করলার গুণগত পুষ্টি এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

করলার গুণগত পুষ্টি এবং উপকারিতা ও অপকারিতাপ্রিয় পাঠক আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আজকে আমরা প্রতিদিনের মতোই কোনো না কোনো সবজি বা ফল গুনাগুন সম্পর্কে ধারণা পেয়ে থাকে ঠিক আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়, আমাদের অত্যন্ত পরিচিত একটি ফল বা সবজি।
করলা
যার নাম হচ্ছে করলা আমরা করলা খাই কিন্তু জানিনা এই সবজি বা ফলটার মধ্যে কত রকম গুনাগুন বা পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, তাই আজকের আর্টিকেল করলার গুণগত মান পুষ্টি এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা নেব ইনশাআল্লাহ!

পেজ কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ- করলার গুণগত পুষ্টি এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে

করলা কি?

করলা (করল্লা, উচ্ছা, উচ্ছে) এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি। ইংরেজিতে একে Balsam pear, bitter gourd, bitter melon, bitter cucumber ইত্যাদি বলা হয়। করলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Momordica charantia যা Cucurbitaceae পরিবারভুক্ত এক প্রকার লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এছাড়া ওকিনাওয়ার আদি ভাষা থেকে উদ্ভূত ‘গয়া’ এবং সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত, 

‘কারাভেলা’ নাম দুটিও ইংরেজি ভাষায় প্রচলিত। করলার আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ, যা ১৪শ শতাব্দিতে চীনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। করলা তেতো স্বাদযুক্ত এবং এর শরীর কাঁটার মত ওয়ার্টে ভরা। পরিণত ফল লম্বাটে, রঙ কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে কমলা বা লাল, দৈর্ঘ্য ১২-২৫ সেন্টিমিটার (৫-১০ ইঞ্চি), প্রস্থ ৫-৭ সেমি হয়ে থাকে। 

করলা কেটে লবণ জলে ডুবিয়ে রাখলে তিক্ততা কমে। দক্ষিণ এশীয় এই সবজি এখন সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে ক্রান্তীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ছিল করলার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, এখন আমরা করলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার এবং বুঝার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ! তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।

করলা খাওয়ার উপকারিতা

করলা খাওয়ার উপকারিতা অনেকগুলি রয়েছে। করলা, যা অনেকের জন্য তেতো স্বাদ বলে থাকে অবশ্যই একটি অত্যন্ত উপকারী সবজি। এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক গুণগত উপকার করে করলা একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সর্বোচ্চ যত্ন নেওয়া উচিত, সহায়ক পুষ্টি সম্পন্ন একটি সবজি।
করলার গুণগত পুষ্টি এবং উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই করলার গুণগত উপকার বা অপকারিতা সম্পর্কে কিছু আলোচনা নিম্নে আপনাদের সুবিধার্থে তুলে ধরা হলো যা আমার আপনার সকলের বিশেষ করে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর জন্য অত্যন্ত কার্যকর এবং উপকারী হিসাবে ভূমিকা পালন করবে এই করলা তো চলুন, করলার কিছু গুণগত দিক এবং উপকার সম্পর্কে ন্যূনতম ধারনা নেই।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:- করলা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করার উপাদান হিসেবে কাজ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খাওয়া উপকারী।
  • শ্বাসরোগ ও গলার প্রদাহ:- মধু ও পানির সঙ্গে করলার রস মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসরোগ ও গলার প্রদাহের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:- করলা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • ওজন কমায়:- করলা ওজন কমানোর জন্য উপকারী।
  • লিভারের কার্জ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:- করলা লিভারের কার্জ বা কাজ করতে সাহায্য করে।
  • হজম শক্তি বাড়ায়:- করলা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের সৌন্দর্যে:- করলা ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখে।
  • ডায়াবেটিস রোগে:- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলা হতে পারে উপকারী।
  • ফুসফুস ভাল রাখে:- করলা খেলে মুক্তি পাবেন অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসরোগ ও গলার প্রদাহের মতো সমস্যা থেকে।
করলা একটি সবজি যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই এই সবজি নিয়মিতভাবে খেতে চেষ্টা করুন!

করলার অপকারিতা কি হতে পারে

যার মধ্যে সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে অসুবিধাও থাকতে পারে এটাই স্বাভাবিক তাই করলার অপকারিতা কৃত সম্ভাব্য দিকগুলো স্বল্প আকারে তুলে ধরা হচ্ছে, করলা একটি পুষ্টিকর খাবার এবং এটির অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে, কিছু সময় করলা খেলে কিছু অপকারিতা হতে পারে যার নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ-
  • শিশুদের জন্য:- শিশুরা বেশি পরিমাণে করলা খেলে পেটের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। বেশি পরিমাণে করলা খেলে লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধে:- করলা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। এতে প্ল্যান্ট ইনসুলিন আছে যা রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কম রাখে।
  • লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়:- করলা লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে শরীরে এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়।
  • দৃষ্টিশক্তির উন্নতি:- করলা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি সাধন করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ ও সি যা চোখের দৃষ্টির উন্নতিতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
এছাড়া, করলা স্কিন কেয়ার পণ্যে নানারকম রাসানিক পদার্থ থাকে, যা শুষ্ক ও সংবেদশীল ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। সুগন্ধিবিহীন স্কিনকেয়ার পণ্য ব্যবহার করা উচিৎ। যে পণ্যের গায়ে সুগন্ধিবিহীন লেবেল রয়েছে। সে সমস্ত পণ্য অনেক সময় উপকারীর চাইতে অপকার হতে পারে সেই দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে, বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রতিদিন নিয়মিতভাবে করলার রস খেলে 

প্রতিদিন নিয়মিতভাবে করলার রস খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বাতের ব্যাথায় নিয়করলার রস খেলে আপনার শরীরে অনেক উপকার হতে পারে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, নিয়মিত করলার রস খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। এটি হার্টের রোগের আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
করলা ওজন কমায় অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে আজ থেকেই করলার রস খাওয়া শুরু করুন। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে করলা সাহায্য করতে পারে। পাইলসের মতো রোগের চিকিৎসা করে প্রতিদিন সকাল নিয়ম করে করলার রস খাওয়া শুরু করুন। 
করলা  রান্না করা তরকারীর গুনাগুন
এক মাসেই পাইলসের যন্ত্রণা একেবারে কমে যাবে। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, নরম তলুতলে ত্বকের অধিকারি হতে চান? তাহলে নিয়মিত করলার রস খাওয়া শুরু করুন। দৃষ্টিশক্তি উন্নত ঘটে করলার রসে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় বিটা-ক্যারোটিন, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্তকে পরিশুদ্ধ করে, তাই প্রতিদিন করলার রস খাওয়ার চেষ্টা করুন।

করলা  রান্না করা তরকারীর গুনাগুন

করলা তরকারী রান্না একটি স্বাদপূর্ণ বাঙালি রেসিপি। করলা, যা ইংরেজিতে “বিটার গোর্ড” বা “বিটার মেলন” হিসেবে পরিচিত, এটি একটি কঠিন সবজি যা স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর। করলা বিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে অমিল। এটি আপনার ত্বক, চুল, লিভার এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপকার করে। 
করলা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে। আর করলা এটি একটি শক্তিশালী সম্পন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। করলা রস প্রতিদিন পান করা একটি সেরা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। এটি শীতকালে ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি সর্বোচ্চ যত্ন নিতে হবে। 

এটি অ্যালার্জি এবং সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে, তাই ঠান্ডা মোকাবেলায় আপনার শরীরের উষ্ণতা এবং শক্তি প্রয়োজন! করলা সবজি এবং ফলের চেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং বেশি পুষ্টিকর আর কিছুই নেই যা আপনাকে সমস্ত স্বাস্থ্য অসুস্থতা মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে।

করলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল

করলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। করলা একটি সমৃদ্ধ ফল, যা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী উপাদান সরবরাহ করে। এটি ভিটামিন C, পোটাসিয়াম, ফাইবার, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। করলা আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। এবং আপনার শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। তাই করলা খাওয়া ভালো,

করলা ভাজি (Korola Vaji) এবং আলু মিশ্রিত রেসিপি

করলা এবং আলু মিশ্রিত রেসিপি তৈরি করতে আমি আপনাকে কিছু স্বাস্থ্যকর এবং স্বাদমত রেসিপি প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে পারে। যা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যের তালিকায় রাখা যেতে পারে এবং রাধুনীদের জন্য বিশেষ রিসিভ হিসেবে স্থান পেতে পারে। তাই আর্টিকেলের নিম্নলিখিত রেসিপিটি অনুসরণ করতে পারেন। 

উপকরণ:
  • করলা:- ২ টা
  • আলু:- ১ টা
  • পেঁয়াজ:- মাঝারি সাইজের ৪ টা
  • কাঁচামরিচ:- ৪ টা
  • হলুদ গুঁড়া:- হাফ চা চামচ
  • লবণ:- পরিমাণ মত
  • তেল:- পরিমাণ মত
প্রস্তুতি:
  1. করলা এবং আলু ধুয়ে ছোট টুকরা করুন।
  2. পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, হলুদ গুঁড়া, লবণ এবং তেল সহ সব উপকরণ সাথে মিশিয়ে ভাজি করুন।
  3. করলা এবং আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে তৈরি করলা ভাজি পরিবেশন করুন।
  4. এই রেসিপি স্বাস্থ্যকর এবং স্বাদমত, আপনি এটি পরীক্ষা করতে পারেন! 
করলা একটি সবজি যা স্বাদে না হলেও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। করলার রস শরীরের জন্য অনেক বেশী উপকারী। এটি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি, বিটা-ক্যারোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ও ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর। গবেষণায় দেখা গেছে যে বিভিন্ন প্রকার রোগের প্রকোপ কমাতে করলার জুড়ি নেই।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করলা খেলে করলায় থাকা বিভিন্ন উপাদানা শরীরে প্রবেশ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে ছোট বড় অনেক রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ওজন কমায় করলার একটি অল্প ক্যালোরিযুক্ত খাবার। করলার সুষম উপাদান ওজন কমানোয় যাদুকরী ভূমিকা পালন করে।

করলা ভর্তা, ভাজি, আর তরকারি রুটি বা চালের সাথে খেতে পারেন। মানবস্বাস্থ্যের জন্য এই সবজির উপকারী গুণও নেহাত কম নয়। করলা একটি সবজি যা অনেক পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। করলার দশটি পুষ্টি ও স্বাস্থ্য গুনাগুণ চলুন জেনে নিই,

করলার নয়টি পুষ্টি ও স্বাস্থ্য গুনাগুণ সম্পর্কে

  1. উচ্চ রক্তচাপ ও চর্বি কমানো:- করলা উচ্চ রক্তচাপ ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
  2. দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে:- করলা ভাইরাস নাশক হিসেবে কাজ করে এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
  3. হিমোগ্লোবিন তৈরি করে:- করলা হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে রক্তের উপাদান বাড়ানোর জন্য।
  4. ত্বক ও চুল ভালো রাখে:- করলা ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।
  5. ম্যালেরিয়া জ্বরে স্বস্তি দেয়:- করলা ম্যালেরিয়া জ্বরে স্বস্তি দেয়।
  6. মাথাব্যথার উপশম করে:- করলা মাথাব্যথার উপশম করে।
  7. বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়:- করলা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রক্ত পরিষ্কার করে।
  8. স্ক্যাবিজের মতো রক্তরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে করলার তরকারি। তাই অবশ্যই করলা আমাদের উচিত
  9. বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে:- করলা বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।  
  10. ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে:- করলায় রয়েছে শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধী কিছু উপাদান যা দেহে সেলের বৃদ্ধি আটকিয়ে দেয়। এর ফলে এই মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। এছাড়া অ্যানিমিয়া এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসাতেও এই সবজিটি দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।  
তাই করলা খেয়ে ধরে রাখুন তারুণ্য! এবং এই গুণসম্মত করলা খেয়ে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকুন। নিজের সকলের কাছে প্রত্যাশা আশা করি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে করলার গুণগত পুষ্টি এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু ধারনা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

শেষ কথাঃ-

এখন বাজারে সারাবছরই করলা পাওয়া যায়। ভাজি, ভর্তা ও ঝোলে করলার জুড়ি নেই। তিতা হলেও সবজিটি খেতে কিন্তু সুস্বাদু। তাই অনেকেই সবজিটি খেতে ভালবাসে। তবে স্বাদের চেয়ে ওষুধের গুণই করলাকে সবার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। 

তাই চলুন সবাই এর ঔষধি গুনাগুণকে মাথায় রেখে আজকে থেকেই সবজিটি নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করি এবং নানা প্রকার অসুখ বিসুখ থেকে নিজেকে দূরে রাখি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে সঠিক ধারণা বোঝার এবং মানার তৌফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন