কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন ও কার্যকারিতা উপকারিতা এবং অপকারিতা জানুন

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন ও কার্যকারিতাসম্মানিত পাঠক আপনারা কি জানেন। সকল রোগের মহা ঔষধ কালোজিরা এক কথায় মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের কার্যকরী মহা ঔষধ কালোজিরা আমরা কালোজিরা খাই কিন্তু জানিনা এই কালোজিরার মধ্যে কি গুনাগুন রয়েছে। তাই আজকে আমরা জানবো।
কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন ও কার্যকারিতা উপকারিতা এবং অপকারিতা জানুন
কালো জিরার গুনাগুন ও কার্যকারিতা কালোজিরার ব্যাপারে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত বিশ্ব রাসূল জনাবে মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তিনি বলেছেন। কোন ব্যক্তি যদি কালোজিরা এবং মধু খায় মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের আরোগ্য ক্ষমতা রয়েছে।

পেজ সুচিঃ কালোজিরার গুনাগুন ও কার্যকারিতা উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে

কালোজিরা কি

কালোজিরা এমন একটি ছোট দানা জাতীয় বীজ যা আমাদের অনেকেই এই বীজ চিনে থাকি। এই কালোজিরা বিভিন্ন নামেও চিনে থাকে। যেমনঃ- কালো কেওড়া, রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান ধনে, নিজেলা, ফিনেল ফ্লাওয়ার, হাব্বাটুসউডা ও কালঞ্জি ইত্যাদি। কালোজিরার বৈজ্ঞানিক একটি নাম রয়েছে। (Nigella sativa) যে নামেই ডাকা জাকনা কেন। 
এই কালোজিরা ক্ষুদ্র বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস থেকে আরম্ভ করে শরীরের রং ও কলার বাড়াতে সহায়তা করে কালোজিরা। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই না কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্যও অনেক উপকারি বীজ। প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কালোজিরা থাকে। যা খাবারকে সুগন্ধি ও সাদ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

আসুন আমরা আজ আশ্চর্য বীজ ঔষধি গুনাগুন ও কার্যকারিতা উপকারিতা এবং অপকারিতা জেনে নেই। যা আমাদের দেহের জন্য বা স্বাস্থ্য সচেতন জন্য বিশেষ উপকারে আসবে। তাহলে চলুন আর বিলম্ব না করে।  ঔষধি গুনাগুন ও কার্যকারিতা উপকারিতা এবং অপকারিতা বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করি।

কালোজিরার হাদিসে বর্ণিত তথ্য সমূহ

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন, কালিজিরায় সকল প্রকার রোগে নিরাময়ের ক্ষমতার আল্লাহতালা  দিয়েছে। তবে মৃত্যু ব্যতীত। এর ‘আল হাব্বাতুস্ সাওদা’ হলো  ‘শূনীয’ (অর্থাৎ কালিজিরা) মুসলিম, হাদিস নং- ৫৬৫৯ তাহলে হাদিস থেকে প্রমাণ হয়। যে কালোজিরা মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের মহা ঔষধ।

খালিদ ইবনে সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা (যুদ্ধের অভিযানে) বের হলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন, গালিব ইবনে আবজার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে গেলেন। এরপর আমরা মদিনায় ফিরলাম, তখনো তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে দেখাশোনা করতে আসেন ইবনে আবি আতিক। তিনি আমাদের বললেন, তোমরা এ কালিজিরা সঙ্গে রেখো। 
এর থেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে বেটে বা পিষে নেবে, তারপর তন্মধ্যে জয়তুনের কয়েক ফোঁটা তেল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এদিক-ওদিকের ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে প্রবেশ করাবে। কেননা আয়েশা (রা.) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে তিনি নবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন, এই কালিজিরা ‘সাম’ ছাড়া সব রোগের ওষুধ। আমি বললাম, ‘সাম’ কী? তিনি বললেন মৃত্যু। (বুখারি, হাদিস নং- ৫৬৮৭)

তবে এই হাদিস থেকে আরেকটি জিনিস প্রমাণ হলো যে জয়তুনের তেল এটিও মানব দেহের বিশেষ উপকার করার ক্ষেত্রে অধিক ভূমিকা রাখে। যদি আমাদের সম্ভব হয়। তাহলে জয়তুন তেল ব্যবহার করার চেষ্টা করব।

কালিজিরার বীজ থেকে একধরনের তেল তৈরি হয়। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে আছে ফসফেট, আয়রন এবং ফসফরাস। এ ছাড়া কালিজিরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে। তাই যেকোনো রোগ নিরাময়ে, রোগ থেকে নিরাপদ থেকে অন্যান্য সতর্কতার পাশাপাশি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে কালিজিরা সেবন করা যেতে পারে।

আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও কবিরাজি চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই যারা এসব চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করে, তাদের কাছে রোগ অনুযায়ী সঠিক ব্যবহারবিধি পাওয়া যাবে। কারণ একেক ধরনের রোগের জন্য কালিজিরার ব্যবহারবিধিও একেক রকম হয়ে থাকে। যেমন কোনো কোনো রোগের ক্ষেত্রে কালিজিরার তেল বেশ উপকারী। 

এ সময় ডট ইন্ডিয়া টাইমস পত্রিকার তথ্য মতে এতে রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধক কেরটিন, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান এবং অম্ল রোগের প্রতিষেধক। এ কারণেই হয়তো সাহাবায়ে কেরাম সব সময় সঙ্গে কালিজিরা রাখার পরামর্শ দিতেন। আমরাও যথারীতি চেষ্টা করব, কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন ও কার্যকারিতা উপকারিতা এবং অপকারিতা বিষয় জানতে।

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন এক চা-চামচ পুদিনাপাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রং চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত সেব্য। যা দুশ্চিন্ত দূর করে। এছাড়া কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য বিশেষ কাজ করে দ্বিগুণ হারে বাড়িয়ে তোলে। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। 
যা মানুষের মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থকে। কালোজিরা খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির হয়। যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন মাথা ব্যাথা নিরাময় করে

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন ১/২ চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে। এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য। কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন সর্দি সারাতে অনেক কাজ করে। কালোজিরা এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার সেব্য। 

এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়। সর্দি বসে গেলে কালিজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন। একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন, শ্লেষ্মা তরল হয়ে ঝরে পড়বে। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন।

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন বাতের ব্যাথা দূরীকরণে কার্যকারিতা

মানুষের শরীরে আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করে। এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য। দেখবেন ইনশাল্লাহ আপনার বাতের ব্যথা আল্লাহপাক আরোগ্য দান করেছেন।

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে কার্যকরিতা

মানবদেহের আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করে। এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে২/৩ সপ্তাহ সেব্য। আল্লাহর রহমতে আপনার চর্ম রোগ নিমিষেই আরোগ্য হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তাহলে এখান থেকে বোঝা যায়। 

আমাদের শরীরের চর্মরোগ হলে কালোজিরার তেল মধু এবং হলুদের রস একসঙ্গে মিশ্রিত করে ক্ষত জায়গায় লাগাবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন চাইলে চর্মরোগ থেকে আরোগ্য দান করবেন।

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে মহা ঔষধ

কালোজিরার তেল এক চা-চামচ সহ এক কাপ দুধ খেয়ে দৈনিক ২বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেব্য এবং শুধু কালোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে। দেখবেন আল্লাহর রহমতে আপনার হার্টের সমস্যা নেমেসেই দূর হতে হবে ইনশাআল্লাহ।

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে কার্যকারিতা

কালোজিরা প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে। এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যেরতাপে কমপক্ষে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে। এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণমধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন সেব্য যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়া কালোজিরা বা কালোজিরা তেল বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। 

এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে পরিবর্তন করে। আরোগ্য পেতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। অর্শ রোগ নিরাময়ে এক চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তেল চুরন/তিলের তেল, এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ সেবন করতে হবে।

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগ পরিবর্তন করতে বিশেষ ভূমিকা

আমরা যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমসসায় ভুগে থাকেন। তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা দূর হবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়া এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ দুধ বা রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেবন করতে হবে।

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন যৌবন শক্তি বৃদ্ধির জন্য মহা ঔষধ

কালোজিরা নারী- পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কালোজিরা খাবারে সাথে খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত আছে যে, কালিজিরা যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। একচা-চামচ মাখন তারপরে। 

এক চা-চামচ জাইতুন তেল সমপরিমাণ কালোজিরার তেল ও মধুসহ দৈনিক ৩বার ৪/৫ সপ্তাহ সেবন করতে হবে। তবে পুরানো কালোজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক ও অপকারিতার কারণ হতে পারে সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে কালোজিরার তেল যায়তুন তেল ব্যবহার করা তৌফিক দান করুন।

মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক স্রাব বা মেহ/প্রমেহ রোগের ক্ষেত্রে মহা ঔষধ

এক কাপকাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক৩বার করে নিয়মিত সেব্য।যা শতভাগ কার্যকরী । দুগ্ধ দান কারিনীমা দের দুধ বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা মহা ঔষধ যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালিজিরা। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে। 

৫-১০ গ্রাম কালিজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালিজিরা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। এছাড়া একচা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেব্য। যা শতভাগ কার্যকরী। ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণে ডায়াবেটিকদের রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালিজিরা। 

এক চিমটি পরিমাণ কালিজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া এক কাপ চা-চামচকালোজিরার তেল, এক কাপ রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২বার করে নিয়মিত সেবন করবেন। যা ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণে একশত ভাগ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে

কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন ত্বকের গঠনের উন্নতি ও ত্বকের প্রভা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা অত্যাবশ্যকীয়। এতে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস ইত্যাদি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুন্দর করে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। মধু ও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে। 

আধাঘন্টা বা একঘন্টা রাখে ধুয়ে ফেলুন, এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে। যদি আপনার ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। নিয়মিত লাগালে ব্রণ দূর হবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য কালোজিরার গুঁড়া ও কালোজিরার তেলের সাথে তিলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এক সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

কালোজিরার অপকারিতা

কালোজিরার গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল খাওয়ানো উচিত নয়। খাওয়ালে উপকারের চাইতে অপকারিতা সম্ভাবনা বেশি। তবে বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে। যেমন শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন ও কার্যকারিতা উপকারিতা সম্পর্কে আশা করি। পড়লে এখান থেকে দৈনন্দিন জীবনে কালোজিরা ওষধি গুনাগুন বিষয়ে অনেক ধারনা আসবে বলে আমি মনে করি। তাই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার আহ্বান জানিয়ে এবং আপনাদের সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন