হায়েজ কি হায়েজ কেন হয় হায়েজ হলে করণীয় বিস্তারিত জানুন
মেয়েদের দৈহিক পরিবর্তনের কিছু দিকহায়েজ একটি মানসিক অস্তিত্ব, যা সাধারণত মনুষ্যের জীবনে নিঃসন্তোষ,
অস্তিত্বহীনতা, অথচ মহৎ অস্তিত্বের অনুভূতি, স্বাধীনতা এবং সম্ভাব্যতা নিয়ে
সংঘর্ষের প্রসঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। হায়েজের বাংলা অর্থ 'হারানো' বা
'অনুভব করা' বা 'হারিয়ে যাওয়া'।
এটি সাধারণত মনুষ্যের মানসিক অবস্থার একটি ধরণ যা মনুষ্যের স্বাধীনতা, অবস্থান,
এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব নেওয়া যেতে পারে। হায়েজ একটি অস্থায়ী অবস্থা হতে
পারে, তবে এটি সত্ত্বের বা বেশীর মানুষের জীবনে ধীরগতিতে বিকাশ করতে পারে।
হায়েজ সম্পর্কে বিস্তারিত ভূমিকা বা লেখা সাধারণত মানবজীবনের অতলে সন্ধানের ও
মানবতার নানান দিকের উপর চিন্তা করার জন্য লেখা হয়। এটি একটি সামগ্রিক ধারণা
তৈরি করে যে মানুষ কীভাবে তার জীবনের প্রতিটি ক্ষণকে অনুভব করে, এবং বিভিন্ন
দুঃখ, অসুখ, অস্থিরতা, এবং বিপদের মাঝে সম্মিলিত থাকে।
এটি একটি দুঃখজনক বা মেলাঞ্চুর অবস্থা হতে পারে, কিন্তু এটি সাধারণত মানুষের
অভিজ্ঞতার একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য অংশ হয়ে উঠে যা তার জীবনের প্রতিটি ক্ষণের
সাথে তাদের সম্পর্কে নির্ভীক হতে সাহায্য করে।
আর্টিকেলের পেজ সূচিপত্রঃ- হায়েজ কি হায়েজ কেন হয় হায়েজ হলে করণীয় বিস্তারিত
মেয়েদের হায়েজ
হায়েজ হল মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতা বা মাসিকধর্মের সময়। এটি একটি নির্দিষ্ট
অবধি যা মেয়েদের শরীরের পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। এই পরিবর্তন সাধারণত ১২-১৬
বছরের মধ্যে শুরু হয় এবং প্রতিমাসে একবার ঘটে। মেয়েদের এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে
তাদের শরীর প্রস্তুত হয় পরিবার পরিচালনা এবং স্বাস্থ্য মেরে।
হায়েজ কেন হয়
হায়েজ বা মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতা হয়ে থাকে পুরুষদের সাথে সম্পর্কিত সুষম
একটি বিষয়। এটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের
ফলে ঘটে। যেমন, মেয়েদের শরীরে প্রতি মাসে গর্ভাশয়ে নিউরোহরমোন মন্দ্রন ঘটে, যা
মাসিক পরিচ্ছন্নতা প্রকাশের কারণ হতে পারে।
মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতা হোক তা তাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রস্তুতির অংশ এবং
পুরুষ-মহিলা প্রজনন পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মেয়েদের গর্ভধারণ এবং প্রজনন
স্বাস্থ্যের অংশগ্রহণে সাহায্য করে এবং তাদের শরীরের সাধারণ স্বাস্থ্যের
নিরাপত্তা সংরক্ষণ করে।
হায়েজের লক্ষণ
"হায়েজের লোক্ষণ" বা "মাসিক পরিচ্ছন্নতার লক্ষণ" হল এমন চিহ্ন বা সময়সীমা যা
মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতা শুরু হতে চলে। এই লক্ষণগুলো মহিলার প্রতি মাসের সাথে
সাথে বৃদ্ধি পায়। কিছু মাসিক পরিচ্ছন্নতা লক্ষণ মধ্যে অস্বচ্ছতা, মাথাব্যথা,
পেটের ব্যাথা, শরীরের ব্যাথা, ওজনের পরিবর্তন, মুখের জন্ডিততা এবং অস্বস্তিতের
মধ্যে থাকে।
এই লক্ষণগুলো মেয়েদের শরীরে সাধারণত মাসিক পরিচ্ছন্নতা শুরু হওয়ার পূর্বে বা
তা শুরু হওয়ার সময়ে দেখা যেতে পারে। তবে, এই লক্ষণগুলোর উপস্থিতি মেয়েদের
মধ্যে ভিন্নতা দেখাতে পারে এবং প্রতিটি মেয়ের মাসিক পরিচ্ছন্নতার প্রক্রিয়া
একে অন্যের থেকে সাধারণত ভিন্ন হতে পারে।
কিছু মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতার লক্ষণ নিম্নরূপ:
- অস্বচ্ছতা: মাসিক পরিচ্ছন্নতা শুরুর আগে অথবা পর্যাপ্ত সময় ধরে দেখা যেতে পারে অস্বচ্ছতা।
- মাথাব্যথা: কিছু মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতার আগে বা সাথে সাথে মাথাব্যথা হতে পারে।
- পেটের ব্যাথা: অনেকের মধ্যে মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়ে পেটে ব্যাথা হতে পারে।
- শরীরের ব্যাথা: কিছু মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথা হতে পারে, যেমন পেশী ব্যাথা বা স্থানিক অবস্থানে ব্যথা।
- ওজনের পরিবর্তন: কিছু মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়ে ওজনের পরিবর্তন হতে পারে।
- মুখের জন্ডিততা: কিছু মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়ে মুখে জন্ডিততা দেখা যেতে পারে।
- অস্বস্তিতের মধ্যে থাকা: কিছু মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়ে অস্বস্তিতের মধ্যে থাকা হতে পারে, যেমন চিন্তা, অবস্থানিক অস্থিরতা ইত্যাদি।
এই লক্ষণগুলো প্রতিটি মেয়েদের মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়ে বা প্রক্রিয়ার সাথে
সাথে দেখা যেতে পারে, তবে প্রতিটি মেয়ের অবস্থা এবং অনুভূতি ভিন্ন হতে পারে।
এজন্য কোন মেডিসিন ব্যবহার করা প্রয়োজন
মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়ে অস্বচ্ছতা, মুখের জন্ডিততা, প্রস্তুত অস্থিরতা বা অস্বস্তিতের মধ্যে থাকা সহ অন্যান্য সাধারণ লক্ষণগুলির জন্য বিশেষ মেডিসিন ব্যবহার করা প্রয়োজন নয়। মাসিক পরিচ্ছন্নতা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এবং অধিকাংশ সময়ে কোন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রয়োজন নেই। তবে, যদি মেয়ের মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়ে অত্যন্ত কঠিন ব্যথা বা অস্বস্তিতা হয়।বা সময়ের মধ্যে মাসিক পরিচ্ছন্নতা বা তার সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্যা দেখা যায়, তাহলে তা সাধারণ হিসাবে ধরে নেওয়া উচিত নয়। এই ধরনের অসুস্থতা বা সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসক মেডিসিন বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রদানের কার্যকরী নির্ণয় নিতে সাহায্য করতে পারেন, প্রয়োজনীয় হলে, চিকিৎসক কোনও প্রয়োজনীয় ঔষধ বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রেস্ক্রিপশন করতে পারেন। মেডিসিন ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
এটি শুরু কখন থেকে
একজন মেয়ের মাসিক পরিচ্ছন্নতা প্রায় ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে শুরু হয়। তবে,
এটি ব্যক্তির শারীরিক এবং জীবনযাপনের বিভিন্ন পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে এবং
প্রতিটি মেয়ের জন্য প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন সময়ে শুরু হতে পারে। মাসিক
পরিচ্ছন্নতার সময়সীমা ব্যক্তিগত হতে পারে, কিন্তু সাধারণত ৯-১৫ বছরের মধ্যে
শুরু হয়।
এটি শেষ
একজন মেয়ের মাসিক পরিচ্ছন্নতা হয় প্রায় ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে, এটি
একটি সাধারণ নিয়ম। এরপরে, মেয়ের শরীর প্রকৃতি অনুসারে মাসিক পরিচ্ছন্নতা
শেষ হয়ে যায়। তবে, ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা, স্বাস্থ্য অবস্থা, ওজন, আহার ও
ব্যায়ামের প্রভাবে মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়সীমা পরিবর্তিত হতে পারে। প্রতি
মেয়েই একটি অনুভূতিগত অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং তার শরীরের পরিস্থিতির উপর
মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়সীমা প্রভাব পড়ে।
এ অবস্থায় বাচ্চা হওয়া সম্ভব
না, এ অবস্থায় বাচ্চা হওয়া সম্ভব নয়। মেয়ের মাসিক পরিচ্ছন্নতা শেষ হওয়ার
সময়ে, তার শরীর এবং গর্ভাশয়ে অবিকল প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটে এবং সে সময়ে
গর্ভধারণ সম্ভব হয়। তবে, এই ধরণের সময়ে যেসব অনুপ্রাণিত সম্পর্কের সাথে
সম্পর্কিত থাকতে দরকার অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, কারণ এই সময়ে
গর্ভাবস্থার জন্য সক্রিয় অবস্থা নেই।
জানার জন্য আরও পড়ুনঃ- আদর্শ শিক্ষক হতে হলে কি কি বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী প্রয়োজন বিস্তারিত
এছাড়াও, স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও যে সময়ে গর্ভধারণ সম্ভব তা স্বতঃসম্মতিতে
চিন্তা করা উচিত। প্রয়োজনে চিকিত্সকের সাথে আলাপ করা যায় যাতে মাসিক
পরিচ্ছন্নতা শেষ হওয়ার পরে উপযুক্ত সময়ে গর্ভাবস্থা শুরু করা যায়।
কখন সম্ভব
মেয়ের মাসিক পরিচ্ছন্নতা পরে গর্ভাবস্থা শুরু হওয়ার সময় অন্যান্য
অবস্থান্তর নির্ভর করে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশনা হলো:
- ওয়ান ফের্টিল ডেগ: গর্ভাবস্থা সম্ভব হয়ে যাওয়ার সময় মেয়ের ওয়ান ফের্টিল ডেগ (ওয়ান এমআই) বা মাসিক চক্রের শেষ দিন হতে শুরু হয়। প্রায় ১৪ দিন পর গর্ভাবস্থা সম্ভব হতে পারে।
- যৌন সম্পর্ক: যখন মেয়ে যৌন সম্পর্কের অবশ্যই অবস্থান থাকে এবং শ্রুতিসাধ্য প্রজনন নিরাপত্তা নেই, তখন সম্ভবত গর্ভাবস্থা সম্ভব হয়।
- অবাধারণে পারিপাটিক যৌন অবস্থা: কিছুটা ক্যালেন্ডারের ভেতরের যে কোন সময়ে গর্ভাবস্থা সম্ভব হয়ে যাতে পারে।
- যৌন স্বাস্থ্য সংরক্ষণ: মেয়ের স্বাস্থ্য সংরক্ষণ পর্যালোচনার অন্তর্ভুক্ত এবং সামগ্রিক শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং অবাধারিত যৌন পরিপাটিক সামগ্রিক গর্ভাবস্থা সম্ভবত হতে পারে।
মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়ে, অস্বাভাবিক মাসিক পরিচ্ছন্নতা বা অস্বাভাবিক লক্ষণ
পর্যালোচনা করা উচিত এবং যদি কোনও সনাক্তকরণ হয়, তবে চিকিত্সা পেয়ে তা
পরীক্ষা করা উচিত। যেভাবে প্রতিটি ব্যক্তির শরীর এবং শারীরিক অবস্থান
বিভিন্ন, তাই গর্ভাবস্থার জন্য প্রাকৃতিক সময়সীমা ও অবস্থানের উপর নির্ভর
করে।
শিব পিরিয়ড এবং ডেঞ্জার পিরিয়ড
"শিব পিরিয়ড" এবং "ডেঞ্জার পিরিয়ড" হল দুটি মেডিক্যাল প্রকারিতা যা মেয়েদের
মাসিক পরিচ্ছন্নতা পরিচালনার সময়সীমা এবং গর্ভাবস্থার দুটি অবস্থা সম্পর্কে
অভিব্যক্তি করতে ব্যবহৃত হয়।
শিব পিরিয়ড (Safe Period): শিব পিরিয়ড হল মাসিক পরিচ্ছন্নতার সময়ে
যে সময়সীমা বা অবস্থা মেয়ে স্ত্রী সহযোগীর সাথে অনিয়মিত যৌন সম্পর্কের
পরিহার্য হয় অথবা গর্ভাবস্থা প্রেরণ হয়। এটি মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট
দিনগুলির মধ্যে হতে পারে যেখানে গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। তবে, এটি
সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ নয় এবং সম্পূর্ণ বিশ্বাসে ব্যবহার করা উচিত নয়।
ডেঞ্জার পিরিয়ড (Danger Period): ডেঞ্জার পিরিয়ড হল মাসিক
পরিচ্ছন্নতার সময়ে যে সময়সীমা বা অবস্থা মেয়ে স্ত্রী সহযোগীর সাথে যৌন
সম্পর্কের সাথে গর্ভাবস্থা সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এই সময়ে গর্ভাবস্থা
সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং প্রসারণ বা গর্ভাবস্থার বিপদগুলির
ঝুঁকি নির্ধারণ করা উচিত।
এই পদ্ধতিগুলি অত্যন্ত বিকল্পগত এবং যে পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হবে তা মানুষের
শারীরিক অবস্থা, স্বাস্থ্য এবং আচরণের উপর নির্ভর করে। তাই, যখনই কোনও প্রজনন
পরিকল্পনা বা পরিচ্ছন্নতা পর্যালোচনা করা হয়, উপায়ে এবং সতর্কতা অবলম্বন
করা উচিত। আপনার স্বাস্থ্য পেশাদার বা চিকিৎসকের সাথে আলাপ করা উচিত যেন সঠিক
পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
এই পিরিয়ড গুলোর মধ্যে বাচ্চা নেওয়ার জন্য কোনটি প্রযোজ্য
"শিব পিরিয়ড" বা "ডেঞ্জার পিরিয়ড" কোনটি বাচ্চা নেওয়ার জন্য আগ্রহী হলে
ব্যবহার করা উচিত নয়। এই পিরিয়ডগুলি সেক্সুয়ালি সক্রিয় যৌন সম্পর্কের
সাথে গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করার উপায় নয়। এই পিরিয়ডগুলির মাধ্যমে
গর্ভাবস্থা সম্ভব এবং এর সহায়তায় গর্ভাবস্থা প্রেরণ হতে পারে। বাচ্চা
প্রাপ্তির জন্য সঠিক সময় এবং উপায় নির্ধারণের জন্য,
যদি আপনি বা আপনার সাথে যৌন সম্পর্কে আগ্রহী হন, তবে আপনার স্বাস্থ্য পেশাদার
বা চিকিৎসকের সাথে আলাপ করা উচিত যেন সঠিক পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া
যায়। একটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অথবা গর্ভাবস্থা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা
উচিত যেন আপনি প্রাকৃতিক এবং সুরক্ষিত উপায়ে বাচ্চা প্রাপ্তির সুযোগ
নির্ধারণ করতে পারেন।
জানার জন্য আরো পড়ুনঃ- সফলতা অর্জনের মূলমন্ত্রসমূহ বিস্তারিত জানুন
হায়েজ একটি মনবিদ্বেষী অস্থিত্ব, যা সামান্য কারণে বা নিয়মানুযায়ী কোনো
স্থানে থাকে যাতে সম্ভাব্যতঃ হতাশা, সমস্যা বা ভীতির অভাব নেই। এটি অনেক
ব্যক্তিগত হতাশা ও অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। হায়েজ সাধারণত
মানসিক অসুস্থতা, অবসাদ, মনের চাপ ইত্যাদির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
হায়েজ নিয়ে কিছু লেখকের কথা স্বাধীনতার সমস্যা, হায়েজ মনে মহাকাশে এমন
একটি অস্থিত্ব যা মনুষ্যকে মানুষ হিসেবে তাড়া বা অনুভব করতে বাধা দেয়। -
ফিডেরিকো গারসিয়া লোর্কা
"হায়েজের আগে মানুষের পছন্দ ও ঘৃণা, সত্য ও অসত্য, সুখ ও দুঃখের প্রতি
আত্মতৃপ্তি ছিল একইভাবে সীমাহীন এবং একরকম। হায়েজ মানুষের মনের মধ্যে তাড়া
উত্পন্ন করে এবং মানুষকে তাড়াতাড়ি নির্বোধ করে তাকিয়ে দেয়, তখন মানুষ
পৃথিবীর প্রতিটি ক্ষণকে অনুভব করতে শুরু করে।" - ফ্রান্সিস বেকন
"আমাদের সমস্যা হল স্বাধীনতার ব্যক্তিত্ব কেন স্বাধীনতার হায়েজে পরিণত হয়ে
ওঠে এবং কেন এই হায়েজ মানুষকে তাড়াতাড়ি মরা দিতে শুরু করে, যখন সে নিজেকে
অস্তিত্বের মধ্যে নিজেকে স্থানান্তর করে?" - আলবের কামু
হায়েজ একটি গভীরভাবে মানবজীবনের প্রশ্ন এবং মানবতার নানান দিকের উপর চিন্তা
করার উদ্দেশ্যে লেখকরা অনেকবার তাকে সম্পর্কে লিখেছেন।
হায়েজ হওয়া অবস্থায় মেলামেশা করা যায় কি
হায়েজ হওয়া অবস্থায় মেলামেশা করা কিছুটা জটিল হতে পারে। মেলামেশা করা
মানে হলো অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক যোগাযোগ করা, কিন্তু হায়েজ হওয়া অবস্থায়
আপনার আত্মবিশ্বাস কম হতে পারে এবং আপনি সহযোগিতা বা যোগাযোগে অসুবিধা
অনুভব করতে পারেন। এতে মেলামেশা করা মূলত আপনার জন্য ভালো হতে পারে না।
এবং আপনি যদি নিজেকে ভালো অনুভব না করেন তবে অন্যদের সাথে মেলামেশা করা
আপনাকে আরও অসুবিধা অনুভব করতে পারে। হায়েজের সময়ে আপনার নিজের যত্ন
নেওয়া প্রথম প্রয়োজন। নিজের সাথে দক্ষিণা থাকা, নিজের মনে শান্তি পেতে যে
কোনও মেধাতাত্ত্বিক প্রয়াস করা প্রয়োজন। তারপরে, যদি আপনি অন্যের সঙ্গে
মেলামেশা করতে চান,
তবে সেটি আপনার জন্য সুস্থ হতে পারে না এবং অন্যদেরও আপনার সঙ্গে মেলামেশা
করতে চাওয়া হতে পারে না। আপনি যদি সম্ভব হলে হায়েজ থেকে নিজেকে পরিত্যাগ
করুন এবং যত্ন নিন যেন আপনি নিজের সাথে সম্পর্ক মোকাবিলা করতে পারেন।
এ অবস্থায় শারীরিক মেলামেশা করলে কি সমস্যা হতে পারে
হায়েজ অবস্থায় শারীরিক মেলামেশা করলে কিছু সমস্যা হতে পারে, যেমন:
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি: হায়েজ অবস্থায় শারীরিক মেলামেশা করলে
করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্যাটি হ্যান্ডশেক, বিজু কিংবা
অন্যান্য সম্পর্কে মেলামেশা করার মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে।
- মানসিক চাপ ও আবহে বিপর্যস্ততা: হায়েজ অবস্থায় অন্যের সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করা মানসিক চাপ ও আবহে বিপর্যস্ততা বা চিন্তা বাড়াতে পারে। অন্যের সঙ্গে সময় কাটানো হারিয়ে যাওয়া এবং মনের শান্তি না থাকা এই ধরনের সমস্যার একটি লক্ষণ হতে পারে।
- অসুস্থতা বা জরায়ু অবস্থা: হায়েজ অবস্থায় অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করলে আপনি অসুস্থ হতে পারেন এবং অন্যেরকেও অসুস্থ করতে পারেন। এটি সাধারণত ব্যক্তিগত বা জরায়ু সম্পর্কিত সমস্যার মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে।
তাই, হায়েজ অবস্থায় শারীরিক মেলামেশা করতে যত্ন নেওয়া উচিত এবং সম্ভব
হলে বৈশিষ্ট্য মেলামেশা এর পরিবর্তে অনলাইন বা অন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে
যোগাযোগ করা উত্তম।
হায়েজ নিয়ে লেখকের শেষ কথা
হায়েজ নিয়ে লেখকের শেষ কথা হলো মানবজীবনের অতলে সন্ধান, বেড়ে যাওয়া একটি
বিষয় যা সম্পর্কে একটি শেষকালীন ধারণা বা সমাপ্তির সন্ধান নেই। হায়েজ
সম্পর্কে লেখকের শেষ কথা হলো, মানবজীবনের এই বিশাল অতলে আরো অন্ধকার এবং
প্রশ্নের সন্ধানে তাড়াতাড়ি অগ্রসর হতে হবে। সত্যিকারের শেষ কথা হলো,
হায়েজ নিয়ে লেখকের চেষ্টা এবং ধারণা যেভাবে মানবজীবনের গভীরে সন্ধান করতে
হয়েছে, সেই প্রসেসে অবিরাম সম্প্রসারণ। অতএব, হায়েজ নিয়ে লেখকের শেষ কথা
সত্যিকারের একটি শুরু, অধিকার অন্ধকারের একটি দিকে পথ খুঁজে পেতে এবং
প্রশ্নের অন্ধকার মধ্যে আলো অনুসন্ধানে হৃদয় উৎসাহিত করতে।
আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করলে সকল বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব
তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার আহ্বান জানিয়ে এবং আপনাদের সুস্থতা ও
দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত আর্টিকেল লেখা শেষ করছি। আল্লাহ
হাফেজ!