কাঁকরোলের গুণগত মান পুষ্টি উপকারিতা অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
পুষ্টিকর ফল বা সবজি জাতীয় ফল সংশ্লিষ্টপ্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম প্রতি আর্টিকেলের মত এর আর্টিকেলটাও
ব্যতিক্রমধর্মী আমরা কাঁকরোল খাই কিন্তু আমরা কি জানি যে কাঁকরোলের মধ্যে গুণগত
মান পুষ্টি উপকারিতা অপকারিতা কিরূপ রয়েছে কাঁকরোলের মাধ্যমে।
যদি জেনে না থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদেরই জন্য আজকে আমরা জানতে চলেছি,
কাঁকরোলের মধ্যে কিরূপ গুণাগুণ রয়েছে, সে সম্পর্কে আশা করি এই আর্টিকেলের
মাধ্যমে দিয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
শুধু তাই নয়, কাঁকরোলের মধ্যে কোন কোন ভিটামিন রয়েছে। এবং এটি কোন সময় চাষের
উপযোগী আরো এই আর্টিকেলের মধ্যে জানতে পারছেন। কাঁকরোলের তরকারি খাওয়ার গুনাগুন
গর্ভবতী মহিলার জন্য কাঁকরোলের উপকারিতা ইত্যাদি। তাহলে চলুন আমরা আর বিলম্ব না
করে আমাদের মন ট্রাফিক এর মধ্যে প্রবেশ করি।
পেজ কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ কাঁকরোলের গুণগত মান পুষ্টি উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে
- কাঁকরোল কি?
- কাঁকরোলের গুণগতমান ও উপকারিতা
- বিভিন্ন মাটিতে মার্চ ও এপ্রিলে এ সবজি
- কাঁকরোল চাষের জন্য বিভিন্ন মাটি ব্যবহার করবেন
- কাঁকরোলের বংশবিস্তার এর মাধ্যম
- কাঁকরোলের তরকারির উপকারিতা
- কাঁকরোল গর্ভবতী মহিলার জন্য উপকারিতা
- কাঁকরোল খাওয়ার সঠিক সময়
- ওজন কমাতে কাঁকরোল উপকারিতা
- রাতে কাঁকরল খাওয়ার উপকারিতা
- শেষ কথাঃ
কাঁকরোল কি?
কাঁকরোল বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি গ্রীষ্মকালে চাষ করা হয়। এদের স্ত্রী
পুরুষ ফুল আলাদা গাছে জন্মে। কাঁকরল গাছ কন্দমূল উৎপন্ন করে যায় সাহায্যে মূলত
বংশবিস্তার করে। কাঁকরল বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়। কাঁচাফল তরকারী, ভাজি বা
সিদ্ধ করে ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়। কাঁকরল প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, লৌহ
ক্যারোটিন আছে।
আসামী, মণিপুরী, মুকন্দপুরী এবং মধুপুরী হলে কাঁকরলের বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে। এ
জাতের ফলগুলো সুস্বাদু, গোলাকার ও বেঁটে হয়ে থাকে। কাঁকরোল, যা বৈজ্ঞানিক নামে
মোমর্ডিকা ডাইয়োইকা হয়, একটি ছোট সবজি যা সাধারণত গ্রীষ্মকালে ফলে। এটি ভারতীয়
উপমহাদেশের বাইরে জন্মায়না, এবং বাংলাদেশে চাষযোগ্য একটি অতি প্রচলিত
সবজি।
কাঁকরোলের গুণগতমান ও উপকারিতা
কাঁকরোলে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ক্যারোটিন, আমিষ, ভিটামিন বি, শ্বেতসার ও
খনিজ পদার্থ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে। এটি ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য
করে এবং গর্ভকালীন সময়ে অনেকের স্নায়ুবিক ত্রুটি দেখা দেয়।
কাঁকরোল ভিটামিন বি এবং সি-এর ভালো উৎস, যা কোষের গঠন ও নতুন কোষ তৈরি করতে
সাহায্য করে।কাঁকরল একটি মহান ফল। এর বিভিন্ন জাতি আছে, যেগুলি বিভিন্ন স্থানে
চষ্টা করা হয়। নিম্নলিখিত কিছু জনপ্রিয় কাঁকরলের জাত রয়েছেঃ-
- ভিয়েতনামি কাঁকরল:- এই জাতটি বারোমাসে ফল দেয় এবং আঠাবিহীন হয়ে থাকে। মাত্র আড়াই বছর বয়সের গাছে ধরেছে অনেক ফল।
- বারি-৬ জাতের কাঁকরল:- এই জাতটি মাঠপর্যায়ে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। এর ফল খেতে সুস্বাদু, মিষ্টি এবং ঘ্রাণ ভালো এই জাতের কাঁকরল চাষ করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ফলে স্নায়ুবিক ত্রুটি হয়না। কাঁকরোল একটি পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় সবজি, যা সারা
দেশে চাষযোগ্য গ্রীষ্মকালীন একটি অতি প্রচলিত সবজি। কাঁকরোলের বীজ কাঁকরোল গাছের
নীচে হয়ে থাকে যা দেখতে মিষ্টি আলুর মত। বাংলাদেশে কুমড়ো পরিবারের যতো সবজি
আছে, তার মধ্যে কাঁকরোলের বাজার দর ও চাহিদা বাজারে অনেক বেশি।
বিভিন্ন মাটিতে মার্চ ও এপ্রিলে এ সবজি
উপজেলা, চট্রগ্রাম জেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, এবং কুমিল্লা এটি সাধারণত মার্চ ও
এপ্রিল মাসে চাষ করা যায়। কাঁকরোলের বীজ কাঁকরোল গাছের নীচে হয়ে থাকে, যা
দেখতে মিষ্টি আলুর মত। কাঁকরোল একটি পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় সবজি। এতে
ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ক্যারোটিন, আমিষ, ভিটামিন বি, শ্বেতসার, ও অন্যান্য
খনিজ পদার্থ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে।
আরো জানতে চানঃ- শসা খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এটি ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য করে। কাঁকরোলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইটো
নিউট্রিয়েন্ট, পলিপেপটিড-পি, ও উদ্ভিজ্জ ইনসুলিন আছে, যা ব্লাড সুগারকে
নিয়ন্ত্রণ করে, কাঁকরোল একটি সবজি যা মার্চ ও এপ্রিলে বিভিন্ন মাটিতে চাষ করা
যায়, এবং এর ফলন প্রায় ৯০-১০০ দিনের মধ্যে পাওয়া সম্ভব এটি কন্দমূলের
মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে।
কাঁকরোল চাষের জন্য বিভিন্ন মাটি ব্যবহার করবেন
কাঁকরোল চাষের জন্য সব ধরনের মাটি ব্যবহার করা যায়, তবে দো-আঁশ থেকে এটেল
দো-আঁশ মাটি কাঁকরোল চাষের জন্য উত্তম। চাষের জন্য পানি জমে না, উঁচু বা
মাঝারি উঁচু জায়গা দরকার। জমি তৈরির জন্য মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপর
চাষের জমিতে প্রয়োজনীয় মাপের মাদা তৈরি করতে হবে। প্রত্যেক মাদায় ৪-৫টি বীজ
বপণ করতে হবে জমির উপযোগিতা হলো:-
- মাঝারি উঁচু ও উচু জমি:- কাঁকরোল চাষের জন্য উত্তম।
- সুনিষ্কাশিত ও বন্যানমুক্ত জমি:- কাঁকরোল চাষ করা যায়।
- কাঁকরোল জলাবদ্ধতা:- মোটেই সহ্য করতে পারে না।
কাঁকরোল একটি জনপ্রিয় সবজি, গ্রীষ্মকালে চাষ করা হয়। এদের স্ত্রী পুরুষ ফুল
আলাদা গাছে জন্মে। কাঁকরোল প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন আছে।
চাষ পদ্ধতি দো-আঁশ থেকে এটেল দো-আঁশ মাটি কাঁকরোল চাষের জন্য উত্তম, তবে জৈব
সার যোগ করে অন্যান্য মাটিতে কাঁকরোল চাষ করা যায়।
কাঁকরোলের বংশবিস্তার এর মাধ্যম
কাঁকরোল একটি উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম হল মোমর্ডিকা ডাইয়োইকা। এটি এক
ধরনের ছোট সবজি, যা সাধারণত গ্রীষ্মকালে ফলে। কাঁকরোল সম্ভবত ভারতীয়
উপমহাদেশের বাইরে জন্মায়না। এতে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ক্যারোটিন, আমিষ,
ভিটামিন বি, শ্বেতসার ও খনিজ পদার্থ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে।
বাংলাদেশে কুমড়ো পরিবারের যতো সবজি আছে তার মধ্যে কাঁকরোলের বাজার দর ও চাহিদা
বাজারে অনেক বেশি। কাঁকরোল একটি পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় সবজি। এতে প্রোটিন, চর্বি,
খনিজ পদার্থ, শর্করা, শক্তি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও ক্যারোটিন রয়েছে।
কাঁকরোল গাছ লতানো গাছ, স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল একই গাছে হয়না।
তাই বাগানে দুই ধরনের গাছ না-থাকলে, পরাগ মিলন না-হলে, ফল হবেনা। বাংলাদেশে
বিভিন্ন এলাকায় কাঁকরোলের অনেক জাত দেখতে পাওয়া যায়। ফলের আকার, আকৃতি ও
বর্ণ এবং নরম কাটার বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিভিন্ন শনাক্ত করা যায়। কাঁকরোল
প্রাক্তন বন্য কাঁকরোল ও কাঁকরোলের ভিতরের অংশ।
কাঁকরোলের তরকারির উপকারিতা
কাঁকরোল এক ধরণের ঔষুধি ফল, যা বিশেষত তরকারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই ফলটিতে
প্রচুর পুষ্টি এবং ভিটামিন রয়েছে যা বহু রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। নিয়মিত
কাঁকরোল গ্রহণ মহিলাদের স্বাস্থ্য সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। এগুলি রক্তচাপ
এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। আসুন আমরা কাঁকরোল এর সুবিধাগুলি
বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করি।
- পুষ্টিকর উপাদান:- কাঁকরোলে উচ্চ ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট, শর্করা জাতীয় খনিজ রয়েছে। এর বাইরে ক্যারোটিন, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ইত্যাদি রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।
- জ্বর দূর করতে:- কাঁকরোল খাওয়া জ্বর নিরাময়ে এর জন্য উপকারী। কাঁকরোলের পাতাও জ্বরে উপকারী। এর জন্য কাকোরার পাতা সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করুন, পরে এক চা চামচ মধু খাওয়া যেতে পারে। এটি জ্বরের সমস্যা কাটিয়ে ওঠে।
- চোখের স্বাস্থ্যের জন্য:- কাঁকরোল চোখের স্বাস্থ্য, সুস্থ রাখতে খুব উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ যা চোখে পুষ্টি জোগায়।
- পুষ্টিকর উপাদান:- কাঁকরোলে উচ্চ ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট, শর্করা জাতীয় খনিজ রয়েছে। এর বাইরে ক্যারোটিন, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ইত্যাদি রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।
- পাইলসের জন্য উপকারিতা:- কাঁকরোলে এমন কিছু পুষ্টি রয়েছে যা মলকে উত্তেজিত করতে সহায়তা করে, যার ফলে মল ত্যাগ সহজ হয়ে যায়।
কাঁকরোল একটি ঔষধি সবজি যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ফল আকৃতি তে
জলের ফোঁটার মতন দেখতে ও রঙে সবুজ। তবে এই ফল পেকে গেলে হলদে রঙের হয়ে যায়।
এর স্বাদ হালকা তেতো। কাঁকরোল এর বাইরের পৃষ্ঠটি খোসা ছাড়িয়ে সবজি হিসাবে
খাওয়া হয়।
আরো জানতে চানঃ- করলার গুণগত পুষ্টি এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
কাঁকরোলের পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ। এটিতে উচ্চ ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট,
শর্করা জাতীয় খনিজ রয়েছে। এর বাইরে ক্যারোটিন, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন,
নিয়াসিন এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ইত্যাদি রয়েছে, এগুলি আমাদের স্বাস্থ্যকে
সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
কাঁকরোল গর্ভবতী মহিলার জন্য উপকারিতা
কাঁকরোলের পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ। এটিতে উচ্চ ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট,
শর্করা জাতীয় খনিজ রয়েছে। এর বাইরে ক্যারোটিন, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন,
নিয়াসিন এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ইত্যাদি রয়েছে এগুলি আমাদের স্বাস্থ্যকে
সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁকরোল খাওয়া অত্যন্ত
উপকারী হতে পারে। এই সবজির মধ্যে অনেক গুণাবলী আছে:-
- আয়রন সমৃদ্ধ:- কাঁকরোলে আয়রন অনেক পরিমাণে থাকে, যা অ্যানেমিয়া বা রক্তাল্পতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য:- কাঁকরোলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য: কাঁকরোলে ফ্ল্যাভোনয়েড যেমন বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিক্সানথিন রয়েছে, যা ত্বকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এতে প্রাকৃতিক ফাইবার ও পর্যাপ্ত পানি রয়েছে, যা হজমের জন্য উপকারী। গর্ভবতী
মহিলাদের জন্য এটি খুবই সহায়ক। তাই আমি পরামর্শ দিতে চাই, গর্ভবতী মহিলাদের
জন্য কাঁকরোল খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। সম্ভব হলে অবশ্যই গর্ভবতী
মহিলাদের জন্য কাঁকরোল খাওয়া জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন।
কাঁকরোল বা মেরুদন্ডী লাউ নামে পরিচিত হল স্কোয়াশ এবং কুমড়ো সহ
Cucurbitaceae পরিবারের অন্তর্গত একটি ফুলের উদ্ভিদ। এর ফার্মাকোলজিক্যাল
বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মধ্যে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি-স্টেটোটিক
প্রভাব রয়েছে। এটি এশিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে বিস্তৃত রয়েছে, যা
ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, চীন, জাপান,
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, পলিনেশিয়া ছাড়াও গ্রীষ্মমন্ডলীয় আফ্রিকা এবং
দক্ষিণ আমেরিকাতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। এটি ভারতের সমস্ত অঞ্চলে এবং দক্ষিণ
এশিয়ার কিছু অংশে সবজি হিসাবে ব্যবহৃত হয়।কাঁকরোলের উপকারিতা উচ্চ
রক্তচাপ প্রতিরোধ করে, এবং হার্টের স্বাস্থ্য সমর্থন করে। কাঁকরোলের রস
উচ্চ রক্তচাপযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য সুপারিশ করা হয়।
এটি রক্ত সঞ্চালন সমর্থন করে এবং উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকলাপের
কারণে এথেরোস্ক্লেরোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করে। মরশুম সংক্রমণ প্রতিরোধ
করে: বর্ষাকালে জ্বর, সর্দি এবং কাশির সংক্রমণ (ইউরিন ইনফেকশন) একটি পরিচিত
সমস্যা। নারীদের এই সংক্রমণে ভোগতে হয়, যা মূত্রতন্ত্রের কোনো অংশে জীবাণুর
সংক্রমণ হলে ঘটে।
মূত্র সংক্রমণের লক্ষণ হচ্ছে:
- জ্বালাপোড়া
- ঘন ঘন মূত্র বেগ
- হঠাৎ তীব্র বেগ
- মূত্র ঠিকমতো না হওয়া
- মূত্রের লালচে ভাব অথবা রক্ত পড়া
- তলপেট ও কোমরের মাঝামাঝিতে ব্যথা অনুভব
- শীত শীত ভাব
- কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা
- বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া
মূত্র সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায়:
- প্রচুর পানি পান: নিয়মিত ২-৩ লিটার পানি খান।
- ক্র্যানবেরি জুস: এই জুস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: লেবু, জাম্বুরা অথবা টকজাতীয় ফল নিয়মিত খান।
- প্রবায়োটিকের খুব ভালো উৎস: টক দই অনেক ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, যেগুলো মানবদেহে খারাপ জীবাণু প্রতিরোধ করে।
- মূত্র আটকে না রাখা: দীর্ঘক্ষণ মূত্র আটকে রাখলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
কাঁকরোল খাওয়ার সঠিক সময়
কাঁকরোল সংগ্রহের উত্তম সময় মধ্য জুলাই থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর মাস। ফসল
সংগ্রহের উপযুক্ত সময় হলদে সবুজ হলে। গাছ রোপণের দেড় থেকে দুই মাসের
মধ্যে কাঁকরোল ফুল দিতে আরম্ভ করে। পরাগায়নের ১২-১৫ দিনের মধ্যে কাঁকরোল
সংগ্রহের উপযোগী সময়।
হ্যাঁ, কাঁকরোল সেপ্টেম্বরে ফুল দিতে শুরু হয়। ফসল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়
হলদে সবুজ হলে। গাছ রোপণের দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে কাঁকরোল ফুল দিতে
আরম্ভ করে। পরাগায়নের ১২-১৫ দিনের মধ্যে কাঁকরোল সংগ্রহের উপযোগী সময়।
ওজন কমাতে কাঁকরোল উপকারিতা
কাঁকরোল খাওয়ার উপকারিতা অনেকটা দারুণ! যারা ওজন কমাতে চান, তাদের
জন্য এটি একটি আদর্শ সবজি হতে পারে। কারণ পুষ্টিকর এই সবজি ওজন কমাতে
দারুণ কাজ করে। কাঁকরোলে আছে প্রচুর ফাইটোকেমিক্যালস, সেইসঙ্গে
ক্যালোরির পরিমাণ থাকে খুবই কম। যে কারণে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে না। ওজন
কমাতে চাইলে নিয়মিত এই সবজি খান।
রাতে কাঁকরল খাওয়ার উপকারিতা
রাতের বেলায় কাঁকরোল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, যার মধ্যে
উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে আশা করি এই
বিষয়গুলো জেনে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। তাহলে চলুন গুরুত্বপূর্ণ কিছু
বিষয় গুলো জেনে নেওয়া যাক। যেমনঃ-
- ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ: কাঁকরলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- হজমের স্বাস্থ্য সহায়তা: কাঁকরলে ফাইবার রয়েছে, যা পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি করতে এবং হজমের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
- অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য: কাঁকরলে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো: কাঁকরলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়, এবং ফাইবার ও পর্যাপ্ত পানি মেলে সবজিটি থেকে।
এই সবজি গর্ভবতী নারী ও শিশুর বৃদ্ধির জন্য খুবই সহায়ক। তাই আপনি রাতে
কাঁকরোল খেতে পারেন এবং এর উপকারিতা উপভোগ করতে পারেন।
শেষ কথাঃ
সম্মানিত পাঠক আজকের একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল ছিল সেটি হচ্ছে
কাঁকরোল খাওয়ার বিশেষ গুনাগুন এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আশা
করি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে কাঁকরোল এর গুরুত্ব জানতে এবং বুঝতে
পেরেছেন।
তাই এরকম সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পেতে আমার পেজকে ফলো দিন এবং আমার পাশে
থাকুন যাতে করে অন্য কোন বিষয় অন্য কোন ট্রপিক নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার
করার অনুপ্রেরণা পায় পরিশেষে আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই
ইতি করছি আল্লাহ হাফেজ!