ফার্নিচার কেবিনেট কালার বা লিকার করার পদ্ধতি বিস্তারিত জানুন

ফার্নিচারতৈরি বা কালার করা বিষয়ে কিছু ধারনাপ্রিয় পাঠক আজকে আমরা শিখব অল্প খরচে কেবিনেট কিভাবে লিকার করুন, বা কালার করতে হয়। সেই ব্যাপার নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি
এখান থেকে একটি ক্যাবিনেট কালার করতে, কি কি দরকার সে বিষয়ে সঠিক একটা ধারণা পাবেন। তাহলে চলুন, দেরি আর না করে আমরা মূল ট্রফিকে প্রবেশ করি

পেজ সুচিপত্রঃ ফার্নিচার কেবিনেট কালার বা লিকার করার পদ্ধতি

ক্যাবিনেট কি

ক্যাবিনেট বলতে আমরা যেটা বুঝি। সেটা হচ্ছে রান্নাঘরে বিভিন্ন ধরনের রান্না করার সামগ্রী সাজিয়ে রাখা হয়। এবং এটি বিভিন্ন ধরনের কাঠ বা উন্নত মানের মালেশিয়ান বোর্ড দ্বারা তৈরি করা হয়। আমাদের দেশেও এটি তৈরি হয়ে থাকে আর এটি আমাদের গৃহিণীরা ব্যবহার করে থাকে এ হলো ফার্নিচার কেবিনেটের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা।

কেবিনেট তৈরির প্রথম ধাপ

প্রথমে আমরা ফার্নিচার কেবিনেট এর বিভিন্ন জয়েনকৃত স্থানগুলোতে সুপার গুলো এবং বোর্ডের ভুসি দিয়ে নিতে হবে। তারপরে উঁচুকৃত স্থান গুলো বাটাল অথবা গেনডিং দিয়ে অতিরিক্ত উঁচু থাকলে তা সমান করে নিতে হবে। যদি কেবিনেটের পাল্লা বা কার্নিশের নকশার ভেতরে খসখসে ভাব থাকে তাহলে ১২০ নাম্বার সিরিজ কাগজ দিয়ে ঘষে নিতে হবে।
অথবা ক্লিয়ার ছিলার থিনার এবং হারিনার দিয়ে একসঙ্গে মিশ্রণ করে ২ইঞ্চি ব্রাশ দিয়ে, নকশার মধ্যে ভালোভাবে ক্লিয়ার ছিলার খাওয়াতে হবে। তারপরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে, যাতে করে ক্লিয়ার ছিলার টা ভালোভাবে শুকিয়ে যায়। ক্লিয়ার ছিলার ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে ১২০ পেপার অথবা ব্যবহারকৃত ১২০ পেপার দিয়ে পুরো নকশা ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে।

ক্যাবিনেট এর সকল নকশাগুলো ঘষা হয়ে গেলে পরবর্তী স্টেপে অর্থাৎ পুরো বডি পাল্লা কার্নিশসহ ব্রাউন সেলার তৈরি করে। কম্প্রেসার মেশিনের সাহায্যে পুরো কেবিনেট বডি ব্রাউন সেলার স্প্রে করতে হবে। ব্রাউন সেলার স্প্রে করার পরে, ক্যাবিনেটের বডি এবং নকশাগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি কোথাও সোটার পিনে ছিদ্র থাকে অবশ্যই সে জায়গায় পুডিং দিয়ে পূরণ করে নিতে হবে।

কেবিনেট তৈরির দ্বিতীয় ধাপ

ফার্নিচার কেবিনেট কালার বালি কার করার জন্য দ্বিতীয় ধাপসমূহ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। কেবিনেট দ্বিতীয় ধাপ অনুযায়ী শিলার মারার জন্য প্রস্তুতি তবে শিলারটা হতে হবে। ক্লিয়ার ছিলার নিতে হবে তারপরে তার সাথে এনসি থিনার এবং হারিনার নিতে হবে। সবগুলো একসঙ্গে মিশ্রণ করে কেবিনেটের বডিতে স্প্রে করতে হবে।
স্প্রে করা শেষ হয়ে গেলে ফার্নিচার কেবিনেটের বডি এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য জিনিস যা রয়েছে। অর্থাৎ যেমন পাল্লা ও উপরের কার্নিশ ২৪০ নম্বর সিরিজ পেপার দিয়ে ভালোভাবে খসে দিতে হবে। এরপরে ঘষা শেষ হয়ে গেলে, কেবিনেটের তৃতীয় ধাপের জন্য অগ্রসর হতে হবে। তৃতীয় ধাপ বলতে ব্রাউন শিলার মারার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

কেবিনেট তৈরির বা কালারের তৃতীয় ধাপ

এবারে আমরা জেনে নেই, এবারের তৈরীর বা কালারের তৃতীয় ধাপ সম্পর্কে তৃতীয় ধাপটি হচ্ছে কেবিনেট বডিতে ব্রাউন সেলার স্প্রে করা ব্রাউন শিলার এবং এনসি থিনার ও হারিনার একসঙ্গে মিশ্রণ করে ব্রাউন সেলার তৈরি করতে হয়। এই তৈরিকৃত ব্রাউন সেলার ক্যাবিনেট ফার্নিচারের পুরো বডিতে কম্প্রেসার এর মাধ্যম দিয়ে।

গোটা কেবিনেট নকশা সহ পুরোটা ব্রাউন সেলার স্প্রে করে নিতে হবে। স্প্রে করা শেষ হয়ে গেলে একই নিয়মে শুকাতে দিতে হবে। অর্থাৎ ক্লিয়ারসিলার মারার পরে যেমনভাবে শুকাতে দেওয়া হয়েছিল ঠিক তেমনভাবে ব্রাউন শিলার স্প্রে করার পরে রোদে অথবা বাতাসে শুকানোর জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। পুরো বডি ভালোভাবে শুকিয়ে যাবার পরে।

কেবিনেট কালার বা লিকার করা চতুর্থ ধাপ

চতুর্থ ধাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। চতুর্থ ধাপ বলতে ক্যাবিনেটের বডিতে কালার করতে হবে। কালার তৈরি করতে হবে এইভাবে প্রথমে আমরা কিছু ক্লিয়ার শিলার নেব এবং সাথে হারিনার এবং এনসি থিনার সবগুলো একই সঙ্গে ভালোভাবে মিক্সচার করে নিতে হবে। মিকচার শেষ হয়ে গেলে কেবিনেটের বডিতে কম্প্রেসার এর মাধ্যমে স্প্রে করতে হবে।

স্প্রে শেষ হয়ে গেলে কালার শুকানোর জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। কালার যখন ভালো হবে শুকিয়ে যাবে, ঠিক তখনই পঞ্চম ধাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। পঞ্চম ধাপ বলতে ফিনিশিং দিতে হবে, সেটি কিভাবে দিতে হবে, তা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেই। আমরা প্রথমে টপ-কোড নেব তারপরে ৪৪৬ থিনার নেব, এবং একসঙ্গে ভালোভাবে মিশ্রণ করে নেব।

ক্যাবিনেট কালার বা লিকার করার পঞ্চম ধাপ

এবার ফিনিশিংয়ের পালা কেবিনেট এবং কেবিনেটের পাল্লা কার্নিশ সবগুলো টপ-কোর্ট স্প্রে করার জন্য টেবিলের ওপর রাখতে হবে। যাতে করে টেবিলে লেগে থাকা টপ-কোট বডির অন্যান্য জায়গায় না লেগে যায়। এজন্য সতর্কতার সাথে টপ-কোর্ট স্প্রে করতে হবে। টপ-কোড স্প্রে করার পরে সংরক্ষিত স্থানে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিতে হবে।
যাতে করে টপ-কোট ভালোভাবে শুকিয়ে যায়। তা কোড যখন শুকিয়ে যাবে তখন কেবিনেট ফার্নিচার প্রদর্শনের জন্য শোরুমের অথবা বাসা বাড়িতে ডিসপ্লে আকারে কিংবা ব্যবহারের উপযোগী হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবে। এই ছিল ফার্নিচার ফিনিশিং এর ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে আলোচনা আশা করি। বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ক্লিয়ার ছিলার কিভাবে মিশ্রণ বা তৈরি করতে হবে

ক্লিয়ার ছিলার যদি ১০০০ গ্রাম হয়। তাহলে এই ক্লিয়ার ছিলারের জন্য ১৫০০ গ্রাম এনসি থিনার এবং ৮০০ গ্রাম হারিনার প্রয়োজন হবে। আর এই তিনটি জিনিস একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিতে হবে, আর এভাবেই ক্লিয়ার শিলার বানানোর পদ্ধতি। তবে অনেক সময় দেখা যায়। ক্লিয়ার ছিলার যদি গাড়ো বা পাতলা হয়। সেই ক্ষেত্রে থিনারের পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে।

ব্রাউন শিলার কিভাবে তৈরি বা মিশ্রণ করতে হবে সেই ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত আলোচনা

ব্রাউন ছিলার যদি ১০০০ গ্রাম হয়। তাহলে এই ব্রাউন ছিলারের জন্য ১৫০০ গ্রাম এনসি থিনার এবং ৮০০ গ্রাম হারিনার প্রয়োজন হবে। আর এই তিনটি জিনিস একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিতে হবে, আর এভাবেই ব্রাউন শিলার বানানোর পদ্ধতি। তবে। ব্রাউন ছিলার যদি গাড়ো বা পাতলা হয়। সেই ক্ষেত্রে থিনারের পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে।
কেবিনেট ব্রাশ দিয়ে  পরিষ্কার করা
যেমন কারপুলি ব্রাউন সেলার অনেকটা মোটা বা গাড়ো এবং ইজি কোর্টের ব্রাউন সেলার অনেকটা পাতলা আবার ছিরালাক্স এর ব্রাউন শিলার ইজি কোডের চাইতে একটু গাঢ় যার জন্য থিনারের অনেক তারতম্য থেকে যায়। এই ছিল ব্রাউন সেলার বানানো মিশ্রণের পদ্ধতি।

টপ-কোট কিভাবে মিশ্রন বা প্রস্তুত করতে হবে সেই ব্যাপারে ধারণা

একটি কেবিনেটের জন্য টপ-কোট ১০০০ গ্রাম প্রয়োজন হয়ে থাকে আর এটি বানানোর নিয়ম হচ্ছে। প্রথমে ১০০০ গ্রাম টপ-কোট এবং তার সঙ্গে ৪৪৬ থিনার ৮০০ গ্রাম থেকে ১০০০ গ্রাম পর্যন্ত প্রয়োজন হয়। তবে ইজিকোড টপ-কোর্টের জন্য ৮০০ গ্রাম ৪৪৬ থিনার প্রয়োজন।

তবে একটি জিনিস বলে রাখা ভালো বিভিন্ন কোম্পানির টপ-কোড বিভিন্ন কোয়ালিটির হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে ৪৪৬ থিনার ও হারিনার কম বেশি হয়ে থাকে এই ছিল টপ-কোট মিশ্রণ বা তৈরি করার সংক্ষিপ্ত ধারণা।

একটি কেবিনেটের কালার বা লিকার করার জন্য কোন ক্যামিকেল কতটুকু প্রয়োজন তা সবগুলো ছক আকারে তুলে ধরা হলোঃ-

ক্রমিক নং

কেমিক্যাল

ওজন

গ্রাম  

১.

  ক্লিয়ার সিলার

১৫০০

গ্রাম

২.

ব্রাউন সিলার

১৫০০

গ্রাম

৩.

টপ-কোড

১০০০

গ্রাম

৪.

হারিনার

২০০০

গ্রাম

৫.

এনসি থিনার

৪০০০

গ্রাম

৬.

৪৪৬ থিনার

৮০০/১০০০

গ্রাম

৭.

কালার

৩০০/৪০০

গ্রাম

৮.

সুপার  গুলু আঠা

২/৩ পিছ

=

৯.

১২০  সিরিজ পেপার

২/৩ পিছ

=

১০.

২৪০ সিরিজ পেপার

২/৩ পিছ

=

১১.

  মাস্কিন টেপ

১ পিছ

=

১২.

গোল্ডেন পাউডার

৫০

গ্রাম


ফার্নিচার সাবধানতার সাথে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা সারানোর সর্তকতা অবলম্বন

আপনার ফার্নিচার যদি ঘরে ঢোকানোর সময়ই আঘাত পেয়ে যেন কোথাও ভেঙে যায়। সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে যদি ভেঙে যায়। তখন হয়তো যত্ন নিতে আর ইচ্ছে করবে না। আর ভেঙে গেলে বা চাপ লেগে কোথাও দুমড়ে গেলে সেটির দাগ থেকেই যাবে।

যা দেখতে অনেকটা খারাপ লাগলো কারণ এটি ফার্নিচার তাই অবশ্যই ফার্নিচার এখান সেখানে সরানোর জন্য বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে করে ফার্নিচারটি কোনভাবেই দাগ বা আচর না লাগে আশা করি ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন। নষ্ট হওয়ার চেয়ে এভাবে আসবাবের ক্ষতির সংখ্যাই বেশি। বিপুল সংখ্যক আসবাব ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে।

কারণ সেগুলো এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নেয়ার সময় সাবধানতার অভাব ছিল। তাড়াহুড়ো করে ফার্নিচার সরানো থেকে বিরত থাকুন। দরজার সাথে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে গেলে দেখতে বিশ্রি লাগবে, একটি স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাবে। এবং কখনও কখনও এতটাই অতিরিক্ত ক্ষতি হয়। যে মেরামত করেও আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না।

এটির সাথে মোকাবেলা করার সহজতম উপায় হচ্ছে, ফার্নিচার সরানোর সময় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা। আধুনিক ফার্নিচার গুলোতে অনেক সময় বিভিন্ন ভাবে বাঁকানো এবং ভিন্ন আকারের অংশ লক্ষ্য করা যায়। এই ধরনের ফার্নিচার সরানোর সময় সেগুলোর কথা মাথায় অবশ্যই রাখবেন।জয়েন্টগুলি লক্ষ্য করুন।

এবং সংকীর্ণ জয়েন্টগুলিতে যাতে বেশি চাপ না পড়ে সে সম্পর্কে অতিতিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন যাতে সেগুলো ভেঙে না যায়। সবচেয়ে ভালো হয়। যদি আপনার ফার্নিচারগুলি পেপার বা কার্ড-বোর্ড এর বাক্সের অংশ বা ভারী কাগজের টুকরো বা মোড়কের সাহায্যে মুড়িয়ে নেবেন। এতে করে ফার্নিচারের শরীরে সরাসরি আঘাত লাগবে না। কোথাও চাপ লাগলেও সেটির জন্য দাগ পড়বে না।

ফার্নিচার ঢেকে রাখা গুরুত্ব অনেক বেশি ছুটি কার না ভালো লাগে। তারউপরে যদি কয়েকদিনের লম্বা ছুটি হয়। তাহলে তো কথাই নেই। ঈদ পূজা বা অন্যান্য বড় উৎসব এর কথা চিন্তা করুন। আপনি কয়েক দিন বা সপ্তাহের জন্য হয়তো গ্রামে চলে যাবেন। আপনার ঘর-বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টটি পুরো সময়টি খালি থাকে।

এবং ধুলা, ময়লা, পোকামাকড় এমনকি বিড়ালের মতো ছোট ছোট প্রাণীও আপনার ঘরে ঢুকে যেতে পারে। এই পোকামাকড় এবং ধনী বালি কনা আপনার ফার্নিচারকে নোংরা করে তোলে, যেহেতু আপনি সাথেসাথে এগুলি পরিষ্কার করার জন্য বাড়িতে থাকবেন না, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। যে এর ফলে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে।

এই অসুবিধা এড়াতে আপনার বাসা-বাড়ি থেকে দূরে থাকাকালীন সময়ের জন্য আপনার ফার্নিচারটি বড় কোন কভার দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা উচিত। এটি কেবল এই ধুলা-ময়লা থেকে রক্ষা করবে না, এটি আপনার বাসায় ফেরার পরে ফার্নিচারটি পরিষ্কার করাও সহজ হয়। তাহলে অবশ্যই ফার্নিচারটি ভালোভাবে ঢেকে রাখা উচিত,

ফার্নিচার পানি জাতীয় পদার্থ থেকে সাবধান রাখার পরামর্শ আমরা কোনও ফার্নিচার তৈরি করার সময় সেরা মানের কাঠ ব্যবহার করি। আধুনিক মেশিনে কাঠ বা বিভিন্ন ধরনের বোর্ড প্রসেস করে বার্নিশ বা লিকার করে থাকি। যা ফার্নিচার গুলোকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে এবং এ ফার্নিচারকে একটি ঝকঝকে চেহারা দিয়ে থাকে।

তারপরেও যদি আপনি তরল পদার্থ যেমন- পানি এবং দুধের গ্লাস থেকে সাবধান না হন তবে গ্লাসের তলার ন্যায় গোল একটা দাগ ফার্নিচারে পড়তে পারে। কাচের টেবিলটপ দিয়ে বানানো ডাইনিং সেটগুলি নিরাপদ যেহেতু কাচের উপর এই ধরণের দাগগুলি স্থায়ী হয়না। এবং সহজেই তুলে ফেলা যায়। গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করলে পরিষ্কার করা আরো সহজ হয়ে যাবে।

তবে তরলগুলি সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা দাগগুলি মুছে ফেলতে চেষ্টা করুন। ফলে আপনাকে স্থায়ী দাগ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এবং আপনার ফার্নিচার টি পরিষ্কার এবং নতুন দেখবে। তবে বোর্ডের ফার্নিচারের কথা ভিন্ন এর উপরের গ্লেজের আর্দ্রতা থাকার কারণে তরল পদার্থ পানি দুধ তরকারির ঝোল ইত্যাদি।

ফার্নিচারের উপর পতিত হলে বোর্ডের ফার্নিচার প্রতি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। এমনকি দাগ ফার্নিচারে লাগার কারণে সে দাগ উঠানো অসম্ভব হয়ে যাবে। আর একান্তই বোর্ড ফার্নিচারের দাগ বা অন্য কিছু দূর করতে হলে পুনরায় ফার্নিচার রেফারিং করতে হবে তাহলে আবার নতুনের মত ঝকঝকে হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আবার টাকা খরচের ব্যাপার রয়েছে।

তাই আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে করে বোর্ডের ফার্নিচারে এই সমস্ত বস্তু থেকে সতর্ক থাকাটাই সবচাইতে উত্তম আশা করি ব্যাপারটা সম্পূর্ণ রূপে উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

ফার্নিচার নিয়মিত নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার বা মুসার বিকল্প নেই, ফার্নিচারকে যদি নতুন এর মতো ঝকঝকে দেখাতে চান, তাহলে প্রতিদিন ঝাড়া-মোছা করা উচিত। তবে এটি বাধ্যতামূলক ভাবে প্রয়োজনীয় নয়। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, এটি আপনি কোথায় বসবাস করেন, তার উপর নির্ভর করে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার অ্যাপার্টমেন্ট কোনও চলমান রাস্তার পার্শ্বে হয়। সেই ক্ষেত্রে ধুলাবালি সমস্যা অনেক বেশি হয়। আর এই ক্ষেত্রেই আপনার ফার্নিচার ধুলোবালিতে বেশি নিমজ্জিত হয়। যার জন্য আপনার ফার্নিচার ধুলাবালিতে আছিন্ন থাকে। এইজন্য আপনার ফার্নিচার প্রতিদিন ঝাড়া-মোছা করতে হতে পারে। তবে প্রতি দুই বা তিন দিনে ঝাড়া-মোছা করাই যথেষ্ট করবেন।

শুধু ঝাড়া-মোছা যথেষ্ট নয়। তবে আপনি কিছুটা সময় নিয়ে ফার্নিচার পরিষ্কার করতে পারেন। এমনকি ফার্নিচার ক্লিন রাখার জন্য এক ধরনের পার্নিশ পাওয়া যায়। যা নরম কাপড়ে ভরিয়ে ফার্নিচারে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ঘর ফার্নিচার কত দ্রুত ময়লা পরিষ্কার হয়। তার উপর নির্ভর করে প্রতি সপ্তাহে বা প্রতি দুই সপ্তাহে ঝাড়া-মোছার পাশাপাশি ধোয়া-মোছা করা উচিত।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে এগুলি পরিষ্কার করবেন? কাচের টেবিলটপ বা দরজাগুলির জন্য, গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করুন। সেটি ভেজা কাপড়ের চেয়ে অনেক বেশি ভাল কাজ করবে। বাকী ফার্নিচার অর্থাৎ বোর্ডের ফার্নিচারের এর জন্য নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। ফার্নিচার অতিরিক্ত নোংরা হলে আপনি কোটার পালিশ ব্যবহার করতে পারেন।

তবে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে ক্লিনিং এজেন্ট ব্যবহার করা। অবশ্যই হালকা ধরনের এজেন্ট ব্যবহার করবেন, ভারী কেমিক্যাল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। পরিষ্কার করার জন্য সবসময় নরম কাপড় ব্যবহার করতে ভুলবেন না। খসখসে কাপড় এড়িয়ে চলুন বিশেষ করে যেগুলোতে সিরিশকাগজ বা স্যান্ডপ্যাপারের মতো রুক্ষ দিক রয়েছে।

এগুলো ফার্নিচার পরিষ্কারের চেয়ে পলিশের উপকার করবে বেশি। মনে রাখবেন অতিরিক্ত ভেজা ভেজা ভাব থেকে মুক্তি পেতে পরিষ্কার করার পরে শুকনো কাপড় দিয়ে ফার্নিচার টি সবসময় মোছা উচিত। তাহলেই আপনার ফার্নিচার সব সময় নতুনের মত ঝকঝকে ফক ফকে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

ফার্নিচার নকশা বা খাজের ভেতরে পরিষ্কার করুন, আধুনিক আসবাবগুলি মিনিমালিস্টিক ডিজাইনে করা হয়ে থাকে। যেখানে বিভিন্ন আকার বা শেপ এর আধিক্য দেখা যায়। এবং তাতেই সেগুলো সুন্দর দেখায়। তবুও মাঝে মাঝে ফার্নিচার ব্যক্তিত্ব সৌন্দর্যের জন্য খাঁজগুলি যুক্ত করে নকশা করা হয়। ভারী নকশাগুলি ট্র্যাডিশনাল ফার্নিচার এর ক্ষেত্রে আরও বেশি দেখা যায়।

পরিষ্কার করার সময় খাঁজগুলি পরিষ্কার করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। যদি আপনার ওয়াশক্লথগুলি খাজের ভেতরে পৌঁছতে না পারে তবে। খাঁজগুলি পরিষ্কার করতে পেইন্ট ব্রাশ বা কটন সোয়াব ব্যবহার করুন। তাহলে নকশার ভিতরে ময়লা গুলো অতি সহজেই পরিষ্কার করে আশা করি ব্যাপারটা সম্পন্ন বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল ছিল ফার্নিচার কেবিনেট কালার বা লিকার সম্পর্কে আশা করি এখান থেকে যে সমস্ত লেখার মিস্ত্রিরা ফার্নিচার কালার বা লিকার করে তাদের অনেক কাজে লাগবে তাই পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেলটি পড়ার এবং সে অনুযায়ী ফার্নিচার কেবিনেট কালার বা লিকার করার আহ্বান জানিয়ে আজকের মত আর্টিকেল লিখা এখানে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন