কম্পিউটার পরিচিতি এবং সিস্টেম ব্যবহার সম্পর্কে কিছু ধারনা জেনে নিন
ইলেকট্রিক টুলস সম্পর্কেকম্পিউটার হচ্ছে এমন একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র যার মধ্যে খুব সহজেই অল্প সময়ে প্রচুর তথ্য সম্বলিত ও বড় গণিতিক হিসাব সমূহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান খুব সহজেই করা যায়। এতে রয়েছে।
মেমোরি অংশ নিয়ন্ত্রণ গাণিতিক ও যুক্তি অংশ ও নির্গমন অংশ এটি সমস্ত ধরনের ডাটাকে বাইনারিতে রূপান্তরিত করে সমাধান শেষে আবার ডাটায় রূপান্তরিত করে প্রকাশ করে। এটা কোন টেক্সট সাউন্ড বা ছবিতে বাইনারিতে রূপান্তরিত করা।
আরো পড়ুনঃ আর্থিং কি কাকে বলে এবং এর প্রয়োজনীয়তা
ছাড়া চিনতে পারেনা এটি ডাটা গ্রহণ করে পরে এনালাইজ বা পর্যবেক্ষণ করে। এবং ফলাফল প্রকাশ করে থাকে এটি অতি দ্রুত এবং নির্ভর যোগ্য ফলাফল প্রকাশ করে থাকে।
ভূমিকাঃ
সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা কম্পিউটার সিস্টেম পরিচিতি এবং ব্যবহার সম্পর্কে অল্প হলেও কিছু ধারনা নেব যেটি আমাদের ইলেকট্রিক যন্ত্র কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক টা উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি। শুধু তাই নয় কম্পিউটার সিস্টেমের ইউনিট সমূহ কিভাবে শনাক্ত করতে পারব সেই ব্যাপারেও কিছু ধারণা শেয়ার করা হবে।
আরো আমরা ধারণা নিতে পারব মাইক্রো কম্পিউটারের প্রত্যেকটি ইউনিটে সংযোগ কিভাবে করতে হয়। এবং পিসি চালু বন্ধ ও পুনরায় চালু করতে পারব সহজেই তাহলে চলুন। দেরি না করে আমরা
কম্পিউটার সিস্টেম পরিচিতি ও ব্যবহার সম্পর্কে কিছু ধারনা নেই।
- কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কিছু ধারণা নেই।
- কম্পিউটারে নির্ভুল ফলাফল
- দ্রুত গতিতে ডাটা সংরক্ষণে
- স্মৃতি বা মেমোরি ব্যবহার করা
- স্বয়ংক্রিয় কর্ম ক্ষমতা
- নিরলস কাজ করার ক্ষমতা
- আরও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিদ্যামান।
- কম্পিউটার ইলেকট্রিক যন্ত্র প্রকারভেদ সম্পর্কে ধারণা
- এনালগ কম্পিউটার
- ডিজিটাল কম্পিউটার
- মাইক্রো কম্পিউটার
এনালগ কম্পিউটারঃ সাধারণত কাজ করে পরিমাপণ পদ্ধতিতে। যেমন বিদ্যুতের তারের ভোল্টেজের উঠানামা পাইপের ভিতর বাতাস তরল পদার্থের চাপ কম বেশি হওয়া বাতাসের প্রভাব ও চাপ পরিবর্তিত হওয়া ইত্যাদি পরিমাপনের ভিত্তিতে কম্পিউটার কাজ করে থাকে।
ডিজিটাল কম্পিউটারঃ এ কাজ করে প্রতিকি সংখ্যার সাহায্যে প্রাপ্ত এর মাধ্যমে। বাইনারি কোড অর্থাৎ ভোল্টেজের উপস্থিতি ধনাত্মক করে এর মাধ্যমে কাজ করে কাজের ক্ষমতা এবং আকারের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটার প্রধানত চার ভাগে বিভক্ত,
মাইক্রো কম্পিউটারঃ এটি হচ্ছে আকারে ছোট কম্পিউটার। একজন ব্যক্তি একটি মাত্র কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন। অফিস আদালত, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত প্রয়োজন ইত্যাদি। সব ধরনের কাজে মাইক্রো কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে কম্পিউটার ব্যবহার করছি।
এগুলোই হচ্ছে মাইক্রো কম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটার অথবা বিজনেস কম্পিউটার বলা হয়ে থাকে। আমরা জানি সাধারণত দুই ধরনের কম্পিউটার আমাদের চোখে পড়ে একটি নাম হচ্ছে। ডেস্কটপ এবং অপরটি হচ্ছে পোর্টেবল তবে ডেস্কটপ টেবিলে রাখা হয়। এবং এটি হস্তান্তর যোগ্য নহে হস্তান্তর বলতে এখানে ওখানে নিয়ে যাওয়া সমস্যা বোধ হয়।
আর যদি কয়েকটি ডেস্কটপ কম্পিউটার দিয়ে টি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। তবে প্রধান কম্পিউটারটিকে সার্ভার বা ডোমেইন বলে। এবং অন্যগুলিকে ওয়ার্ক স্টেশন বলে। ল্যাপটপ সম্পর্কে আমরা কিছু ধারনা নেই।
ল্যাপটপ পরিচিতিঃ
ল্যাপটপ দেখতে কেসের মত এবং এর ওজন ১-২ কিলোগ্রাম হয়ে থাকে তবে এটিও ডেস্কটপের মত কাজ করে। এবং ল্যাপটপ ওখানে ওখানে নিয়ে যেতে অনেকটা সুবিধা হয়।
কম্পিউটার সিস্টেম এর ইউনিক পরিচিতি সমূহঃ
কম্পিউটার কাজ করে আই,পি,ও সাইকেল এর মাধ্যমে এটা প্রথমে তথ্য গ্রহণ করে বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে এরপর তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ করে সিপি ইউ নামের সিস্টেম ডিভাইসের মাধ্যমে এবং ফলাফল প্রকাশ করে ইনপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে। আর এ সমস্ত ডিভাইস গুলোকে হার্ডওয়্যার বলে।
ইনপুট ইউনিট বা ডিভাইস সমূহঃ
কোন কাজ করার জন্য কম্পিউটারে যে প্রাথমিক উপকরণ গুলো প্রয়োজন পড়ে তা ইনপুট ইউনিটের মাধ্যমেই পাঠানো হয়। ইনপুট ইউনিট ব্যবহারকারী প্রদত্ত উপাত্তকে এমন ভাবে রূপান্তর করে নেয় যা কম্পিউটারের ব্যবহার উপযোগী হয়। বহুল ব্যবহৃত দুইটি ইনপুট ইউনিট হল কিবোর্ড ও মাউস এছাড়াও রয়েছে।
স্ক্যানার ও এম আর লাইট পেন জয় স্টিক কার্ড লিডার ডিজিটাল ক্যামেরা ওয়েব ক্যামেরা মাইক্রোফোন ইত্যাদি।
সিস্টেম ইউনিট বা সিপিইউঃ
কম্পিউটারের প্রধান অংশ হল সিস্টেম ইউনিট বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট আর সিপিইউ মানুষের মত কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বা প্রসেসর বিদ্যামান রয়েছে। কম্পিউটারের সব রকমের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকরণ ও তাদের মধ্যে সাধন করাই হচ্ছে এই অংশের কাজ। এ কাজ গুলোর মধ্যে রয়েছে।
ইনপুট ও আউটপুট এর যন্ত্রাংশ সমূহ নিয়ন্ত্রণ মেমোরি থেকে ডাটা উত্তোলন ডাটা প্রক্রিয়াকরণ ও মেমোরিতে ডাটা সংরক্ষণ ইত্যাদি।
প্রক্রিয়াকরণ বা প্রসেসিং ইউনিটের প্রধান সংস তিনটি যথাঃ
- এরিথমেটিক লজিক ইউনিট
- কন্ট্রোল ইউনিট
মেমোরি বা স্মৃতিএরিথমেটিক লজিক ইউনিটঃ এই অংশের কাজ হল গণিতিক ও যুক্তিক কাজগুলো করা। গণিতিক কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ, ইত্যাদি। আর যৌক্তিক কাজ হতে পারে ছোট বড় নির্ণয় করা সমান কি না যাচাই করা ইত্যাদি।
কন্ট্রোল ইউনিকঃ কম্পিউটারের সব রকমের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ ও তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাই হচ্ছে এই অংশের কাজ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইনপুট আউটপুট এর যন্ত্রাংশ সমূহ নিয়ন্ত্রণ, মেমরি থেকে ডাটা উত্তোলন ও মেমোরিতে ডাটা সংরক্ষণ ইত্যাদি।
মেমোরি বা স্মৃতিঃ প্রক্রিয়াকরণের পূর্বে প্রদত্ত ও উপাত্ত প্রক্রিয়াকালীন সময়ে অন্তবর্তী কালীন ফলাফল এবং প্রক্রিয়াকরণের শেষে চূড়ান্ত ফলাফল জমা রাখার জন্য কম্পিউটারের যে অংশগুলি প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি মেমোরি কাজ করে তাকে মেমোরি ইউনিট বলে।
আউটপুট ইউনিট সমূহঃ
প্রক্রিয়াকরণ শেষে আউটপুট ইউনিটের মাধ্যমে আমরা চূড়ান্ত ফলাফল পেয়ে থাকি। আউটপুট ইউনিট কম্পিউটারের ফলাফল কে মানুষের বোধগম্য করে ফলাফল প্রদান করে সাধারণত টেক্সট গ্রাফিক্স সাউন্ড ইত্যাদি রূপে আমরা আমরা আউটপুট পেয়ে থাকি। আউটপুট যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে মনিটর প্রিন্টার স্পিকার প্লটার ইত্যাদি।
মাইক্রো কম্পিউটারের প্রত্যেক ইউনিটের মধ্যে সংযোগ স্থাপনঃ
কম্পিউটার তিনটি ইউনিটের মধ্যে সংযোগ দিতে হয়। মূলত প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ এর সাথে অন্যান্য সকল ইউনিট বা ডিভাইস সমূহ সংযোগ করতে হয়। কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার ইত্যাদি সকল ডিভাইসকে সিপিইউ এর সাথে সংযোগ করতে হয়।
কিবোর্ড সংযোগঃ
কিবোর্ড সংযোগ করার জন্য পার্সোনাল সিস্টেম বা ইউনিভার্সেল সিরিয়াল বাস কানেক্টর ব্যবহার করা হয়। বর্তমান অধিকাংশ কিবোর্ড ইউএসবি পোর্ট এর মাধ্যমে সংযোগ করা যায়। মাদারবোর্ডটি কেসিং এর মধ্যে স্থাপন করলে পোর্ট সমূহ সাধারণ কেসিংয়ের পিছন দিকে থাকে।
মাউস সংযোগঃ
মাউস কম্পিউটারের সাথে সরু তার দ্বারা সংযোগ করতে হয়। মাউস সংযোগ করার জন্য ৬ পিন বিশিষ্ট কানেক্টর ব্যবহার করা হয়। মাদারবোর্ড টি ক্যাসিং এর মধ্যে স্থাপন করলে এই পোর্ট সমূহ সাধারণত কেসিং এর পিছনে দিকে প্রদর্শিত হয় বা হবে। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে সংযোগ করা হয় বা যায়।
মনিটর সংযোগঃ
মনিটর ভিডিও কার্ডের সাথে সংযোগ করা থাকে। ভিডিও কার্ড বিল্ট ইনো হতে পারে। ভিডিও কার্ড ইন্সটল করা হলে ক্যাসিং এর পিছন দিকে এর পোর্ট পাওয়া যায়। সিপিইউ এর সাথে মনিটর সংযোগ করা পোর্ট গুলোকে টেকনোলজি ভেদে এক্সিলারেটেড গ্রাফিক্স পোর্ট এজিপি ডিজিটাল ভিডিও ইন্টারফেস ডিভিআই ও এইচ ডি এম আই পোর্ট নামে পরিচিত।
উক্ত পোর্ট এর সাথে মনিটরের ডাটা কেবলটি সংযোগ দিতে হয়। এবং মনিটরে পাওয়া কেবলটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের সাথে সংযোগ দিতে হয়।
প্রিন্টার সংযোগঃ
প্রিন্টার মাদারবোর্ডের প্যারালাল পোর্ট বা ইউ এস বি পোর্ট এর সাথে সংযোগ প্রদান করা হয়। এবং প্রিন্টারের পাওয়ার কেবলটি পাওয়ার সাপ্লাই মনিটরের সাথে সংযোগ দিতে হয়।
পিসি চালু বন্ধ ও পুনরায় চালু করা সম্পর্কেঃ
কম্পিউটার সঠিক নিয়মে চালু করা উইন্ডোজ শুরু করার জন্য স্টেপ বা স্টেপ নিম্নে পদ্ধতিগুলো বর্ণনা করা হলোঃ
- কম্পিউটারের সমস্ত ডিভাইসের কানেকশন ঠিক আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে এবং ইলেকট্রিক সুইচ বোর্ড বা ইউপিএস বা আইপিএস এর সুইচ চালু আছে কিনা সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
- সিডি/ডিভিডি ড্রাইভের কোনো ডিস্কেট থাকলে তা অবশ্যই বের করে নিতে হবে।
- সিস্টেম ইউনিট সি পি ইউ এবং মনিটরের পাওয়ার সুইচ অন করতে হবে।
- শুরু হবে উইন্ডোজ এবং মনিটরে স্টার্ট আপ লোগো আসবে।
একটু পরে সামনে আসবে নিচে একটি মত উইন্ডোজ স্ক্রিন বার ডেস্কটপ স্কিন এই স্কিনকে স্টার্টিং স্কিন বা অপারেটিং সিস্টেম বা প্ল্যাটফর্ম বা স্টার্ট অফ স্কিনও বলা হয়। ডেক্সটপ এ কিছু আইকন আইকন ক্ষুদ্র ছবি সমূহ যেমন মাই কম্পিউটার রিসাইকেল বিন ইত্যাদি। এবং একটি লম্বা পিতার মতো নিচে বাম দিকে টি স্টার্ট বাটন থাকে।
কম্পিউটার সঠিক নিয়মে বন্ধ করার নিয়ম বা পদ্ধতিঃ
- ওপেন করার সমস্ত ফাইল ও ফোল্ডার সেভ করে বন্ধ করে দিয়ে ডেস্কটপে এনভায়রনমেন্ট আসতে হবে চিত্রে নির্দেশিত বাম কোনায় নিচে স্টার্ট বাটন ক্লিক করতে হবে কয়েকটি অপশন আসবে।
- বাম পাশে সবার নিচে সাউথ গ্রাউন্ড এ ক্লিক করতে হবে
- একটি ডায়ালগ বক্স আসবে সেখানে লক অফ বা শার্ট ডাউন বাটনে ক্লিক করতে কম্পিউটার নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। এবং আবার চালু হবে।
ল্যাপটপের বা সিপিইউ এর সাথে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কানেকশন স্থাপনঃ
সাধারণত প্রজেক্টর এর সাথে একটি ডিসপ্লে কেবল এবং একটি পাওয়ার কেবল আলাদাভাবে দেওয়া থাকে পাওয়ার ক্যাবলের সাহায্যে প্রজেক্টরটিকে পাওয়ার দেওয়া হয়। এবং ডিসপ্লে কেবলের সাহায্যে ল্যাপটপ থেকে প্রয়োজন মত তথ্য প্রজেক্টর স্ক্রিনে দেখানো হয়। পাওয়ার কেবলের পিন যুক্ত মাথা মাল্টিপ্লাগে দিয়ে আরেকটি প্রজেক্টরের কানেকশন পোর্টে লাগাতে হয়।
অতঃপর প্রজেক্টরের পাওয়ার সুইচ অন করতে হবে। এতে প্রজেক্টর এর উপরে লালবাতি জ্বলবে কোন কোন প্রজেক্ট এর সুইচ থাকে না। পাওয়ার কেবল লাগালেই লালবাতির জ্বলে ওঠে তারপর বাটনের প্রেস করতে হয়। এখন সবুজ বাতি জ্বলবে এবং প্রযুক্তি চালু হবে। ডিসপ্লে থেকে ক্যাবলের একাংশ ল্যাপটপে কানেকশন ভিজিয়ে পোর্টে এর সাথে।
এবং অপর অংশ প্রজেক্টর এর কানেকশন পোর্টে লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে সেটি নিজে নিজেই চালু হবে প্রজেক্টর স্কিনে একটি নীল পর্দা আসবে। তবে কিবোর্ডের ফাংশন এফএন কি আছে। উপরে সারিতে এফ ফাইভ কি। এখানে টিভি/স্কিন এবং ল্যাপটপের সাইন থাকতে পারে। কোন কোন ল্যাপটপে।
এই সাইনগুলো f3 বা f4 অথবা অন্য কোন ফাংশন এফ কী তে থাকতে পারে। এবার এফএন কি চেপে এফ ফাইভ প্রেস করতে হবে। কিছুক্ষণ পরে অটোমেটিকলি প্রজেক্টর স্ক্রীন ল্যাপটপের তথ্য প্রদর্শিত হবে। এখন প্রয়োজন মতো ডিজিটাল কনটেন্ট উপস্থাপন করা যাবে।
উপস্থাপন শেষে আবার এফএন কি চেপে এফ ফাইভ প্রেস করতে হবে। ডিসপ্লে বন্ধ হবে। তারপর কম্পিউটার থেকে ডিসপ্লে কেবল খুলতে হবে প্রজেক্টর এর পাওয়ার বাটন প্রেস করে প্রজেক্টর বন্ধ করতে হবে এবং পাওয়ার কর্ড খুলতে হবে।
- কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে I/O ডিভাইসের সংযোগ ও ব্যবহার
- কিবোর্ডের Key পরিচিতি ব্যবহার করতে পারা
- মাউসের পরিচিতি ও ব্যবহার করতে পারা
- মনিটরের বাহ্যিক কন্ট্রোল গুলো চিহ্নিত করতে পারা
- সিস্টেম ইউনিটের সামনের ও পিচনের প্যানেলের বিভিন্ন রকম টার্মিনাল, সকেট, পোর্ট ও এক্সেস ইন্ডিকেটরগুলো চিহ্নিত ও সংযোগ প্রদান করতে পারা
- সিস্টেম ইউনিটের সামনে ও পিছনের পোর্ট সমূহ চিহ্নিত করতে পারা
কিবোর্ড এর পরিচিতি সম্পর্কেঃ
হচ্ছে কম্পিউটারের ডাটা ইনপুট করা একটি অতি জনপ্রিয় ডিভাইস। ভয়েস ডিভাইস প্রবর্তিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কিবোর্ডের জনপ্রিয়তা বাহুল থাকে। কম্পিউটার কিবোর্ড টাইপ রাইটার কিবোর্ড এর সাথে যথেষ্ট মিল রয়েছে। কম্পিউটার কিবোর্ডে ৮৩,৮৪, ১০১, ১০২,বা ১০৪ টি পর্যন্ত কী থাকে কিবোর্ডে ও প্রতিটি কি এক একটি স্প্রিং এর ওপর আটকানো থাকে।
শুধু চাপ পড়লেই তা নিচের দিকে নেমে আসে এবং সংযোগ প্রাপ্ত হয়। চাপ ছেড়ে দিলেই আবার উপরে উঠে এসে এবং সংযুক্তির জন্য হয়। অন্যান্য কাজের ফাঁকে কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে ১৮ বার কিবোর্ড কোন কি সংযোগ প্রাপ্ত হচ্ছে কিনা সে অনুযায়ী কাজ করে। এক্স টি কম্পিউটার থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত কিবোর্ড এর ক্ষেত্রে তেমন বড় কোন পরিবর্তন হয় নাই।
এক্স টি কিবোর্ড এর পরে এটি কিবোর্ড এর সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং পরবর্তীতে এটি কিবোর্ড কে পরিবর্তন করে পিএস/টু তৈরি করা হয়েছে। এক্স টি এ টি এবং পিএস/২ এর সকল keyboard মাদারবোর্ডের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একটি মাইক্রো কন্ট্রোলার ব্যবহার করা হয়।
বিভিন্ন প্রকার কিবোর্ড ইন্টারফেস সম্পর্কেঃ
বিভিন্ন ইন্টারফেস যুক্ত আইবিএম টাইপ কিবোর্ড রয়েছে। নিম্নে সংক্ষেপে বর্ণনা দেয়া হলোঃ
- এক্সটি ৮৩ কীবোর্ডঃ
- ৮৪ কী কিবোর্ডঃ
- অ্যাডভান্সড ১০১কিবোর্ডঃ
- Windows 104 কিবোর্ডঃ
- ওয়্যারলেস কীবোর্ডঃ
এক্সটি ৮৩-কিবোর্ডঃ পার্সোনাল কম্পিউটার তৈরির প্রথম দিকে ৮৩ টি কী যুক্ত কিবোর্ড তৈরি হয়। এক্সটি কম্পিউটারের এ ধরনের কিবোর্ড ব্যবহৃত হতে হলে একটি কিবোর্ড বলা হয়।
৮৪-কীকিবোর্ডঃ টাইপ রাইটার কিবোর্ডকে স্টান্ডার্ড ধরে এই কিবোর্ডের লে-আউট তৈরি করা হয়।Alphabetic কী সমূহকে কিবোর্ডের মাঝখানে সাজানো হয়েছে। কী প্যাডের বাম দিকে দুই সারিতে ফাংশন কী সমূহ সাজানো হয়েছে। এ কিপ্যাডে মোট ১০ টি ফাংশন কি রয়েছে। ডান দিকে নিউমেরিক কি প্যাড।
এবং তার সাথে কার্সর মুভমেন্ট কি সমূহ ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা হয়েছে। ইন্টার কী অনেকটা ছোট আকৃতির ছিল। এবং এর উপর একটি কীর আকৃতি বড় করা হয়। এবং অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার জন্য Sys Req নামে একটি কী সংযোজন করা হয়। ফলে এই কিবোর্ড কি এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৪ টি।
অ্যাডভান্স ১০১ কিবোর্ডঃ ১৯৮৭ সালে ১০১ কী বিশিষ্ট কিবোর্ড লেয়ার তৈরি করা হয়। এই কীবোর্ড কে ইন-হ্যান্ডসেট কিবোর্ড বলা হয়ে থাকে। এই কিবোর্ডে এক্স টি কিবোর্ড কিংবা এটি কিবোর্ড এর লে-আউটে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। এই কীবোর্ডের কার্সর মুভমেন্ট করানোর জন্য চারটি কি বিশিষ্ট একটি নতুন প্যাড।
এবং বিভিন্ন কন্ট্রোল কি সমূহ কে মডিফাই করে আরেকটি নতুন ফ্যাট তৈরি করা হয়। আগের কিবোর্ডের ১০টি ফাংশন কি ছিল। অ্যাডভান্স কিবোর্ডে আরো দুটি ফাংশন সহ মোট ফাংশনটির কীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ টি।
ফাংশন কীর লেআউট পরিবর্তন করে তা Alphabetic কী প্যাডের ওপর দিক এক সারিতে সাজানো হয়। একটি করে অতিরিক্ত কন্ট্রোল কী ও অলটার কী স্পেস বারের দুইটি প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে।
উইন্ডোজ ১০৪ কিবোর্ডঃ Compatible কম্পিউটার প্রস্তুত কারকগণ আইবিএম কিবোর্ড এর লেআউটের সাথে মিল রেখে ১০৪ টি কী বিশিষ্ট একটি কিবোর্ড তৈরি করে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমকে কি বোর্ড থেকে আরো ভালোভাবে অপারেট করার জন্য ১০১ কিবোর্ড এ অতিরিক্ত তিনটি কী সংযোজন করে ১০৪ টি কী বিশিষ্ট কিবোর্ড তৈরি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত কী তিনটির মধ্যে দুইটি উইন্ডোজ কী এবং একটি হচ্ছে। পো পোপ মেনু উইন্ডোস কী দুইটির ওপর উইন্ডোজ লোগো দেওয়া হয়েছে। এই কী দুটি স্পেসবার বামে ও ডানে স্থাপন করা হয়েছে। যে কোন উইন্ডোস কী তে চাপ দিলে উইন্ডোজ ট্রাস্ট ম্যানেজার প্রদর্শন করবে। পো পোপ মেনু কী টি চাপ দিলে কার্সর অবস্থানের আইটেমকে নির্বাচন করে এই কী টি কিবোর্ডের ডান দিকে অবস্থিত।
ওয়ারলেস কিবোর্ডঃ সম্প্রতি ওয়ারলেস কীবোর্ড এর প্রচলন রয়েছে। এই কিবোর্ড এর ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটারের সাথে সরাসরি কোন কেবল দ্বারা সংযোগ করা প্রয়োজন হয় না। এটা অনেকটা রিমোট কন্ট্রোলের মতো কাজ করে ওয়ারলেস কিবোর্ড এ আই আর বা আর এফ ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে।
সিরিয়াল ডাটা পূরণ করে এই কীবোর্ড অভ্যন্তরীণ ব্যাটারি ও ট্রান্সমিটারের সাহায্যে ডাটা বা তথ্য একটি এক্সটার্নাল বক্সে প্রেরণ করে এ বক্সটি মাদারবোর্ডে এটি বা পিএস/২ কানেক্টর এর সাথে সংযোগ করে নিতে হয়।
কিবোর্ড ইন্সটল করা সম্পর্কেঃ কম্পিউটারের কিবোর্ড ইন্সটল করা অত্যন্ত সহজ। যে কেহ অনায়াসেই কিবোর্ড ইনস্টল করতে পারে। মাদারবোর্ডের সাথে বেল্ট ইন সিরিয়াল পার্ট থাকে। এই পাটের সাথে কিবোর্ডের সংযোগ করতে হয়। তবে এই ক্ষেত্রে মাদারবোর্ডে যে ধরনের পার্ট আছে। কিবোর্ডেও একই ধরনের পার্ট থাকতে হবে।
অর্থাৎ মাদারবোর্ডে পিএস/২ পার্ট থাকলে পিএস/২ কানেক্টর বৈশিষ্ট্য কিবোর্ড সংযোগ করতে হবে। আবার মাদারবোর্ডে ইউএসবি পোর্ট থাকলে ইউএসবি জ্যাক বিশিষ্ট কিবোর্ড কানেক্টর ব্যবহার করতে হবে।
মাউসের পরিচিতি ও ব্যবহার সম্পর্কেঃ
মাউসঃ স্ট্যান্ড ফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গবেষণা ১৯৫৭-৭৭ কালীন সময়ে পয়েন্টিং ডিভাইসের ধারণা উদ্ভাবন করে। যা পরবর্তীকালে কম্পিউটার এর ইনপুট ডিভাইস মাউস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কোন অবজেক্টকে পয়েন্ট করে উহাতে ক্লিক করে কমান্ড কার্য করি করা হয়। মাউস কম্পিউটারের সাথে এক খন্ড চিকন তার দ্বারা যুক্ত করা থাকে।
কোন সমতল জিনিসের উপর নড়াচড়া করলে কম্পিউটারের পর্দায় পয়েন্ট সে অনুযায়ী নড়াচড়া করে মাউসে কমপক্ষে দুইটি বাটুন থাকে। কোন কোন মাউসে আবার তিনটি বাটুন থাকে। মাউসের কোন বাটুনে চাপ দেওয়াকে বলে ক্লিক করা। মাউস পয়েন্টার কোন কোন কমান্ডের উপর রেখে ক্লিক করলে উক্ত কমান্ডের নির্বাচিত করা যায়।
অপটিক্যাল মাউস সম্পর্কেঃ
অপটিক্যাল মাউসের ছোট বলটি থাকে না। এর পরিবর্তে লাইক থিম থাকে এটি কার্সর নাড়ানোর কাজে সাহায্য করে। মানুষটি কেবলের সাহায্যে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে তাতে ইদানিং কেবল ছাড়া রিমোট মাউস পাওয়া যাচ্ছে।
অপটিক্যাল মানুষ সাধারণত দুই পেয়ার এলইডি মাউসের নিচের দিকে একটি ফটো Conductor ব্যবহার করে। এটা বিশেষভাবে তৈরি মাউস প্যাডের উপর মাউসের মুভমেন্ট নির্ণয় করে।
মাউস ইনস্টল করাঃ
কম্পিউটারের মাউস ইন্সটল করা অত্যন্ত সহজ যে কেহ অনাসায় মাউস ইন্সটল করতে পারে মাদারবোর্ডের যেকোনো ধরনের পোর্ট থাকে মাংসের একই ধরনের পোর্ট হবে। অর্থাৎ মাদারবোর্ডের পিএস/২ পোর্ট থাকলে পিএস/২ কানেক্টর বিশিষ্ট মাউস সংযোগ করতে হবে। আবার মাদারবোর্ডে ইউএসবি পোর্ট থাকলে ইউএসবির কানেক্টর কানেক্ট করতে হবে।
মাউস কনফিগার করাঃ
মাংসের বিভিন্ন কার্যক্রম কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কন্ট্রোল প্যানেলের আওতায় মাউস নামে একটি আইকন রয়েছে। উক্ত আইকনে ডবল ক্লিক করলে নিম্নরূপ মাউস প্রপার্টিজ উইন্ডো প্রদর্শন করা যাবে।
ডেক্সটপ থাকলে যাথাক্রমে মাই কম্পিউটার এবং কন্ট্রোল প্যানেল আইকনে ডবল ক্লিক করলে তা ওপেন করতে হবে।
মাউস আইকন ডাবল ক্লিনিক করতে হবে। নিম্নরূপ মাউস প্রপার্টিজ উইন্ডো আসবে। মাউস প্রোপার্টিজ ডায়ালগ বক্সে চারটি ট্যাব রয়েছে। বিভিন্ন ট্যাব থেকে মাউসের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ট্যাগসমূহের উপকারিতা আলোচনা করা হলো।
মাউস বাটুন নির্ধারণঃ
- স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য মাউসের বাম বাটন কিংবা ডান বাটন ব্যবহার করা বা নির্ধারণ করা হয় এজন্য ডায়ালগ বক্স থেকে আর রাইট হ্যান্ড ডিড বা লেফট হ্যান্ড ডিড
- কত দ্রুত মাউস বাটন চাপ দিলে ডবল ক্লিক কার্যকরী করা হবে ডায়লগ বক্সে ডবল ক্লিক স্পিড এরিয়া থেকে নির্ধারণ করা যায়।
- মাউস প্রপার্টিজ থেকে প্রিন্টারেস্ট ট্যাব ক্লিক করতে হবে। ডায়লগ বক্সটি নিম্নরুপ প্রদর্শিত হবে
- Scheme লিস্ট বক্স এ ক্লিক করলে মাউস পয়েন্টার এর বিভিন্ন স্কিমের নাম পাওয়া যাবে। এক Schemeএকটি নির্বাচন করে ডায়ালগ বক্সের মধ্যে উদাহরণ ফলাফল লক্ষ্য করতে হবে।
- পছন্দ মতো Scheme নির্বাচন করতে হবে
- ওকে বাটন ক্লিক করে ডেক্সটপে ফিরে আসুন। কাজ করার সময় নির্বাচন অনুযায়ী মাউস পয়েন্টারের আকৃতি প্রদর্শন হবে।
পয়েন্টারের গতি নির্ধারণঃ মাউসের পয়েন্টারের গতি কেমন হবে এবং মাউস পয়েন্টারের সাথে কোন Trail থাকবে কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য মাউস প্রপার্টিজ ডায়ালগ বক্স থেকে মাসন ট্যাব ব্যবহার করা হয়। Pointer Speed এরিয়াতে দেখা যাবে। একটি বক্সের এক প্রান্তে Slow এবং অপর প্রান্তে Fast আছে। বক্সের মধ্যে একটি Selector রয়েছে।
Selector টি ড্রাগ করে Slow প্রান্তের দিকে নিলে পয়েন্টারের গতি ধীরে হবে এবং সিলেক্টরকে সরিয়ে ফাস্ট প্রান্তের দিকে আনলে পয়েন্টের গতি দ্রুততর হবে।
মনিটরের বাহ্যিক কন্ট্রোল গুলোর পরিচিতি ও ব্যবহারঃ
মনিটর হচ্ছে কম্পিউটারের একটি প্রধান ইনপুট ডিভাইস আমরা কম্পিউটারের যত কাজ করি। যে সকল কমান্ড প্রয়োগ করি এবং তার ফলাফল মনিটরের প্রদর্শিত হয়। মণিটর কত সুক্ষভাবে আউটপুট প্রদর্শন করা তা মনিটরের রেজুলেশনের উপর নির্ভর করে। মনিটর স্কিনে আউটপুট বা কোন চিত্র প্রদর্শন করার জন্য অসংখ্য ছোট ছোট বিন্দু ব্যবহৃত হয়।
এই বিন্দু কে বলে পিক্সেল প্রতিটি পিক্সেল পরস্পর কতটুকু দূরত্ব অবস্থান করবে তা দূরত্ব ক dot pitch বলা হয়। এ dot pitch পরিমাপ করা হয় মিলিমিটারের। dot pitch যত কম হবে মনিটরের রেজুলেশন তত বেশি হবে। সাধারণত মনিটরের dot pitch হল ০.৩৪ ০.৩১ ০.২৮ এবং০.২৬ মিলিমিটার ইত্যাদি।
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল বা বিষয় ছিল কম্পিউটার সিস্টেম পরিচিতি এবং ব্যবহার সম্পর্কে এবং আমি আশাবাদী যারা কম্পিউটার সম্পর্কে কিছু ধারনাতে চান এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অনেকটি উপকার আসবে বলে আমি মনে করি তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেল করার অনুরোধ রেখে আজকের মত আর্টিকেল লেখা শেষ করছি। ধন্যবাদ