কুরবানী করার বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ইসলামিক রীতিনীতি বিষয়ে কিছু আলোচনাকুরবানি ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আনুষ্ঠান যা প্রতি বছর ঈদ-উল-আযহা
উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ইসলামী পরম্পরায় নবী ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম) ও তার
পুত্র নবী ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) এর পরিশ্রমের একটি প্রতীক। ইসলামিক
বিশ্বে,
এটি আল্লাহর প্রতি ভক্তির একটি উপায় এবং দরিদ্র মানুষদের সাথে আলাহর প্রতি
সহানুভূতির অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। পরিষেবা এবং মাংসের অংশগ্রহণ এই উপলক্ষে
সাধারণ।কোরবানি ইসলামিক ধর্মে একটি প্রধান উৎসব যা ঈদ-উল-আযহা নামে পরিচিত।
এই দিনে মুসলিম সম্প্রদায়ের মেরুদণ্ডে গরু, ভাড়া বা মেষের জন্য খুদাই করা হয়।
কোরবানির মূল উদ্দেশ্য সকালে নমাজের পর কুরবানির ব্যবস্থা করা, মিষ্টি সম্মান করা
এবং অল্প অসুখীদের মাঝে মাংস বিতরণ করা। তাহলে চলুন আমরা বিস্তারিত জেনে
নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ- কুরবানী করার বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে
ইব্রাহিম ও ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর সংক্ষিপ্ত জীবন কাহিনী
ইসলামের পবিত্র কিতাব কোরআনে কুরবানী নিয়ে ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম ও তার পুত্র
ইসমাইল আলাইহিস সাল্লাম এর কাহিনী প্রস্তুত করা হয়েছে। কুরবানীর কাহিনীতে বলা
হয়েছে যে, ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম এক স্বপ্নে দেখেন যে তিনি আমানত পরিপূরণ করা
হিসেবে তার পুত্র ইসমাইল কে কুরবানী করতে বলেছেন।
জানার জন্য আরও পড়ুনঃ- শাওয়াল মাসের বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ বিস্তারিত জানুন
ইসমাইল আলাইহিস সাল্লাম এবং তার পিতা ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম তাদের ঈশ্বরের
আদেশ মেনে নেয়। তাদের প্রস্তুতির পরিবেশ করে, ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম ইসমাইল
আলাইহিস সাল্লাম কে আক্রমণ করেন, কিন্তু তাদের পুরুষত্বের প্রতি বিশ্বাসের জন্য
ঈশ্বর একটি কুরবানীর জন্য এক রাম প্রেরণ করেন।
ঈশ্বরের পরীক্ষার ফলে ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম এবং তার পুত্র ইসমাইল আলাইহিস
সাল্লাম এর জন্য এক খাসির অপড় হাজির করা হয়েছে। তাদের ঈশ্বরের অবিচ্ছিন্ন
বিশ্বাস এবং সর্বোচ্চ আদরের ফলে, ঈশ্বর তাদের পুরুষত্বকে প্রত্যাহার করেন এবং এক
অবিশ্বাসী প্রাণকে বদলে আদি অস্থিতিতে তাদের জন্য বাজায়।
এই ঘটনাটি ইসলামে অন্যত্রও উল্লেখিত হয়েছে, বিশেষভাবে ইসলামী সংস্কৃতিতে
কুরবানীর প্রতীকতা ও ইমাম ইব্রাহিমের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইসলামের
কুরবানী নিয়ে ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম ও ইসমাইল আলাইহিস সাল্লাম এর কাহিনী একটি
অত্যন্ত গৌরবময় ঘটনা হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।
এটি ইসলামের ধারণাগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা প্রতিটি মুসলিমের জীবনে
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকতা তৈরি করে। এটি ঈমান, আদর, অনুসরণ এবং পরিপূর্ণতা
প্রতি মুসলিমের জীবনে একটি অনুভূতি করে। ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম ও ইসমাইল
আলাইহিস সাল্লাম এর স্বীকৃতি এবং আদরের প্রতি তাদের ঈমানের উদাহরণ হিসাবে
মূল্যায়ন করা হয়।
এই ঘটনার মাধ্যমে তাদের সর্বাধিক প্রিয় জিজ্ঞাসা দেওয়া হয় যা হলো প্রভুর
আদেশের সাথে অনুসরণের অনেকটা মুখ্যতা যেনো সহজ হয়ে আসে। তারা ইমানের জন্য
প্রস্তুতি করেছিলেন, যা একটি মুসলিমের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনাটি
যুদ্ধের মাধ্যমে না, বরং বিশ্বাস, প্রেম, ও অনুসরণের মাধ্যমে সমাজের প্রতি
প্রভাবিত হয়।
ঈদুল আযহা, বা ঈদ-উল-আযহা, ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা কুরবানী নামেও
পরিচিত। ঈদুল আযহা ইসলামের চারটি প্রধান ঈদের মধ্যে একটি। এটি মুসলিম
সম্প্রদায়ের জীবনে বৃহত্তর গুরুত্ব ধরে। এই উৎসবটি মুসলিমরা আল্লাহর প্রতি
বিশেষ প্রেম ও শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য পালন করেন।
ঈদুল আযহা অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল কুরবানী। এটি আল্লাহর প্রতি
শ্রদ্ধার প্রতীক এবং মুসলিম সমাজে সহিংসতা ও দানশীলতার মাধ্যমে সামাজিক এবং
আর্থিক সমতা সৃষ্টি করার অন্যতম উপায়।
কুরবানীর মৌলিক পরিস্থিতি হল মুসলিম সমাজের যে সমস্ত বর্গের মানুষের প্রতি
সহানুভূতি এবং সম্মান প্রকাশ করা। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি প্রয়োজনীয় কর্ম
হিসাবে মন্তব্য করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ধনী ও দানশীল মানুষরা তাদের দীর্ঘধর্মী
প্রার্থনার সঙ্গে তাদের সম্পদ এবং প্রাপ্তির অংশ শেয়ার করতে সক্ষম হন।
আত্মীয়দের, প্রতিবন্ধীদের এবং দরিদ্রদের মধ্যে ভাগ করে কুরবানী পালন করা হয়।
ঈদুল আযহা অর্থাৎ কুরবানীর সম্পর্কে মাসলা-মাসায়েল
ইসলামিক শারীয়াতে কুরবানীর কিছু মৌলিক শর্ত ও নির্দেশনা রয়েছে। এগুলি মধ্যে
অন্যতম নিম্নলিখিত বিষয়গুলি রয়েছে:
1. সঠিক প্রাণীর নির্বাচন: কুরবানীর জন্য সঠিক প্রাণীর নির্বাচন একটি
গুরুত্বপূর্ণ ধরনের শরীয়াতিক দেওয়া। ইসলামিক শরীয়াতে গরু, ভেড়া, মেষ, ওট,
মোরগ, কুকুর ইত্যাদি কিছু প্রাণী কুরবানীর জন্য উপযোগী হিসাবে মনোনিবেশ করা
হয়েছে।
2. কুরবানীর পরিমাণ: কুরবানীর প্রাণীর পরিমাণ ও মূল্য নিয়ে শারীয়াতের
নির্দেশনা রয়েছে। এটি মুসলিম প্রত্যেক বছর কুরবানী পালন করা উচিত এবং প্রাণীর
ধরণ, পরিমাণ ও মূল্যের সাথে অনুসারিত হতে হবে।
3. কুরবানীর সময় ও স্থান: কুরবানী পালনের সঠিক সময় এবং স্থান নিয়েও
শরীয়াতের নির্দেশনা রয়েছে। এটি ঈদুল আযহা উৎসবের পর তিন দিনের মধ্যে পালন করা
উচিত এবং কুরবানী করার জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করা উচিত।
এই মৌলিক নির্দেশনাগুলি অনুসরণ করে মুসলিম সমাজ কুরবানী অনুষ্ঠান পালন করেন।
এটি মানবিক সহানুভূতি, দানশীলতা, ও ধার্মিক আদরের একটি উদাহরণ।
কোরবানির বিধান
কোরবানির বিধান ইসলামে প্রধানতঃ নিম্নলিখিত পদক্ষেপে অনুষ্ঠিত হয়।
- নির্বাচন করা: কুরবানির জন্য স্বাভাবিকভাবে গরু, ভাড়া, বা মেষ নির্বাচন করা হয়। কোরবানির পশুটি প্রায়ই স্বাভাবিক সম্পত্তির একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।
- শর্ত অনুযায়ী খুদাই: কুরবানি পশুটি একজন কুরবানি দাতার নিকট খুদাই করা হয়। খুদাইর পরে পশুটির গর্তের সামনে পশুটির নাম পড়া হয় এবং নিষিদ্ধ উপায়ে পশুটি হতে বাঁচানো হয়।
- অংশগ্রহণ এবং বিতরণ: কুরবানির পশুটি একটি পরিষেবার অংশ হিসাবে অনুষ্ঠিত হয়। কুরবানির পশুর মাংস তিন অংশে ভাগ করা হয় - নিজের পরিবারে, আত্মীয়-স্নেহিতদের মধ্যে এবং দরিদ্র মানুষদের মধ্যে।
- অতিরিক্ত দান: কোরবানির সময়ে সাধারণত একটি পরিমাণ নকদ অথবা অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করা হয় যাতে দরিদ্র ও অসুখীদের উপর দয়ার অধিকার সাধারণ হয়।
কুরবানি ফরজ সাধারণত মুসলিম পুরুষ ও মহিলাদের উপর বাধ্যতামূলক। ইসলামে ফরজ হিসাবে
গণ্য কুরবানির অংশগ্রহণ এবং তা নির্বাচিত উদ্যোগের জন্য প্রধানত পুরুষ উপর জাতীয়
ও ধর্মীয় দায়িত্ব বিশেষভাবে আরোপ করা হয়ে থাকে। তবে, মহিলা যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত
হন এবং ইচ্ছামত পরিষেবা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে চান, তাও এটি করা যায়।
জানার জন্য আরো পড়ুনঃ-
ঈদের দিনের করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কোরবানি করার জন্য সাধারণত গরু, ভাড়া, বাছুর বা গরুর ছাগল পশুর উপযুক্ত। এই
পশুগুলি ইসলামিক শরীয়াতে অংশগ্রহণের জন্য প্রশ্নিত হয়ে থাকে। কুরবানির জন্য এই
পশুগুলি নির্বাচন করা হয় যাদের স্বাভাবিক ও সুস্থ অবস্থা অনুভব হয়। ইসলামে
নিজের ঘরের সম্পত্তির একটি অংশকে কুরবানি করা বড় উপলক্ষ হিসাবে বিবেচিত হয়।
কোরবানী কার প্রতি ফরজ
ইসলামে কোরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনিক প্রক্রিয়া যা ঈদ উল আযহা পর্বে
অনুষ্ঠিত হয়। এটি সাধারণত গরু, বাকরি, অথবা ভেড়া বিষয়ক কোন জনপ্রিয় পশুকে
নিয়ে সম্পাদন করা হয়। কোরবানী একটি আদর্শ উপায় হিসেবে মুসলিম জীবনে যোগ করে
এবং এটি ধর্মীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষে শুভেচ্ছা প্রকাশ করা
হয়।
কোরবানী করার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হলো প্রত্যেক সম্পাদনকারী
ব্যক্তির উপর একটি ফরজ হওয়া। এটি মুসলিম জীবনে একটি প্রধান দায়িত্ব হিসেবে
বিবেচিত হয়। এটি ইহকাম, বুন্যাদি ইসলামী আইনের একটি অংশ এবং একটি ধর্মীয়
কর্তব্য হিসেবে মন্য হয়। এটি মুসলিম সমাজে বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে সাধারণত
অনুসরণ করা হয়।
কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের দলিল
কোরআনে কোরবানীর প্রসঙ্গে বিভিন্ন দলিল প্রদান করা হয়েছে,
যেমনঃ-
1. ( সূরাআল-বাকারা-২ আয়াত ২০০) "হাজ্জের দিনের অধিকদিক গোষ্ঠী যখন
তাদের অহংকার সম্পূর্ণ অতিক্রম করে, আল্লাহর কথায় কোরবানীর জন্য প্রদর্শন
করুন। এই গোষ্ঠীর অনুসারে তোমরা কোরবানী করো এবং আল্লাহর নাম মন্য কর। তার
হতেই সংশয় নেই, যে সেই জীব সঠিক পথের প্রতি পৌঁছাতে ইচ্ছুক।"
2. ( সূরা আল-কাওসার আয়াত ২-৩) "আমার প্রতি অক্ষম হয়ে যাওয়ানোর কারণে
তোমরা অকৃষ্ট দিনী লক্ষ প্রাপ্ত করতে পারবে। প্রতি প্রতি তোমার প্রতি কোরবানী
আর প্রতি প্রতি তোমার প্রতি নিজের নাম দিয়ে কোরবানী কর।"
এছাড়াও, হাদিস গ্রন্থগুলিতে ও ইসলামী শরীয়তে একাধিক নিষেধ ও পরামর্শ প্রদান
করা হয়েছে কোরবানীর প্রসঙ্গে। একইভাবে, কোরআনের অধিকাংশ সূরাতেই
পরিস্থিতিগুলির সাথে জড়িত হিসাবে কোরবানীর প্রয়োজনীয়তা ও অর্থ্যতার অংশ
উল্লেখ করা হয়েছে।
কোরবানি সম্পর্কে হাদিস
কোরআনের পাশাপাশি কোরবানী সম্পর্কিত হাদিসগুলি ইসলামী শাস্ত্রে প্রমুখ
গুরুত্ব রাখে। নিচে কিছু পরিচিত হাদিস উল্লেখ করা হলো:-
1. হাদিসে কুদসি: (Hadith Qudsi) "আমি কোরবানীর জন্য আসামীর
বিশ্বাসকে আমার জন্য আল্লাহর উত্তর দিতে হতেই শ্রেষ্ঠ মানি। আমার জন্য
আল্লাহ যত্নে একটি বাছুনা কুরবানী প্রদর্শন করতে শ্রেষ্ঠ মানে। আর যে সময়ে
আসামীর দিকে প্রাণাত্তর মানুষ হাজির থাকে তার সময়ে আমি আমার মেজাজ নিয়ে
তাকে প্রবর্তন করি।" - (সহিহ বুখারি, ৮৩৬)
2. হাদিস: "মোহাম্মদ (সা:) বলেছেন, 'সফল হয়ে আসুন, মুজিবহীন হয়ে
ফিরে চলে যান না।' তারা প্রশ্ন করলেন, 'আপনি মুজিব কেন বললেন?' রাসূলুল্লাহ
(সা:) বলেন, 'তোমরা আল্লাহর দানশিষ্ট গ্রহণ করতে পারেন যখন আল্লাহর
দানশিষ্ট গ্রহণ করেন।' তারা প্রশ্ন করলেন, 'আল্লাহর দানশিষ্ট কী?'
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, 'তোমরা আল্লাহর দানশিষ্ট গ্রহণ করেন যখন তোমরা
নগরে এলাম করেন, হাজার হাজার জনের মধ্যে হেড়ে এলাম করেন, এবং আফসোস
করেন।'" - (সহিহ মুসলিম, ১৩৯৪)
এই হাদিসগুলি ইসলামী শাস্ত্রে কোরবানীর প্রয়োজনীয়তা এবং অর্থ্যতার
প্রতিষ্ঠার জন্য মূলত মহান গুরুত্ব রাখে।
কোরবানি কবুল হওয়ার শর্ত
কোরবানি করার জন্য কিছু শর্ত অনুধাবন করা হয় ইসলামী শরীয়াতে। কিছু
গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হতে পারে:
1. পশুর অবস্থা: কোরবানীর জন্য নির্বাচিত পশুটি সুস্থ এবং পুরুষ হতে
হবে। যেকোনো রোগী, অকস্মাত আহত বা অপসারিত পশু কোরবানির জন্য অনুমোদিত নয়।
2. আদায়ের সময়: কোরবানী বা কোরবানীর হাকিকত আদায়ের জন্য নির্ধারিত
সময় ও তারিখ থাকে, সাধারণত ঈদ উল আয়হা পর্বে।
3. আদায়ের স্থান: কোরবানীর জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারিত থাকে,
সম্পাদনের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ ও স্বচ্ছতায় মনোনিবেশ করা হয়।
4. আদায়ের পদ্ধতি: কোরবানী করার পদ্ধতি নির্ধারিত থাকে, সাধারণত
একটি আধুনিক কাটা বা মাছির দীর্ঘ খুলি কাটা উপযুক্ত হয়।
5. আদায়ের পশুর দিক থেকে নিউনান্তর্যতা: কোরবানী করার জন্য অন্যান্য
সহযোগিতা পশুর বা উপজাতির মালিকের সাথে সংগঠিত হতে পারে।
এই শর্তাবলী বিভিন্ন ইসলামী কনফিগারেন্স, আলোচনা সম্মেলন, এবং ইসলামী
শরীয়াতের প্রধান সূত্র বিবেচিত হয় যাতে কোরবানী ঠিকভাবে পূর্ণ করা হয়।
কোন সমস্ত পশু দিয়ে কোরবানি
ইসলামে কোরবানীর জন্য নির্বাচিত পশুগুলি সুস্থ, পুরুষ এবং নির্ধারিত
শর্তাবলী অনুসারে হতে হবে। মূলত, কোরবানীর জন্য নিম্নোক্ত পশুগুলি ব্যবহার
করা হয়:
- গরু: গরু একটি গুরুত্বপূর্ণ কোরবানীর পশু। এটি সাধারণত একটি ভারী ও মাংসপেশী পশু হওয়া দ্বারা বেশি প্রাথমিকভাবে পছন্দ করা হয়।
- বাকরি: বাকরি অন্য একটি প্রধান কোরবানীর পশু। এটি সাধারণত গরুর চেয়ে ছোট এবং মাংসপেশী হলেও পশুটি কর্তৃপক্ষে গ্রহণযোগ্য।
- ভেড়া: ভেড়া অন্য একটি পশ্চিমাঞ্চলী ধরনের কোরবানীর পশু। এটি সাধারণত ছোট আকারের হতে পারে এবং পুরুষ অথবা মহিলা দুটির কিন্তু কোরবানীর জন্য প্রযোজ্য।
- মাছি: কিছু মুসলিম সমুদায়ে কোরবানীর জন্য মাছির দ্বারা কোরবানী সম্পাদন করা হয়। তারা মাছির দ্বারা কোরবানীর প্রথা অনুসরণ করে যারা প্রায়শই জলমার্গে বাস করে।
উল্লেখযোগ্য যে, কোরবানীর জন্য পশু নির্বাচনে বিশেষ মনোনিবেশ ও স্বাধীনতা
থাকতে পারে স্থানীয় সংস্থা এবং সাংস্কৃতিক প্রথা অনুসারে।
মাছি কি
মাছি বা মাছ একটি জলচর প্রাণী। এটি পানিতে বাস করে এবং জল বায়ু দুটি
মাধ্যমে শ্বাসপ্রদান করে। মাছের বিভিন্ন ধরণের রকম এবং আকার থাকতে পারে,
যেমন মাছের চোখ এবং শরীরের গঠন বিভিন্ন হতে পারে। মাছ সাধারণত জলে,
নদীতে, সাগরে এবং অন্যান্য জলাশয়ে পাওয়া যায়। এটি অধিকাংশই মাছ খাদ্য
হিসেবে ব্যবহৃত হয়,
তবে কিছু প্রজাতি সমৃদ্ধ জীবজন্তু জীবনধারা বা রোবোটিক অবস্থায় থাকে।
মাছ সংশ্লিষ্ট খাদ্য জীবাণু থাকার কারণে মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। মাছের উপকারিতা সম্পর্কে সক্ষম জনগণের মধ্যে বিভিন্ন
ধারণা থাকে, যেমন মাছ শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো,
যেমন মাছে প্রোটিন, ওমেগা-৩ অমিগা অসিড, ভিটামিন, খনিজ, এবং অন্যান্য
পুষ্টিগুণ থাকে। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের মাছের তেল থাকা থেকে তা ব্যবহার
করে চিকিৎসায় এবং সৌন্দর্য পর্যায়ে সাধারণত মাছের অপার্য বলা হয়।
কোরবানির মাংস বিতরণ
কোরবানির মাংস সাধারণত তিনটি ভাগে বিতরণ করা হয়।
1. নিজের পরিবার ও আত্মীয়-বান্ধবগণ: কোরবানীর মাংস
প্রাথমিকভাবে নিজের পরিবার ও আত্মীয়-বান্ধবগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
এটি সাধারণত মূল অংশ হয় কোরবানীর মাংস উপভোগ করার জন্য এবং পরিবারের
সদস্যদের মধ্যে একতা ও আনন্দে অংশ গ্রহণের জন্য।
2. দরিদ্র ও দুর্বল মানুষগণ: কোরবানীর মাংসের একটি অংশ সাধারণত
দরিদ্র ও দুর্বল মানুষগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এটি ইসলামের একটি
প্রধান উপদেশ যাতে দরিদ্র ও দুর্বল মানুষগণের মধ্যে সমান ভাগ্য
প্রতিষ্ঠা করা হয়।
3. সমাজের অন্যান্য দুর্বল ও দরিদ্র সদস্যগণ: কোরবানীর মাংস
এরকম সমাজের অন্যান্য দুর্বল ও দরিদ্র সদস্যগণের মধ্যেও বিতরণ করা হয়।
এটি অনুশাসনের উপায় যাতে সমাজের সকল সদস্যের মধ্যে ভালোবাসা ও সমান
অনুভূতি প্রকাশ করা হয়।
সাধারণত কোরবানীর মাংস বিশেষ কাজকর্মীদের মাধ্যমে প্রাপ্ত এবং বন্টন
করা হয়, যারা তা বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিতরণ করে।
শেষ কথা
কোরআন ও হাদিসে প্রদর্শিত হোক বা ইসলামী শাস্ত্রের সাথে সম্পর্কিত
নির্দিষ্ট প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে, কোরবানীর প্রয়োজনীয়তা এবং এর
প্রশংসা এবং আল্লাহর কথায় কোরবানীর জন্য প্রদর্শন করার প্রয়োজনীয়তা
নির্দেশিত হয়েছে। এছাড়াও, ইসলামী শাস্ত্রে কোরবানীর পরিপ্রেক্ষিতে
আল্লাহর উপাসনা, তার অনুষ্ঠানের ভালোবাসা,
সমাজের দুর্বল ও দরিদ্র সদস্যগণের মধ্যে আল্লাহর রহমতের প্রতি নিশ্চিত
বিশ্বাস ইত্যাদির মাধ্যমে ইসলামিক সমাজে কোরবানীর প্রয়োজনীয়তা ও
প্রশংসা বেশি করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন ইসলামী প্রশ্নেও
এই বিষয়ে প্রমাণ প্রদান করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ পরিপ্রেক্ষিতে, কোরবানীর প্রয়োজনীয়তা এবং প্রশংসার মাধ্যমে
ধর্মিক অংশ, সামাজিক অংশ এবং মানবিক অংশে কোরবানীর মহান গুরুত্ব ও
প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি পুরো আর্টিকেল পড়ে আপনি উপকৃত
হয়েছেন, যদি কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই পেজটিকে ফলো দিন। এবং
নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে উৎসাহিত করুন।