নামাজ পড়ার গুরুত্ব পূর্ণাঙ্গ নিয়ম বিস্তারিত জানুন

আমার প্রিয় বন্ধুরা স্রষ্টার সান্নিদ্ধ অর্জনইসলাম ধর্মে নামাজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা মুসলমানদের উপর ফরজ করা হয়েছে। নামাজ হলো আল্লাহর সাথে সরাসরি যোগাযোগের একটি উপায় বা মাধ্যম, 
নামাজ পড়ার গুরুত্ব পূর্ণাঙ্গ নিয়ম বিস্তারিত জানুন
যার মাধ্যমে একজন মুসলমান নিজের ভক্তি, কৃতজ্ঞতা এবং প্রার্থনা প্রকাশ করে। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ঈমানদারদের জন্য আবশ্যক। 

পোষ্টের সূচিপত্রঃ- নামাজ পড়ার স্রষ্টার সান্নিধ্যর মাধ্যম

  • নামাজ পড়তে সান্নিধ্য অর্জনের মাধ্যম
  • নামাজ পড়ার নিয়ম শুরু 
  • অযু করে নেয়া
  • কিবলা মুখী হয়ে দাড়ানো
  • তাকবিরে তাহরিমা-এবং হাত বাধা
  • নামাজে রুকু করা এবং দোয়া
  • নামাজে সিজদা করা এবং দোয়া 
  • সিজদার মাঝখানে বসা এবং দোয়া
  • দোয়ায়ে তাশাহুদ
  • দুরুদে ইব্রাহিম
  • দোয়ায়ে মাসুরা
  • সালাম
  • সর্বশেষ কথা

নামাজ পড়তে সান্নিধ্য অর্জনের মাধ্যম

নামাজ আদায় করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি-সান্নিধ্য অর্জন করা যায়।শুধু তাই নয়, নামাজ আদায় করাই মানুষকে শুদ্ধতা, ধৈর্য, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আল্লাহভীতি অর্জন শিক্ষা দেয়। 

তাই একজন প্রকৃত মুসলমান ব্যক্তির জীবনে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম, এবং সঠিক নিয়মে নামাজ আদায় করা ঈমানের পরিচায়ক, তাই আমাদেরকে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করে, 

আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করতে হলে। নামাজের নিয়ম-কানুন জেনে বুঝেই আদায় করতে হবে, না হলে কোন ভাবেই আল্লাহর সমৃদ্ধ অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই এই আর্টিকেলে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার নিয়মাবলী উল্লেখ করা হলো।

যা আমাদের দৈনন্দিন জীবন দশায় আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য অর্জনে বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, তাহলে চলুন সঠিক নিয়মে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের লক্ষ্যে নামাজ আদায় করা।

নামাজের সকল রাকাআতের ধাপসমূহ, এবং প্রতিদিনের ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজের বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে। আশা করি ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন। 

নামাজ পড়ার নিয়ম শুরু 

আমাদের মধ্যে যে বা যারা নতুন অবস্থায় ইসলামের দিকে ধাবিত হয়েছেন, কিংবা অন্য কোন ধর্ম থেকে ইসলাম এর দিকে এসেছেন, তারা নিশ্চয়ই নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে ইচ্ছুক। অর্থাৎ কিভাবে আপনি চাইলে সঠিক উপায়ে নামাজ পড়তে পারবেন? সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার আগ্রহ অনেকেরি থাকে।
আপনি হয়তো এই সম্পর্কে অবগত আছেন যে, আপনি যদি আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর মত নামাজ পড়তে না পারেন, তাহলে আপনার নামাজ বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। নামাজ পড়ার নিয়ম

আপনি যদি কোনো একটি স্পেসিফিক নামাজ পড়ার নিয়ম শিখে যান, তাহলে প্রত্যেকটি নামাজ আপনি নিজের মনের মত করে করতে পারবেন। নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের বিধি বিধান রয়েছে। 

অর্থাৎ এরকম অনেক নামাজ রয়েছে, যেগুলো আপনি একবারে পড়বেন, এবং এরকম আরো অনেক নামাজ রয়েছে। সেগুলো আপনি অন্য ভাবে পড়বেন। কিভাবে ফরজ, সুন্নাত এবং নফল নামাজ পড়তে হয়, সেই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

অযু করে নেয়া

নামাজ পড়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম অজু করে নিতে হবে। কারণ, আপনি যদি অজু করে পবিত্র হতে না পারেন, তাহলে আপনার নামাজ কবুল হবে না। 

নামাজ কবুল হওয়ার প্রধান শর্ত হলো সঠিকভাবে ওযু করা। নামাজ আদায়ের জন্য, যদি নফল নামাজও হয়। তবুও অজু করা ফরজ বা বাধ্যতামূলক। (বুখারি, হাদিস নং : ১৩২)

আপনি যদি সঠিকভাবে ওযু করতে চান, তাহলে নিম্নলিখিত ছবির লক্ষ্য রাখতে পারেন, এই ছবিটি দেখে নিলে ওযু করার নিয়মাবলী সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
ওযু করার কিছু নিয়ম
উপরে উল্লেখিত ছবিতে যে সমস্ত ইন্সট্রাকশন বর্ণনা করা আছে, সেগুলো যদি আপনি দেখে নেন তাহলে ওযু করার পরিপূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
যখনই ওযু করার কাজ পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়ে যাবে। তখন আপনি নামাজ পড়ার জন্য উপযোগী অর্থাৎ এবার আপনি চাইলে নামাজ পড়তে পারেন।

অজু (ওযু) সম্পর্কে কুরআনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত রয়েছে। যা মুসলমানদের জন্য অজুর নিয়ম ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে। এই আয়াতটি সূরা আল-মায়িদাহ (৫:৬)

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ۚ وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا ۚ وَإِن كُنتُم مَّرْضَىٰ أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ ۚ مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্য উঠো, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত করো এবং মাথা মাসাহ করো এবং গিরা পর্যন্ত পা ধৌত করো। 

যদি তোমরা অপবিত্র হও (জুনুব) তাহলে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হয়ে নাও। আর যদি তোমরা অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাকো, অথবা তোমাদের কেউ পায়খানা করে আসে, অথবা নারীদের সঙ্গে সহবাস করে থাকো, 

অতঃপর যদি পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করো-তাতে তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মাসাহ করো। আল্লাহ তোমাদের ওপর কোনরূপ কষ্ট চাপাতে চান না, 

বরং তিনি চান তোমাদেরকে পবিত্র করতে, এবং তাঁর নিয়ামত তোমাদের ওপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।”

কিবলা মুখী হয়ে দাড়ানো

নামাজ পড়ার নিয়ম হিসাবে একদম প্রথম স্টেপ হিসাবে আপনাকে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে। অর্থাৎ কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পশ্চিম দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে গিয়ে নামাজ পড়তে পারবেন।

নামাযে কিবলামুখী হওয়া নামায সহীহ হবার জন্য শর্ত। কিবলামুখী না হলে নামায শুদ্ধই হবে না। যারা সরাসরি কিবলা দেখতে পায় না, তাদের জন্য যেহেতু সরাসরি বাইতুল্লামুখী হওয়া সম্ভব নয়। 
তাই তাদের জন্য আবশ্যক হল জিহাতে কিবলা তথা কিবলামুখী হওয়া। আর যারা সরাসরি বাইতুল্লাহ দেখে তাদের জন্য সরাসরি বাইতুল্লাহমুখী হওয়া আবশ্যক।

উলামায়ে কেরাম কিবলামুখী হবার একটি মূলনীতি বের করেছেন। তা হল বাইতুল্লাহ থেকে উভয় পাশ হিসেবে ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেলে নামায হবে না। 

ডান পাশে ৪৫ ডিগ্রি ও বাম পাশে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে যাবার আগ পর্যন্ত নামায শুদ্ধ হবে। তবে এর চেয়ে বেশি ঘুরে গেলে নামায হবে না। সূত্রঃ- {জাওয়াহিরুল ফিক্বহ-১/২৪২-২৪৪}

নামাযে কিবলামুখী হওয়া আবশ্যকীয় বিষয়। এটি ছাড়া নামাযই শুদ্ধ হয় না। তাই নামায পড়ার সময় ভাল করে কিবলা দিক ঠিক করে নেয়া জরুরী। 

ইমাম ও মুক্তাদী সবার জন্যই কিবলামুখী হওয়া জরুরী। যার কিবলা ঠিক হবে না, তারই নামায শুদ্ধ হবে না। ইমামের ঠিক থাকা অবস্থায় যদি মুক্তাদীর কিবলা ঠিক না থাকে, 

তাহলে মুক্তাদীর নামায শুদ্ধ হবে না। তাই সবারই কিবলা ঠিক করে নামায শুরু করতে হবে। এই বিষয়ে কুরআনুল কারীম থেকে সূরা আল বাকারা ১৪৪ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন। সে আয়াতটি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-

قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ 

নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে। 

আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন। এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। 

যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। {বাকারা-১৪৪}

তাকবিরে তাহরিমা-এবং হাত বাধা

দুই হাতের আংগুল সমূহ ক্বিবলামুখী খাড়াভাবে কাঁধ অথবা কান পর্যন্ত উঠিয়ে দুনিয়াবী সবকিছুকে হারাম করে দিয়ে স্বীয় প্রভুর মহত্ত্ব ঘোষণা করে বলবে। 
তাকবীরে তাহরীমাহ
‘আল্লা-হু আকবার’ (আল্লাহ সবার চেয়ে বড়) অতঃপর বাম হাতের উপরে ডান হাত বুকের উপরে বেঁধে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সম্মুখে নিবেদিত চিত্তে সিজদার স্থান বরাবর দৃষ্টি রেখে, দন্ডায়মান হবে। 

আল্লাহ বলেন, حَافِظُواْ عَلَى الصَّلَوَاتِ والصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُواْ لِلّهِ قَانِتِينَ সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। বাক্বারাহ ২/২৩৮

‘‘নামাযে হাত বাঁধা ও নাভীর নিচে হাত বাঁধা’’ শীর্ষক লেখায় বলা হয়েছে যে, সাহাবা-তাবেয়ীনের যুগ থেকে হাত বাঁধার দুটো নিয়ম চলে আসছে। বুকের নীচে হাত বাঁধা ও নাভীর নীচে হাত বাঁধা। 

মুসলিম উম্মাহর বিখ্যাত মুজতাহিদ ইমামগণও এ দুটো নিয়ম গ্রহণ করেছেন।অতএব এগুলো নিয়ে আপত্তি  না করে আপনার যেখানে খুশি আপনি হাত বাঁধিতে পারেন।

কারণ আমাদের মধ্যে এমন সম্প্রদায়ের আছে, যারা নাকি কোথাও হাত বাঁধেই না। দুই হাত ছেড়ে দিয়েই নামাজ পড়ে, অতএব আপনার মনে চায় বুকে বাধন অথবা নাভির ওপর কিন্তু নামাজ পড়ুন। 

এবার নামাজে ছানা পাঠ করা 

নামাজে ‘ছানা’ পড়া সুন্নত। নামাজে নিয়ত বাঁধার পর প্রথম কাজ হলো ছানা (সুবহানাকাল্লাহুম্মা) পড়া। কেউ একা নামাজ পড়ুক বা জামাতে উভয় অবস্থায় ছানা পড়তে হয়। 

ছানা আরবি শব্দ, এর অর্থ প্রশংসা, স্তুতি, গুণগান ইত্যাদি। তবে ছানা শব্দটি প্রশংসা ইত্যাদি অর্থে হলেও এটি বিশেষ এক দোয়া বোঝায়, যা নামাজে তাকবিরে তাহরিমা (নামাজের প্রথম তাকবির) বলে হাত বাঁধার পর পড়া হয়। 

পুরো নামাজে একবারই পড়তে হয় এই দোয়া, একাধিকবার পড়ার নিয়ম নেই। একাকী নামাজ হোক বা জামাতে নামাজ, ইমাম, মুক্তাদি সবাই সানা পড়ে থাকেন। কেউ নামাজে মাসুবক হলে তিনি ইমামের সঙ্গে নামাজ শেষে যখন ছুটে যাওয়া নামাজের জন্য দাঁড়াবেন তখন ছানা পড়ে নেবেন।

জামাতের নামাজে ইমাম মুক্তাদি সবাই আল্লাহ আকবার বলে হাত বেঁধে অনুচ্চস্বরে ছানা পড়বে। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজ শুরু করে (তাকবিরে তাহরিমার পর এই দোয়া) পড়তেন, 

سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالِىْ جَدُّكَ وَلَا اِلَهَ غَيْرُكَ

বাংলা উচ্চারণ: সুবহানা কাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা, ওয়া লা ইলাহা গায়রুক। 

বাংলা অর্থঃ- হে আল্লাহ, আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আপনার নাম অতি বরকতময়। আপনি সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং আপনি ছাড়া কোনো উপাসক নেই। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৪৩, ৮০৪; নাসায়ি, হাদিস: ৮৯৯, ৯০০)
 
নামাজ হলো সর্বোত্তম দোয়া। সেজদা অবনত হয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হওয়ার অন্যতম মাধ্যম এটি। নামাজের প্রতিটি রোকনেই মহান আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁরই কাছে সাহায্য চাওয়ার আবেদনে ভরপুর। 

এর মধ্যে অন্যতম একটি হলে সানা। এটিকে দোয়ায়ে ইসতিফতাহও বলা হয়। কেননা এটি তাকবিরে তাহরিমার পর পড়তে হয়। এটি মহান আল্লাহ তাআলার জন্য বান্দার পক্ষ থেকে মানপত্রও বটে।

হাদিসের বর্ণনায় একাধিক সানা পড়ার দিকনির্দেশনা রয়েছে। নামাজে সানা বা দোয়ায়ে ইসতিফতাহ পড়া সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকবিরে তাহরিমার পর এসব সানা পড়তেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকবিরে তাহরিমা ও সুরা ফাতিহার মধ্যবর্তী সময়ে কিছু সময় চুপ থাকতেন। আমি একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! 

আমার বাবা-মা আপনার জন্য কুরবান হোক, আপনি তাকবিরে তাহরিমার পর নিরব থেকে কি বলেন? তিনি বললেন, যে আমি তখনি বলি- اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বায়িদ বাইনি ওয়া বাইনা খাতাইয়াইয়া, কামা বাআদ্তা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিবি; আল্লাহুম্মা নাক্কিনি মিন খাতাইয়াইয়া কামা ইউনাক্কাছ্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ্দানাসি, আল্লাহুম্মাগসিলনি মিন খাতাইয়াইয়া বিল মায়ি, ওয়াছ্ছালজি, ওয়াল বারাদি।

অর্থঃ ‘হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপগুলো থেকে এত দূরে রাখ যেমন পূর্ব ও পশ্চিম পরস্পরকে পরস্পর থেকে দূরে রেখেছ। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপ হতে এমন ভাবে পরিষ্কার করে দাও, যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা হতে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপ হতে (পবিত্র করার জন্য) পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা ধুয়ে পরিষ্কার করে দাও। (বুখারি ও মুসলিম)

নামাজ পড়ার শর্ত হিসাবে আরেকট প্রধান শর্ত হলো, সময়মতো নামাজ আদায় করে নেয়া। ওয়াক্তের বাইরে নামাজ আদায়কারীদের প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, **﴿فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ ۝٤ الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ ۝٥ ﴾** সূরা আল-মাউন আয়াত ৪-৫ নিচে তুলে ধরা হলো।

উচ্চারণঃ ৪.ফাওয়াইলুল্লিল-মুছল্লীন।  ৫.আল্লাজীনা হুম ‘আন ছালাতিহিম সাহূন।

অনুবাদঃ- (৪)অতএব দুর্ভোগ সেসব নামায আদায়কারীর জন্য, (৫)যারা নিজেদের নামায থেকে গাফেল থাকে।

এই আয়াত দুটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, শুধু নামায আদায় করলেই যথেষ্ট নয়।  বরং মনোযোগ ও আন্তরিকতার সাথে নামায আদায় করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা শুধু লোক দেখানো নামায পড়ে বা নামাযে গাফেল থাকে, তাদের জন্য রয়েছে সতর্কবাণী।

নামাজে কালামে পাক তেলাওয়াত

প্রতিটি নামাজেই কোরআন তেলাওয়াত করতে হয়। তবে কোন নামাজে জোরে আবার কোন নামাজ আস্তে তেলাওয়াত করতে হয়। এর কারণ রয়েছে, সেই দিকে না হলে আমরা নাই গেলাম। মূল বিষয় হচ্ছে তাকবীরে তাহরীমার পরে ছানা পড়া, 

তার পরে যখনই আপনি সুরা ফাতেহা পড়ে নিবেন তখন, সুরা ফাতেহার সাথে অন্য যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে নিতে হবে। আপনি যে সূরা তেলাওয়াত করবেন, সেই সূরার আয়াত যদি বড় হয়ে থাকে, তাহলে একটি আয়াত তেলাওয়াত করলে হয়ে যাবে। 

আর যদি ছোট হয়ে থাকে, তাহলে কমপক্ষে তিনটি আয়াত পড়তে হবে।সূরা ফাতিহা পড়া শেষ হলে, একটি সূরা অথবা তিনটি ছোট আয়াত, যা কমপক্ষে লম্বা একটি আয়াতের সমতুল্য হয়। তাই পড়তে হবে। (আবু দাউদ, হাদিস নং- ৬৯৫) 

নামাজে রুকু করা 

রুকু নামাজের অন্যতম রোকন এ ব্যাপারে সব ইমাম একমত এবং আল্লাহ পাক কুরআনে কারীমে বলেন। یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا ارۡکَعُوۡا وَاسۡجُدُوۡا وَاعۡبُدُوۡا رَبَّکُمۡ وَافۡعَلُوا الۡخَیۡرَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ۚٛ

অর্থঃহে মুমিনগণ! রুকু কর, সিজদা কর, তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত কর, এবং সৎকর্ম কর, যাতে তোমরা সফলতা অর্জন করতে পার।

নামাজের অন্য রোকনগুলোর মতো এটি আদায়ের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। অনেকে সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি বাদ দিয়ে ইচ্ছেমতো রুকু করেন। আমাদের এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

রুকুর সুন্নাহসম্মত পন্থা হলো বিশেষ কোনো অপারগতা না থাকলে পিঠকে নিচের দিকে না ঝুঁকিয়ে সোজা রাখা। অর্থাৎ নিতম্ব ও পিঠ সমান সমান হওয়া। কারও একান্ত অপারগতা থাকলে তার জন্য খানিকটা ঝুঁকে থাকার অবকাশ রয়েছে।

হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) রুকুতে গেলে এই দোয়া পড়তেন- سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ. উচ্চারণ : সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম। অর্থঃ- আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। দোয়াটি তিনবার বা ততোধিক (পাঁচ/সাতবার) পড়া ভাল।

রুকু থেকে উঠার দোয়া

سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ উচ্চারণঃ- সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্। অর্থঃ- সে আল্লাহ শ্রবণ করেছেন, যাঁর জন্য প্রশংসা করা হয়েছে।

রুকু থেকে উঠার সোজা হয়ে পরের দোয়া

রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ার দোয়া- رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ উচ্চারণ : রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছিরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফিহি।

অর্থাঃ- হে আমাদের রব্ব! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা, অঢেল পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।

নামাজের সিজদা করা

سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى উচ্চারণঃ- সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা। অর্থঃ- আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে। তিনবার বলা পাঁচবার সাতবার তার অধিক পাঠ করা।

সিকদার মাঝখানে পঠিত দোয়া

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ، وَارْحَمْنِيْ، وَاهْدِنِيْ، وَاجْبُرْنِيْ، وَعَافِنِيْ، وَارْزُقْنِيْ، وَارْفَعْنِيْ বাংলা উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়া‘আফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী

অর্থ- হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন। (আবূ দাউদ: ৮৫০)

দোয়ায়ে তাশাহুদ

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

উচ্চারণ : আত্তাহিইয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াছ ছালাওয়াতু ওয়াত ত্বাইয়্যিবাতু, আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।

অর্থঃ- সমস্ত মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবি! আপনার প্রতি সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত নাজিল হোক। সালাম আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের প্রতি।

আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ ব্যতিত আর কোনো মাবুদ নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা এবং রাসুল।

নামাজের ভেতরে যেসব কাজ ফরজ তার একটি হলো- নামাজে বৈঠকে বসা। আর বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু বা তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। প্রতি দুই দুই রাকাত পর পর বৈঠকে বসতে হয়। এবং নামাজের বৈঠকেই প্রত্যেক মুসলিম আত্তাহিয়্যাতু বা তাশাহহুদ পড়ে থাকেন। 

মনোযোগের সঙ্গে তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পড়া আবশ্যক। এসময় এর প্রত্যেকটি শব্দ ও বাক্যের মর্ম উপলদ্ধির চেষ্টা করা উচিত। আশা করি বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

দুরুদে ইব্রাহিম

اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ .. اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্‌রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্‌রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্‌তা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিজনের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেভাবে বর্ষণ করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর এর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। 

হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিজনের প্রতি যেভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর এর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।

দোয়ায়ে মাসুরা

اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِندِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ.আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি জুলমান কাছীরাওঁ ওয়া লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা, ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা, ওয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রহিম। 

অর্থ হে আল্লাহ্! আমি নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া সে অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। আপনার পক্ষ থেকে আমাকে তা ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত বর্ষণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’

সালাম

এক. সামনের দিকে চেহারা রেখে আসসালামু আলাইকুম (السّلَامُ عَلَيْكُمْ) বলে। আর ওয়া রাহমাতুল্লাহ (وَرَحْمَةُ اللهِ) বলার সময় চেহারা ডানে-বামে ফেরায়। অথবা পুরা সালামই চেহারা সামনের দিকে রেখে বলে। এরপর চেহারা ডানে-বামে ফিরায়।

দুই. সালামের পুরা বাক্যই ডানে বা বামে চেহারা ফিরিয়ে বলে। অর্থাৎ চেহারা ডান বা বাম দিকে ফেরানোর পর (السّلَامُ عَلَيْكُمْ) বলা শুরু করে।

সর্বশেষ কথা

প্রিয় পাঠক উপরের আর্টিকেলে আপনাদেরকে নামাজ সম্পর্কে অল্প সামান্য হলেও আলাপ-আলোচনা ও ধারণা দেওয়া হয়েছে। যদি আর্টিকেলটি পড়ে আপনার একটু উপকারে আসে, তাহলে অবশ্যই সাইটটিকে ফলো দিয়ে আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন, 

এবং পাশে থাকবেন। যাতে করে নতুন নতুন বিষয় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। সকলের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে, আজকের মত এখানেই ইতি করছি। (আল্লাহ হাফেজ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন