শীতে পা ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জেনে নিন
আমরা জানি শীত আসলে আমাদের চামড়া শরীর ফেটে চৌচির চৈত্র মাসের খরাই ফেটে যাওয়া জমিনের মত হয়ে যায়। যার কারণে আমাদেরকে নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নানান ধরনের প্রসাধানি ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া শরীর অংশ পা হাত-ভাটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া অসম্ভব হয়ে যায়।
তাই আমি আপনাদেরকে শরীরের অংশ পা হাত ফাটাতে ব্যবহার করার মত কিছু প্রসাধনী বা টিপসের কথা বলে দেব আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
ভূমিকাঃ
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের আর্টিকেলটি শীতে শরীরের অংশ পা হাত হাঁটা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু প্রসাধানি বা টিপস বিষয়ে ধারণা দেবো আমি আশা করি। এখান থেকে অবশ্যই আপনারা উপকৃত হবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে মন ভালো চেনাই যাওয়া যাক।
শীতের সময় শরীরের অংশ পা হাত ফাটার কিছু কারণ নিম্নে বর্ণিত
- অতিরিক্ত ধুলাবালি শরীরে লাগা
- রোদের তীব্রতা কম হওয়ার কারণে
- বাড়ির বাইরে যাওয়ার পূর্বে লোশন ব্যবহার করতে ভুলে যাওয়া
- এবং শীতে পানি কম খাওয়ার কারণে
শীতের সময় হাত -পা ফাটার একটা বড় কারণ হলো শীতের কারণে শরীরে যেই ধুলাবালি লেগে থাকে যার কারণে এ সময় হাত-পা রুক্ষ হয়ে যায়। এছাড়াও অবহেলা ও ব্যস্ততার কারণে সঠিক ভাবে যত্নের অভাবে অনেকেরই হাত-পা ফেটে যায়। এ থেকে বাঁচার জন্য যদি শীতের শুরুর দিক থেকেই ময়েশ্চারাইজার লাগানো শুরু করেন।
তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ফাটার থেকে পা-হাত রক্ষা করা সম্ভব। তাই আশা করি শীতের শুরু থেকেই আপনারা হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে হলেও সঠিকভাবে শরীরে অঙ্গ পা হাত কে যত্ন নেবেন। রোদ অনেক তীব্রতা কম থাকার কারণে এ সময়ে বেশি ক্ষতি করে। তাই বাড়ির বাইরে বের হবার আগে কোনও ভাবেই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
যদি ভুলে যান তাহলে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই অবশ্যই বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় খেয়াল রাখতে হবে। এবং আশা করি সহজেই কথা গুলো বুঝতে পেরেছেন। চামড়ার শরীরের অন্যান্য ত্বকের মতন শীতকালে হাঁটু, গোঁড়ালি, এবং কনুইয়ের ত্বক একটু বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে গ্লিসারিন খুব ভালো কাজ করে।
তাই খুব বেশি রুক্ষ হয়ে গেলে রুক্ষ হয়ে যাওয়া জায়গায় সপ্তাহে একবার লেবু ও মধু মিশিয়ে ওই সমস্ত জায়গা গুলোতে ব্যবহার করতে পারেন। বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে সোডা মেশানো কুসুম গরম পানিতে পা-হাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এতে চিনি, লবণ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন । এতে পা-হাতের মরা চামড়া উঠে যাবে।
খুব বেশি ফাটা না থাকলে ঝামা বা যেটাকে আমরা ঘষা বলি সেটি দিয়ে পায়ের তালুটা ঘষে নিতে পারেন। আর যদি সম্ভব তাহলে মাসে একবার মেনিকিউর ও পেডিকিউর করান। শীতে পা-হাত ফাটার সমস্যা থাকলে, এখন থেকেই পা-হাত মোজা পরুন। অনেকটা কমবে পা-হাত ফাটার আশঙ্কা। শীতের সময় পা-হাত ও উভয় অঙ্গের পাশাপাশি পা-হাত এর নখও শুষ্ক হয়ে পড়ে।
এর থেকে রক্ষা পাবার জন্য সম্ভব হলে ভিটামিন-ই ক্রিম পা-হাত লাগাতে পারেন। এতে পা-হাত এর নখভাঙা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত নখ গুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। এছাড়াও আর একটা উপায়ে নখের যত্নে আপনি গরমপানি ও শ্যাম্পুর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
শুধু তাই নয়। শীতকালে শীতের তীব্রতায় প্রায় সবারই ঠোঁট ফাটা সমস্যা দেখা দেই। এর প্রধান কারণ হল ত্বকের বা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে ঠোঁটের শুষ্কতা বেশি। তাই এই সময় ঠোঁটে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখা অনেকটা দরকার বলে আমি মনে করি। এক্ষেত্রে আপনি লিফজেল চ্যাপস্টিক, পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। লিপস্টিক হিসেবে বেছে নিন।
ভিটামিন ই যুক্ত বা সানস্ক্রিনযুক্ত লিপস্টিক। চেষ্টা করবেন যাতে করে আপনার ঠোঁটটা সব সময় ভেজা ভেজা থাকে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই গ্লিসারিন লাগান ঠোঁটে। তবে, মনে রাখবেন ত্বকের সজীবতায় খাদ্য অভ্যাসটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাদ্য অভ্যাস ভালো না হলে ত্বক সঠিক মাত্রায় পুষ্টি পায়না। যার ফলে যত পরিচর্যাই করা হোক না।
কেন ত্বক সতেজ থাকেনা। আর সবচেয়ে বেশি উপকারী হচ্ছে বেশি পানি পান করা। তাই আশা করব ত্বক শরীরের অঙ্গ পতঙ্গ সুস্থ রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন।
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠক বৃন্দ উপরের লিখিত আর্টিকেলর কথাগুলো পড়ে আশা করছি ভালো লেগেছে এবং উপকারে আসবে আশাবাদী যদি এটি পড়ে উপলব্ধি করতে পারেন উপলব্ধি করতে পারেন এবং কোন উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই একটি লাইক আমার সাইটটিতে শেয়ার আশাবাদী অনুগ্রহ করে শেয়ার করে দিবেন। এবং আপনাদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু প্রত্যাশা করে আর্টিকেলটি সমাপ্ত করছি।