স্ট্যাবিলাইজার সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিন।
আমরা জানি খাবার টাটকা রাখার গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রের নাম ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর। বা সচরাচর অনেক ইলেকট্রনিক পণ্য আছে, যেগুলো শুধু বাজার থেকে কিনে ব্যবহার করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। এটার জন্য চাই সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি জরুরী। ফ্রিজও তেমন ইলেকট্রিক বৈদ্যুতিক একটি যন্ত্র।
ফ্রিজ কেনার আগে যেমন কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। আবার ফ্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ করতেও অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। সেটি হচ্ছে স্ট্যাবিলাইজার ইলেকট্রিক বৈদ্যুতিক যন্ত্র। যা আপনার ফ্রিজকে বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ উঠানামা থেকে সুরক্ষা করে থাকে।
ভূমিকা
পাঠক বৃন্দ আজকের ট্রাফিক হবে স্টাবিলাইজার সম্পর্কে এটা আমাদের ফ্রিজ বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ উঠানাামা থেকে সুরক্ষা করে। আর সেই ব্যাপারে আমরা বিস্তারিত জানবো এবং আমাদের ফ্রিজকে সুরক্ষিত রাখবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক ট্রফিকটি সম্পর্কে বিস্তারিত।
স্টাবিলাইজার কেন ব্যবহার করবেন?
ফ্রিজের জন্য নির্দিষ্ট বৈদ্যুতিক ভোল্টেজের প্রয়োজন হয়। যেমন, ইনপুট ভোল্টেজ ৮০, আউটপুট ভোল্টেজ ২২০ বৈদ্যুতিক লাইন ফ্রিজে সংযোগ দেওয়ার পরে নিশ্চিত হওয়া যায় না। যে ফ্রিজের ঠিক এই পরিমাণ ইনপুট ভোল্টেজ ও আউটপুট ভোল্টেজ পাওয়া যাবে। শহর অঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায়
এই ভোল্টেজ সব সময় একই থাকলেও গ্রামের বেশির ভাগ স্থানে।
এটার পরিবর্তন লক্ষণীয়। আর ফ্রিজের এই ভোল্টেজের তারতম্য ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক স্ট্যাবিলাইজার। ছোট্ট একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে পারা যায়। হার্ট যেমন মানব শরীরের প্রধান অঙ্গ, যা ছাড়া মানুষ বাঁচে না। তেমনি স্ট্যাবিলাইজার ফ্রিজের হার্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ফ্রিজের জন্য সঠিক ইনপুট ও আউটপুট ভোল্টেজ দেয়।
ব্যবহারের সুবিধা
বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ উঠানামা করলে রেফ্রিজারেটর নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্ট্যাবিলাইজার ব্য হার করা উচিত। অনেক ফ্রিজেই বিল্ট ইন ভোল্টেজ উঠানামা করার সহনশীলতা থাকে। কিন্তু ফ্রিজের কম্প্রেসর ও পাওয়ার সার্কিট ভালো রাখার জন্য ফ্রিজের ওপর এই দায়িত্ব ছেড়ে না।
দিয়ে ভালো মানের ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা উচিত। কারণ, ফ্রিজ যত বেশি ভোল্টেজ উঠানামা সহ্য করবে, দীর্ঘ মেয়াদে কুলিং পারফরম্যান্স (ঠান্ডা করার ক্ষমতা ততই কমতে থাকবে। লোডশেডিংয়ের পর যখন বিদ্যুৎ আসে, ততক্ষণ স্ট্যাবিলাইজার সঙ্গে সঙ্গে তা যন্ত্রপাতিকে সরবরাহ না।
করে কয়েক সেকেন্ড পর পর্যন্ত নিজের মধ্যে সরবরাহ করে। ফলে লাইউঠানামা ফলে ক্ষতির হাত থেকে ফ্রিজকে রক্ষা করতে ব্যবহার করুন স্বয়ংক্রিয় ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার।
ভলো স্ট্যাবিলাইজার ফ্রিজ সুরক্ষা করে।
স্ট্যাবিলাইজার নকল বা নিম্নমানের হলে দাম দিয়ে কেনা ফ্রিজটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিদ্যুতের ভোল্টেজ উঠানামা করার কারণে ফ্রিজ যেন নষ্ট না হয়। সে জন্য ভালো মানের ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করে থাকেন। অনেকেই বিদ্যুৎ চলে গেলে, হঠাৎ এলে কিংবা ভোল্টেজ
উঠানামা করলে কম্প্রেসরের মোটর উল্টো ঘুরতে পারে। এতে কম্প্রেসর জ্বলে যেতে পারে। তাই ভালো মনের স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করলে ফ্রিজ অনেক দিন ভালো থাকে।
দরদাম
বিভিন্ন কোম্পানির স্টেবিলাইজার বিভিন্ন দামে হতে পারে। ৩২০০ শত ৪ হাজার ৪৫০০ হাজার পাঁচশত পাঁচ হাজার বিভিন্ন দামের হতে পারে। এবং ৬০০-১০০০- ১৫০০ ভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন স্ট্যাবিলাইজার বাজারে রয়েছে।
কোথায় পাবেন?
স্টেবিলাইজার সাধারণত ইলেকট্রিক দোকানে পাওয়া যায়। যেমন ওয়াল্টন শোরুম অলভিশন শোরুম ইত্যাদি শোরুমে খোঁজ করবেন। ইলেকট্রিক পণ্য পেয়ে যাবেন।
স্টেবিলাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক?
স্টেবিলাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক কি? যদি আপনার এলাকার বিদ্যুতের ভোল্টেজ কম হয়। এবং প্রায় সময় উঠানামা করে তাহলে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা উচিত। আর যদি ভোল্টেজ সবসময় ২২০-২৪০ভোল্ট এর মধ্যে থাকে তাহলে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই আপনার ফ্রীজের কম্প্রেসর সুন্দরভাবে কাজ করবে।
ভালো মানের নতুন রেফ্রিজারেটরের জন্য বিদ্যুতের বিল প্রতি মাসে গড়ে ১৫০-২০০টাকার বেশি হবে না। তবে বার বার খোলা কিংবা বেশিক্ষণ খোলা রাখলে সামান্য কিছু খরচ বেশি হতে পারে।৫বছরের বেশি পুরানো রেফ্রিজারেটরের বিদ্যুতের বিল দেড় থেকে দুই গুণ বেশি হতে পারে। সেই দিকে খেয়াল রাখবেন।
লেখকের কথা
আপনারা আর্টিকেল পড়ে স্টেবিলাইজার সম্পর্কে অনেক কিছু জানলেন। আশা করি আপনারা এখান থেকে উপকৃত হবেন। আর যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমার পেজটিতে ফলো দিয়ে রাখবেন। যাতে করে সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আপনাদের তুলে ধরতে পারি। এই প্রত্যাশা রেখে আর্টিকেলটি ইতি করছি। আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তৌফিক দান করুন আমীন।