কুরআন সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াতে কী লাভ বিস্তারিত জেনে নিন।
কুরআন সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াতে কী লাভপ্রিয় পাঠক আপনি কি শুদ্ধ করে কোরআন তেলাওয়াত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি আল্লাহর
রহমত বরকত হাসিল করতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য কুরআনুল কারিমের
কোন সূরা কখন তেলাওয়াত করলেন। আল্লাহর রহমত শান্তি লাভ করা যায়।
সেই ব্যাপারে আমরা জানতে চলেছি। আর সেই জিনিসগুল জেনে আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন
করতে দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা বয়ে আনা সম্ভব তাহলে চলুন। কোরআন সহীহ শুদ্ধ
তেলাওয়াত সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেয়া যাক।
পেজ সূচিঃ কুরআন সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াত কী লাভ সেই সম্পর্কে আলোকপাত
- কুরআন সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াতে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন
- কুরআনের ধারককারী জাহান্নামে যাবে না
- কুরআন তেলাওয়াতে সিজদার বিনিময়
- সম্মানিত লেখক ফেরেশতাদের মর্যাদা লাভ
- কুরআন শাফা আতকারী বা শুপারিশ করবে
- কুরআন তেলাওয়াতকারী জান্নাতে সর্বোচ্চ মর্যাদা লাভ করবে
- পবিত্র কুরআন মাজীদ মুখস্থ করার মর্যাদা ও সম্মান
- পবিত্র কুরআন মাজীদ তেলাওয়াতকারীর আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মান ও মর্যাদা
- শেষ কথাঃ
কুরআনুল মাজীদ এমন একটি কিতাব যাহা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রিয় রাসূলুল্লাহ কারিম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর নাযিল হয়েছে। আর এই পবিত্র কালাম
রাসুলের প্রতি নাযিল হবার সময় আল্লাহর নবীকে অনেক কষ্ট উপভোগ করতে হয়েছে। এটি
আমাদের অনেকের জানা শুধু তাই নয়। এই কোরআনুল কারীমের আয়াতগুলো।
তেলাওয়াত করলে আল্লাহর রহমত বরকত এবং প্রশান্তি লাভ করা যায়। যার প্রমাণ আল্লাহ
রাসূল (সাঃ) এর পবিত্র হাদিস থেকে পাওয়া যায়। তাহলে আসুন আজকের আর্টিকেলে
কুরআন সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াত করিলে কি লাভ। এবং কোরআনু কারিম সহীহ শুদ্ধ
তেলাওয়াত না করিলে কি ক্ষতি সেই বিষয়গুলো স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেই।
কুরআন সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াতে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন
আমরা ভালোভাবে জানি প্রত্যেক কর্মী তার কর্মের বিনিময় পেয়ে থাকে। প্রত্যেক অধস্তন
দায়িত্বশীল তার দায়িত্বের জন্য ঊর্ধ্বতনের কাছে দো‘আ, পারিতোষিক পেয়ে থাকেন। ঠিক
অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ কুরআন তেলাওয়াতকারীদের জন্য তাঁর নিকটবর্তী ফেরেশতাদের
নিকট তেলাওয়াতকারীদের গুণ বিশেষভাবে আলোচনা করেন।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আর যখন কোন জনসমষ্টি
আল্লাহর ঘরসমূহের মধ্যকার কোন ঘরে সমবেত হয়ে আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে। এবং
পরস্পর তা থেকে শিক্ষা অর্জন করে, তখন ফেরেশতারা তাদেরকে ঘিরে বা পরিবেষ্টন করে
থাকে, তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয়। দয়া ও অনুগ্রহ তাদের আবৃত করে রাখে।
এবং আল্লাহর নৈকট্যশীল ফেরেশতাদের সাথে তাদের বিষয়ে আলোচনা করেন। যার আমল তাকে
পিছিয়ে দেবে বংশমর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারবে না। জুম‘আর দিন যদি কেউ সূরাতুল
কাহ্ফ তেলাওয়াত করলে এক জুম‘আ থেকে পরবর্তী জুম‘আ পর্যন্ত তার ঈমান শাণিত থাকে,
এবং এ সময়ের যাবতীয় ফিৎনা থেকে আল্লাহ তাকে হেফাযত করেন।
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন
সূরা কাহ্ফ তেলাওয়াত করে, তার ঈমানী জ্যোতির বিকিরণ থাকবে এক জুম‘আ থেকে পরবর্তী
জুম‘আ পর্যন্ত। তাহলে এই হাদিস থেকে বোঝা গেল। সূরাতুল কাহ্ফ সহীহ শুদ্ধ
তেলাওয়াত করিলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক নেয়ামত লাভ করা যায়।
সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াত প্রশান্তি অবতরণ কুরআনে আছে শান্তির সংবাদ। আছে রহমত
প্রাপ্তির দিশা। যেমন বারা বিন আযেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি
সূরা কাহ্ফ তেলাওয়াত করছিল। এবং তার পাশে তার ঘোড়া রশি দ্বারা বাঁধা ছিল। এমন সময়
একখন্ড মেঘমালা তাকে আচ্ছন্ন করল এবং তার নিকটবর্তী হতে লাগল। তখন তার ঘোড়া
লাফাতে লাগল।
অতঃপর সে ব্যক্তি সকালে নবী করীম (সাঃ) এর নিকট এসে উক্ত ঘটনা বিস্তারিত বর্ণনা
করল। তখন তিনি বললেন, তা ছিল। আল্লাহর বিশেষ রহমত ও প্রশান্তি, যা কুরআন
তেলাওয়াতের কারণে নেমে এসেছিল। উল্লেখিত হাদীছ থেকে বুঝা গেল যে, কুরআন তেলাওয়াত
করলে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও প্রশান্তি নাযিল হয়।
ফেরেশতারা কুরআন তেলাওয়াত শোনার জন্য দল বেঁধে দুনিয়ায় নেমে আসেন। তাহলে এখান
থেকে আরেকটি তথ্য পাওয়া গেল যে কুরআনুল কারীম সহিহ শুদ্ধ তেলাওয়াত করিলে আসমান
থেকে রহমতের ফেরেশতারা কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণ করার জন্য জমিনে নেমে আসে। আল্লাহ
রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে কুরআন সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াত করার তৌফিক দান করুন।
আমীন
কুরআনের ধারককারী জাহান্নামে যাবে না
কুরআনের ধারক বা পাঠক জাহান্নামের ভয়াবহতা ভোগ হবে না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
তোমরা কুরআন পাঠ কর। আর বাড়ীতে সংরক্ষিত কুরআন যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে।
কেননা আল্লাহ ঐ অন্তরকে কখনোই শাস্তি দিবেন না, যা কুরআনের সংরক্ষক। তিনি আরো
বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনকে ভালবাসে, সে যেন আনন্দিত হয়।
কুরআন তেলাওয়াতে সিজদার বিনিময়
পবিত্র কুরআন কারিমে ১৫টি সিজদার আয়াত আছে। যেগুলো পাঠ করলে সিজদা করতে হয়। এ
সিজদার অনেক ফযীলত রয়েছে। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
আদম সন্তান যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করে সিজদায় করে, তখন শয়তান কাঁদতে কাঁদতে
দূরে সরে পড়ে এবং বলতে থাকে হায়, দুর্ভাগ্য!
অন্য বর্ণনায় রয়েছে হায়, আমার দুর্ভাগ্য! আদম সন্তান সিজদার জন্য আদিষ্ট হলো।
অতঃপর সে সিজদা করল এবং এর বিনিময়ে সে জান্নাত পেল। আর আমাকে সিজদার আদেশ করা
হলো, কিন্তু আমি তা অস্বীকার করলাম। ফলে আমার জন্য জাহান্নাম অবধারিত হলো
সম্মানিত লেখক ফেরেশতাদের মর্যাদা লাভ
সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াতকারী ও অশুদ্ধ তেলাওয়াতকারীর ভিন্ন ভিন্ন ফযীলত হাদীছে বর্ণিত
হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, কুরআনে দক্ষ ব্যক্তি সম্মানিত পুণ্যবান লিপিকার
ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবেন। আর যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করে, কিন্তু আটকে যায়।
এবং তার জন্য তেলাওয়াত কষ্টকর হয়, তবে তার জন্য দ্বিগুণ নেকী রয়েছে।
এ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, যারা দক্ষতার সাথে কুরআন তেলাওয়াত করতে সক্ষম
তারা আমল লিপিবদ্ধকারী সম্মানিত ফেরেশতাদের সাথে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা
অর্জন করবেন। আর যারা অশুদ্ধ কুরআন তেলাওয়াত করে তবে শুদ্ধ করার চেষ্টা
করবে, তাদেরকে জীবন সওয়াব দেওয়া হবে। এর মানে এটা নয়।
যে আমি আপনি অশুদ্ধ ভাবে কোরআন তেলাওয়াত করব আমরা শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত
করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সহীহ শুদ্ধ কোরআনুল
কারীম তেলাওয়াত করার তৌফিক দান করুন। আমীন
কুরআন শাফা আতকারী বা শুপারিশ করবে
পবিত্র কুরআন ক্বিয়ামতের দিন তার তেলাওয়াতকারীর জন্য আল্লাহর নিকট শাফা‘আত করবে।
আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমরা কুরআন
তেলাওয়াত কর। কেননা ক্বিয়ামতের দিন তেলাওয়াতকারীদের জন্য তা শাফা আতকারী হিসাবে
আল্লাহর নিকট উপস্থিত হবে। আর তোমরা আলোক উজ্জ্বল দুই সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরান
তেলাওয়াত কর।
কেননা এই দু’টি ক্বিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে ছায়া দানকারী মেঘখন্ড সদৃশ
‘গামামা’ কিংবা ‘গায়ায়া’ অথবা ডানা প্রসারকারী পাখীর দু’টি ঝাঁকের ন্যায় একত্রিত
হয়ে। তারা তেলাওয়াতকারীদের পক্ষে যুক্তি আল্লাহর কাছে পেশ করবে। তোমরা সূরা
বাক্বারাহ তেলাওয়াত কর। কেননা এটি তেলাওয়াতে বরকত রয়েছে। এবং তা বর্জন করা
আফসোসের কারণ। আর বাতিলপন্থী অলস লোকেরা এই আমল করতে সক্ষম নয়।
হযরত নাউয়াস বিন সাম‘আন (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেন,ক্বিয়ামতের দিন কুরআন
ও তদনুযায়ী যারা আমল করেছে তাদের উপস্থিত করা হবে। আর সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরান
তার সামনে পেশ করা হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এ সূরা দু’টির জন্য তিনটি উদাহরণ পেশ
করেছেন, যেগুলি আমি এখনও ভুলিনি।
তিনি বলেন, সে দু’টি (১) মেঘখন্ডের ন্যায় (২) দু’টি কালো শামিয়ানার ন্যায়। যার
মাঝে আলোকবর্তিকা রয়েছে (৩) সে দু’টি যেন ডানা বিস্তারকারী সারিবদ্ধ পাখীর দু’টি
ঝাঁক। যারা তেলাওয়াত কারীদের পক্ষে দৃঢ়ভাবে যুক্তি উপস্থাপন করবে।
ছিয়াম ও কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনঃ-ছিয়াম ও
কুরআন মানুষকে সর্বদা নেকীর কাজে মশগূল রাখে। তাই ছিয়াম ও কুরআন বিশেষভাবে
আল্লাহর নিকট ছিয়াম ও কুরআন তেলাওয়াতকারীর জন্য ক্বিয়ামতের দিন শাফা‘আত করবে।
যেমন আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ছিয়াম ও কুরআন ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট শাফা‘আত
করবে। ছিয়াম বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি তাকে দিনের বেলায় খানা-পিনা ও
প্রবৃত্তি পরায়ণতা হতে বিরত রেখেছিলাম। অতএব তার ব্যাপারে তুমি আমার শাফা‘আত কবুল
কর।
অন্যদিকে কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতের বেলা ঘুম থেকে বিরত রেখেছিলাম। অতএব তার
ব্যাপারে তুমি আমার শাফা‘আত কবুল কর। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অতঃপর তাদের উভয়ের
শাফা‘আত কবুল করা হবে।
কুরআন তেলাওয়াতকারী জান্নাতে সর্বোচ্চ মর্যাদা লাভ করবে
পবিত্র কুরআন মাজীদ তেলাওয়াতকারীর জন্য জান্নাতে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান
রয়েছে। কুরআনের পাঠক আয়াতসমূহ মুখস্থ রাখার সংখ্যা বরাবর জান্নাতের সর্বোচ্চ
মর্যাদা লাভ করবেন। যেমন রাসূল (সাঃ) বলেন, কুরআন অধ্যয়নকারীকে বলা হবে।
কুরআন তেলাওয়াত কর এবং উপরে উঠতে থাকো। দুনিয়ায় তুমি যেভাবে ধীরে-সুস্থে তেলাওয়াত
করতে, সেভাবে তেলাওয়াত করো। কেননা তেলাওয়াতের শেষ আয়াত সংখ্যায় জান্নাতে তোমার
বাসস্থান হবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে
করতে জান্নাতে প্রবেশ করার সুযোগ করে যেন দেন। আমিন
পবিত্র কুরআন মাজীদ মুখস্থ করার মর্যাদা ও সম্মান
পবিত্র কুরআন মুখস্থ করা ও সেটা সংরক্ষিত রাখা চূড়ান্ত ধৈর্য ও সর্বোচ্চ
স্মৃতিশক্তির কাজ। এই অসাধ্য সাধনকারীদের বিশেষ মর্যাদা সম্পর্কে রাসূল (সাঃ)
বলেন, কুরআনের হাফেয ও তেলাওয়াতকারীগণ সম্মানিত লেখক ফেরেশতাগণের ন্যায় উচ্চ
মর্যাদার অধিকারী। অতি কষ্টসাধ্য হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি সর্বদা তেলাওয়াত করে
কুরআনের হিফযকে সংরক্ষিত রাখে।
সে দ্বিগুণ নেকী হাছিল করবে। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন যখন
কবর সমূহ বিদীর্ণ হয়ে সবাই পুনরুত্থিত হবে, তখন কুরআন তার পাঠকের নিকট বিপর্যস্ত
এক ব্যক্তির অবয়বে উপস্থিত হয়ে বলবে,তুমি কি আমাকে চিনতে পারছো? আমিই তোমাকে
রজনীতে বিনিদ্র রেখেছি এবং দিবসে পরিশ্রান্ত করেছি। প্রত্যেক ব্যবসায়ী তার
ব্যবসায় মুনাফা অর্জন করে।
আর তুমিও আজ পরকালের জন্য সম্পাদিত তোমার সকল ব্যবসার পূর্ণ মুনাফা অর্জন করবে।
অতঃপর তার ডান হাতে রাজত্ব প্রদান করা হবে এবং বাম হাতে এর স্থায়িত্ব দেওয়া হবে।
তার মাথায় সম্মানের রাজমুকুট পরানো হবে। সেই সাথে হাফেযের পিতা-মাতাকে দুই খন্ড
পোষাক পরিধান করানো হবে, যা দুনিয়ায় ইতিপূর্বে।
আর কারো জন্য তৈরী করা হয়নি। তখন তারা উভয়ে বলবে, এ পোষাক আমাদেরকে পরিধান করানো
হলো কেন? তখন তাদেরকে বলা হবে, তোমাদের সন্তানকে কুরআন শিক্ষা দেওয়ার প্রতিদান
স্বরূপ। আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকেও দুই খন্ড পোশাক পরিধান করার সুযোগ
করে দেন।
পবিত্র কুরআন মাজীদ তেলাওয়াতকারীর আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মান ও মর্যাদা
কুরআন মাজীদের প্রকৃত বাহকের মর্যাদা সর্বাধিক। তাই হাফেযে কুরআন ও আলেমের
সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রদান করা আবশ্যক। যেমন আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত,
রাসূল (সাঃ) বলেন,বয়োজ্যেষ্ঠ মুসলিম ও কুরআনের যথাযথ বাহক, যিনি তাতে
সীমালঙ্ঘনকারী ও অবহেলাকারী নন, এমন ব্যক্তিকে সম্মান করা মূলতঃ আল্লাহরই প্রতি
সম্মান প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।
শেষ কথাঃ
আমি পরিশেষে এটাই বলবো যে, যথাযথভাবে কুরআন শিক্ষা করা ও সুন্দরভাবে
কুরআন সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াত করা মুমিনের জন্য অপরিহার্য। প্রতিদিন কমপক্ষে
দুই পৃষ্ঠা ও রামাযানের প্রতিদিন কমপক্ষে এক পারা কুরআন তেলাওয়াত করা অবশ্যক। যা
মুখস্থ আছে তা সংরক্ষিত রাখা ও আয়াতগুলির অর্থ ও মর্ম অনুধাবন করা, সেইসাথে
পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে সার্বিক জীবন গঠন করা। মহান আল্লাহ আমাদেরকে
যেন সেই তাওফীক দান করুন। আমীন