছেন।
- হযরত আদম আলাই ওয়া সাল্লাম এর পাঁজরের হাড় থেকে মা হাওয়া আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বানিয়েছেন। মানে আদম নবীর পাঁজরের হাড় থেকে আম্মাজান হাওয়া আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বানিয়েছেন।
- আমরা পৃথিবীতে যারা আছি। স্বামী স্ত্রীর বৈধ মিলনের মাধ্যমে মানব সৃষ্টির ধারাবাহিকতা যেটি আল্লাহ রাখবেন।
- বাবা ছাড়া শুধু তার মায়ের পেট থেকে আল্লাহ পাকের কুদরতি প্রকাশ করেছেন। ঈসা আলাইহিস ওয়া সাল্লাম কে বাপ ছাড়া বানিয়েছেন।
তো আল্লাহ বললেন ঈসা নবী কে তোমার আম্মার প্রতি নিয়ামত তোমার আম্মারে এমন ভাবে বানাইলাম। আর তোমার প্রতিও আমার রহমত রয়েছে। এটি স্মরণ করো। কি নিয়ামত সেটি হচ্ছে তোমার আম্মা জনগণ থেকে আড়াল হয়ে পূর্ব দিকে চলে গিয়েছিল। পূর্ব দিকে চলে যাওয়ার পর মারিয়াম এবং জনগণের মাঝে একটি পর্দা আল্লাহ পাক দিলেন।
মুফাসসিরে কেরাম বলেন। দুটি কারণ হতে পারে।
- প্রথমটি হচ্ছে গোসল করার জন্য পর্দা দিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তিনি।
- দ্বিতীয় পর্দা দিয়েছেন তিনি মানুষ থেকে আলাদা হয়ে একাকী নির্জনে আল্লাহর ইবাদত করার জন্য।
মারিয়াম যখন পর্দার আড়ালে গেলেন। আল্লাহ বলেন আমি আমার রূহ অর্থাৎ জিব্রাইল আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে পাঠিয়ে দিলাম। জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন মানুষের রূপ ধরে মরিয়মের সামনে উপস্থিত হলেন। মারিয়ামের সামনে উপস্থিত হওয়ার পরে মারিয়াম বললেন। আমি তোমার কাছ থেকে পানাহ চাই আল্লাহ পাকের কাছে।
তুমি যদি আল্লাহকে ভয় করো এখান থেকে চলে যাও তুমি একজন পুরুষ মানুষ যা এখান থেকে চলে যাও জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন। আমি কোন সাধারণ মানুষ না। আমি তোমার রবের পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা জিব্রাইল। হযরত মারিয়াম বললেন কেন আপনি আমার কাছে এসেছেন।
আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাকে একটি নেককার সন্তান এর সুসংবাদ দিতে এসেছে। মরিয়ম বললেন। আমার সন্তান হবে কিভাবে আল্লাহ বলেছেন। তোমার সন্তান হবে মারিয়াম বললেন কোন পুরুষ আমাকে স্পর্শ করেন নাই। আর আমি ব্যভিচারিনি নারী ও না। এবং তিনি আরো বললেন পৃথিবীতে সন্তান পয়দা হয়। দুটি মাধ্যমে একটি বৈধ মিলনের মাধ্যমে।
আরেকটি অবৈধ মিলনের মাধ্যমে এখান থেকে বোঝা যায়। হযরত মারিয়াম কত জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। যদি জ্ঞান না থাকতো তাহলে জিবরাঈল আমিনকে এই প্রশ্নগুলো করতেন না। জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি বললেন ব্যাপারটা এরকমই তোমার আল্লাহ বলেন। আমি আল্লাহ আমার কাছে এটি একেবারেই সহজ এটা আমি কেন করব জানো।
আমি ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গোটা জগতের জন্য নিদর্শন বানাবো। কেয়ামতের মাঠে আল্লাহ বলবে ঈসা তোমার প্রতি যে আমার নেয়ামত এটার প্রতিসরণ করো তোমারে বাবা ছাড়া কুদরতি ভাবে দুনিয়াতে এনেছি। এই কথা ঈসা আঃ কে বলবেন। তাহলে কুদরতি ক্ষমতায় ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার মার পেটে গিয়েছেন।
এবং প্রসব ব্যথা বেদনা উঠেছেন। প্রসব বেদনা মারিয়ামকে খেজুর গাছের নিচে নিয়ে গিয়েছে। এটাকে বাইতুল লাহাব বলা হয়। আর খ্রিস্টানেরা ওইটাকে বেতিল হাম বলে। সেখানে যাওয়ার পরে মারিয়াম প্রসব করবেন। কিন্তু জায়গাটা ছিল একটু উঁচু সেখানে যাওয়ার পরে মারিয়াম সেখানে বসা মারিয়াম বলবেন হাই এ অবস্থা হওয়ার আগে।
যদি আমি মারা যেতাম। আমি যদি বিস্তৃত হতাম। আমি যদি এমন হয়ে যেতাম যাতে সবাই ভুলে যেত আমি কিভাবে মানুষকে মুখ দেখাবো এই সন্তান হওয়ার পরে। আমি যদি মরে যেতাম ভালোই হতো মারিয়ম এই কথাগুলোই বলছিলেন। নিচে থেকে কে যেন ডাক দিয়ে বলছেন। মারিয়াম পেরেশান হয়ো না। হতাশ হইয়ো না চিন্তিত হয়ো না।
এসব বলো না এসব বলার কোন দরকার নেই। তুমি নিচে তাকিয়ে দেখো আল্লাহ তোমার জন্য একটি উৎস বানিয়ে দিয়েছেন। মারিয়াম নিচে তাকিয়ে দেখেন। পানির একটি উৎস তৈরি হয়ে গেছে। উপরে খেজুরের গাছ নিচে পানি। নাও খেজুর খাবে আর নিচে থেকে পানি খাবে। এ থেকে বোঝা যায়। গর্ভধারিনী মাকে বেশি বেশি খেজুর খেতে দেওয়া।
তাহলে সন্তানের মেধাবিকাশ বৃদ্ধি পায়। না হলে আল্লাহ পাক অন্য কিছু খাবারের কথা বলতেন। খেজুর খাইতে বলতেন না। তাহলে আমরা গর্ভধারী মাকে তেঁতুল না খেয়ে বেশি বেশি খেজুর খেতে দেবো। তেঁতুল খেতে না দিয়ে খেজুর খেতে দিন। তাহলে সন্তানের মেধাবিকাশ বৃদ্ধি পাবে। মারিয়াম সেখানে বসা থাকতে বলে দেওয়া হল।
আল্লাহ বলেন মরিয়ম খেজুর থাক আর না থাক তোমাকে চিন্তা করতে হবে না। তোমাকে যখন খোদা লাগবে। খেজুরের গাছে নারা দিবে তাড়া খেজুর তোমার সামনে এসে পড়বে। তোমার কাজ এখানেই থাকা একপর্যায়ে সন্তান এসে গেছে। সন্তান আসার পরে কি কি করতে হবে আল্লাহ পাক সেটাও বলে দিয়েছেন। খাও পান কর চোখ শীতল কর কোন মানুষ যদি দেখে।
তারা হয়তো বা ঝামেলা করবে তোমার সন্তান দেখে তুমি বলবে আমি আল্লাহর নামে মানত করলাম। সেই সময় মানুষের সাথে কথাবার্তা না বলাটাই মানত মনে করা ছিল। আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারব না। এ কথা আল্লাহপাক শিখিয়ে দিলেন। বাচ্চা কোলে নিয়ে এলাকায় চলে আসলেন। লোকজন দেখে ছি ছি করতে লাগলো এবং বলতে লাগলো মারিয়াম তুমি কি করেছ?
এটা খুব খারাপ কাজ করেছ। আল্লাহ পাক শিখিয়ে দিয়েছে তুমি বলবে আমি মানত করেছি আমি কথাবার্তা বলব না। কিন্তু মানুষজন হযরত মারিয়ামকে শুধু বিরক্ত করছে। আর বলছে ও হারুনের বোন তোমার আব্বা ইমরান তো এত খারাপ লোক ছিল না। আর তোমার আম্মাও তো খারাপ মহিলা ছিল না।আরেকটি কথা মনে রাখবেন।
সেটি হচ্ছে হযরত মারিয়াম এর পিতা ইমরান মারিয়াম দুনিয়াতে আসার আগেই মারা গিয়েছিল। মারিয়াম কে যিনি লালন পালন করেছিলেন। তিনি ছিলেন জাকারিয়া আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর জাকারিয়া হলেন। হান্না অর্থাৎ মারিয়ামের আম্মার ভগ্নিপতি তার মানে মারিয়ামের খালু আরো নেয়ামত রয়েছে। হযরত মারিয়ামকে আল্লাহ অমৌসুমে মৌসুমের ফল খাওয়ায়েছেন।
খানা খাইছেন। যাই হোক যখন মরিয়ম সন্তানকে নিয়ে এলাকায় আসলেন। লোকজন বলতে লাগলো ও হারুনের বোন মনে রাখবেন। হারুনের বোন বলার উদ্দেশ্য রয়েছে। আর দুটি উদ্দেশ্য হতে পারে হারুন নবী যিনি মুসা নবীর ভাই এই হারুন নবীর বংশের সিলসিলা অনুযায়ী ভাই তিনি আপন ভাই না মানে বংশ সূত্র ধরে অনেক দূরের ভাই।
অথবা মারিয়ামের কোন ভাই ছিল। এই দুটি উদ্দেশ্য হতে পারে। জনগণ বলল ও হারুনের বোন তোমার বাবা তো এত খারাপ লোক ছিল না। আর তোমার মাও তো খারাপ মেয়েলোক ছিল না। তুমি এত খারাপ হলে কিভাবে? কিন্তু মারিয়াম চুপচাপ ছিল। আর বাচ্চার দেখে ইঙ্গিত করছিল কারণ আল্লাহ তো চুপচাপ থাকতে বলেছিলেন। আর বাচ্চা বলতে ঈসার নবীর দিকে লক্ষ্য করে ইঙ্গিত করছিল।
বাচ্চা মানুষ তার বয়স তিন দিন অথবা ৪০ দিন বয়স এ কিভাবে কথা বলবে। লোকজন বলাবলি করতে শুরু করলো ছোট বাচ্চা সে কিভাবে কথা বলবে কিন্তু হযরত ঈসা আলাইহিস ওয়াসাল্লাম তিনি বিরক্ত হচ্ছিলেন। এত আওয়াজ মাথাটা সরিয়ে বলতে লাগলেন। আমি আল্লাহর বান্দা ঈসা নবী বলছেন।
লোকজন তার দিকে হা করে তাকিয়ে রয়েছে।
শুধু তাই নয় আল্লাহ আমাকে কিতাব দান করেছেন। আল্লাহ আমারে নবী বানাইছে। বলার পরে তিনি আবার মার দুধ পান করতে শুরু করেছেন। আর এ কথাটি আল্লাহ কোরআনে বলেছে ঈসা নবী মায়ের কোলেও কথা বলেছেন। বড় হওয়ার পরেও কথা বলেছেন এটি আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলেন।
সূরা মারিয়ামের মধ্যে ছোটবেলা নাবালেক অবস্থায় যখন কেউ কথা বলতে পারে না। বা কল্পনাও করতে পারে না। অথচ সে সময় আল্লাহ পাক ঈসা নবীকে কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছে। এটি একটি মোজেজা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর এই কথাগুলোই কেয়ামতের মাঠে আল্লাহ ঈসা নবীকে বলবেন। স্মরণ করো আমি যখন রুহুল কুদ্দুস দ্বারা তোমাকে শক্তিশালী করলাম।
এই রুহুল কুদ্দুস দ্বারা কি উদ্দেশ্য রুহুল কুদ্দুস দ্বারা উদ্দেশ্য হলো জিব্রাইল আলাইহিস ওয়া সাল্লাম সহি বুখারীর শরিফে ৪৫৩ নাম্বার হাদিসের বর্ণনা। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী ছিলেন। নাম তার হাসসান ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু। তিনি নবীজির কবি সাহাবী হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন।
এই হাসান ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে নবীজি বললেন। হাসসান মুশরিকেরা আমার ব্যাপারে যে উল্টাপাল্টা কথা বলে। তাদেরকে তুমি কবিতার মাধ্যমে জবাব দিয়ে দাও। শুধু তাই নয় আল্লাহর নবী আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ তুমি আমার হাসান নামক সাহাবীকে রুহুল কুদ্দুস এর দ্বারা শক্তিশালী করুন।
তাফসীরে ইবনে কাছিরের মধ্যে এসেছেন আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা তিনি বলেন। হাসান ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর জন্য মসজিদে নববীতে একটা মেম্বার বানানো হয়েছে। এই মেম্বার এর মধ্যে তিনি যখন বসতেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন।
আল্লাহ ঈসা নবীর পক্ষে জিবরীল আমীন যেভাবে সহযোগিতা করত লোকজনের নির্যাতন থেকে ঈসা নবীকে বাঁচাতে তেমনি ভাবে আপনি আমার হাসান নামক সাহাবীকে রুহুল কুদ্দুস এর দ্বারা সাহায্য করো যাতে কাফের মুশরিক বেইমানদের প্রত্যেক কথার জবাব দেওয়ার জন্য। তাহলে এখানে বোঝা যাচ্ছে। রুহুল কুদুস দ্বারা জিব্রাইল আলাইহিস ওয়াসাল্লামকে বোঝানো হয়েছে।
এবং আল্লাহ পাক আরো বলেন আমি আপনাকে কিতাব শিক্ষা দিলাম। এই কিতাব দ্বারা একটা উদ্দেশ্য হতে পারে লেখা শেখালাম। বুশ শক্তি দান করলাম। এবং ইঞ্জিলের যে বিদ্যা সেটি আপনাকে শিখিয়ে দিলাম। এই নিয়ামতের কথা মনে পড়ে। আল্লাহ পাক একজন নবীকে কেয়ামতের মাঠে এই নেয়ামতের কথাগুলো তুলে ধরবেন। তাহলে ভাবতে পারেন।
যে আমাদের মত লোকগুলোকে যদি আল্লাহ কেয়ামতের মাঠে আমাদের নেয়ামতের কথাগুলো তুলে ধরে কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছেন। তিনি আরো বলেন অর্থাৎ আল্লাহ বলেন হে নবী ঈসা স্মরণ করুন। কাদা মাটি দ্বারা পাখির আকৃতি তৈরি করতেন সেটাতে ফু দিতেন। সেটা আমি আমার কুদরতি ক্ষমতা দিয়ে বাস্তব পাখির রূপে উড়া শুরু করতো।
আপনার কি মনে পড়ে যে নিয়ামত গুলো আমি দিয়েছিলাম। ঈসা নবীরে আল্লাহ পাক বলেন। তবে এখানে একটা মাসআলা পাওয়া যায়। আমরা কাদামাটি দিয়ে বা অন্য কিছু দিয়ে এ সমস্ত পাখি বানানো বৈধ হবে না সেই সময় অর্থাৎ ঈসা আঃ সালামের সময় বৈধ ছিল। এবং আল্লাহ আরো নেয়ামতের কথা ঈসা নবীকে স্মরণ করে দিবেন।
আপনার কি মনে পড়ে একদম চক্ষুবিহীন মানুষকে আপনি হাত বুলিয়ে দিলে আমার কুদরতি ক্ষমতায় সেই লোক চক্ষুষ্মান হয়ে যেত আপনার কি মনে পড়ে সেই নেয়ামতে কথা। এটা ঈসা নবীর মোজেজা ছিল। কুষ্ঠ রোগী পুরো শরীরটা পৌঁছে যেত এবং এই কুষ্ঠ রোগীর শরীরে ঈসা নবী হাত রাখলে আল্লাহর কুদরতি ক্ষমতায় কুষ্ঠ রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেতেন। এরপর আল্লাহর আরো বলতেন।
আপনি কবর থেকে মৃত মানুষকে জিন্দা করে কথা বলতেন। কিভাবে লোকেরা যখন হযরত ঈসা কে বলতেন কিভাবে কবরের মৃত মানুষের সঙ্গে কথা বলা যায়। তখন তিনি দুই রাকাত সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। দোয়া করার সাথে সাথে কবরের অনেক দিন আগে মরে যাওয়া মৃত মানুষ জীবিত হয়ে কথা বলতেন।
মূল কথা হচ্ছে আমি আপনার থেকে বনি ইসরাঈলদেরকে নিবৃত করেছিলাম। আপনি তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিলেন নবুয়তের যখন আপনি একের পর এক নবুওয়াতের মোজেজা হিসেবে নিদর্শন দেখাতে শুরু করলেন। মর্যাদা গুলো হচ্ছে কাদা মাটি দ্বারা পাখি তৈরি করে সেটি আল্লাহর নামে উড়িয়ে দিতেন। কুষ্ঠ রোগীর শরীরে হাত দিলে পুরোপুরি ভাবে কুষ্ঠ রোগী সুস্থ হয়ে যেতেন।
অন্ধ ব্যক্তির চোখের উপরে হাত রাখলে আল্লাহর কুদরতে চক্ষুষ্মান হয়ে যেত অনেকদিন পূর্বের মৃত ব্যক্তি কবর থেকে উঠে জীবিত হয়ে কথা বলতেন। এগুলো নিদর্শন দেখে কাফেররা বলতো ও এগুলো তো জাদু আর যুগে যুগেই বাতিলদের এটাই মূল মন্ত্র কারণ তারা তো আর কিছু করতে পারে না। এজন্যই তারা শেষমেষ এই বাক্যটি উচ্চারণ করে আমাদের নবীর প্রতিও বাক্যগুলো উচ্চারণ করেছিল।
রাসুলকে গণকও বলেছিল কাফেরেরা। আল্লাহ বলেন বনী ইসরাঈল দের থেকে আমি নিবৃত করেছিলাম। তারা জাদুকার বলে আপনাকে হত্যা করতে চেয়েছি। কিভাবে হত্যা করবে সেটি হচ্ছে এক ঘরে ঢুকিয়ে ঈসা নবী এক ঘরে বসা পুরা সিদ্ধান্ত পাশ করেছে তারা। হত্যা করার জন্য তারা যখন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল।
ওই মুহূর্তে কয়েকজন এসেছিল ঈসা নবীকে হত্যা করবে বলে। প্রথমে একজনকে পাঠিয়েছিল তুমি আগে যাও কাজ শুরু করো একটু পরে আমরা আসবো ওই লোক ভিতরে ঢুকলো পরে ভিতরে দুইজন লোক হয়েছে। অর্থাৎ ঈসা নবী এবং হত্যাকারী যদি দুজন ব্যক্তি হয়। তাহলে একজনকে মারার পরে আরেকজন জীবিত থাকবে।
তার মানে সেখানে জীবিত এবং মৃত দিয়ে দুইজন থাকার কথা কিন্তু কাফেরেরা ভিতরে গিয়ে একজন দেখলো একজন রয়েছে। এবং তার চেহারা ঈসা নবীর মত তাকে ধরল ধরার পরে শুলেতে চড়িয়ে হত্যা করল। হত্যা করার পরে তাদের মধ্যে দুই গ্রুপ হয়ে গেল। তারা বলাবলি শুরু করলো ভিতরে ছিল দুইজন কিন্তু মারলাম।
আমরা একজনকে তাহলে আরেকজন কোথায়। আল্লাহ বলেন আমি ঈসা নবীকে হত্যা করিনি শুলেতেও চড়াইনি এটি একটি ধাঁধা ছিল। আল্লাহ বলেন আমি বনী ইসরাঈলদের থেকে আপনাকে আমার কুদরতি ক্ষমতা দিয়ে আপনাকে দ্বিতীয় আসমানে উঠিয়ে নিয়েছি। আর ঈসা নবী এখনো দ্বিতীয় আসমানে রয়েছেন।
ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে আবার আসবেন। কিয়ামতের আগে বড় বড় ১০ টি আলামত ঘটবে তার মধ্যে ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমন দশটার মধ্যে একটা ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগে যিনি দুনিয়াতে আগমন করবেন। তিনি হচ্ছেন ইমাম মাহদী আর মাহদী।আর যিনি মাহদী হবেন যার সাথে আমাদের নবীর বক্তব্য মিলে যাবেন। তিনি হবেন মাহদী।
মাহদী যিনি হবেন। তিনি সাত বছর অথবা নয় বছর রাজত্ব করবেন। ইবনে মাজাহ হাদিসের কিতাব অনুযায়ী ৪৮৩ নাম্বার হাদিসের বর্ণনা। আল্লাহর নবী বলেন আমার উম্মতের মধ্য থেকেই মাহদীর আত্মপ্রকাশ ঘটবে মাহদী দুনিয়ার মধ্যে সাত বছর অথবা ৯ বছর রাজত্ব করবে মাহদীর সময় আমার উম্মত এত প্রাচুর্যের অধিকারী হবে।
আমার উম্মত ইতিপূর্বে এত সম্পদের মালিক হয়নি। মাহদীর সময় যত সম্পদের মালিক হবে। নবীজি আরো বলেন মাটি তার ভিতর থেকে সকল খনিজ সম্পদ বের করে দিবে। নবীজী বলেন তখন মাল এত বেশি হবে জায়গা-জায়গায় জমে পড়ে থাকবে সম্পদের সামনে লোক দাঁড়িয়ে বলবে ও মাহদী আমাকে কিছু সম্পদ দেন।
মাহাদী বলবে যত খুশি এখান থেকে নিয়ে যা্ন। তাহলে বোঝা যায়। এক মাহাদীর আগমনের সময় মানুষ অনেক ধন-সম্পদ পাস প্রাচুর্যের এর হয়ে যাবে যাইতে পড়বে কখনো হয়নি।
দ্বিতীয়তঃ মাহদী যিনি হবেন তার কপাল হবে চওড়া উজ্জল নাকটি হবে উঁচু আর মাহদী পুরা পৃথিবীতে ইনসাফের ন্যায় বিচারে ভরে দিবেন।
আবু দাউদ শরীফ হাদীসের ৪২৮৫ নাম্বার হাদিস এর বর্ণনা।
নবীজি বলেন মাহদী আমার বংশধরের মধ্য থেকেই হবে। মাহদীর কপালটা হবে চওড়া উজ্জ্বল নাকটা হবে উঁচু পুরা পৃথিবীটা পৃথিবীর মধ্যে পাশবিকতা অত্যাচার জুলুম নির্যাতন জয়জয় কর অবস্থা যখন হবে ওই সময় পুরো পৃথিবীটাকে ইনসাফ ন্যায় বিচার দিয়ে ভরে দেবেন। তৃতীয় মাহাতি যিনি হবেন আল্লাহ এক রাতে তাকে খেলাফতের দায়িত্ব দিয়ে দিবেন।
ইবনে মাজাহ ৪০৮৫ নম্বর হাদিসের বর্ণনা
নবীজি বলেন মাহাদী হবে আমাদের আহাল বর্গের মধ্য থেকেই এক রাতেই আল্লাহ পাক তাকে খেলাফতের পুরা যোগ্যতায় দান করবেন। চার নম্বর ইমাম মাহদী তিনি হবে হযরত ফাতেমার বংশধর থেকেই হবেন।
ইবনে মাজাহ ৪০৮৬ নাম্বার হাদিস এর বর্ণনাঃ
অনুযায়ী সাঈদ ইবনে মুসাইয়েদ বলেন আমরা নবীজির স্ত্রী আম্মাজান উম্মে সালমার কাছে ছিলাম। তখন আমরা মাহদীর ব্যাপারে আলোচনা করছিলাম। মাহদীর ব্যাপারে আলোচনা করার পর আম্মাজান উম্মে সালমার বললেন নবীজির বিবি বলেন। আমি নবীজিকে বলতে শুনেছি তিনি মাহদী হবেন।
তিনি ফাতেমার বংশধর হবেন। তার মানে ফাতেমার বংশধর হাসান, আর হাসান এর বংশধর থেকে মাহদীর আগমন। হাসানের বংশধর থেকে যে আসবে তার দলিল।
আবু দাউদ শরীফ ৪২৯২ হাদিসের বর্ণনাঃ
অনুযায়ী হযরত আলী তার ছেলে হাসানের দিকে তাকালেন তাকায় বললেন আমার এই ছেলে হাসান জান্নাতের যুবকদের সরদার হবে যেমনটি আমাদের নবীজি বলেছেন। আর কি? তার বংশ থেকে একজন লোক বের হবে তার নাম হবে। তোমাদের নবীর নামে।
তাহলে বোঝা গেল মাহদীর নাম হবে নবীর নামে। মাহদীর চরিত্র নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লামের চরিত্রের সাথে মিল হবে।
আরো দলিল আবু দাউদের ৪২৮২ নম্বর হাদিস অনুযায়ীঃমাহদীর নাম হবে আমার নামে, আর মাহদীর আব্বার নাম হবে আমার আব্বার নাম, নবীজির আব্বার নাম আব্দুল্লাহ ঠিক তেমনি মাহদীর আব্বার নাম হবে আব্দুল্লাহ। তিনি পৃথিবীতে আসার পরে চলতে থাকবে এরকম অনেকদিন হঠাৎ একদিন ফজরের নামাজের সময় ঈসা আঃ মসজিদে এসে উপস্থিত হবেন।
আল্লাহ আবার ঈসা আঃ কে বলবে হে নবী স্মরণ করেন সেদিনের কথা যেদিন আপনাকে আমি বনি ইসরাঈলের হাত থেকে বাঁচিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠিয়ে নিয়েছি। আর হাওয়ারিনদের প্রতি আমি আল্লাহ উৎসাহিত করলাম। আমি তাদেরকে বুঝিয়ে দিলাম তোমরা আমার প্রতি ঈমান আনো আমার নবী ঈসার প্রতি তোমরা ঈমান আন।
আর বারো জন ধোপা যারা ছিল হাওয়ারিন গোত্রের লোক হাওয়ারিন বলতে বোঝানো হয়েছে। দেওয়ালে সাদা রং করা যেমন দেখায় তাকেই হাওয়ারিন বলে। আর তারা সব সময় সাদা ধবধবে কাপড় পরিধান করত তার জন্যই তাদেরকে হাওয়ারিন বলা হয়। আর তারা ১২ জনই ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান এনেছিল।
তারা বলল আমরা ঈমান আনলাম ঈসা নবীকে বললেন আপনি সাক্ষী থাকুন আমরা আপনার প্রতি ঈমান আনলাম। আল্লাহপাক বলেন মানে ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেন। হাওয়ারিন এরা ঈসা আঃ কে বলে আপনি আল্লাহকে বলেন তিনি যেন আমাদের জন্য দস্তরখানা ভর্তি খানা পাঠিয়ে দেন।
ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন এ তোমরা কি বলো তোমরা যদি মুমিন হও তারা বলল আমাদের ইচ্ছা আমরা একটু খাব ওখান থেকে আমাদের অন্তর যেন আশ্বস্ত হয়। হাওয়ারি এর বহুবচন হাওয়ারিন। আমাদের নবীজির এক বিখ্যাত সাহাবীকেও হাওয়ারি বলা হতো।
সহী বুখারীর ২৮৪৬ নম্বর হাদিস অনুযায়ীঃ
সাহাবীর নাম জুবাইর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু খন্দকের যুদ্ধ নবীজি একদিন বললেন কে পারবে আমাকে তাদের সংবাদ এনে দিতে জুবায়ের বললেন হুজুর আমি পারবো আবার নবীজি বললেন কে পারবে তাদের সংবাদ আমাকে এনে দিতে জুবায়ের তিনি আবার বললেন কে রাসুল আল্লাহ আমি পারবো আল্লাহ রাসূল বললেন।
প্রত্যেকটি নবীর বিশেষ সহচর থাকে আমার বিশেষ সহচর হচ্ছে জুবাইর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এবং তাকে আল্লাহ রাসূল হাওয়ারি বলতেন। আর হাওয়ারিন এরা বলল আমাদের প্রশান্তির জন্য ওগুলো খাদ্য এনে দিন আমরা তো বিশ্বাস করি কিন্তু আমাদের যেন প্রশান্তি হয় আমাদের আরো যেন দৃঢ় বিশ্বাস হয়। যে আপনি কথা গুলো বলেছেন।
সেগুলো সম্পূর্ণ সত্য ঈসা নবী বললেন আল্লাহ আসমান থেকে খানসা খাদ্য পাঠিয়ে দিন। আল্লাহ বলে কেন ঈসা বলেন আল্লাহ এখন এবং পরবর্তীদের জন্য আল্লাহ আনন্দের কারণ হয়।এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন। এবং আল্লাহ বলল অবশ্যই আমি দস্তরখানা ভর্তি খাবার দিব এটা দেখার পরেও যদি কেউ অবিশ্বাস করে অস্বীকার করে তাদের আমি এমন শাস্তি দিব।
যে শাস্তি দুনিয়াতে আর কারো দেয়া হয়নি। এবং আল্লাহ আসমান থেকে দস্তর ভর্তি খাবার পাঠালেন। উপরে মেঘ নিচে মেঘ তার মাঝখানে দস্তরখানায় মাছ রুটি ঘি ইত্যাদি খাবার ছিল। এবং ঈসা নবী ও তার হাজার হাজার অনুসারী নিজ চোখে আসমান থেকে খাবার আশা দেখেছিল। এবং আল্লাহ পাক বলল যে খাবার থেকে যেন কেউ জমা করে না রাখে।
জমা করে রাখতে পারবে না তোমাকে রাখলে সমস্যা হতে পারে একদল ভাবলো এটি বরকতময় খাবার জমিয়ে রাখাই ভালো আর জমিয়ে রাখার জন্য আল্লাহ এমন শাস্তি দিয়েছে বানর এবং শুকুরে পরিণত করে দিয়েছিল। স্ত্রীর পাশে শুয়ে থাকে তারা কথা বলতেও পারে কিন্তু তাদের চেহারা শুকুর এবং বানরের মতো আল্লাহ বলবেন।
ঈসা আপনি কি মানুষকে বলেছেন মানুষ তোমরা আমাকে এবং আমার মাকে খোদা মানো আপনি কি কথা বলেছেন। এই জন্য তাদের মধ্যে একটি দল রয়েছে যার তৃত্তবাদী। তৃত্তবাদী মানে ঈসা নবীরে তিন খোদার এক খোদা বলে জানতো ঈসা নবীর মারে এক খোদা। আর আল্লাহ তিনি তো আরেক খোদা। এ হলো তিত্তবাদী কাহিনী।
আরেক দল যারা ঈসাকে খোদা মানে না তবে তার ছবি সামনে নিয়ে পূজা করে আর এইগুলো কারণে আল্লাহ ঈসা নবীকে বলবে আপনি কি এগুলো বলেছেন? ঈসা নবী বলেন আল্লাহ আপনি পবিত্র আমি কিভাবে কথাগুলো বলব আল্লাহ এই কথা বলার মত আমার তো কোন হক নেই ক্ষমতা নেই। আল্লাহ আমি যদি বলে থাকি এ কথা।
আর যদি বলে থাকি আপনি তো ভালো জানেন আল্লাহ আমার মনে কি আছে আপনি তো ভালো জানেন আপনার মনে কি আছে আমিতো তা জানি না আল্লাহ আপনি হচ্ছেন সমস্ত অদৃশ্যের খবর রাখেন। আল্লাহ আমি তাদেরকে এতোটুকু হুকুম করেছি যে আল্লাহর হুকুম পালন করো যিনি আমারও আল্লাহ এবং তোমাদের আল্লাহ এর বেশি কিছু বলিনি।
এবং উম্মতদেরকে আল্লাহ এ কথা বলবে উম্মতরা এসে বলবে হ্যাঁ আমাদেরকে এ কথাগুলো বলেছে। যখন তারা বলবে যে হ্যাঁ বলছে। একথা শুনে ঈসা আঃ সালামের মাথার চুলগুলো খাড়া হয়ে যাবে আরে কি বলে এরা। শুধু ঈসাকেই নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে না অন্য নবীদের কেউ জিজ্ঞেস করা হবে। আপনারা আপনাদের উম্মতের কাছে আমার সম্পর্কে বলেন নাই।
উম্মতেরা সরাসরি বলবে না বলে নাই তখন আল্লাহ নবীদেরকে বলবে আপনারা আমার সম্পর্কে তাদেরকে বলেননি নবীগণ বলবেন জি বলেছি। আল্লাহ বলবেন তারা যে বলছে। আপনারা আমার সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করেন নাই আপনাদের কোন প্রমাণ আছে নবীগণ বলবেন জি আল্লাহ সাক্ষী আছে। আল্লাহ বলবেন কে সাক্ষী।
নবীগণ বলবে শেষ নবীর উম্মত অস্বীকার কারী বলবে এবং তারা বলবে শেষ নবীর উম্মত কিভাবে জানল শেষ নবীর উম্মত বলবে আমার নবীর কাছ থেকে জেনেছি বোঝা গেল আল্লাহপাক নবীদের কেউ নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে ছাড়েন নি। তাহলে আমাদেরকেও তার নেয়ামত সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাস করবেন।
হাত দিয়েছি পা দিয়েছি চক্ষু দিয়েছি কর্ণ দিয়েছি এসব নেয়ামতের কি শুকরিয়া করেছে আমরা নানান ধরনের অযুহাত আল্লাহ পাককে দেখাবো কিন্তু সেদিন কোন লাভ হবে না তাই আসুন আমরা আমাদের নেয়ামতের শুকরিয়া করি আল্লাহ পাক আমাদেরকে তার নেয়ামতের শুকরিয়া করার তাওফিক দান করুন আমীন।
শেষ কথাঃ
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবীদের কেউ যদি তার নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে তাহলে আমরা সাধারণ মানুষকে আল্লাহ অবশ্যই অবশ্যই নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। এই আলোচনা থেকে আমরা যা বুঝলাম মানুষ কে আল্লাহ কয় ভাবে সৃষ্টি করেছেন। হযরত ঈসা আলাই সাল্লাম কে কত নাম্বার আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন।
হযরত ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যে মোজেজা গুলো দিয়েছিলেন। সেইগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানলাম। তাই আমরা এই আলোচনা থেকে শিক্ষা নেই। এবং এ অনুযায়ী আমল করে আমাদের জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে কবুল করুন।
পরিশেষে আরেকটি কথা বলি আলোচনাগুলো পড়ে এবং বুঝে যদি আপনাদের কোন রকম উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমার সাইটটাকে ফলো দিয়ে রাখবেন। যাতে করে সুন্দর আলোচনা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি এই প্রত্যাশা রেখে আজকের মত এখানেই ইতি করছে আল্লাহ হাফেজ।