ফার্নিচার কিভাবে নতুন রূপে রূপকরণ বিস্তারিত জানুন
ফার্নিচার কিভাবে নতুন রূপে রূপকরণপ্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন একটি মানসম্মত ফার্নিচার কিভাবে নতুন রূপ দেওয়া
যায়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের ট্রপিকটি আপনারই জন্য যা আপনার পুরাতন
ফার্নিচার নতুন রূপ দিতে বিশেষ কার্যকারি ভূমিকা রাখবে।
তাহলে চলুন কিভাবে একটি মানসম্মত ফার্নিচার নতুন রূপে রূপ দেওয়া যায়। সেই
ব্যাপার নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাবে। আশা করি যারা নতুন ফার্নিচার বানাতে
চান তারা এই ট্রপিকের মাধ্যম দিয়ে অনেক কিছু জানতে পারবে।
পেজ সচিপত্রঃ মানসম্মত ফার্নিচার কিভাবে নতুন রূপে রূপকরণ করা যায়
- ফার্নিচার কি
- ফার্নিচার তৈরির প্রস্তুতি
- ফার্নিচার রং করার দ্বিতীয় প্রস্তুতি
- ফার্নিচার রং করার জন্য তৃতীয় প্রস্তুতি
- ফার্নিচার রং করার জন্য চতুর্থ প্রস্তুতি
- ফার্নিচার ফিনিশিং এর পঞ্চম প্রস্তুতি
- ফার্নিচার কালার ক্লিয়ার শিলার প্রক্রিয়া বা মিশ্রণ পদ্ধতি
- ফার্নিচার কালার প্রক্রিয়ার জন্য ব্রাউন্সিলার বা মিশ্রণ পদ্ধতি
- ফার্নিচারে ফিনিশিং এর লক্ষ্যে মিশ্রণ পদ্ধতি
- ফার্নিচার সাবধানতার সাথে এখান সেখানে সারানোর সর্তকতা অবলম্বন
- শেষ কথাঃ
ফার্নিচার কি
ফার্নিচার শব্দটি ফরাসি এসেছে যার অর্থ সরঞ্জাম। আসবাবপত্র, গৃহস্থালীর
সরঞ্জাম, সাধারণত কাঠ, ধাতু, প্লাস্টিক, মার্বেল, কাচ, কাপড়, বা এই সম্পর্কিত
উপকরণ দিয়ে বানানো হয়। যা বিভিন্ন প্রয়োজনে এবং বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
ফার্নিচার অর্থাৎ আসবাবপত্রের বেঞ্জ সাধারণ চেয়ার বা টেবিল থেকে আরম্ভ করে।
মার্কেট্রি ওয়ার্ক ক্যাবিনেট বা ওয়াড্রপ শোকেস কনসোল টেবিল আলমারি ড্রেসিং
টেবিল ইত্যাদি,পর্যন্ত বলা হয়ে থাকে।
ফার্নিচার তৈরির প্রস্তুতি
প্রথমে আমাদেরকে আলমারি ওয়ার ড্রপ শোকেস ড্রেসিং টেবিল কেবিনেট নিয়ে
জয়েন্টের জায়গাগুলোতে সুপার গুলো এবং বোর্ডের ভুষি দিয়ে জয়েন্টের ফাঁকা
স্থান পূরণ করতে হবে। তারপরে অতিরিক্ত উঁচু হয়ে থাকলে সেই জায়গাতে জ্ঞানডিং
দিয়ে সমান করে নিতে হবে। এবং বিভিন্ন স্থানে ১২০ সিরিজ পেপার দিয়ে ভালোভাবে
ঘষে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মানসম্মত আলমারি কালার বা লিকার করা নিয়ম
এবং বলে রাখা ভালো শুরুতেই যদি আমরা বিভিন্ন গর্ত জায়গা গুলোতে পুটিং দিয়ে
নিতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে আর পুটিং এর ঝামেলাটা অনেকটা কমে যাবে, সেই দিকে
বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আর পুটিং দেওয়ার পরে যদি কোন জায়গায় উঁচু হয়ে
থাকে তাহলে সে জায়গায় সিরিজ পেপার দিয়ে অর্থাৎ ১২০ পেপার দিয়ে আলতো করে ঘষে
নিতে হবে।
এক কথায় কোনোভাবেই উঁচু রাখা যাবে না একদম সমান রাখতে হবে। না হলে
পরবর্তীতে ওই সমস্ত কিছু জায়গাগুলো কালার করার পরে চোখের সামনে ভেসে উঠবে তাই
অবশ্যই উঁচু জায়গা গুলো ঘষে সমান করে নিতে হবে।
ফার্নিচার রং করার উপকরণসমূহ নিম্নে লিস্ট আকারে তুলে ধরা হলোঃ-
- ব্রাউন সেলার
- ক্লিয়ার সিলার
- টপ-কোট
- হারিনার
- ১২০ সিরিজ পেপার
- ২৪০ সিরিজ পেপার
- সুপার গুলু
- এনসি থেনার
- ৪৪৬ থিনার
- চক পাউডার
- গোল্ডেন পাউডার
- মাস্কিন টেপ
ফার্নিচার রং করার দ্বিতীয় প্রস্তুতি
ফার্নিচার ক্লিন করার জন্য এবার আমরা ক্লিয়ার সিলার ফার্নিচারে স্প্রে করে
নেব। তারপরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করব অপেক্ষা শেষ হলে ফার্নিচার ক্লিয়ার শিলার
স্পীকৃত জায়গা গুলোতে সিরিজ পেপার দিয়ে আলতো করে ঘষে নেব। যাতে করে
ফার্নিচারটি বেশি ইসমত দেখা যায়।
সম্পূর্ণ ফার্নিচার টি ঘষা হয়ে গেলে আমরা পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হব, পরবর্তী ধাপ
বলতে আমরা ফার্নিচারে ব্রাউন শিলার মারার জন্য প্রস্তুতি নেব। আর ব্রাউন শিলার
কালার কে ফুটিয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই ফার্নিচারে ব্রাউন শিলার স্প্রে
করা অবশ্যই জরুরী।
ফার্নিচার রং করার জন্য তৃতীয় প্রস্তুতি
ফার্নিচারের গোটা বডিতে ভালোভাবে রং করার জন্য এবার আমরা ফার্নিচারের বডিতে
ব্রাউন শিলার স্প্রে করে নেব স্প্রে করা শেষ হয়ে গেলে এবার আমরা ফার্নিচার
কিছুক্ষণের জন্য শুকাতে দেব সেটি হয়। রোদে হোক অথবা এমনিতেই রেখে দেওয়া হোক
যদি বাতাসেই শুকিয়ে যাবে, ফার্নিচার শুকিয়ে যাওয়ার পরে এবার আমরা ভালোভাবে
লক্ষ্য করে নেব।
কোন জায়গায় ফার্নিচার ছিদ্র আছে কিনা অর্থাৎ শুটারের পিন বা অন্যান্য ছিদ্র
যদি থাকে তাহলে আমরা সেখানে ব্রাউন শিলার দিয়ে বানিয়ে নাও প্রোটিন দিয়ে
ছিদ্রকৃত জায়গাগুলো পূরণ করে নেব তারপরে ফার্নিচারের বডি গুলো ২৪০ নাম্বার
সিরিজ পেপার দিয়ে ভালোভাবে ঘষে নেব ফার্নিচারের বডি সম্পূর্ণরূপে ঘষা
হয়ে,
গেলে আমরা ফার্নিচার রং করার জন্য চতুর্থ ধাপে অগ্রসর হব চতুর্থ ধাপ বলতে আমরা
রং করার জন্য প্রস্তুতি নেব। আরে কালার দুই ভাবে করা যায়। যেমন টপ-কোর্টের
সঙ্গেও মারা যায়। আবার টপ-কোড ছাড়াও এমনিতে মারা যায়।
ফার্নিচার রং করার জন্য চতুর্থ প্রস্তুতি
ফার্নিচার রং করার জন্য প্রথমে তো পরিমাণ মতো কিলিয়ার ছিলেন নিব তার সাথে এনসি
থিনার এবং হারিনার কালার একসঙ্গে মিশ্রণ করে ফার্নিচারের বডিতে স্প্রে করতে
হবে। তবে এখানে বলে রাখা ভালো যদি মনে করেন যে বাড়িতে ফাইবার হবে, সেই
ক্ষেত্রে প্রথমেই বডিতে চট ফাইবার অথবা রবার ফাইবার করে নিতে হবে।
পরে ফাইবার কৃত বডিতে হালকা কালার করতে পারেন,অথবা ফিনিশিংয়ের সঙ্গে কালার
করতে পারেন দুইভাবেই করার করা যায়। তবে ফিনিশিং এর আগে ফার্নিচারের বডিতে
কালার করে নিলে ফার্নিচারটি বেশি ফিনিশিং দেখাই, তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে
ফিনিশিং এর আগে কালার করে নেওয়া টাই ভালো তবে দুই ভাবেই ফিনিশিং দেওয়া যায়।
ফার্নিচার ফিনিশিং এর পঞ্চম প্রস্তুতি
ফার্নিচার বডি কালার শেষ হয়ে গেলে ফার্নিচারে ফিনিশিং এর দেওয়ার প্রস্তুতি
নিতে হবে। ফিনিশিং বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা হচ্ছে, গ্লেজ ফার্নিচার গ্লেজ
বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। হাইগ্লেজ হতে পারে হান্ড্রেড গ্লেজ হতে
পারে, sixty গ্লেজ হতে পারে।
তবে এক একটি গ্লেজের এক এক রকম কাজ যেমন হাইগ্লেজ এর কাজ সাময়িকভাবে
ফার্নিচার চকচকে দেখাবে। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে এটি গ্লেজ নষ্ট হয়ে ফ্যাকাসে
হয়ে যাবে। আর থার্টি বা সিক্সটি গ্লেস দীর্ঘ টাইম ধরে ফার্নিচার গ্লেজের
আদ্রতা ধরে রাখে।
ফার্নিচার কালার ক্লিয়ার শিলার প্রক্রিয়া বা মিশ্রণ পদ্ধতি
ফার্নিচার ক্লিন করার জন্য যেই কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। তাকে ক্লিয়ারসিলার
বলে, আর ক্লিয়ার শিলার কিভাবে মিশ্রণ করতে হয়। সে ব্যাপারে আপনাদের সাথে
শেয়ার করি। যদি একটি আলমারি হয়, এর জন্য ক্লিয়ার ১৫০০ গ্রাম
প্রয়োজন হবে, আর N/C থিনার প্রয়োজন হবে দুই কেজি মতো এবং হারিনার এতে
প্রয়োজন হবে ৭০০ গ্রাম।
সবগুলোই একসঙ্গে ভালোভাবে মিশ্রণ করতে হবে, তারপরে মিশ্রণকৃত কেমিক্যাল
ফার্নিচারের সম্পূর্ণ বডিতে স্প্রে করতে হবে স্প্রে করা শেষ হয়ে গেলে ক্লিয়ার
ফিলার শুকানোর জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপরে ক্লিয়ার সিলার শুকিয়ে
গেলে ১২০ নাম্বার সিরিজ পেপার দিয়ে ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে।
ফার্নিচার কালার প্রক্রিয়ার জন্য ব্রাউন্সিলার বা মিশ্রণ পদ্ধতি
ফার্নিচারে ব্রাউন সেনার স্প্রের লক্ষ্যে এবং বাউন্সিলার মিশ্রণ তৈরি করার জন্য
প্রথমত কাউন্সিলর একটি আলমারি ফার্নিচারের জন্য ১ কেজি ৫০০ গ্রাম একটি মিশ্রণ
পাতিলে নেওয়া যেতে হবে এনসি থিনার সমপরিমাণ নিতে হবে এবং হারিনার ওজনকৃত ব্রাউন
শিলার থেকে হাফ অর্থাৎ সাত শত গ্রাম নিতে হবে তারপরে একসঙ্গে তিন ওটাই ভালোভাবে
মিশ্রণ করে নিতে হবে তারপরে ফার্নিচারের বডিতে সুন্দর রূপে স্প্রে করতে হবে এর
কাজ শেষ।
ফার্নিচারে ফিনিশিং এর লক্ষ্যে মিশ্রণ পদ্ধতি
একটি আলমারির জন্য টপ কোট ৮০০ গ্রাম নিতে হবে এবং টপ কোড এর সঙ্গে ৪৪৬ সমপরিমাণ
নিতে হবে এবং হারিনার ৪০০ গ্রাম নিয়ে সবগুলো একসঙ্গে ভালোভাবে মিশ্রণ করতে হবে,
তারপরে ফার্নিচারের সম্পূর্ণ বডি।
অর্থাৎ আলমারির পাল্লা বডি সহ সম্পন্নটাই ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে, এবং
স্প্রে করা হয়ে গেলে সংরক্ষিত স্থানে ভালোভাবে শুকাতে দিতে হবে তখন ভালোভাবে
শুকিয়ে গেলে ওই ফার্নিচার শো রুমে প্রদর্শনের জন্য স্থান পাবে।
ফার্নিচার যত্নের জন্য নেওয়ার কিছু সহজ উপায় জেনে নেওয়া দরকার তাই চলুন এবার
জেনে নেওয়া যাক ফার্ণিচারের যত্ন নেওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ সহজ উপায়। আর তা নিম্নে
বল্ড আকারে তুলে ধরা হলোঃ-
ফার্নিচার সাবধানতার সাথে এখান সেখানে সারানোর সর্তকতা অবলম্বন
- আপনার ফার্নিচার যদি ঘরে ঢোকানোর সময়ই আঘাত পেয়ে যেন কোথাও ভেঙে যায়। সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে যদি ভেঙে যায়। তখন হয়তো যত্ন নিতে আর ইচ্ছে করবে না। আর ভেঙে গেলে বা চাপ লেগে কোথাও দুমড়ে গেলে সেটির দাগ থেকেই যাবে।
যা দেখতে অনেকটা খারাপ লাগলো কারণ এটি ফার্নিচার তাই অবশ্যই ফার্নিচার এখান
সেখানে সরানোর জন্য বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে করে ফার্নিচারটি কোনভাবেই
দাগ বা আচর না লাগে আশা করি ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন। নষ্ট হওয়ার চেয়ে এভাবে
আসবাবের ক্ষতির সংখ্যাই বেশি। বিপুল সংখ্যক আসবাব ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে।
কারণ সেগুলো এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নেয়ার সময় সাবধানতার অভাব ছিল। তাড়াহুড়ো করে
ফার্নিচার সরানো থেকে বিরত থাকুন। দরজার সাথে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে গেলে দেখতে
বিশ্রি লাগবে, একটি স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাবে। এবং কখনও কখনও এতটাই অতিরিক্ত
ক্ষতি হয়। যে মেরামত করেও আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না।
এটির সাথে মোকাবেলা করার সহজতম উপায় হচ্ছে, ফার্নিচার সরানোর সময় অতিরিক্ত
সাবধানতা অবলম্বন করা। আধুনিক ফার্নিচার গুলোতে অনেক সময় বিভিন্ন ভাবে বাঁকানো
এবং ভিন্ন আকারের অংশ লক্ষ্য করা যায়। এই ধরনের ফার্নিচার সরানোর সময় সেগুলোর
কথা মাথায় অবশ্যই রাখবেন।জয়েন্টগুলি লক্ষ্য করুন।
এবং সংকীর্ণ জয়েন্টগুলিতে যাতে বেশি চাপ না পড়ে সে সম্পর্কে অতিতিক্ত সতর্কতা
অবলম্বন করুন যাতে সেগুলো ভেঙে না যায়। সবচেয়ে ভালো হয়। যদি আপনার
ফার্নিচারগুলি পেপার বা কার্ড-বোর্ড এর বাক্সের অংশ বা ভারী কাগজের টুকরো বা
মোড়কের সাহায্যে মুড়িয়ে নেবেন। এতে করে ফার্নিচারের শরীরে সরাসরি আঘাত লাগবে
না। কোথাও চাপ লাগলেও সেটির জন্য দাগ পড়বে না।
- ফার্নিচার ঢেকে রাখা গুরুত্ব অনেক বেশি ছুটি কার না ভালো লাগে। তারউপরে যদি কয়েকদিনের লম্বা ছুটি হয়। তাহলে তো কথাই নেই। ঈদ পূজা বা অন্যান্য বড় উৎসব এর কথা চিন্তা করুন। আপনি কয়েক দিন বা সপ্তাহের জন্য হয়তো গ্রামে চলে যাবেন। আপনার ঘর-বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টটি পুরো সময়টি খালি থাকে।
এই অসুবিধা এড়াতে আপনার বাসা-বাড়ি থেকে দূরে থাকাকালীন সময়ের জন্য আপনার
ফার্নিচারটি বড় কোন কভার দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা উচিত। এটি কেবল এই
ধুলা-ময়লা থেকে রক্ষা করবে না, এটি আপনার বাসায় ফেরার পরে ফার্নিচারটি পরিষ্কার
করাও সহজ হয়। তাহলে অবশ্যই ফার্নিচারটি ভালোভাবে ঢেকে রাখা উচিত,
- ফার্নিচার পানি জাতীয় পদার্থ থেকে সাবধান রাখার পরামর্শ আমরা কোনও ফার্নিচার তৈরি করার সময় সেরা মানের কাঠ ব্যবহার করি। আধুনিক মেশিনে কাঠ বা বিভিন্ন ধরনের বোর্ড প্রসেস করে বার্নিশ বা লিকার করে থাকি। যা ফার্নিচার গুলোকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে এবং এ ফার্নিচারকে একটি ঝকঝকে চেহারা দিয়ে থাকে।
তারপরেও যদি আপনি তরল পদার্থ যেমন- পানি এবং দুধের গ্লাস থেকে সাবধান না হন তবে
গ্লাসের তলার ন্যায় গোল একটা দাগ ফার্নিচারে পড়তে পারে। কাচের টেবিলটপ দিয়ে
বানানো ডাইনিং সেটগুলি নিরাপদ যেহেতু কাচের উপর এই ধরণের দাগগুলি স্থায়ী হয়না।
এবং সহজেই তুলে ফেলা যায়। গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করলে পরিষ্কার করা আরো সহজ হয়ে
যাবে।
তবে তরলগুলি সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা
দাগগুলি মুছে ফেলতে চেষ্টা করুন। ফলে আপনাকে স্থায়ী দাগ নিয়ে চিন্তা করতে হবে
না। এবং আপনার ফার্নিচার টি পরিষ্কার এবং নতুন দেখবে। তবে বোর্ডের ফার্নিচারের
কথা ভিন্ন এর উপরের গ্লেজের আর্দ্রতা থাকার কারণে তরল পদার্থ পানি দুধ তরকারির
ঝোল ইত্যাদি।
ফার্নিচারের উপর পতিত হলে বোর্ডের ফার্নিচার প্রতি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে।
এমনকি দাগ ফার্নিচারে লাগার কারণে সে দাগ উঠানো অসম্ভব হয়ে যাবে। আর একান্তই
বোর্ড ফার্নিচারের দাগ বা অন্য কিছু দূর করতে হলে পুনরায় ফার্নিচার রেফারিং
করতে হবে তাহলে আবার নতুনের মত ঝকঝকে হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আবার টাকা খরচের
ব্যাপার রয়েছে।
তাই আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে করে বোর্ডের ফার্নিচারে এই সমস্ত বস্তু
থেকে সতর্ক থাকাটাই সবচাইতে উত্তম আশা করি ব্যাপারটা সম্পূর্ণ রূপে উপলব্ধি
করতে পেরেছেন।
- ফার্নিচার নিয়মিত নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার বা মুসার বিকল্প নেই, ফার্নিচারকে যদি নতুন এর মতো ঝকঝকে দেখাতে চান, তাহলে প্রতিদিন ঝাড়া-মোছা করা উচিত। তবে এটি বাধ্যতামূলক ভাবে প্রয়োজনীয় নয়। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, এটি আপনি কোথায় বসবাস করেন, তার উপর নির্ভর করে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার অ্যাপার্টমেন্ট কোনও চলমান রাস্তার পার্শ্বে হয়। সেই
ক্ষেত্রে ধুলাবালি সমস্যা অনেক বেশি হয়। আর এই ক্ষেত্রেই আপনার ফার্নিচার
ধুলোবালিতে বেশি নিমজ্জিত হয়। যার জন্য আপনার ফার্নিচার ধুলাবালিতে আছিন্ন
থাকে। এইজন্য আপনার ফার্নিচার প্রতিদিন ঝাড়া-মোছা করতে হতে পারে। তবে প্রতি দুই
বা তিন দিনে ঝাড়া-মোছা করাই যথেষ্ট করবেন।
শুধু ঝাড়া-মোছা যথেষ্ট নয়। তবে আপনি কিছুটা সময় নিয়ে ফার্নিচার পরিষ্কার করতে
পারেন। এমনকি ফার্নিচার ক্লিন রাখার জন্য এক ধরনের পার্নিশ পাওয়া যায়। যা নরম
কাপড়ে ভরিয়ে ফার্নিচারে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ঘর ফার্নিচার কত
দ্রুত ময়লা পরিষ্কার হয়। তার উপর নির্ভর করে প্রতি সপ্তাহে বা প্রতি দুই
সপ্তাহে ঝাড়া-মোছার পাশাপাশি ধোয়া-মোছা করা উচিত।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে এগুলি পরিষ্কার করবেন? কাচের টেবিলটপ বা দরজাগুলির
জন্য, গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করুন। সেটি ভেজা কাপড়ের চেয়ে অনেক বেশি ভাল কাজ
করবে। বাকী ফার্নিচার অর্থাৎ বোর্ডের ফার্নিচারের এর জন্য নরম কাপড় দিয়ে
পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। ফার্নিচার অতিরিক্ত নোংরা হলে আপনি কোটার পালিশ
ব্যবহার করতে পারেন।
তবে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে ক্লিনিং এজেন্ট ব্যবহার করা। অবশ্যই হালকা ধরনের
এজেন্ট ব্যবহার করবেন, ভারী কেমিক্যাল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। পরিষ্কার করার
জন্য সবসময় নরম কাপড় ব্যবহার করতে ভুলবেন না। খসখসে কাপড় এড়িয়ে চলুন বিশেষ
করে যেগুলোতে সিরিশকাগজ বা স্যান্ডপ্যাপারের মতো রুক্ষ দিক রয়েছে।
এগুলো ফার্নিচার পরিষ্কারের চেয়ে পলিশের উপকার করবে বেশি। মনে রাখবেন অতিরিক্ত
ভেজা ভেজা ভাব থেকে মুক্তি পেতে পরিষ্কার করার পরে শুকনো কাপড় দিয়ে ফার্নিচার
টি সবসময় মোছা উচিত। তাহলেই আপনার ফার্নিচার সব সময় নতুনের মত ঝকঝকে ফক ফকে
থাকবে ইনশাআল্লাহ।
ফার্নিচার নকশা বা খাজের ভেতরে পরিষ্কার করুন, আধুনিক আসবাবগুলি মিনিমালিস্টিক
ডিজাইনে করা হয়ে থাকে। যেখানে বিভিন্ন আকার বা শেপ এর আধিক্য দেখা যায়। এবং
তাতেই সেগুলো সুন্দর দেখায়। তবুও মাঝে মাঝে ফার্নিচার ব্যক্তিত্ব সৌন্দর্যের
জন্য খাঁজগুলি যুক্ত করে নকশা করা হয়। ভারী নকশাগুলি ট্র্যাডিশনাল ফার্নিচার এর
ক্ষেত্রে আরও বেশি দেখা যায়।
পরিষ্কার করার সময় খাঁজগুলি পরিষ্কার করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। যদি আপনার
ওয়াশক্লথগুলি খাজের ভেতরে পৌঁছতে না পারে তবে। খাঁজগুলি পরিষ্কার করতে পেইন্ট
ব্রাশ বা কটন সোয়াব ব্যবহার করুন। তাহলে নকশার ভিতরে ময়লা গুলো অতি সহজেই
পরিষ্কার করে আশা করি ব্যাপারটা সম্পন্ন বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথাঃ
আপনি আপনার কাঠের ফার্নিচার নিয়মিত পালিশ বা লিকার এবং চকচকে করেন, কিন্তু
সময়ের সাথে সাথে সেই পলিশ এবং ধুলো একত্রিত হয়ে টেবিল, চেয়ার এবং
নকশাগলিতে একটি অন্ধকার ফিল্ম ছেড়ে যায়। যা আপনার ফার্নিচারটিকে সেরা
দেখাতে যত্নের সহিদ পরিষ্কার করতে হবে। যেমনটি বলেছি ফার্নিচার পরিষ্কার
রাখতে, এবং আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে যত্নের বিকল্প নাই,
তাই আসুন আমাদের কষ্টের অর্জিত টাকা দিয়ে তৈরি করা ফার্নিচার গুলো। যথারীতি
ভাবে যত্ন নিয়ে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করার জন্য উপযোগী করে রাখি, পরিশেষে
পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার এই প্রত্যাশা রেখে এবং আপনাদের সুস্থতা কামনা রেখে
আজকের মত ফার্নিচার কিভাবে নতুন রূপে করা যায়। তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করে
আজকের মত ইতি করছি। আল্লাহ হাফেজ