মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

শীতকালে কেন কাঁচা বাদাম খাওয়া জরুরি বিস্তারিত জেনে নিনমেথি ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় অনেক ব্যবহার হয়। এবং গ্রাম বাংলার মানুষের রান্না তৈরীর প্রিয় একটি উপাদান। যা মশলা বা পানের মশলা হিসাবেও এটি প্রচুর ব্যবহার হয়। এটি পাঁচ ফোড়নের একটি বিশেষ উপাদান। 
মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
মেথি রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে হজম জটিলতা, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মেথি সহায়ক ভূমিকা রাখে।

ভূমিকাঃ

প্রিয় পাঠক আপনারা জানেন। আমার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়। আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই আজকেও রান্নার উপাদান বিশেষ করে। ইউনানী আয়ুর্বেদিক কবিরাজিদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। 
সেটি আর কিছু নয় মেথি আজকে আমরা মেসির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যা আপনাদের অনেক কাজে আসবে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আমরা মেসির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

মেথি খাওয়ার নিয়ম

একটি গ্লাসে সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানিটা ছেঁকে পান করুন। তাৎক্ষনিক খাওয়ার জন্য গরম পানিতে ভিজিয়েও খেতে পারেন। বেশি মাত্রায় মেথি খাওয়া রক্তের শর্করারা মাত্রা হ্রাস করে। তাই ওজন কমাতে বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সঠিক মাত্রায় মেথি খাওয়া যেতে পারে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আর ভারতীয় এক পুষ্টিবিদ রাশি চাহল হেল্থশটস ডটকময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন। ডায়াবেটিস মেলিটাস বিপাক সংক্রান্ত রোগের মধ্যে অন্যতম যা খাবার থেকে দেহের শক্তি গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধিকরে। দেহ হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাবারকে গ্লোকোজের পরিণত করে। 

এবং রক্তে সরবারহ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি ইন্সুলিন সরবারহ করে যা দেহ কোষে গ্লোকজের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করে। আয়ুর্বেদের ওপর করা গবেষণার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়। মেথিতে থাকা দ্রবণীয় আঁশে রয়েছে। গ্লোকোমানান আঁশ যা অন্ত্রে শুষে নেওয়া শর্করাকে ধীর করে।

রাশি চাহাল বলেন। মেথি বীজ উচ্চ দ্রবণীয় আঁশ সমৃদ্ধ যা হজম ও কার্বোহাইড্রেইট শোষণকে ধীর করে রক্তের শর্করা কমাতে সহায়তা করে। খাবারে মেথি বীজ যোগ করা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও উপবাসের মাধ্যমে রক্তের গ্লোকোজ ও এইচবিএসি এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ অনুশীলনে প্রভাব রাখে। তবে এতে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।

মেথি প্রতিদিন খেলে কি হয়

আসলে মেথি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ফাফালো পেটে জমে থাকা গ্যাস মেথির দারায় হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে গ্যাস নিরসনে সহায়ক হয়। এবং পেতে জমে থাকা চর্বি দূর করতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। তাই যদি সম্ভব হয়। তাহলে প্রতিদিন কন্টিনিউ হবে মেথি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

মেথি চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

মেথির মধ্যে রয়েছে একরকম অ্যামাইনো অ্যাসিড (4HO-lle), যা ডায়াবেটিস রুখতে সাহায্য করে। আর তাই যাদের ডায়াবেটিস থাকে তাদের মেথি চিবিয়ে খেতে বলা হয়। অথবা মেথি ভেজানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্যানসার রুখতেও মেথির ভূমিকা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আয়ুর্বেদ। তবে আমি নিজেও এর গুনাগুন পেয়েছি।
যাদের ‘বডি ইনডেক্স’ বেশি ও খাবারে কম ক্যালরি গ্রহণের অনুশীলন করেন তাদের শর্করারা মাত্রা বা ইন্সুলিন প্রতিরোধের জন্য মেথি বীজের গুঁড়া বা মেথি ভেজানো পানি পানের পরামর্শ দেওয়া হয়। তাহলে বোঝা যায়। ভিজিয়ে খাওয়ার চাইতে মেথি চিবিয়ে খাওয়া উত্তম আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।

ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে মেথির উপকারিতা

ভারতীয় পুষ্টিবিদ রাশি চাহালের মতে চার থেকে ছয় মাস দৈনিক ১০ গ্রাম মেথি খাওয়া এইচবিএ ওয়ান সি এবং রক্তের শর্করার মাত্রা কমানো প্রক্রিয়া সহায়তা করে। ডায়াবেটিস অ্যান্ড মেটাবলিক ডিজঅর্ডার জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যাভ্যাসে দৈনিক ১০ গ্রাম মেথি বীজ খাওয়ার সঙ্গে ‘প্রিডায়াবেটিস’ হওয়া থেকে দূরে রাখতে পারে।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ রাশি চাহাল সতর্ক করে বলেন। রক্তের শর্করার মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কারণ ভেষজ উপাদান ধীরে কাজ করে। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেথি খাওয়া উচিত। কারণ ওষুধ ও খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ।

ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার নিয়ম

মেথি বীজ ভিলিন্ডারে বা শিল্টি পাটাতে পিষে একটি পেস্ট তৈরি করে এক চামচ মধু মিশিয়ে খান। ওজন কমতে সাহায্য করবে। সকালে খালি পেটে মেথির পানি খেলে ওজন কমাতে পারেন। এক চা চামচ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খেতে পারেন। একটি শুকনো কড়ায় মেথির বীজ নেড়েচেড়ে নিন। তারপর বীজের গুঁড়ো করে করুন। 

এক গ্লাস গরম পানিতে সেই মেথি বীজের গুঁড়ো এক চা চামচ মতো মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার শরীরে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও মেথি ভেজানো পানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। শুধু তাই নয় ভালো রাখে লিভার ও কিডনির স্বাস্থ্য। আরো মেথির বীজে পুষ্টিকর উপাদান থাকে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক। মাথার খুশকি দূর করে।

ভাল ফল পেতে মেথির এই পানি দিনে দু'বার খেতে পারলে ভাল। পরীক্ষা করে দেখা গেছে মেথি ব্রেস্টমিল্কের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যা সদ্যোজাতের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। এছাড়াও মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গ্যাস, বদহজম, হজম, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাও দূর করতেও খাওয়া যেতে পারে মেথির পানি।

মেথি রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকালে মেথি সহ পানি খালি পেটে খেলে পুরুষের বীর্যের শুক্রানু বাড়ে তবে ৩ মাস নাগাতার খেতে হবে। যাদের দাম্পত্য জীবনে বাচ্চার প্রয়োজন অথচ বাচ্চা হচ্ছে না। পুরুষের সমস্যার কারনে তারা তাদের শুক্রানু বাড়াতে ৩ মাস মেথি গোটা বা গুড়া পানিতে রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খান।

পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

আমাদের বাসা বাড়ির রান্নাঘরেই এমন অনেক মশলা বা রান্নার উপাদান রয়েছে। যেগুলির ঔষধি গুণ অসাধারণ। অথচ এই বিষয়টাই অনেকের নজর এড়িয়ে যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল মেথি বা ফেনুগ্রিক মেথি শাক অথবা মেথি দানার উপকারিতা আমরা কম-বেশি সকলেই জানি। নানা রকম ভাবে খাবারে স্বাদ-গন্ধ আনতে এর জুড়ি মেলা ভার। শুধু তাই নয়। 

এই উপাদান শরীর সুস্থ রাখতেও অপরিহার্য। আবার ত্বক এবং চুলের জন্যও মেথি দারুণ উপকারী।সাম্প্রতিক গবেষণায় আবার দারুণ একটা তথ্য সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, পুরুষদের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়াতে মেথি দারুণ কার্যকরী। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, পুরুষ যৌন স্বাস্থ্যের জন্য মেথি অত্যন্ত উপকারী। 

বিশেষজ্ঞদের মতে মেথি বীজ বা মেথি দানায় ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এর মধ্যে রয়েছে। ভিটামিন এ,ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি। ভিটামিনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন এবং বায়োটিনও থাকে। এছাড়াও মেথির মধ্যে আরও দুটি কার্যকরী উপাদান রয়েছে। স্যাপোনিন এবং কুমারিন। এই দুই রাসায়নিক উপাদান রক্তে শর্করার পরিমাণ। 

এবং পুরুষদের দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। মেথি কী ভাবে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। টেস্টোস্টেরন হল সেক্স হরমোন। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের দেহেই এই হরমোনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যৌন ক্রিয়ায় সাহায্য করার পাশাপাশি এনার্জির মাত্রা বাড়াতে দেহের হাড় মজবুত করে। 

এবং মন মেজাজ ভালো রাখতে এই হরমোন দারুণ সহায়তা করে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং ওবেসিটি ও ডায়াবেটিসের মতো কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে শুরু করে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পঁয়তাল্লিশের উর্ধ্বে যেসব পুরুষের বয়স, তাদের ৩৯ শতাংশের মধ্যেই টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি রয়েছে। 

এই ধরনের সমস্যা যাতে না তৈরি হয়। তার জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি। আবার অনেকেই এই ধরনের চিকিৎসার রাস্তায় হাটেন না। তারা সাধারণত বিকল্প পথ অবলম্বন করেন। তারা সাধারণত প্রাকৃতিক উপায়ে বা ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমেই টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। 

আর এক্ষেত্রে অনেকেই ব্যবহার করেন হার্বাল সাপ্লিমেন্ট, যা মেথি থেকেই তৈরি করা হয়। এছাড়াও মেথির নানান গুণাগুণ রয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। 
  • রক্তে উচ্চ মাত্রায় শর্করার উপস্থিতি হ্রাস করতে পারে মেথি। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মেথি দারুণ ওষুধ। 
  • মেথির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। 
  • মেথি কোলেস্টেরল কমাতে অথবা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। 
  • গবেষণায় দেখা গিয়েছে মারণ ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে মেথির নির্যাস।
মেথি বীজ বাংলাদেশ সহ ভারতীয় বাড়িতে ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় মশলা। এটি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। বিশেষ করে এটি মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী। পিরিয়ডস সমস্যা পিরিয়ড এর সময় নারীদের নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই সময় যদি কোন মেয়ে বা মহিলা নিয়মিতভাবে মেথি ব্যবহার করে। 

তাহলে মেয়ে বা মহিলাদের পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব সহ নানান ধরনের জটিল রোগের সমাধান মিথির ভূমিকা ও অপরিসীম। শুধু তাই নয় মেয়ে বা মহিলাদের পেটে জমে থাকা চর্বি বা ওজন কমাতে ও সাহায্য করে।

মেথি ত্বকের সমস্যায় কার্যকর

ছেলে ও মেয়ে উভয়দের বিশেষ করে। যদি ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকে বা মুখে কোনও দাগছোপ থাকে সেটা দূর করে দিতে পারে মেথি। রাসায়নিক যুক্ত যে কোনও ক্ষতিকর প্রসাধনীর চেয়ে মেথি অনেক দ্রুত কাজ করে ত্বকে। মেথি টোনার হিসাবেও খুব ভালো কাজে দেয়। সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি স্প্রে বোতলে রেখে টোনার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

মেথির উপকারিতা চুলের জন্য

মেথির উপকারিতা চুলের জন্য মেথির মধ্যে রয়েছে লেসিথিন নামক একটি উপাদান, যা চুল এবং মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ কমায়। মেথির মধ্যে অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা খুশকির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে।

মেথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

পুষ্টিবিদেরা বলেন, রক্তের শর্করা কমানোর ভেষজ উপাদান যেমন- মেথি খাওয়া অনেক সময় শর্করার মাত্রা খুব বেশি কমিয়ে ফেলে। তাই এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। রক্তের শর্করা মাত্রা খুব বেশি কমে যাওয়া শর্করা বৃদ্ধির মতোই ক্ষতিকর।

ওষুদের পাশাপাশি মেথি বীজ খাওয়া ক্ষতিকারক। কারণ শর্করার মাত্রা খুব বেশি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া, শরীরচর্চা করা ও সুস্থ থাকতে নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

লেখকের কথাঃ

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আজকের আর্টিকেলটি ছিল। মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আশা করি যারা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করেছেন। এখান থেকে অবশ্যই উপকৃত হবেন। পরিশেষে আপনাদের সুস্থতা দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত আর্টিকেলটি এখানে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন