কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাবার উপায়-নির্দেশিকা বিস্তারিত জানুন

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নেবার প্রসঙ্গেকর্মসংস্থান ব্যাংক বাংলাদেশের একটি অতি অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক। যা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং স্বনির্ভর জনগণের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে। এই ব্যাংকটির মূল লক্ষ্য হল।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাবার উপায়-নির্দেশিকা বিস্তারিত জানুন
দেশের যুবক-যুবতী নারী উদ্যোক্তা শিক্ষিত বেকার এবং দরিদ্র জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন বা ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। 

এই নিবন্ধে আজকে আমরা আলোচনা করবো কীভাবে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ পাবেন। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নেবার আবেদন পত্র, কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ কিভাবে পরিষদ করবেন।

আজকের আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যা আপনার জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে এবং সুবিধা উপভোগ করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করবে, তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাবার উপায় প্রসঙ্গে।

  • কর্মসংস্থান ব্যাংক কি
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ নিতে কি কি লাগে।
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক সর্বোচ্চ ঋণ কত টাকা।
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক প্রবাসী লোন
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ মাসিক কিস্তি কত
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ সুযোগ-সুবিধা
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক ফোন নাম্বার
  • সর্বশেষ কথা

কর্মসংস্থান ব্যাংক কি

কর্মসংস্থান ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, যাহা ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মূলত যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এবং তাদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগে ঋণ সহায়তা প্রদান করে থাকে। 

ব্যাংকটি উদ্যোক্তা উন্নয়ন ছোট ও মাঝারি ব্যবসার বিকাশ এবং যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করে। তবে কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ঋণ দেওয়া হয়।
যেমনঃ
  1. ব্যবসা উদ্যোগের ঋণ
  2. কৃষি ঋণ
  3. শিক্ষা ঋণ
  4. পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের ঋণ
তবে এটি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

যোগ্যতা ও আবেদন প্রক্রিয়া

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য প্রথমত আপনাকে ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করতে হবে। যা অপরিহার্য আর এগুলো হলো যেমনঃ-
  • ব্যক্তিগত যোগ্যতাঃ- কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারীকে উদ্যোক্তা হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, চাকরি খুঁজতে থাকা যুবক-যুবতী অথবা একজন নারী উদ্যোক্তা হতে পারেন।
  • ব্যবসার পরিকল্পনাঃ- আপনাকে একটি সুস্পষ্ট ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। যা আপনার ব্যবসার উদ্দেশ্য সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা সঠিকভাবে তুলে ধরবে।
আর্থিক অবস্থাঃ- আবেদনকারীকে অবশ্যই তার আয়ের উৎস এবং ধার্যযোগ্যতা সম্পর্কে ব্যাংকের কাছে তথ্য দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ- কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ প্রাপ্তির জন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে হবে। এই কাগজপত্রগুলো হলো।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
  • আয়কর রিটার্ন (যদি থাকে)
  • ব্যবসার লাইসেন্স বা প্রমাণপত্র
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট, (অথবা আপনার আর্থিক অবস্থার প্রমাণ)
  • নগদ তহবিলের প্রমাণ (যদি প্রযোজ্য হয়)

ঋণের পরিমাণ ও শর্তাবলীঃ

কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণের পরিমাণ নির্ধারণে আপনার ব্যবসার আকার প্রকৃতি এবং সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়। সাধারণত ব্যাংকটি ঋণ প্রদান করার সময় নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখে।
  1. ঋণের পরিমাণঃ- ব্যাংকটি আপনার ব্যবসার পরিকল্পনা এবং তার সার্বিক সম্ভাবনা দেখে ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করবে।
  2. সুদের হারঃ- ঋণের সুদের হার সাধারাণত স্বল্প মেয়াদী ঋণ জন্য কম এবং দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের জন্য একটু বেশি হয়ে থাকে।
  3. ঋণ পরিশোধের শর্তঃ- ঋণের পরিশোধের সময়কাল এবং কিস্তি নির্ধারণ করবে ব্যাংক যা আপনার আয় ও ব্যবসার আকার অনুযায়ী সমন্বয় করা হবে।

প্রকল্প মূল্যায়ন

কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ প্রদানের পূর্বে প্রকল্পের সম্ভাবনা এবং ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা যাচাই করে থাকে। ব্যাংকটি আপনার ব্যবসা এবং তার সার্বিক সক্ষমতা সম্পর্কে একটি মূল্যায়ন করবে। এবং প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লাভজনকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হবে।

ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ

ঋণ আবেদন জমা দেয়ার পর ব্যাংক ঋণ অনুমোদনের জন্য আপনার আবেদন এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করবে। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, তবে ঋণ অনুমোদিত হবে এবং একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করার পর ঋণের টাকা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে।

ঋণ পরিশোধ

ঋণ পরিশোধের জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। সাধারণত ঋণ পরিশোধের সময়কাল ১ থেকে ৫ বছর হতে পারে এবং আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। কিস্তি পরিশোধের জন্য নির্ধারিত শর্তাবলী ও তারিখের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ নিতে কি কি লাগে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে হলে আপনার উচিত সঠিকভাবে ব্যাংকের শর্তাবলী অনুযায়ী আবেদন করা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখা। ঋণ গ্রহণের পর, ঋণ পরিশোধের জন্য সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করা এবং নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
আর এভাবে আপনি আপনার ব্যবসা বা উদ্যোক্তা পরিকল্পনাকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন এবং ব্যাংক থেকে সাহায্য পেতে সক্ষম হবেন। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে।
  1. যোগ্যতা পর্যালোচনাঃ- কর্মসংস্থান ব্যাংক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ঋণ দেয়, যেমন শিক্ষা, ব্যবসা, কৃষি ইত্যাদি। প্রথমে আপনাকে ঋণের জন্য যোগ্য কি না, তা যাচাই করতে হবে। 
  2. আবেদন ফরম পূরণঃ- ব্যাংক থেকে ঋণ আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন। এবং তা পূর্ণ করে জমা দিন। ফরমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঋণের প্রয়োজনীয়তা এবং এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হবে।
  3. ডকুমেন্টস প্রস্তুত করাঃ- ব্যাংক লোনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, আয়কর রিটার্ন, ঠিকানা প্রমাণ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি প্রেরণ করতে হতে পারে।
  4. গ্যারান্টি বা সিকিউরিটিঃ- কিছু ঋণের জন্য সিকিউরিটি বা গ্যারান্টি দরকার হতে পারে। আপনার ঋণের পরিমাণ এবং ব্যাংকের নীতিমালার উপর ভিত্তি করে সিকিউরিটি প্রদান করতে হতে পারে।
  5. প্রক্রিয়া শুরু করাঃ- একবার আপনার আবেদন এবং ডকুমেন্টস জমা দিলে ব্যাংক তা পর্যালোচনা করবে। যদি সব কিছু ঠিক থাকে, তবে ঋণের অনুমোদন দেওয়া হবে।
  6. ঋণ প্রাপ্তির পরবর্তী ধাপঃ- যদি ঋণ অনুমোদিত হয়, তবে ব্যাংক থেকে লোন পরিশোধের শর্তাবলী এবং শিডিউল দেওয়া হবে। 
এছাড়া, ব্যাংকটির ওয়েবসাইট বা নিকটস্থ শাখায় গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যেতে পারে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক সর্বোচ্চ ঋণ কত টাকা।

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ঋণের পরিমাণটি নির্ভর করে ঋণের ধরনের ওপর এবং আপনার ব্যবসার প্রকৃতি বা প্রস্তাবিত প্রকল্পের মূল্যায়নের উপর। সাধারণভাবে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ পরিমাণ শুরু হয়। ছোট ব্যবসা বা উদ্যোক্তাদের জন্য ১ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। 

তবে কিছু বিশেষ ঋণের ক্ষেত্রে, যেমন বড় প্রকল্প বা বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য, ঋণের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। যদিও ব্যাংকটির নির্দিষ্ট ঋণের সীমা সময় সময় পরিবর্তিত হতে পারে। এজন্য আপনার প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ঋণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে ব্যাংকের শাখা বা অফিসে যোগাযোগ করা উত্তম।

কর্মসংস্থান ব্যাংক প্রবাসী লোন

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষভাবে প্রবাসী ঋণ প্রদান করে থাকে, যার মাধ্যমে তারা ব্যবসা বা অন্যান্য উদ্যোগ শুরু করতে বা সম্প্রসারণে সহায়তা পেতে পারে। 

এই ঋণ মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের দেশে ফিরে এসে বা বিদেশে বসবাস করে বাংলাদেশে ব্যবসা বা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন।প্রবাসী ঋণের উদ্দেশ্য সাধারণত নিচের মতো হতে পারে।
  1. ব্যবসার উন্নয়ন বা শুরুঃ- নতুন ব্যবসা শুরু করা বা পুরনো ব্যবসার সম্প্রসারণে।
  2. পেশাগত প্রশিক্ষণঃ- পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন বা প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য।
  3. কৃষি ও অন্যান্য প্রকল্পঃ- কৃষি ও অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা।
  4. মাইক্রোফাইন্যান্সঃ- ছোট আকারের ঋণ যা সাধারণত ক্ষুদ্র ব্যবসায় বা উদ্যোক্তাদের জন্য।
প্রবাসী ঋণ প্রাপ্তির শর্তাবলী
  • ঋণটি প্রাপ্তির জন্য প্রবাসী হওয়ার প্রমাণ (যেমন বিদেশি কাজের ভিসা) প্রদান করতে হবে।
  • প্রস্তাবিত ঋণের পরিমাণ এবং শর্তাবলী ঋণের উদ্দেশ্য ও প্রকল্পের উপর নির্ভর করে।
  • সাধারণত ঋণ প্রাপ্তির জন্য গ্যারান্টি বা সিকিউরিটি প্রয়োজন হতে পারে।
এই ঋণ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এবং শর্তাবলী জানার জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংকের নিকটস্থ শাখা বা অফিসে যোগাযোগ করা প্রয়োজন। তাহলে সবচাইতে ভালো হয়।

কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ মাসিক কিস্তি কত

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণের মাসিক কিস্তি পরিমাণ নির্ভর করে ঋণের পরিমাণ, মেয়াদ, সুদের হার এবং ঋণগ্রহীতার নির্বাচিত শর্তাবলীর উপর। সাধারণত, ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ অনুযায়ী কিস্তির পরিমাণ পরিবর্তিত হয়। তবে কিছু সাধারণ তথ্য।
  1. ঋণের পরিমাণঃ- ঋণ যত বেশি হবে, মাসিক কিস্তি তত বেশি হবে।
  2. ঋণের মেয়াদঃ- ঋণের মেয়াদ (যেমন ১ বছর, ৩ বছর, ৫ বছর ইত্যাদি) বাড়লে মাসিক কিস্তির পরিমাণ কমতে পারে, কিন্তু মোট সুদ বেশি হবে।
  3. সুদের হারঃ- ব্যাংকটি যে সুদের হার নির্ধারণ করবে, সেটি মাসিক কিস্তির পরিমাণে প্রভাব ফেলে। সাধারণত সুদের হার ঋণের ধরনের উপর নির্ভর করে।
আপনি যদি ঋণের বিস্তারিত শর্তাবলী জানেন, তবে আপনি ব্যাংক থেকে কিস্তির সঠিক পরিমাণ জানতে পারেন। ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ অনুযায়ী EMI (Equated Monthly Installment) গণনা করতে ব্যাংকটি আপনার জন্য সঠিক কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করবে।

আরও বিস্তারিত জানতে, ব্যাংকের শাখায় বা অফিসে গিয়ে আপনার নির্দিষ্ট ঋণ কিস্তি সম্পর্কে জানানো যেতে পারে। তাহলে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব আমার মনে হয়।

কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ সুযোগ-সুবিধা

কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ প্রদান করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যা উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী শিক্ষার্থী, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করে থাকে। কিছু প্রধান ঋণ সুবিধা হলো।
  • কম সুদের হার কর্মসংস্থান ব্যাংক সাধারণত কম সুদের হারে ঋণ প্রদান করে। যা ঋণগ্রহীতাদের জন্য পরিশোধে সুবিধাজনক।
  • বিভিন্ন ঋণ প্রকারঃ- কর্মসংস্থান ব্যাংক বিভিন্ন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ঋণ প্রদান করে।
যেমনঃ
  1. ব্যবসার উন্নয়ন ঋণঃ- ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার জন্য।
  2. কৃষি ঋণঃ- কৃষকদের জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষি কার্যক্রম উন্নয়নের জন্য।
  3. শিক্ষা ঋণঃ প্রাথমিক থেকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য।
  4. প্রবাসী ঋণঃ- প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যবসায় বা অন্যান্য উদ্দেশ্যে ঋণ।
  5. পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন ঋণঃ- পেশাগত প্রশিক্ষণ বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ঋণ।
দীর্ঘমেয়াদী ঋণ সুবিধা  
ঋণটির মেয়াদ দীর্ঘ হতে পারে (১-৫ বছর পর্যন্ত), ফলে মাসিক কিস্তি কম রাখা সম্ভব।

সহজ প্রক্রিয়া  
ঋণ প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সাধারণত সহজ এবং সুবিধাজনক, যেখানে দ্রুত ঋণ অনুমোদনের ব্যবস্থা থাকে।

কিস্তির নমনীয়তা 
ঋণের কিস্তি সাশ্রয়ী এবং ঋণগ্রহীতা তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী শর্তাবলী পরিবর্তন করতে পারে।

বিশেষ সুবিধা  
  • গ্যারান্টি মুক্ত ঋণঃ- কিছু ঋণের জন্য গ্যারান্টি বা সিকিউরিটি লাগেনা।
  • ঋণ পরিশোধের নমনীয় শর্তঃ- ঋণ পরিশোধের জন্য সহজ শর্তাবলী এবং কিস্তি পরিশোধের নমনীয়তা।
টাকা দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থা  
ব্যাংকটি ঋণ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে, ফলে দ্রুত প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যান।

এই সুযোগ-সুবিধাগুলি ব্যাংক এবং ঋণের ধরনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই ঋণের বিস্তারিত শর্তাবলী জানার জন্য ব্যাংকের শাখা বা অফিসে যোগাযোগ করা উচিত।

কর্মসংস্থান ব্যাংক ফোন নাম্বার

কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রধান ফোন নম্বরটি হল। এইটা আপনি মনে চাইলে এ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।(০১৭৫৫-১১১৪৮৯) এছাড়াও আপনি কর্মসংস্থান ঋণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে লগইন করে জেনে নিতে পারেন কর্মসংস্থান ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হলো।

[www.ebl.gov.bd](http://www.ebl.gov.bd)

এখানে আপনি ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা, শাখার ঠিকানা, ফোন নম্বর, ঋণ শর্তাবলী, এবং অন্যান্য তথ্য পেতে পারবেন। গিয়ে তাদের শাখা সমূহের ফোন নম্বরও পেতে পারেন। শাখা বা অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে আপনাকে সরাসরি ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ কথা

কর্মসংস্থান ব্যাংক সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য বা পরিবর্তন জানার জন্য ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা শাখায় সরাসরি যোগাযোগ করা সবচেয়ে ভাল। তবে ব্যাংকটি সাধারণত ছোট ও মাঝারি ব্যবসার জন্য ঋণ, প্রবাসী ঋণ, কৃষি ঋণ, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে। 

এছাড়াও, ব্যাংকটির ঋণের শর্তাবলী, সুদের হার এবং ঋণ প্রক্রিয়া সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন ঋণ বা সেবা সম্পর্কে জানতে চান তবে ব্যাংকের শাখায় বা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ তথ্য পাওয়া সম্ভব।

আশা করি উপরের কর্মসংস্থান ঋণ ব্যাংকের তথ্যগুলো পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। যদি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই আমাদের পেজের সঙ্গে থাকবেন। যাতে করে নতুন নতুন তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। পরিশেষে আপনাদের তোতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে এখানে শেষ করছি। (আল্লাহ হাফেজ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন