খিচুড়ি পুষ্টিগুণ ও মানসম্মত খাবারের জেনে নিন
মানসম্মত পুষ্টিকর খাবারের তালিকা প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি সুন্দর একটি রেসিপি যদিও আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি সেটি হচ্ছে খিচুড়ি আমরা এই মজাদার খিচুড়ি খাই কিন্তু এর মধ্যে কত গুণাগুণ রয়েছে। সে বিষয়ে আমাদের অনেকেরই অজানা।
তাই আজকে অজানা কিছু বিষয় অর্থাৎ খিচুড়ি খাওয়ার বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব যা আপনাদের খাদ্য আহরণে উৎসাহিত করবে। তাহলে চলুন দেরি না করে কি ছড়িয়ে গুনাগুন সম্পর্কে কিছু ধারণা নেই।
ভূমিকাঃ
সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা আজকে খাবারের তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার খিচুড়ি এ বিষয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব যা আপনাদের নিত্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যুক্ত করার জন্য সহায়ক হবে। আমরা জানি আমরা সকলেই প্রায় খাই কিন্তু এর মধ্যে কতটুকু গুণাগুণ রয়েছে।
এ বিষয়ে আমাদের অনেকেরই অজানা তাই আপনাদেরকে অজানা বিষয়গুলো জানানোর চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। তাহলে চলুন দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
আরো জানতে এখানে চাপ দিনঃ শীতকালে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত পিঠা সম্পর্কে জেনে নিন।
খিচুড়ি একটি স্বাস্থ্যসম্মত রুচি কর ও এনার্জি বৃদ্ধিকরণ একটি খাবার এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই পুষ্টিগুণ গুলো সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে আমরা জানবো। আর খিচুড়ির মধ্যে থাকা পুষ্টিকর উপাদান আপনার এনার্জির মাত্রাকে আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে। এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়। খিচুটির
ভিতরে থাকা জিরে হলুদও বিশেষ উপকারি ও স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর রক্তচাপ কমাতে সহায়ক ডিটক্স খাবার খিচুড়ি রাতেও অনায়াসে খিচুড়ি খেতে পারেন। সকালের নাস্তাতে খিচুড়ির মজা আলাদা যদি খিচুড়িতে গোশতের কিছু টুকরা থাকে সেটিতে টেস্ট আরো বৃদ্ধি করে দেয়। শুধু তাই নয় এই সুস্বাদু খিচুড়ি বর্ষার দিনে বৃষ্টির সময়।
বাইরে বাড়ির বাইরে রিমঝিম বৃষ্টি আর খাবার টেবিলে ধোয়া ওঠা গরম খিচুড়ির সঙ্গে ডিম ভাজা, বেগুন ভাজা আর আচার। আয়োজন আরেকটু বিস্তৃত হলে ভালো হয়। যদি থাকে একটুকরো মাছের বা মাংসের টুকরো। আর এ ধরনের দৃশ্য আমাদের দেশে বেশ অনেক পরিচিত। এই যে বৃষ্টি এলেই খিচুড়ি খাচ্ছেন। এটি কি উপকারী সেই বিষয়ে কিছু ধারণা চলুন জেনে নেওয়া যাক।
খিচুড়ির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অল্প কিছু ধারনা
খিচুড়ি কেবল রোগীর পথ্য বা শিশুর খাবার নয়। এতে থাকে পুষ্টির সঠিক সামঞ্জস্য। খিচুড়ি খেলে শরীরে মিলবে শর্করা, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। খিচুড়ি রান্নায় যদি আপনি নানা ধরনের সবজি যোগ করেন। তবে এর স্বাদ ও পুষ্টি দুটিই অনেক গুনে বেড়ে যাবে। সেইসঙ্গে হজমেও হবে সহায়ক।
বৃষ্টির দিনে তাই সবজি খিচুড়ি হতে পারে আদর্শ মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার। তাই আমি মনে করি এই মানসম্মত পুষ্টিকর খিচুড়ি খাওয়া অতীব জরুরী শরীর সুস্থ রাখার জন্য আর এটি সকলের জন্যই প্রযোজ্য ধনী কিংবা গরিব। শিশু কিংবা বয়স্কদের খাবারের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হয়। কারণ তাদের অনেক খাবারই সহ্য হয় না।
আরো পড়ুনঃ শীতের ভিজানো পিঠা বাঙ্গালীর আনন্দ উৎসব
তাদের জন্য এমন মানসম্মত পুষ্টিকর খিচুড়ি খাবার রান্না করতে হয়। যেগুলো নরম ও সহজে হজম উপযোগী। এক্ষেত্রে খিচুড়ি হলো একটি আদর্শ খাবার। কারণ খিচুড়ি নরম ও মজাদার হওয়াতে এটি সহজেই খাওয়া যায়। আবার আপনি চাইলে একটু পাতলা করেও রান্না করতে পারেন।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তির জন্য মানসম্মত পুষ্টিকর রান্না করা খিচুড়িতে যেন তেল-মসলা অতিরিক্ত ব্যবহার করা না হয়। অল্প মসলায় রান্না করলে তা খাবারের উপযোগী হবে।
মানসম্মত পুষ্টিকর খিচুড়ি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
খিচুড়ি হলো এমন একটি খাবার, যার সঙ্গে বাড়তি কিছু না খেলেও চলে। অর্থাৎ একথালা খিচুড়িতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অনেকটাই পাওয়া যায়। এটি শরীরকে শীতল রাখার পাশাপাশি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও কাজ করে। পরিপাক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে বাইরে থেকে কিনে না খেয়ে বাড়িতে তৈরি খিচুড়ি খান। এতে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।
গ্লোটেন মুক্ত খিচুড়ি
অনেকে আছেন যারা গ্লোটেনমুক্ত খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। অনেকের আবার চিকিৎসকের নিষেধ থাকার কারণে গ্লোটেনমুক্ত খাবার খেতে পারেন না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আপনাকে খাবারের তালিকায় রাখতে হবে খিচুড়ি। এটি আপনার শরীরের নানা ঘাটতি মিটিয়ে সুস্থ থাকতে অনেক সাহায্য করবে। মানসম্মত পুষ্টিকর খিচুড়ি।
বারান্দা বা জানালার বাইরে গুড়ি গুড়ি বা মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে গোপন যোগ সাজেস আছে হাসেল বা রান্নাঘরের। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি ছাড়া অনেকের চলেই না। আর এখন স্বল্প আয়ের মানুষ চওড়াদামের খাবার খেতে না পারক তাই মানসম্মত পুষ্টিকর খিচুড়ি খরচের মাত্রাটা কমিয়ে আনবে। এবং শরীরের পুষ্টি গুণ ধরে রাখবে।
আরো জানতে এখানে ক্লিক করুনঃ ডাল খিচুড়ি উপকরণ সমূহ সহজেই জেনে নিন
এমন বাজার ক্রয় সংকটমুহুর্তে এক প্লেট ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ি আপনার ‘মুডের সুইচ অন’ করে দিতে পারে। ব্যাচেলররা আরও ভালো বলতে পারবে খিচুড়ির মাহাত্ম্য। সেই খিচুড়ি ‘ল্যাটকা’ হবে, না ঝরঝরে, তা নিয়ে রয়েছে। নানা জনের নানা মত। সে যে খিচুড়িই হোক, তার সঙ্গে খাতির জমাতে পারে ডিমভাজা, বেগুনভাজা।
সেই পাতে কাঁচা পেয়াজের সঙ্গে সর্ষের তেল দিয়ে শুকনা মরিচের ভর্তা হলে তো কথাই নেই। তাই অনুরোধ করব এই পুষ্টিকর মানসম্মত রুচিকর খিচুড়ি আমরা সকলেই সকাল কিংবা সন্ধ্যায় খাওয়ার চেষ্টা করব আশা করি ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন।
খিচুড়িতে থাকে ভাতের শর্করা, ডালের প্রোটিন আর সবজির ভিটামিন। তাই সুষম পুষ্টিতে ভরপুর খিচুড়ি। আর খিচুড়িতে ব্যবহৃত ডাল, যেমন মুগ বা মসুর বা ছোলা ফাইবারের ভালো উৎস। এতে ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, তামা, পটাশিয়ামসহ উপকারী অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে। ডাল প্রোটিনের চাহিদা মেটানোসহ হজমে সহায়তা করে।
খিচুড়িতে একই সঙ্গে শর্করা, ক্যালসিয়াম, আমিষ, ভিটামিনসহ অন্য বেশ কয়েকটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় একে শক্তিবর্ধক ও স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বিবেচনা মনোনীত করা হয়েছে।
মানসম্মত পুষ্টিকর খিচুড়ি তৈরির উপকরণ
মানসম্মত খিচুড়ির তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণঃ সরিষা তেল ১/৩ কাপ, তেজপাতা ১টি, এলাচ ৩টি, দারুচিনি টুকরো ২ টি, পেঁয়াজ কুঁচি ১/২ কাপ, ১ টেবিল চামচ আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া ১/২ চামচ, পোলাও চাল ৬ কাপ, মসুর ডাল ১ কাপ, গরম পানি ১২ কাপ, কাচা মরিচ ৬ টি, গরম মসলার গুঁড়া ১/২ চামচ ইত্যাদি।
অথবা মাঝারি আকারের মোরগ ২টি, পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, মুগডাল ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৮-১০টি, পেঁয়াজবাটা ৩ টেবিল চামচ, আদাবাটা ২ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, টক দই আধা কাপ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ৩ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, দারুচিনি ২ টুকরা, এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৪টি ও তেজপাতা ২টি।
ডাল শুকনা খোলায় ভেজে নিন। চাল, ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। মোরগের মাংস পছন্দমতো টুকরা করে নিন। লবণ, সব বাটা মসলা, টক দই দিয়ে মাখিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন। তেল গরম করে গরম মসলার ফোড়ন দিয়ে দিন। পেঁয়াজ ভেজে মসলা মাখানো মোরগ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। ১ কাপ পানি দিয়ে ৫-৭ মিনিট রান্না করুন।
মাংস উঠিয়ে ঘি, চাল, ডাল দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে ৫ কাপ গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। খিচুড়ির পানি কমে গেলে, উঠিয়ে রাখা মাংস, কাঁচা মরিচ, কিছু বেরেস্তা দিয়ে দিন। খিচুড়ি এমনভাবে নাড়তে হবে যাতে মাংসগুলো ভেতরে চলে যায়। ওপরে কিছু বেরেস্তা ছিটিয়ে ভালো করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ২০-২৫ মিনিট দমে রেখে পরিবেশন করতে হবে।
লেখকের কথাঃ
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি ছিল খিচুড়ির পুষ্টিগুণ ও মানসম্মত ধরন সম্পর্কে আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে রান্নার জন্য অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি আর যদি উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই পেজটিকে ফলো দিতে ভুলবেন না। কারণ আপনারা যদি ফলো দিয়ে রাখেন।
তাহলে পরবর্তীতে নতুন নতুন পোস্ট লিখতে উৎসাহিত হব তাই আপনাদেরকে ফলো দেওয়ার অনুরোধ রেখে এবং আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত আর্টিকেল লেখা শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ