রমজান মাসে কোরআন তিলাওয়াতের ফজিলত অত্যন্ত মহত্ত্বপূর্ণ
রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্যরমজান মাসে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করব-আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক রমজান
মাসকে তিন ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম ১০ দিন রহমত, দ্বিতীয় ১০ দিন বরকত, এবং
তৃতীয় ১০ দিন মাগফিরাত আর বর্তমান রমজান মাস চলছে। তাই আমাদের রমজান মাসের প্রথম
১০ দিন।
থেকে শেষের ১০ দিন পর্যন্ত কত বেশি কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করব তা সম্পর্কে জানা
জরুরী। কারণ এই মাসে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত বর্ষণ হয়। তাহলে চলুন কথা না
বাড়িয়ে রমজানের প্রথম ১০ দিন থেকে শেষের ১০ দিন পর্যন্ত কত বেশি কোরআন তেলাওয়াত
করব তা জানুন।
পেজ সূচিপত্রঃ- রমজান মাসে কোরআন তিলাওয়াতের ফজিলত অত্যন্ত মহত্ত্বপূর্ণ
আমরা জানি প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তিত্ব জানে যে রমজান মাসে ৩০ দিনকে তিনটি বিভক্তে
ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটা মুসলমানের কাছে রমজান মাস একটি বরকত মাস হিসেবে পরিচিত।
রমজান মাসে আল্লাহর দেওয়া বিশেষ কিছু নিয়ামত রয়েছে। যা আমাদের সকলের জানা অতীব
প্রয়োজন। রমজানের প্রথম দশ দিন হল রহমত।
আর রমজানের প্রথম ১০ দিনে আল্লাহ তায়ালার রহমত সকল মুসলমানের ওপর মুক্তোর দানার
মত বর্ষিত হয়। মুক্তোর দানা কেন বললাম। কোন তসবির সুতো কেটে দেওয়ার পরে, তসবির
যেই দানাগুলো নিচের দিকে ঝরঝর করে পড়তে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবেই রমজান মাসে প্রথম
দশকে আল্লাহ তাআলার রহমত আমাদের প্রতি ঝরতেই থাকে।
তাই অনেকেই আছেন যারা রমজানের প্রথম ১০ দিন কি গুরুত্বপূর্ণ আমল করব সম্পর্কে
সঠিক তথ্য জানেন না। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা রমজানের প্রথম ১০ দিন
থেকে শেষের ১০ দিন পর্যন্ত কোন বিষয় নিয়ে বেশি আমল করব এ সম্পর্কে জানতে
পারবেন।
তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা রমজানের প্রথম ১০ দিন হতে শেষের ১০ দিন পর্যন্ত কোন আমল
বেশি বেশি করব সবসহ রমজানের প্রথম ১০ দিনের দোয়া কোরানুল কারীম তেলাওয়াত
রমজানের প্রথম থেকে শেষের দশ দিনের ফজিলত সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত সকল
তথ্য জানাবো। ইনশাআল্লাহ
রমজান মাসে কোরআন তিলাওয়াতের ফজিলত
রমজান মাসে কোরআন তিলাওয়াতের ফজিলত অত্যন্ত মহত্ত্বপূর্ণ। কোরআন মাজিদ দুনিয়ার
সবচেয়ে বেশি পঠিত গ্রন্থ এবং আল্লাহর নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভের মাধ্যম। কোরআন পঠন
ও অনুশীলনের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। পঠন-পাঠন ও বিদ্যার্জন এবং
জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার নির্দেশ দিয়েই কোরআন মাজিদের প্রথম আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়।
কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত অত্যন্ত মুক্তিদানকর। কোরআনুল কারীমের এক আয়াতের তেলাওয়াত
একশত রাকাত নফল নামাযের চেয়ে উত্তম। হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে, যে
ঘরে কোরআন তেলাওয়াত হয়। সে ঘরে আল্লাহ তাআলা অনেক কল্যাণ ও বরকত নাযিল করেন। যে
ঘরে কোরআন তেলাওয়াত হয় না।
আরো জানতে এইখানে ক্লিক করুনঃ- লাইলাতুল কদর অল্প আমলে বেশি সওয়াব বিস্তারিত
সে ঘরে কল্যাণ ও বরকত নাযিল হয় না। আপনি যদি কোরআন তেলাওয়াত করতে চান, তাহলে সূরা
বাকারা ও সূরা আলে ইমরান পড়তে পারেন। কেননা সূরা বাকারা পড়ার বিনিময় হচ্ছে বরকত
আর না পড়ার পরিণাম হচ্ছে আক্ষেপ। অলস ব্যক্তিরাই এ সূরা পড়তে অক্ষম। তাই অনুরোধ
করবো কুরআনুল কারীম বেশি বেশি পড়ুন।
যদি আপনার পক্ষে সম্ভব নাও হয়। তবুও রাত্রিবেলাতে এবং সেহেরী খাওয়ার ও ফজরের
নামাজের পর কুরআনুল কারীম এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা রয়েছে। সেগুলো করার চেষ্টা
করুন, আশা করা যায়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমত বরকত দিয়ে, আপনার ঘর পরিপূর্ণ
হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
রমজান হচ্ছে কোরআন তেলাওয়াতের মাস
রমজান মাস হচ্ছে কোরআন তেলাওয়াতের মাস। রমজান মাসে যে ব্যক্তি কুরআন কে নিজের
আবশ্যক মনে করবে এবং কুরআন অনুযায়ী চলাচল করবে, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আছে,
অগণিত বরকত ও নিয়ামত। কুরআনুল কারিম তেলাওয়াতের উদ্দেশ্য যদি তার কাছে উপদেশ
গ্রহণ করা হয়। আল্লাহর ডাকে সাড়া দেওয়া,
এবং শাস্তির ব্যাপারে ভয় গ্রহণ করে, তাহলে তার মুক্তির জন্য কুরআনই যথেষ্ট।
রমজান মাসের কোরআন তেলাওয়াত করলে আল্লাহ দ্বিগুণ সওয়াব দেবেন। রমজানে তেলাওয়াত
করতে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি আমাদের ইবাদতের বসন্তকাল আপনি এই মাসে
কোরআন তেলাওয়াত করতে প্রচুর সওয়াব অর্জন করতে পারেন।
কোরআন তিলাওয়াত কারির বিশেষ বৈশিষ্ট্য
আল-কুরআনের তিলাওয়াত কারির জন্য অনেক বড় উপকারিতা রয়েছে। কুরআনের তিলাওয়াত
করার নির্দেশ আল্লাহ তাআলাই মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিছু বিশেষ সুরার
তিলাওয়াত এবং ফজিলত নিম্নে দেওয়া হলঃ-
- সুরা কাহাফের ফজিলত
- সুরা ইয়াসিনের ফজিলত
- সুরা ওয়াকিয়াহের ফজিলত
সুরা কাহাফের ফজিলতঃ- প্রথম ১০টি আয়াত তিলাওয়াত করলে, দাজ্জালের
অনিষ্ট থেকে মুক্ত থাকা সম্ভবসুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াতের তেলাওয়াতকারীকে
যেকোনো জালিমের জুলুম থেকে রক্ষা করা হবে।
সুরা ইয়াসিনের ফজিলতঃ- সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করলে, আল্লাহ তায়ালা তাকে
১০ বার পুরো কুরআন তেলাওয়াতের সাওয়াব দান করবেন। সুরা ইয়াসিন পূর্ণ তেলাওয়াত
করলে, যার পরিধি জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত।
সুরা ওয়াকিয়াহের ফজিলতঃ- প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করলে,
ঘরে কখনো অভাব-অনটন আসবে না।
তাই আসুন, আমরা কুরআনের তিলাওয়াত করার ফজিলত এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানি। আপনি
নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করলে আল্লাহর রহমত পাবেন। এবং নিজেকে পরিষ্কার ও সুস্থ
সবল থাকতে হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নাজিলকৃত বিধান কুরআনুল মাজীদ বেশি বেশি
তেলাওয়াত করে, আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করি।
কোরআন এর বৈশিষ্ট্য
কোরআনুল কারিম এমন একটি বিধান যার মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল পথভ্রষ্ট
বান্দাকে দিনের ও হেদায়েতের পথে ফেরার সুযোগ করে দেন, এই কোরআন মাজীদ মানুষকে
উপদেশ দিয়ে থাকেন। অন্তরের রাগ হিংসা বিদ্বেষ সবকিছু ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে
দেয়। আসন সংক্ষিপ্ত আকারে কোরআন মাজিদের গুনাগুন জানাজাক।
- হেদায়েতকারিঃ- কোরআন মানুষকে হেদায়েত করবে, মানুষকে পথ দেখাবে।
- উপদেশঃ- কোরআনে আল্লাহ মানুষের জীবনে কাজে লাগার উপদেশ দিয়েছে।
- আলোকিত করবেঃ- কোরআন মানুষের ভেতরে ও বাইরে সবখানে আলোকিত করবে।
- অন্তরের মধ্যে রোগ দূর করবেঃ- কোরআন মানুষের অন্তরের মধ্যে যে রোগ থাকে, সেটি দূর করবে.
- আল্লাহর থেকে অবতীর্ণ সব কিছুর বয়ানঃ- কোরআন হলো আল্লাহর থেকে অবতীর্ণ সব কিছুর বয়ান। এটা হলো ফোরকান! আপনি কোনটা গ্রহণ করবেন, আর কোনটা বাদ দেবেন, সেগুলোর ব্যাখ্যা রয়েছে।
কোরআন শরিফ তিলাওয়াতের ফরজ
কোরআন শরিফের তিলাওয়াত করা মুসলিম উম্মাহের জন্য একটি ফরজ গুরুত্বপূর্ণ আমল। আর
এটির জন্য প্রয়োজন হয়। সেখানে তিনটি কাজ করতে হবে, তা আপনাদের অবগতির জন্য
জানানো হচ্ছে, আর সে সমস্ত বিষয়গুলো নিম্নে লিপিবদ্ধ করা হলোঃ-
- হরফ বা বর্ণসমূহ সঠিকভাবে উচ্চারণ করাঃ- কোরআনের শব্দগুলি সঠিক উচ্চারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- হরকত বা স্বরচিহ্ন তাড়াতাড়ি পড়াঃ- স্বরচিহ্ন সঠিকভাবে পড়া গুরুত্বপূর্ণ।
- মাদ বা দীর্ঘস্বর হলে টেনে পড়াঃ- কোরআনের দীর্ঘস্বর শব্দগুলি সঠিকভাবে পড়া গুরুত্বপূর্ণ।
- নামাজ পড়া,
- কাবা শরিফ তাওয়াফ করা,
- কোরআন শরিফ স্পর্শ করা
কোরআন মাজিদ শিক্ষা করা ফরজ, শিখে ভুলে গেলে মারাত্মক গুনাহ; অশুদ্ধ বা ভুল পাঠ
করলে কঠিন পাপের কারণ হতে পারে। তাই কোরআন বিশুদ্ধভাবে শেখা ও সুন্দরভাবে
তিলাওয়াত করা জরুরি। যাঁরা পড়তে জানেন না তাঁদের শিখতে হবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন
আমাদের সবাইকে শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে আসমানী কিতাব কোরআন কারীম পড়ার তৌফিক দান
করুন। {আমীন}
কুরআন তিলাওয়াতে দারিদ্রতা দূর হয়
কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত অত্যন্ত মহত্ত্বপূর্ণ। কুরআনের প্রতিটি আয়াতে
বিশ্বমানবতার হেদায়াত ও মুক্তির বারতা রয়েছে। এটি আল্লাহ তা’আলা কালামুল্লাহ
বা আল কুরআন দান করেছেন, যা স্বয়ং আল্লাহর কথা। কুরআন তিলাওয়াতে রয়েছে,
বিশ্বাসীদের জন্য অফুরান সওয়াব ও পুরস্কারের ঘোষণা।কুরআন তিলাওয়াতে দরিদ্রতা
দূর হয়।
এবং মুমিনের শ্রম কম আর সম্মানী হয়। হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতেন।
তবে তা ছিল নির্ধারিত সময়ে। আর এ উম্মতের জন্য যখন খুশি আল্লাহর সঙ্গে কথা
বলার সুযোগ রয়েছে, তখন কুরআন তেলাওয়াত শুরু করে দেওয়া হতো। হজরত আলী (রা.)
বলেন, ‘আমার যখন মন চাইত আল্লাহর সঙ্গে কথা বলব, তখন কুরআন তেলাওয়াত শুরু করে
দিতাম।
জানতে এখানে চাপ দিনঃ- রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে
কুরআন খতমের সহজ পদ্ধতি হলো রমজান মাস ছাড়া কুরআন খতম করে, এমন মানুষের সংখ্যা
খুবই কম। অথচ কেউ চাইলে প্রতি দু’মাসে অন্তত একবার হলেও কুরআন খতম করতে পারে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে ও পরে দেড়-দু পৃষ্ঠা করে কোরআন তেলাওয়াত করা অনেক
ভালো তাই আপনাদেরকে অনুরোধ করবো বেশি বেশি কোরআন পড়ো এবং কোরআন বোঝুন।
রমজান মাসে কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত অত্যন্ত মহৎ। এই মাসে কুরআন পড়া একটি
অসাধারণ সুযোগ, যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক। কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত
নিম্নলিখিতঃ-
সোয়াবের বৃদ্ধিঃ- রমজান মাসে কুরআন তিলাওয়াত করলে সে প্রতি হরফের জন্য
১০ গুন সওয়াব পায়।
আল্লাহের অনুগ্রহঃ- এই মাসে আকাশের দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হয়,
জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, অভিশপ্ত শয়তানকে বন্দি করা হয়।
শ্রেষ্ঠ রাতঃ- রমজানে একটি রাত যা হাজার রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
কুরআনের নাজিলের মাসঃ- রমজান হল কোরআন নাজিলের মাস, যা মানুষের দিশারি
এবং সত্য নায়ের পার্থক্যকারী। এই মাসে কুরআন তিলাওয়াত করে আল্লাহর অনুগ্রহ
প্রাপ্ত করুন। এবং আপনার ইমান এবং আলোকবর্তিকা বৃদ্ধি করুন।
কুরআন খতমের সহজ পদ্ধতি
شَهۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡهِ الۡقُرۡاٰنُ هُدًی
لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡهُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَهِدَ
مِنۡکُمُ الشَّهۡرَ فَلۡیَصُمۡهُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی
سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰهُ بِکُمُ
الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا
الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ
تَشۡکُرُوۡنَ রমজান মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং
হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং
তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে।
আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে
নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ
কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা
কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর। (সূরা বাকারা, আয়াত নং- ১৮৫)
রমজান মাসে কোরআন খতম করা একটি মহৎ ইবাদত। এই মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে,
মানুষের জন্য হিদায়াত স্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও
সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং, রমজানে কোরআন খতম করার সহজ পদ্ধতি
হলঃ-
প্রতি দু’মাসে অন্তত একবার কোরআন খতম করা। প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়
১-২পৃষ্ঠা করে, কোরআন তিলাওয়াত করা যায়। এতে সময়, দশ মিনিটের বেশি লাগবে না।
প্রতি ওয়াক্তে যদি আপনি দুই পৃষ্ঠা করে পড়লেও দিনে এক পারা পড়া হয়ে যাবে।
এভাবে পড়লে প্রতি মাসে খতম করা খুবই সহজ। আমরা কাজের সময় মনে মনে ছোট ছোট
সূরাগুলো পড়তে পারি। অফিসে যাওয়ার সময় গাড়িতে কোনো কাজ থাকে না তখনো চাইলে
মুখস্থ সূরাগুলো পড়তে পারি। আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতালা আমাদের সবাইকে কাজের
ফাঁকে ফাঁকে বা কাজের মধ্যে মুখস্ত ছোট ছোট সূরা গুলো তেলাওয়াত করার আগ্রহ
বাড়িয়ে দিন আমিন।
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠকআপনি কি রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান?
তাহলে আজকের এই পোষ্ট টি আপনার জন্য। রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত
সম্পর্কে জানতে হলে আমার পূর্ণাঙ্গ পোস্টটি পড়ুন। রমজানে কুরআন
তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো আর্টিকেলটি
ভালভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারেন। রমজানে কুরআন
তেলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে আপনার কোন কিছু যদি জানা থাকে তাহলে আমার
কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করছি। আপনার উত্তরটি দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
করব ইনশাআল্লাহ।
তাহলে আমার আজকের রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো
লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল আমাদের পোস্টটি শেয়ার
করতে পারেন। আপনার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ,
ধন্যবাদ।